নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধর্মপুত্রযুধিষ্ঠিররা সাবধান

ইমরোজ

হমপগ্র

আমার আমি।

হমপগ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিদারুন সত্য কথন (বোরখা সমাচার)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৫৪

আজকের দিনের "আওরঙ্গজেব" দের আর সে পঞ্চাশের দশকের হিন্দু মৌলবাদিদের মধ্যে পার্থক্য নাই। শুধু পার্থক্য এই যে তারা মুসলমান বিদ্বেষি ছিল আর এরা হলো হিন্দু বিদ্বেষি। তথাপি রবীন্দ্রনাথ, শরত চন্দ্র তাদের (তত্কালীন হিন্দু মৌলবাদীদের) বিরুদ্ধে লেখে কেমনে জানি বেঁচে গেছেন। আর এযুগে আমাদের তো মর মর অবস্থা। ঝান্ডা ডান্ডা সর্বপরি বোমার ভয়ে তটস্থ। তবু, লেখা লেখি করাটা যেন নীরব প্রতিবাদ।



তেমনি একটা বিষয় তুলে ধরছি। বোরখা পরলে কি মেয়ে মানুষ সাধু হয়ে যায়? কথাটা কতখানি সত্য? রমনা আর ধানমন্ডি লেকে যে হারে বোরখা প্রেমিকার সংখ্যা বাড়ছে তা রীতিমত ভয়ংকর। বোরখা একটা ভাল শীল্ড হিসেবে কাজ করে। একজন কয়জনের সাথে প্রেম করছে তার খবর কে রাখে। বস্তুত বাবা মনে করেন মেয়েটা বোরখা পড়ে হিযাব করে, সুতরাং সে খারাপ হবে না। এইজন্য একা ছেড়ে দেন। কিন্তু দুনায়ার খবর তো রাখেন না, পরকালের চিন্তায় তাদের মাথার ফোড়াটা দিন দিন বড় করছেন। শেষটায় যখন মেয়ে কোন ছেলের হাত ধরে ভেগে যাবে তখন বলবেন, "আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন"।



এইখানে বলে রাখা ভাল, আমাদের দেশের ৯৫ ভাগ মেয়েই যে নরমাল ড্রেস পড়ে, বা আমাদের দেশে যে পোষাক প্রচলিত তাতে কিন্তু তাদের শরীর যথেষ্টই ঢেকে থাকে। বোরখা পড়া এই দেশের মেয়েদের জন্য তাই আবশ্যক মনে করি না।



সৌদিতে মেয়েরা যথেষ্ট ভাবে বোরখা পড়লেও কি সেখানে রেপ হয় না? যদিও তাদের বিচার খুবই উদ্ভট, তবুও বলছি। কয়বার বাংলাদেশে একটা রেপ কেস, বা এসিড কেসের পর হুজুররা মসজিদে ছেলের দোষটা না দিয়ে মেয়ের দোষটাই দিয়েছেন তার খবরও নেই। সব মেয়েটার দোষ, সে হিযাব করে নাই কেন? অথচ, ছেলেটাকে একবার কি বলা হয় তুমি কেন একাজ করো? এই ঘটনার সাথে শরতচন্দ্রের উদ্ধৃতি দেই, আগেকার দিনে হিন্দু সমাজে বলা হত, "ছেলে একটা না দশটা করুক তাতে কি? মেয়ে মানুষ বলে কথা, তার তো আর ঘরের বাইরে যাওয়াটাও পাপ"। পাঠক কোন পরিবর্তন দেখলেন কি আমাদের এই নব্য সভ্যতর সমাজে?



হুজুররা মেয়েদের হিযাব করতে বলতে যতটা ব্যাস্ত তারা কি একবার বলেন ছেলেদের কে যে তোমরা তোমাদের দৃষ্টি সংযত কর? মেয়েরাই গায়ে একশোটা কাপড় জড়িয়ে থাকবে আর ছেলেরা হাফ প্যান্টের সাথে স্যান্ডো গেঞ্জি পরে ঘুরবে, সেটাতে কোন বাধা নেই কেন? এইটা কি ডিসক্রিমিনেশন নয়?



আমার মা বোন, বোরখা পড়ে না। কিন্তু তাদের চরিত্র কি নষ্ট হয়ে গেছে? বোরখা পড়া না পড়ার মধ্যে কি চরিত্রের মহত্ত কাজ করে? মা বোনকে সব সময় চোখে চোখে রাখেন। এইটা বাঙ্গালীর নিয়ম।



একটা পরহেযগার লোক, নামাজ পরলেও তার যদি চারটে বউ থাকে তাহলে তার কি চরিত্রের অবনতি ঘটে নাই? বস্তুত সে তার চরিত্রের দোষের কারণেই চারটে বিয়ে করে থাকেন, কথাটা অপ্রিয় হলেও সত্য। তার সাথে সাথে তিনি ৩ টি মেয়ের জীবন নষ্ট করছেন। কারণ ফিজিক্যালী কখনই ৪ জন মেয়ে একজন স্বামীর কাছ থেকে সমপরিমাণ আদর পায় না। এইটা সত্য, না মেনে কিছু করার নাই।



যাই হোক, এইসব অলিখিত কুসংস্কার যদি সমাজ থেকে দূর না হয় তাহলে সমাজের গতি ক্রমেই পিছিয়ে পড়বে। একটা হীরাকে আপনি যতই কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখেন না কেন, আলোতে সে চমকাবেই। এটা তার ধর্ম। অপরদিকে একটা কাঁচের টুকরা আলোতেও যা, আঁধারেও তা, তাকে কাল কাপড় দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৭/-২

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:১৪

"কুদরত আলী" বলেছেন: আোরন্গর হুলিয়া নিতে হবে তুলিয়া

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৪৪

সালাহউদ্দীন মুহম্মদ সুমন বলেছেন: দেহে নয় মনে বোরখা পড়াতে হবে।

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:৩৩

দুঃখবিলাস বলেছেন: @সালাহউদ্দীন মুহম্মদ সুমন , দেহে নয় পুরুষের চোখে বোরখা পড়তে হবে।

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:০০

মাইক্রোস্টেপ বলেছেন: প্রচলিত স্কিন টাইট বোরখা ইসলামের কোথাও আছে নাকি! সেখানে পর্দার কথা বলা হয়েছে। এবং উভয়ের জন্য এমন পোশকের কথা বলা হয়েছে যাতে শরীরের গঠন স্পষ্ট না হয়ে ওঠে। এ বিষয়ে পণ্তিত নই তাই এখানেই থামতে বাধ্য হলাম!
আর আপনি যে হুজুরদের উদাহরণ দিয়েছেন ইসলামে তাদের দৌড় আপনার মতই, তারা আপনার- মতই শুনে মসুলমান।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:৫৬

প্রশ্নোত্তর বলেছেন:
" চরিত্রের দোষের কারণেই চারটে বিয়ে করে থাকেন, কথাটা অপ্রিয় হলেও সত্য। "


হা হা হা...ভাইরে দিলেন তো গোমর ফাঁক কইরা!

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:০০

আহমাদ মুজতবা বলেছেন: হুম ম ম ম

৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:৩৫

প্রচেত্য বলেছেন: চমতকার লেখা

৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:০৯

মাথামোটা বলেছেন: এখনই সময় কি বলবার চাও কাইশা বল

৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:৪৮

মাথামোটা বলেছেন: + দিলাম

এইটা শুইনা কুলাঙ্গারজেব বাহীনি ক্ষেইপা উঠতে পারে৷

১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:৪৯

এখনই সময় বলেছেন: "বোরখা পরলে কি মেয়ে মানুষ সাধু হয়ে যায়"

এই ধরনের তত্ত্ব ইসলামের কোথাও নাই। ইসলামের কোথাও বলা নাই বোরখা পরলে তোমার এই এই গুন বাড়বে (সাধু হয়ে যাবে) বা সুবিধা পাবে।
এই গুলো ইসলামের অপব্যক্ষা।

আপনার পোষ্ট থেকে মনে হয় এই ভ্রান্ত ধারনা গুলোই ইসলাম বলেছে (সেই রকম কিছু বলার চেষ্টা করছেন)। যা কিনা ইসলাম কে বিকৃত ভাবে উপস্থাপনার প্রয়াস মাত্র।

১১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:১০

মাথামোটা বলেছেন: এখনই সময় কি বলতে চাও কাইশা বল

১২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:৩১

বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: ইমরোজ .. আপনাকে আবার দেখে ভালো লাগলো ... শুভ প্রত্যাবর্তন ..

(পোস্ট মুছে কাজটা ঠিক করেন নাই )

১৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:০৯

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: তিন ধরনের মেয়েদের প্রয়োজনে বোরখা পড়তে দেখি। একদল আছে বাসের জানালা দিয়া যৌনরোগের চিকিৎসার প্রচারপত্র বিলি করে। একদল হোটেলে দেহব্যবসা করে, আরেকদল জামাতে ইসলামী আর ছাত্রী সংস্থার অফিসে যায়। প্রথম দুইদল ব্যবসায়ীক আর তৃতীয় গ্রুপ পড়ে শিবিরের ভাইয়াদের লোলুপ দৃষ্টি এড়াতে। এর বাইরে আছে কিছু ধার্মিক, কিংবা গ্রামের মহিলারা। কিন্তু শহরে উপরের তিন গ্রুপ প্রমিনেন্ট

১৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:৩৪

হমপগ্র বলেছেন: বিষাক্ত মানুষ

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এবং অনেক শুভ কামনা। কেমন কাটছে জার্মানির দিনকাল? ঠান্ডা পড়েছে খুব, প্রায়ই খবরে দেখি। ভাল থাকবেন।

হাসান
বস! ভাল থাকবেন। থাঙ্কু!

১৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:২৫

হমপগ্র বলেছেন: প্রথমে সবাইকেই ধন্যবাদ জানাই পোষ্টে মন্তব্য করার জন্য।

প্রচেত্য ভাই, সুমন ভাই, দুঃখবিলাস, মাথামোটা ভাই, আহমেদ মুজতোবা, সবাইকে ধন্যবাদ, আমার লেখার মর্ম কথা বুঝতে পারার জন্য। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।

মাইক্রোস্টেপঃ আপনি আমার লেখা হয় কিছুই বুঝেননি নাহয় বুঝেও না বুঝার ভান করছেন। আমি এখানে পুরুষদের পুরুষশাসিত সমাজে ধর্ম বর্মের আড়ালে থেকে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের কথা বলেছি, পক্ষান্তরে একটা মেয়ে ততটাই সুবিধা বঞ্চিত।
-শুভকামনা

এখনই সময়ঃ লেখাটা কয়েকবার পড়ুন। কোথায় আমি ইসলামের কথা বলেছি? লেখার কোথাও কি ইসলাম শব্দটি আছে। কয়েকবার করে পড়ুন। আর হুজুররা অন্যায় করলে সেটার বিরুদ্ধে কথা বলাটা কি ইসলামের বিরুদ্ধে বলা হয়ে যায়?
-শুভকামনা

সবার শেষে আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন অমি রহমান পিয়াল,
ধন্যবাদ পোষ্টি পড়ার জন্য, এবং অনেক শুভকামনা।

১৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:২৯

`হাসান বলেছেন: +++++

১৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:০২

তাসু বলেছেন: ভাই, আমাদের সমাজে অনেক বিকৃত রুচির মেয়েদের (যারা বোরখা পরে কেবল প্রেম করার জন্য) বোরখা পরার কারণে আপনি মোটের উপর বোরখাকে তো অবমূল্যায়ন করতে পারেন না। এটাকে কু সংস্কার ও বলতে পারেন না। মেয়েদেরকেতো স্রষ্টা নিজেই অপরুপ সৌন্দর্য মন্ডিত করেছেন। এ সৌন্দর্যের প্রতি সবার চোখ পড়বেই। এজন্য পুরুষদেরকে বলা হয়েছে তোমাদের চোখকে অবনমিত করো, আর মেয়েদেরকে বলা হয়েছে তোমাদের সৌন্দর্য ঢেকে রাখ। এরপরও বলা হয়েছে, তোমাদের চোখ যদি সেই সৌন্দর্যের প্রতি চলে যায়, তবে একবার ক্ষমাযোগ্য। তবে পুন: পুন: নয়। আসলে আমাদের উভয় পক্ষের চেষ্টাতেই নারী পুরুষের সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠবে। সৌন্দর্যটা যেহেতু মেয়েদের সেজন্য ইজ্জত আব্রু রক্ষার্থে তাদের ভূমিকাটা বেশী হবে সেটাই স্বাভাবিক। নিশ্চয় কেউ এটা প্রশ্ন করবেন না, আল্লাহ কেন মহিলাদেরকে সৌন্দর্য দিল?, তাদেরকেই কেন বেশী ভূমিকা পালন করতে হবে পর্দার ক্ষেত্রে? কেউ যদি স্রষ্টার সৃষ্টির এই একচ্ছত্র অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তবে আমার বলার কিছু নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.