নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধর্মপুত্রযুধিষ্ঠিররা সাবধান

ইমরোজ

হমপগ্র

আমার আমি।

হমপগ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের বিকৃত সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন ও জাগো ফাউন্ডেশন

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছরের জীবনে কোন বিদেশি স্টুডেন্ট দেখিনি। দুই একটা ইরানী দেখা গেলেও সেই অর্থে বিদেশি নেই। ভিজিট করতেও কেউ আসে না।



তবে, বিবিএ শেষ করার মুহুর্তে একটা ঘটনা ঘটল। এক দল বিদেশি স্টুডেন্ট এসে হানা দিল আমাদের ফ্যাকাল্টিতে। এরা এসেছে, জার্মানি থেকে। ছেলে মেয়ে একসাথে। একেকটা মেয়ে অপরূপা সুন্দরী। আর লম্বা। তাদের পোশাক আশাক, নিতান্তই ইউরোপীয়। টিশার্টের সাথে টাইট জিন্স প্যান্ট। টিনা নামে এক মেয়ের টিশার্ট একটু ঢিলা। গলার পাশ দিয়ে তার ব্রা এর ফিতা দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশের মেয়েদেরটা অনিচ্ছাকৃত ভাবে বের হয়। আর ওদেরটা দেখেই মনে হলো ইচ্ছাকৃত।



আমি সবার সাথে স্বাভাবিকভাবে কথা বললাম, হাসি ঠাট্টা করলাম। তবে বেশির ভাগের চোখ, টিনা মেয়েটির বেড়িয়ে থাকা ব্রা এর ফিতার দিকে। ওদের কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে চাচ্ছি, জার্মানিতে পড়াশোনার সুযোগ কেমন, কিভাবে সেখানে যাওয়া যায়, আর কিভাবেই স্কোলার্সিপের জন্য এপ্লাই করা যায় ইত্যাদি ইত্যাদি।



এর মধ্যে আমার এক বন্ধু আগনেস নামক এক মেয়েকে জিজ্ঞেস করল, ওদের ওখানে হলে কি ছেলে মেয়ে এক সাথে থাকে? মেয়েটা খানিক বিচলিত মনে হলো। তারপর বলল, হ্যা এক সাথে থাকে। আমার বন্ধু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, একই রুমে কি ছেলেমেয়ে এক সাথে থাকে কিনা।



মেয়েটি প্রশ্ন শুনে অবাক হয়ে যাচ্ছিল। তার উত্তর দেবার ভঙ্গি দেখে মনে হলো, সে বিরক্তির সাথে প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যেতে চাইছে।



অবাক করা বিষয় হলো, এই বিদেশিনীদের পোশাক আশাকের ফাঁক ফোকড়ে কি আছে, আমরা যেন সেইটা নিয়েই ব্যাস্ত। কার কোন অঙ্গটা কিরকম, সেগুলো নিয়েই কালচার বেশি করি। ছেলে মেয়ে হলে এক সাথে থাকে, মাই গড এতো ভয়াবহ ব্যাপার।



আমরা কি সেক্স ছাড়া কিছুই ভাবতে পারি না? আমাদেরকে ওদের কাছ থেকে দেখে শেখার বা জানতে চাওয়ার আর কিছুই ছিল না।



এ ঘটনার প্রায় এক মাসের মত অতিবাহিত হয়ে গেছে। আমি তখন থেকে চিন্তা করছি ব্যাপারটা নিয়ে।



জাগো ফাউন্ডেশন



জাগো ফাউন্ডেশন এর সাথে আমি জড়িত নই। তবে, একবার রায়ের বাজারে অবস্থিত ওদের একটা স্কুলে একুশে ফেব্রুয়ারীর একটা অনুষ্ঠানে যাবার ভাগ্য আমার হয়েছিল। ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলে-মেয়েরা সেখানে বস্তির ছেলে মেয়েদের ইংরেসজি মাধ্যমে শিক্ষা দেবার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নিজেই দেখলাম, ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলে মেয়েদের কাজ। তারা ক্লাস নিচ্ছে। কেউ একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানের স্টেজ সাজাজ্জে। অনুষ্ঠানটি কন্ডাক্ট কিন্তু কোন ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলে অথবা মেয়ে করল না। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সবই বস্তির ছেলেমেয়ে। তারা গাইল, কেউ নাচল, কেউ বা বক্তব্য দিল।



আমার মেপেললিফের বান্ধবী (এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সহপাঠী) কাছ থেকে জানতে পারলাম, এরা প্রতিমাসে নিজেদের পকেট থেকে ৫০০ টাকা দেয়, আর অনেক বাড়ি থেকে ডোনেশন জোগাড় করে। ডোনেশনের টাকা দিয়ে স্কুল চলছে।



স্কুলটা আমার স্বচক্ষে দেখা।



আমি সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে মেট্রিক ইন্টার পাশ করি। বাংলা মিডিয়ামের স্টুডেন্ট। আমার কাছে জাগো ফাউন্ডেশনের কাজটা কিন্তু খারাপ লাগেনি। আমি ওদের অনেক উৎসাহ দিয়ে এসেছি। ভালো লেগেছে আমার সত্যি।



এরা কোত্থেকে ফান্ড পায়, সেটা আমেরিকা দেয় নাকি সৌদি-আরব দেয়, তাতে কি আসলো গেল? যারা এসব নিয়ে কথা বলছেন, নিজে কিছু করছেন তো? করছেন না, মানুষের ______ এর মধ্যে আঙ্গুল দিতে তো সব ওস্তাদ। আর আমেরিকা বৃটেনের ব্যাক থাকলে তো কথাই নাই। বস্তির ছেলে মেয়েরা যদি এই উছিলায় কিছু শিখে, তাতে কি কারও কমবে কিছু? কারও কোন ক্ষতি হবে?

জাগো ফাউন্ডেশনে ছেলে মেয়েদের ছবি দিয়ে, সব ইতররা সেক্সুয়াল থ্রিল অনুভব করছে, এটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না। জাগোর মেয়েদের টিশার্ট নিয়ে কথা হচ্ছে, মেয়েদের হাসোজ্জ্বল ছবি নিয়ে কথা হচ্ছে...আমি তাজ্জব হয়ে গেলাম। ওরা তো আমাদের থেকে বয়সে অনেক ছোট। ওদের নিয়ে এরকম না ভাবলে সমস্যা কি হয়?

----------------------------------------------------------------------------------

জাগোর কার্যক্রম বা তাদের কর্মস্পৃহা-কে পাশ কাটিয়ে যেভাবে কিছু ছবিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরীর চেষ্টা করা হচ্ছে দেখে দুঃখ লাগলো। ডিজুস জেনারেশন বলে অপবাদ দেওয়া হয় যাদের সেই তরুণ-তরুণীরা যে একটা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে দেশের জন্য কিছু একটা করবে বলে জড়ো হয়েছে, যেখানে আর দশজন শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখে যাচ্ছে তখন এদের এই উদ্যোগকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখার কোন অধিকার ঐ নিন্দুকদের নেই। হোক না তা সামান্য কিছু, হোক না তাতে দেশের দশের বিরাট কোন উন্নতি হচ্ছেনা, কিন্তু এরা তো স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দেয় নি। নিজেদের উদ্যোগে, তারুণ্যে, কর্মচাঞ্চল্যে এরা স্বপ্ন দেখছে, দেখাচ্ছে। আমরা কজনই বা এমনটা করছি।



আমাদের এও ভুলে গেলে চলবে না বয়সে এরা প্রায় সবাই নবীণ। ছোটকাট ভুল তাদের হতেই পারে। কিন্তু সেটি এমন আহামরি কিছু না যে, তাদের স্বপ্ন দেখার শুরুটাতেই আমরা এমন করে বিদ্রুপ, কটাক্ষের কাঁটা তাদের পথে বিছিয়ে দিব। আমার ধারণা তাতে কেবল আমরা নিজেদেরই অকল্যাণ বয়ে আনবো।




- মেঘদূতের এই চমৎকার কমেন্টটি আমার পোস্টে এড করলাম!

মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৩

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: কি যে বলেন আপনি?
ব্রা এর ফিতার দিকে চোখ না গেলে ঈমান থাকবে কি করে? আমাদের দেখতে কার ঈমান কোন খানে ঢিলা হয়ে গেসে, সাথে সাথে তাকে টাইট দিতে হবে।
বালের আমরা!!!!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৭

হমপগ্র বলেছেন: হুম!

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৫

জালিস মাহমুদ বলেছেন: ভাই এই নিয়ে ব্লগে অনেক খানকিরপোলার লগে ঝগড়া হইছে । এহন কন
ঐ মাদারচোদ গো কি করা উচিত ?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৬

হমপগ্র বলেছেন: থাবড়ানো উচিৎ। কথা দিয়ে মারা দরকার!

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৬

শিক কাবাব বলেছেন:
১. আমরা কি সেক্স ছাড়া কিছুই ভাবতে পারি না?
দুটা চুম্বক ১ জায়গায় থাকবে কিন্তু চুম্বকগুলি একে অপরকে আকর্ষণ করবে না। এমনটা এই পৃথিবী গ্রহে সম্ভব না।

২. ...সব মাদারফাকাররা সেক্সুয়াল থ্রিল.....
ইংরেজিতে একটা গালি আছে মাদারফাকার। এর অর্থ কি কোনো বাঙালী জানে? আমারতো মনে হয় না। এর অর্থ অলস।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৭

হমপগ্র বলেছেন: মানুষ চৌম্বক না।

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৭

শেখ ইরফান বলেছেন:

ভাই last প্যারাটা একটু এডিট করে নেন.. গালিটা সরাবেন দয়া করে.. ভুল বানান ঠিক করবেন.. ভিবিডির মেমবার হিসেবে এই দাবিটুকু করে গেলাম..

লেখার সাথে সহমত

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩০

হমপগ্র বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। গালি সরিয়ে দিয়েছি। মেজাজ খারাপ হয়! তাই গালি আসে!

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৮

সীমানা পেরিয়ে বলেছেন: জার্মানী বলেন আর ইয়োরোপ বলেন ওদের কাছে সেক্স ব্যাপারটা আমাদের দৈনিক ডাল-ভাত খাওয়ার মতোই ব্যাপার। ওদের ওখানে একটু ছেলে-মেয়ে এবটু ঘনিষ্ট হলেই সেক্স ব্যাপারটা টেস্ট করে নেয়...পরস্পর ম্যাচ করে কিনা। ম্যাচ করলে সম্পর্কটা তারপরের স্টেজে যায়। এটাই ওদের জন্যে স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশে জিনিসটা এখনো এই রকম পর্যায়ে যায় নাই। আর দূর্লভ জিনিসের প্রতি আকর্ষণ থাকাটাই স্বাভাবিক।

যদিও সেই আকর্ষনটাকে ভদ্রতার পর্যায়ে নামিয়ে আনার মধ্যেই ব্যাক্তিত্ব নিহিত। আপনার বন্ধুদের মধ্যে সেইটার ঘাটতি ছিলো।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৪৭

হমপগ্র বলেছেন: ওদের কাছে ডাল-ভাত আর আমাদের কাছে পোলাও বিরিয়ানি!

যাইহোক, আমার মনে হয়, আমরা সব কিছু ভুলে ঐদিকেই হাটতেছি! যেটা আমার লেখার মূল বক্তব্য!

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৪১

পারভেজ আলম বলেছেন: একটা কথা প্রায়ই বলি, 'অবদমিত যৌনতা খুব খারাপ জিনিস'। দিন দিন আমাগো সমাজে তা স্পষ্ট হয়। কোন চ্যারিটি ওয়ার্কের সমালোচনা অনেক ভাবেই করা যায়। কিন্তু সেইটা যখন ওয়ার্কারদের জামা কাপড় নিয়া বেশি হয় তখন এইটাও পরিস্কার হয়যে সমালোচনাকারীর মাথার চেয়ে অন্ডকোষ এই সমালোচনায় শক্তি যোগাইতাছে বেশি।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৪৬

হমপগ্র বলেছেন: হা হা...ভালো বলেছেন!

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৪৭

বিভ্রান্ত পথিক ২০১০ বলেছেন: জাগোর সব খারাপ তা বলছি না, কিন্তু রাস্তার মাঝে ফুল নিয়ে দৌড়া-দৌড়ি করলে হয়ত কিছু মজা পাওয়া যায়,যাদের লাভ হবার তাদের কিছুই হয় না......
জিনিসটা যে বেশ দৃষ্টিকটু তাও বলার অপেক্ষা রাখে না......

এই রকমের বিতর্কিত কোনো বিষয়কে(পোস্টকে) যথা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি, আপনি জোসেফাইট তাই কমেন্ট করতে আসা ......

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫০

হমপগ্র বলেছেন: খারাপ লাগার কিছু নয়। এটা একটা চ্যারিটি ওয়ার্ক। আর ওটা ওয়ার্ক করার স্টাইল। আপনি অভিনব কিছু বের করুন। অথবা আপনি চ্যারিট করুন।

যাদের লাভ হবার, তাদের কিছু হয় না, একথাটা ঠিক নয়। আমি নিজে ওদের স্কুল দেখেছি। ওদের শিক্ষা ব্যবস্থা দেখেছি। সেখান থেকে যদি ২% বস্তির ছেলে উঠে আসতে পারে, তাহলেও একটা বিশাল ব্যাপার হবে!

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫৪

ঈশান বলেছেন: হায়! যদি ইহার মর্মার্থ উহারা অনুধাবন করিতো। (তবে কতই না ভালো হইতো।)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৫

হমপগ্র বলেছেন: বুঝিবে না!

৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৮

তাসবীর আহমাদ বলেছেন: এই ধান্ধা্বাজদের ধরে প্যাদানী দেয়া হোক।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৬

হমপগ্র বলেছেন: ???

কনফিউজিং!

১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১২

খুশবু বলেছেন: প্রথম থেকেই ভালো কাজে আমরা থাকি না । ভালো কাজে বাম হাত । এরা কেন নিজেরে কন্টোল করতে পারেনা । অড জামাকাপড় চোখের পরে ,কাজ টা না

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৭

হমপগ্র বলেছেন: আরে খুশবু! অনেকদিন পর! আমার ব্লগে।

ধন্যবাদ!

১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১২

চরমপত্র বলেছেন: ইংরেজিতে একটা গালি আছে মাদারফাকার। এর অর্থ কি কোনো বাঙালী জানে? আমারতো মনে হয় না। এর অর্থ অলস।

১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৩

মে ঘ দূ ত বলেছেন: জাগোর কার্যক্রম বা তাদের কর্মস্পৃহা-কে পাশ কাটিয়ে যেভাবে কিছু ছবিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরীর চেষ্টা করা হচ্ছে দেখে দুঃখ লাগলো। ডিজুস জেনারেশন বলে অপবাদ দেওয়া হয় যাদের সেই তরুণ-তরুণীরা যে একটা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে দেশের জন্য কিছু একটা করবে বলে জড়ো হয়েছে, যেখানে আর দশজন শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখে যাচ্ছে তখন এদের এই উদ্যোগকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখার কোন অধিকার ঐ নিন্দুকদের নেই। হোক না তা সামান্য কিছু, হোক না তাতে দেশের দশের বিরাট কোন উন্নতি হচ্ছেনা, কিন্তু এরা তো স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দেয় নি। নিজেদের উদ্যোগে, তারুণ্যে, কর্মচাঞ্চল্যে এরা স্বপ্ন দেখছে, দেখাচ্ছে। আমরা কজনই বা এমনটা করছি।

আমাদের এও ভুলে গেলে চলবে না বয়সে এরা প্রায় সবাই নবীণ। ছোটকাট ভুল তাদের হতেই পারে। কিন্তু সেটি এমন আহামরি কিছু না যে, তাদের স্বপ্ন দেখার শুরুটাতেই আমরা এমন করে বিদ্রুপ, কটাক্ষের কাঁটা তাদের পথে বিছিয়ে দিব। আমার ধারণা তাতে কেবল আমরা নিজেদেরই অকল্যাণ বয়ে আনবো।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৫

হমপগ্র বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার চমৎকার কমেন্টের জন্য। যদি অনুমতি দেন, আমি এই কমেন্টটা আমার মূল লেখায় এড করতে চাই।

আবারও ধন্যবাদ!

১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৫

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: টি শার্ট আর জিন্স দেখলে অনেকের মাথায় মাল উইঠা যায়। দোষটা টি শার্ট আর জিন্সের - উনাদের না।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৭

হমপগ্র বলেছেন: সেটাই!

১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৬

কাউসার রুশো বলেছেন: পোস্টের সাথে সহমত।
কিছু মানুষের উপকার হলে ক্ষতি কী???

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৭

হমপগ্র বলেছেন: এইটাই তো বুঝবার পারতেছিনা!

১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৭

কাউসার রুশো বলেছেন: মেঘদূত ভাই আর পারভেজ আলম ভাইয়ের কমেন্টে ঝাঝা‍‍!

১৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২০

মে ঘ দূ ত বলেছেন: সানন্দে :) খুশীই হব।

ধন্যবাদ রুশো ভায়া।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৪

হমপগ্র বলেছেন: আপনাকে অবারও অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন!

১৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৪

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: খুব ভাল লিখছেন। এটাই পয়েন্ট।

আমাদের যুবসমাজ শিখছে শুধু কাপড়ভেদ করে বা কাপড়ের ফাক দিয়ে দেখা যাওয়া নারীদেহ নিয়ে বিকৃত আনন্দ উপভোগ করতে অথবা শুধুই ছিদ্রান্বেষণ করতে বা ভাংচুর করতে, কিন্তু কোন কিছুর প্রশংসা ( নেতা নেত্রী ব্যতীত ), কোন গঠনমূলক কাজে তাদের বড়ই অনীহা।

তারা যেখানে প্যান্ট আর টিশার্ট বা ওড়না পড়ার স্টাইল দেখেই উত্তেজিত, সেখানে স্কার্ট আর টপ্স, বা হাফপ্যান্ট দেখলে তারা এমন উত্তেজনা বোধ করে যে, মানুষের কাজের থেকে তখন তাদের পোশাক ই তাদের প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে যায়। অবাক হয়ে দেখতে হয়, নেতা নেত্রীদের মিছিল, তোরণ, সমাবেশ এর পিছনে খরচ হওয়া টাকা বা সন্ত্রাসীদের পুড়িয়ে দেয়া যানবাহন নিয়ে এরা তেমন উচ্চস্বর হয় না। সম্ভবত ভাংচুরকারীদের পোশাক টা তাদের চোখে ঠিক। আর তাই, এখানে কবি নীরব।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৭

হমপগ্র বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

যানবাহনের ক্ষতিসাধন, কোটি কোটি টাকা দিয়ে সন্ত্রাসী পালন করে যারা, তাদের পেশা নিয়ে কেউ তো এমন উচ্চবাচ্য করে না!

১৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩০

সকাল বেলার ঝিঝি পোকা বলেছেন: সহমত। জিনিসগুলা পজিটিভ ভাবে নিলেই আশা করি কোন সমস্যা থকার কথা নয়। কিছু মানুষের উপকার তো হচ্ছে?

আপনাকে ধন্যবাদ।।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩২

হমপগ্র বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আমার ব্লগে আসার জন্য!

১৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩১

ব্লগার ইমরান বলেছেন: সেক্সুয়াল ব্যাপার নিয়ে ওদের সাথে এ দেশের লোকদের মিলাবেন না। রাতে বাসায় না ফিরলে কারোও বাপে কিচু বলবে না , বুকে হাত দিয়া এ কথা বলার সাহস কার আছে ? অথচ ঐসব দেশগুলোতে বাবা-মায় একটু তেড়িবেড়ি করলেই তাদের মামলা করতেও পিছপা হয় না। এসব কারনেই আমাদের দেশে পারিবারিকভাবে আমরা যে সুখ পাই ওদের কাছে এগুলো এখন বইয়ের গল্প।

আর জাগোর ব্যাপারে বলবো, ভালো কার্যক্রম ঠিক আছে। ভালো কার্যক্রম করারও অনেক উপায় আছে। শুধু জাগোই একমাত্র সংস্থা তা ভাবছেন নাকি যারা পথশিশুদের নিয়ে কাজ করে? না, আরোও অনেক সংস্থাই করে থাকে।
কিন্তু এদের মতো বিকৃত পন্থায় না। বিকৃত পন্থায় এ কারনে বললাম, কারন এখানে মেয়েদের ব্যাবহার করে উদ্দেশ্য হাসিল করা হচ্ছে। যেমন একটা ছবিতে দেখলাম সেখানে এক লোক ৫০০ টাকা দান করছে। এখন কোনো পথ শিশু যদি চাইতো ওরে এক টাকাও দিটো কিনা সন্দেহ আছে। তার মানে ঐ ব্যাটার জন্য মেয়ের সৌন্দর্য্য কাজে লাগানো হলো। এবং এটাও ঠিক জাগোর কোনো ছেলে যদি চাইতো, এর দশ ভাগ টাকাও পেতো কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
হ্যা,যদি বলেন যে, অসুবিধা কি টাকা তো উঠছে ? সমস্যা নাই। এরচেয়ে ভালো একটা ড্যান্স পার্টি দিয়ে টাকা কালেকশন করা হোক। এর কয়েকগুন বেশী টাকা উঠানো যাবে।
যাই হোক, জাগোর কার্যক্রম ভালো, কিন্তু টাকা কালেকশনের এই পন্থাকে কিছুতেই ভালো বলতে পারছি না, তা আপনি যতোই গালি গালাজ করুন না ক্যানো।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১১

হমপগ্র বলেছেন: আপনার যুক্তি অগ্রাহ্য। কারণ আপনিই চিন্তা করেন, কোন গরীব দুস্থ ছেলে আপনার কাছে টাকা চাইতে আসলে আপনি তাকে দিবেন কিনা।

দিবেন না। কেননা, এদেরকে আমরা সহজে বিশ্বাস করি না। অন্যদিকে ভদ্র সমাজের ছেলেমেয়েদের প্রতি আমাদের বিশ্বাসটা অনেক বেশি। তাই তারা ছাত্রাবস্থায় কষ্ট করে এই টাকা যোগাড় করছে, এটা আমাদের কাছে ভালো ঠেকে।

দ্বিতীয়ত, জাগো একটি ভলান্টারি অর্গানাইজেশন। এখানে জোড় করে মেয়েদের ইনভলব করা হয় না। এরা নিজেরাই আসে। শুধু মেয়ে নয়, এতে অনেক ছেলেও আছে।

২০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩২

Neelpoddo বলেছেন: প্রথমে তাদের কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাকঃ

➽প্রথম কথা তাদের কোন রেজিস্ট্রেশন নেই। ROC থেকে শুধু "জাগো" নামটা ব্যবহারের নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে মাত্র। কিন্তু আসলে নন প্রফিট অর্গানাইজেশনের জন্য সমাজ কল্যাণ থেকে যে লাইসেন্স দরকার তা তাদের নেই।

➽অর্গানাইজেশনাল ট্রান্সপারেন্সি নেই।

➽জাগোর দুইজনকে জিজ্ঞেস করলাম, তাদের বাজেট বা এই বিষয়ে আম মেম্বার কিছুই জানেনা।

➽জানার ইচ্ছেও নেই তাদের। একটা এই ধরনের ইভেন্ট হলেই তারা জানে এবং যোগ দেয় এবং এর পর কি হয় তা তাদের অজানা।

➽আর তাদের ভলান্টিয়াররা প্রোপারলী ট্রেইন্ড আপও নয় এবং একটি বিরাট অংশ শুধুমাত্র শোঅফের আর সার্টিফিকেটের জন্য এসেছে । যেই বিষয়ে কাজ করে তাদের সেই বিষয়ে আইডিয়াই নেই। তাদের সাথে ট্যাক্স নিয়ে এবং চাইল্ড কেয়ার নিয়ে দুইবারের এনকাউন্টারে আমার তাই মনে হল। এই ধরনের কিছু ব্যাড এপল সব প্রতিষ্ঠানেই থাকে এবং জাগোতে তার রেশিও একটু বেশী মনে হল দূর থেকে।

এবার আসি তাদের পজেটিভস নিয়েঃ

➽তাদের ১০ টাকা বাজেটের ৮ টাকা তার পিআর এবং শোঅফে ব্যয় করলেও দুইটাকা অন্তত নিশ্চিত মানুষের কাজে আসছে। এই দুই টাকার কাজই বা বাংলাদেশে কয়জন করছে?

➽যেসব তরুণ এবং যুবক জাগোর হয়ে মাঠে নামছে,তার আর যাই হোক খারাপ কিছুতো অন্তত করছে না। এপ্রোচ নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে,কিন্তু অন্তত বেশীরভাগ ভাল ইন্টেনশন নিয়েই এসেছেন। সেদিন তারা রাস্তায় না থাকলে যেত এই সময়টুকু তারা যথারীতি বন্ধুদের সাথে কোথাও আড্ডাতেই কাটাচ্ছে প্রতিদিনের মত। নিঃসন্দেহে এই আড্ডা থেকে রাস্তায় গণমানুষের কিছুটা কাছে আসাটা ভাল একটি কাজ। গণমানুষের সাথে তাদের এই এক্সপোজার তাদের ভবিষ্যতে আরো সাহায্য করবে এটা অন্তত নিশ্চিত।

➽যারা জাগোর পুরো ইভেন্টটিকে একটি পিকনিক হিসেবে দেখছেন আর ভাবছেন ননীর পুতুলের মত এসব ছেলেদের দিয়ে কিছুই সম্ভব নয়, তাদের দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। তারা যে শুরু করেছে এটাইতো বেশী। বাংলাদেশে এই ধরনের ভলান্টীয়ার প্রতিষ্ঠান হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি। সমাজের উঁচুতলার বাসিন্দাদের জন্য এটিই বোধহয় এই ধরনের প্রথম চেষ্টা। সেই হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানটির পটেনশিয়াল এবং অপরচুনিটি অনেক। এই ছেলে মেয়েরাই মধ্যেই অনেকে হয়তো এক সময় বড় কোন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হবে। সাধারণ মানুষের কিছু কষ্ট যদি তারা যদি বুঝতে পারে তবে তা সবার জন্যই লাভ। কিন্তু তাদেরকে প্রথমেই যদি আমরা এভাবে নিরুৎসাহিত করে ফেলি তবে তা হবে বড় একটা ভুল।


আর পোশাকের বিষয়ে আমি কথা বাড়ালাম না। আপনার পোস্টেই এর জবাবটা দেওয়া আছে।


আমি একজন আশাবাদী মানুষ। এই ধরনের উদ্যোগ সবসময় ভাল চোখেই দেখি। আশাকরি নিজদের ভেতরকার কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে জাগো এক সময় একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে এবং দেশের মানুষের কল্যাণে অবদান রাখবে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৮

হমপগ্র বলেছেন: আপনাকে প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই, যুক্তি দিয়ে কিছু পজেটিভ দিক আর নেগেটিভ দিক তুলে ধরার জন্য।

পরিবর্তনটা আসলে সেদিকদিয়েই আসা প্রয়োজন, যেদিকে রয়েছে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। আমারও এই কামনা যে ওদের উদ্দেশ্য একদিন সফল হোক।

আমিও নিরুৎসাহিত করতে চাই না কাউকে। এধরণের কাজ আরও অনেক হোক। ট্রান্সপারেন্সির ব্যাপারটা তো আসলে আমাদের দেশে কোন কিছুতেই নাই। এটার জন্য থার্ড একটা টিম বা অর্গানাইজেশন একটা ইনভেস্টিগেটিভ রিসার্চ করতে পারে। তাহলেই আসল সত্য বেড়িয়ে আসবে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আবারও!

২১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৫

নাফিজ মুনতাসির বলেছেন: কি আর বলবো??? আপনি যেই পোষ্ট এর জবাব দেবার জন্য এই ব্লগটি লিখেছেন সেই পোষ্টটি আমিও পড়েছি। আসলে সবকিছুতেই দোষ খোজা কিছু মানুষের স্বভাব হয়ে দাড়িয়েছে।
কিন্তু এবার কিছু ব্লগারদের নীচু মানসিকতা দেখে একেবারে অবাক হয়ে গেলাম। মেয়েদের বয়স আর কত হবে ?? ১৩/১৪/১৫ বছর। কিন্তু এই ছোট মেয়েদের প্রতি বেশ কিছু ব্লগারের কমেন্ট পড়লেই বোঝা যায়, আসলে তারা কি মানসিকতার মানুষ। এসব বিকৃত রুচির মানুষদের নিয়ে কিছু বলতেও রুচিতে বাধছে।
ওরা তাও মানুষদের সাহায্য করতে রাস্তায় নেমেছে। ওদের নিয়ে কিছু বলার আগে নিজে নিজে চিন্তা করুন মানুষের জন্য আপনি আসলে কতটা করেছেন? তারপর কথা বলতে আসবেন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৪

হমপগ্র বলেছেন: ওরা তাও মানুষদের সাহায্য করতে রাস্তায় নেমেছে। ওদের নিয়ে কিছু বলার আগে নিজে নিজে চিন্তা করুন মানুষের জন্য আপনি আসলে কতটা করেছেন? তারপর কথা বলতে আসবেন

আর কি বলব ভাই, আমাদের সব কিছুতেই ভূত খোজার অভ্যাস!

২২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৫

স্টাডি-ইটিই বলেছেন: পারভেজ আলম বলেছেন: একটা কথা প্রায়ই বলি, 'অবদমিত যৌনতা খুব খারাপ জিনিস'। দিন দিন আমাগো সমাজে তা স্পষ্ট হয়। কোন চ্যারিটি ওয়ার্কের সমালোচনা অনেক ভাবেই করা যায়। কিন্তু সেইটা যখন ওয়ার্কারদের জামা কাপড় নিয়া বেশি হয় তখন এইটাও পরিস্কার হয় যে সমালোচনাকারীর মাথার চেয়ে অন্ডকোষ এই সমালোচনায় শক্তি যোগাইতাছে বেশি।


কমেন্টা আবার না তুলে পারলাম না, পারভেজ ভাইরে প্লাস সেই সাথে আপনারেও প্লাস।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩১

হমপগ্র বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!

২৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪১

চরমপত্র বলেছেন: স্বপ্ন দেখি এরা একদিন এদেশে রাস্তার মোড়ে রক এন রোল আয়োজন করবে সমাজ রাজনিতী আর সিস্টেম পরিবর্তনের জন্য।সমাজের প্রতিটি স্তরের নবীনদের আন্দোলনই পারে পূর্নাঙ্গ পরিবর্তন এনে দিতে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৩

হমপগ্র বলেছেন: হুম!

২৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৫

আকাশ_পাগলা বলেছেন: আমরা কী সেক্স ছাড়া কিছুই চিন্তা করতে পারি না? মু হা হা হা।
জার্মানীরা বোধহয় করে না।
ইংলিশ, ইউরোপীয় মুভি দেখলে ওদের টিনএজারদেরকে আমাদের মতই লোফাঙ্গা মনে হয়। ওদের ডায়লগ গুলাও এমনই থাকে যে ঐ মেয়েরটা দেখ রে !!

বাঙালিদের খারাপ ভাবা টা আমাদের স্বভাব হয়ে গেছে। একরুমে ছেলে মেয়ে থাকে, এটা নিয়ে আম্রিকা ইউরোপেও প্রচুর সেক্সুয়াল জোকস আছে। যা থেকে বুঝা যায়, চিন্তাটা আমাদের মতই করে।

আরেকটা জিনিস আছে, চাইলেই যদি কিছু এভেইলেবল পান, তাহলে সারাদিন ছোক ছোক করবেন না। ওদের বাপ মা বাস্তবতা বুঝেন, নিজের না সন্তানের ইগো দেখেন, তাই ওরা এসব ব্যাপারে ফ্রি। এদিকে আমরা ত চাইলেই আর পাইনা। তাই সারাদিন মাথায় এগুলা ঘুরে।
অতএব, টিনএজ উত্তেজনাকে হুদাই বাঙালিপনা না বানিয়ে চোখটা খুলুন।

------------------------------------
জাগোর কেইস আলাদা। প্রশ্নটা উঠেছে ফাউন্ডেশন নিয়ে, ভলান্টিয়ার নিয়ে না। ফাউন্ডেশন এত টাকা দিয়ে কী করছে, এবার যেটাকা উঠল তা দিয়ে কী হবে, কবে হবে সেগুলার হিসাব কিতাব নিয়ে।

উঁচু ফ্যামিলির ছেলে ঢাকা ইউনি থেকে পাশ করে বেকার, সেখানে পথশিশু ইংলিশ শিখে যে কী করবে বা কারিগরি শিক্ষা না দিয়ে সিলাই, ওয়েল্ডিং বা বাংলা স্বাক্ষরতা না শিখিয়ে ইংরেজি শিখানোটাই যে সঠিক পথ, সেটার ডিসিশান কারা কারা নিয়েছেন -- প্রশ্ন উঠেছে সেটা নিয়ে।পথশিশুরা না খেয়ে থাকে মানেই এই না যে তারা আপনার এক্সপেরিমেন্টের বস্তু।

ভলান্টিয়ার যারা স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন তারা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। যারা ফান বা মজা করতে গেছে, তারাও অন্তত কিছু কাজ ত করল। পোলাপানের মেজাজ খারাপ হইছে রাস্তা ঘাটে এদের ফাও ঢং দেখে, কিন্তু সেটা কখনই বড় পয়েন্ট না। যত প্রশ্ন উঠেছে তার ৯০% উঠেছে ফাউন্ডেশন নিয়ে আর তাদের পদ্ধতি নিয়ে। স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে নয়।
এরা দারিদ্র বুঝে কম। যখন বুঝতে গেল, তখন দেখল সবাই ফুল কিনছে ৫০০ টাকা ডোনেশন দিয়ে। সেই ব্যাটা কোনদিন সত্যিকার পথশিশুকে ১০ টাকা দিছে জীবনে? তাহলে এই পদ্ধতিটা কী কাজ করছে? প্রশ্ন উঠছে এসব নিয়ে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৭

হমপগ্র বলেছেন: প্রথমে,

ইউরোপ আমেরিকার ছবিতে যে অশ্লীলতা ইউজ করা হয়, সেটা বাণিজ্যিকরণের জন্যে। ওদের দেশে এতটাও ওপেন কেউ না। এটা আমার কথা নয়। বিদেশে আমার যেসব বন্ধুবান্ধব থাকে, তাদের কাছ থেকে সেটা জানতে পেরেছি।

আর অনেক ইরোপীয়, আমেরিকান আছে, যারা দিন আনে দিন খায়, আর কোনরকমে নিজের কাজ করে।

জাগো ফাউন্ডেশনের প্রশ্নে আমি বলব,

স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে কথা না উঠলে, ওদের ছবি অনুনোমদিত ভাবে ফেইসবুকে দেওয়া হচ্ছে কেন? বলতে পারেন? আর এই টাকা যে সঠিকভাবে ইউজ হয়, সেটা আপনি ক্ষতিয়ে দেখে আসেন। ফাউন্ডেশনের মেম্বারদের সাথে এক সপ্তাহ কাজ করেন। সেটা না করে আপনি কেন কথা বলবেন?

সব কিছুর মধ্যেই গলদ থাকে। কোন কিছুই পারফেক্ট নয়। এটা আমাদের বাস্তবতা। সেই গলদটাকে বড় করে না দেখে, উদ্যোগটাকে বড় করে দেখতে শিখুন!

ধন্যবাদ!

২৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৫

ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: পোস্টে চরম সহমত, আর সেইসব পার্ভাটদের মানসিক সুস্থতা ফিরে আসুক সেই কামনা করি।

আমার শুধুমাত্র কনসার্ন, যে জাগো ফাউন্ডেশানের ফান্ডের টাকা যেনো প্রপারলি দুস্থ শিশুদের কাছে পৌঁছায়।আর পোশাক আষাক কিংবা ভলান্টিয়ারদের আচরন নিয়ে পারভেজ ভাই আর মেঘদূত যা বলেছেন তাতে আমার বলার আর কিছু বাকি থাকে না।

শুধু জাগো কেন, এরকম সকল প্রকার সংগঠন এগিয়ে যাক সে কামনাই করি।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৮

হমপগ্র বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ!

ভালো থাকবেন!

২৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০২

েকউ একজন বলেছেন: আকাশ_পাগলা বলেছেন: আমরা কী সেক্স ছাড়া কিছুই চিন্তা করতে পারি না? মু হা হা হা।
জার্মানীরা বোধহয় করে না।
ইংলিশ, ইউরোপীয় মুভি দেখলে ওদের টিনএজারদেরকে আমাদের মতই লোফাঙ্গা মনে হয়। ওদের ডায়লগ গুলাও এমনই থাকে যে ঐ মেয়েরটা দেখ রে !!

বাঙালিদের খারাপ ভাবা টা আমাদের স্বভাব হয়ে গেছে। একরুমে ছেলে মেয়ে থাকে, এটা নিয়ে আম্রিকা ইউরোপেও প্রচুর সেক্সুয়াল জোকস আছে। যা থেকে বুঝা যায়, চিন্তাটা আমাদের মতই করে।

আরেকটা জিনিস আছে, চাইলেই যদি কিছু এভেইলেবল পান, তাহলে সারাদিন ছোক ছোক করবেন না। ওদের বাপ মা বাস্তবতা বুঝেন, নিজের না সন্তানের ইগো দেখেন, তাই ওরা এসব ব্যাপারে ফ্রি। এদিকে আমরা ত চাইলেই আর পাইনা। তাই সারাদিন মাথায় এগুলা ঘুরে।
অতএব, টিনএজ উত্তেজনাকে হুদাই বাঙালিপনা না বানিয়ে চোখটা খুলুন।

------------------------------------
জাগোর কেইস আলাদা। প্রশ্নটা উঠেছে ফাউন্ডেশন নিয়ে, ভলান্টিয়ার নিয়ে না। ফাউন্ডেশন এত টাকা দিয়ে কী করছে, এবার যেটাকা উঠল তা দিয়ে কী হবে, কবে হবে সেগুলার হিসাব কিতাব নিয়ে।

উঁচু ফ্যামিলির ছেলে ঢাকা ইউনি থেকে পাশ করে বেকার, সেখানে পথশিশু ইংলিশ শিখে যে কী করবে বা কারিগরি শিক্ষা না দিয়ে সিলাই, ওয়েল্ডিং বা বাংলা স্বাক্ষরতা না শিখিয়ে ইংরেজি শিখানোটাই যে সঠিক পথ, সেটার ডিসিশান কারা কারা নিয়েছেন -- প্রশ্ন উঠেছে সেটা নিয়ে।পথশিশুরা না খেয়ে থাকে মানেই এই না যে তারা আপনার এক্সপেরিমেন্টের বস্তু।

ভলান্টিয়ার যারা স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন তারা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। যারা ফান বা মজা করতে গেছে, তারাও অন্তত কিছু কাজ ত করল। পোলাপানের মেজাজ খারাপ হইছে রাস্তা ঘাটে এদের ফাও ঢং দেখে, কিন্তু সেটা কখনই বড় পয়েন্ট না। যত প্রশ্ন উঠেছে তার ৯০% উঠেছে ফাউন্ডেশন নিয়ে আর তাদের পদ্ধতি নিয়ে। স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে নয়।
এরা দারিদ্র বুঝে কম। যখন বুঝতে গেল, তখন দেখল সবাই ফুল কিনছে ৫০০ টাকা ডোনেশন দিয়ে। সেই ব্যাটা কোনদিন সত্যিকার পথশিশুকে ১০ টাকা দিছে জীবনে? তাহলে এই পদ্ধতিটা কী কাজ করছে? প্রশ্ন উঠছে এসব নিয়ে।






সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো এত টাকা কই যায়???????

US Embassy, KFC এর মত বড় বড় প্রতিষ্ঠানের দেয়া টাকা, ৭০০০ ভলানটিয়ার এর রেজি: এর টাকা, রাস্তা থেকে তোলা টাকা(ভালই টাকা ওঠে) হিসেব করেন....... তারা কতটুকু কি করছে??? একটা স্কুল চালায়....তাও ইংলিশ মিডিয়াম......হাস্যকর ব্যাপার....।

টি শার্ট জিন্স নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা ফালতু কাজ......কিন্তু যখন প্যান্ট ছাড়া কোন মেয়ে এর ছবি আসবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন হবেই......।যতটুকু জানলাম ঐ মেয়ের পাশে যে বসে আছে সেই নাকি জাগো এর অন্যতম মাথা(এই ইনফো টি সত্য কিনা আমি সিওর না আগেই বলে নেই)....।

কাজ করা ভালো কিন্তু যখন খাজনা থেকে বাজনা বেশি হয়ে যায় তখন ওটাকে বলে তামাশা.... দরিদ্রতা আর সিমপ্যাথি নিয়ে তামাশা করার অধিকার কোন প্রতিষ্ঠানেরই নেই.........

সবশেষে বলি জাগো এসব থেকে শিখুক যদি তারা সত্যই ভালো কাজ করতে চায়.....।শিশা টানা অথবা অর্ধনগ্ন কর্মী তাদের ধ্বংসই ডেকে আনবে...

যেটা ভবিষ্যতের কোন সত্যিকারের ভালো কাজকেও পেছনে টেনে ধরবে....।


জাগো যেনো এ থেকে শিখতে পারে এই শুভ কামনা.....।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩০

হমপগ্র বলেছেন: যেহেতু আমি ওদের স্কুলে গেছি আমার একটা ধারণা আছে। আপনিও গিয়ে একবার দেখে আসেন।

আমার কথা হলো, এই উছিলায় যদি ১ জন বস্তির ছেলে মেইনস্ট্রিমে উঠে আসতে পারে, তাহলেই অনেক হবে। এখানে দোষ দেবার আগে আমাদের উচিৎ ওদের সাথে কাজ করা, বা এরকম একটা কিছু দার করানো!

২৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৩

তাবন বলেছেন: ভাল কাজ সেটা যতই অশুদ্ধ হোক না কেন বা ভুলভাবে হোকনা কেন তা ভাল কাজ বলেই বিবেচিত হবে....নিজে করবে না কিছুই কিন্তু ভুল ধরার জন্য একপায়ে দাড়িয়ে থাকবে...এই হছছে আমাদের সমাজের মানুষদের ধর্ম....

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২০

হমপগ্র বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে!

ভালো থাকবেন!

২৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৬

ডাইনোসর বলেছেন:

এনজিওর কার্যক্রম নিয়ে আলাদা আলোচনা করা যেতে পারে।কোন দেশ ফান্ড দেয় এটা আসলেই বড় ব্যপার না। এনজিও নিয়ে খুব গভির ভাবে না দেখলে ব্যপারটা ধরা যায়না। উপর থেকে দেখতে গেলে ভালই মনে হয়। এবঙ যারা কাজ করে তারা অনেকেই অন্তরিক ভাবে কাজ করে।

তবে আপনার পোষ্ট সুন্দর হয়েছে। পড়ে ভাল লাগলো।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৩

হমপগ্র বলেছেন: জাগো এনজিও নয়। তবে, যদি ওদের টার্গেট সেটা হয়, তাহলে অবশ্যই আমি এর বিরোধিতা করব।

এসব ছেলেমেয়েদের কষ্টে উপার্জিত অর্থ যাতে বেহাতে না যায়, সে জন্য আমাদের সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। দুদকের একটা টিম, এদের সাথে কাজ করে দেখলেই হয়।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৭

এম আর ইকবাল বলেছেন: আমি একটি ছেলের কথা জানি । যে এ লেভেলে পড়ে, স্কুল, কোচিং, বন্দুদের সাথে আড্ডা আর সারাখন ইন্টারনেট । সেদিন সকালে হলুদ গেন্জী পড়ে মহা উৎসাহে বেরিয়ে গেল । পরে জানলাম জাগোর ইভেন্ট এ পথে নেমেছিল তারা, পুলিশ তাদের বেশী সময় রাস্তায় থাকতে দেয়নি । জানলাম ইভেন্ট এ অংশ নেওয়ার জন্য তাদের নিজেদের ১০০ টাকা করে দিতে হয়েছে । তাদের দেখলাম এতে অংশ নিয়ে খুব খুশি ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২০

হমপগ্র বলেছেন: সেটাই। ছাত্র জীবনে বা স্কুল জীবনে অনেক ফ্রী টাইম থাকে। এ সময়গুলোকে কাজে লাগাচ্ছে, সেটাই অনেক বড় ব্যাপার।

৩০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪২

ইন্জিনিয়ার রুমান বলেছেন: আমরা কি সেক্স ছাড়া কিছুই ভাবতে পারি না? আমাদেরকে ওদের কাছ থেকে দেখে শেখার বা জানতে চাওয়ার আর কিছুই ছিল না।

৩১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০১

সিলেটি জামান বলেছেন: আকাশ_পাগলা বলেছেন: আমরা কী সেক্স ছাড়া কিছুই চিন্তা করতে পারি না? মু হা হা হা।
জার্মানীরা বোধহয় করে না।
ইংলিশ, ইউরোপীয় মুভি দেখলে ওদের টিনএজারদেরকে আমাদের মতই লোফাঙ্গা মনে হয়। ওদের ডায়লগ গুলাও এমনই থাকে যে ঐ মেয়েরটা দেখ রে !!

বাঙালিদের খারাপ ভাবা টা আমাদের স্বভাব হয়ে গেছে। একরুমে ছেলে মেয়ে থাকে, এটা নিয়ে আম্রিকা ইউরোপেও প্রচুর সেক্সুয়াল জোকস আছে। যা থেকে বুঝা যায়, চিন্তাটা আমাদের মতই করে।

আমরা মেয়েদের পোষাক নিয়ে কথা উঠলে ইউরোপ-আমেরিকার মেয়েদের পোষাকের তুলনা দেই, এটা যে কি ধরনের হাস্যকর তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আমাদের দেশের চেয়ে অনেক অনেক বেশী ইভটিজিং হয় ইউরোপ-আমেরিকায়। আমেরিকায় তো প্রতি ৬ মিনিটেই একজন ধর্ষিত হয়। কারন তাদের মাথায়ও সেক্সই কাজ করে। ইউরোপ-আমেরিকায় ছেলেরা মেয়েদের সরাসরি সবার সামনে টিজ করে, ফান করে, এটা তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। আমাদের দেশের মেয়েরাও ইউরোপ-আমেরিকার মত কাপড়-চোপর পড়ুক সমস্যা নাই, সাথে সাথে ছেলেরাও তাদের নিয়ে মজা করুক দুইটাই মানতে হবে। একজন লোক শুধুমাত্র ফুল কিনে ৫০০ টাকা দেয়না, সে ঐ মেয়েকে দেখে মজা পাইছে, এই জন্য দিছে। এইটা মানতে হবে।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কথায় কথায় ইউরোপ-আমেরিকার উদাহরন আনা কোন অবস্থায়ই যুক্তিসংগত বলে আমি মনে করিনা।

এবার ছোট্র একটা ঘটনা বলি : আমার বন্ধু শেফার্ড নর্টন তার বান্ধবিদের নিয়ে প্রায়ই বাসায় আসে এবং সেক্স করে। বাসায় তার মা আছে, দুই বোন আছে। তো তার একটা বান্ধবি যখন সে সেক্স করে তখন খুব চিল্লায়। আমি একদিন তার বাসায় গেলাম তো তার মা আমাকে বলল- তোর বন্ধুকে বলবে তার বান্ধবীর মুখে যেন একটা টিস্যু গুজে দেয় যাতে তার চিল্লানি নীচ থেকে আমাদের শুনতে না হয়।...এই হচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকা।

৩২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৬

ত্রিশোনকু বলেছেন: আপনার লেখাটার জন্যে সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা।

৩৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪০

রাজকন্যে বলেছেন: ধান্মন্ডির মেট্রোর সামনে আমি কিন্তু কিছু আপুকে কামিজের উপরে জাগো'র টিশার্ট পড়ে কাজ করতে দেখেছি। এটা কেউ বলবে না , বলে না। মাথায় স্কার্ফ বেধেও অনেকে কাজ করতে এসেছিলো। এগুলর ছবি আমরা পাব্লিক্লি দেখতে পাই না। মেয়ে হলেই হোলো, বয়স জাই হক একটু কামুক না হলে যেন পুরুষ হওয়া যায় না!

৩৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনার লেখাটা ভাল লেগেছে।

৩৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:২৭

পারভেজ বলেছেন: আমাদের মানসিকতা আর পাল্টাবে বলে মনে হয়না। আমার খুব যেতে ইচ্ছা করেছিলো ওদের সাথে যেতে, পারিনি।কিন্তু যদি সুযোগ থাকে সাহায্য করবো অবশ্যই। পোষ্টটা ভালো লাগলো।

৩৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:৩৬

রয়বেস্ট বলেছেন: আমিও জোসেফাইট। আপনি কন বাচের?

০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৫৪

হমপগ্র বলেছেন: আমি ২০০৫ ব্যাচের!

৩৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:০৭

জেনারেল তাকা বলেছেন: ঠিকাছে!! +

মাথায় স্কার্ফ পরাদের ছবি কিন্তু পারভার্টাগুলান দেয় নাই, কিছু স্পেসিফিক ছবি দিয়া ব্লগ আর ফেসবুক গরম করতে চাইছিল ওরা

৩৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:২৫

বিশ্বপ্রেমিক বলেছেন: েকউ একজন বলেছেন: আকাশ_পাগলা বলেছেন: আমরা কী সেক্স ছাড়া কিছুই চিন্তা করতে পারি না? মু হা হা হা। জার্মানীরা বোধহয় করে না। ইংলিশ, ইউরোপীয় মুভি দেখলে ওদের টিনএজারদেরকে আমাদের মতই লোফাঙ্গা মনে হয়। ওদের ডায়লগ গুলাও এমনই থাকে যে ঐ মেয়েরটা দেখ রে !! বাঙালিদের খারাপ ভাবা টা আমাদের স্বভাব হয়ে গেছে। একরুমে ছেলে মেয়ে থাকে, এটা নিয়ে আম্রিকা ইউরোপেও প্রচুর সেক্সুয়াল জোকস আছে। যা থেকে বুঝা যায়, চিন্তাটা আমাদের মতই করে। আরেকটা জিনিস আছে, চাইলেই যদি কিছু এভেইলেবল পান, তাহলে সারাদিন ছোক ছোক করবেন না। ওদের বাপ মা বাস্তবতা বুঝেন, নিজের না সন্তানের ইগো দেখেন, তাই ওরা এসব ব্যাপারে ফ্রি। এদিকে আমরা ত চাইলেই আর পাইনা। তাই সারাদিন মাথায় এগুলা ঘুরে। অতএব, টিনএজ উত্তেজনাকে হুদাই বাঙালিপনা না বানিয়ে চোখটা খুলুন। ------------------------------------ জাগোর কেইস আলাদা। প্রশ্নটা উঠেছে ফাউন্ডেশন নিয়ে, ভলান্টিয়ার নিয়ে না। ফাউন্ডেশন এত টাকা দিয়ে কী করছে, এবার যেটাকা উঠল তা দিয়ে কী হবে, কবে হবে সেগুলার হিসাব কিতাব নিয়ে। উঁচু ফ্যামিলির ছেলে ঢাকা ইউনি থেকে পাশ করে বেকার, সেখানে পথশিশু ইংলিশ শিখে যে কী করবে বা কারিগরি শিক্ষা না দিয়ে সিলাই, ওয়েল্ডিং বা বাংলা স্বাক্ষরতা না শিখিয়ে ইংরেজি শিখানোটাই যে সঠিক পথ, সেটার ডিসিশান কারা কারা নিয়েছেন -- প্রশ্ন উঠেছে সেটা নিয়ে।পথশিশুরা না খেয়ে থাকে মানেই এই না যে তারা আপনার এক্সপেরিমেন্টের বস্তু। ভলান্টিয়ার যারা স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন তারা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। যারা ফান বা মজা করতে গেছে, তারাও অন্তত কিছু কাজ ত করল। পোলাপানের মেজাজ খারাপ হইছে রাস্তা ঘাটে এদের ফাও ঢং দেখে, কিন্তু সেটা কখনই বড় পয়েন্ট না। যত প্রশ্ন উঠেছে তার ৯০% উঠেছে ফাউন্ডেশন নিয়ে আর তাদের পদ্ধতি নিয়ে। স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে নয়। এরা দারিদ্র বুঝে কম। যখন বুঝতে গেল, তখন দেখল সবাই ফুল কিনছে ৫০০ টাকা ডোনেশন দিয়ে। সেই ব্যাটা কোনদিন সত্যিকার পথশিশুকে ১০ টাকা দিছে জীবনে? তাহলে এই পদ্ধতিটা কী কাজ করছে? প্রশ্ন উঠছে এসব নিয়ে।





সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো এত টাকা কই যায়???????

US Embassy, KFC এর মত বড় বড় প্রতিষ্ঠানের দেয়া টাকা, ৭০০০ ভলানটিয়ার এর রেজি: এর টাকা, রাস্তা থেকে তোলা টাকা(ভালই টাকা ওঠে) হিসেব করেন....... তারা কতটুকু কি করছে??? একটা স্কুল চালায়....তাও ইংলিশ মিডিয়াম......হাস্যকর ব্যাপার....।

টি শার্ট জিন্স নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা ফালতু কাজ......কিন্তু যখন প্যান্ট ছাড়া কোন মেয়ে এর ছবি আসবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন হবেই......।যতটুকু জানলাম ঐ মেয়ের পাশে যে বসে আছে সেই নাকি জাগো এর অন্যতম মাথা(এই ইনফো টি সত্য কিনা আমি সিওর না আগেই বলে নেই)....।

কাজ করা ভালো কিন্তু যখন খাজনা থেকে বাজনা বেশি হয়ে যায় তখন ওটাকে বলে তামাশা.... দরিদ্রতা আর সিমপ্যাথি নিয়ে তামাশা করার অধিকার কোন প্রতিষ্ঠানেরই নেই.........

সবশেষে বলি জাগো এসব থেকে শিখুক যদি তারা সত্যই ভালো কাজ করতে চায়.....।শিশা টানা অথবা অর্ধনগ্ন কর্মী তাদের ধ্বংসই ডেকে আনবে...

যেটা ভবিষ্যতের কোন সত্যিকারের ভালো কাজকেও পেছনে টেনে ধরবে....।


জাগো যেনো এ থেকে শিখতে পারে এই শুভ কামনা.....।



আমি আরও দু এক কথা যোগ করতে চাই।

জিন্স এবং টিশার্টে আপত্তি নাই। তবে বাঙালিয়ানা কে পদদলিত করে বাঙালি থেকে ইংরেজ হইতে রাজি নই। জাগো বলে জনগণকে জাগানোর আগে তাদের নিজেদের বিবেক জাগ্রত করা উচিত। বাংলাদেশে সমস্যা শুধু কিন্তু একটা না। আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতিও আজ হিন্দি আর প্রাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণে দূষিত হয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। আর যখন এইসব ড্রেস আপে পাবলিক প্লেসে এই রকম কাজে আসবে তখন হয়ত তা আগামী প্রজন্মকেও ঐ পথে যেতে অনুপ্রাণিত করবে। জাগো এর কার্যক্রমটা এভাবে না চালিয়ে আরও সুন্দর ভাবে করা সম্ভব হত। একটা ক্যাম্পেইন চালানোর জন্য কিন্তু ইউনিফর্মের দরকার নাই। যদি ছেলেমেয়েগুলো স্বাভাবিক বাঙালি পোষাকে [শুধু ক্যাম্পেইনের স্বার্থে হলেও] সাধারণ মানুষের মাঝে মিশে গিয়ে তাদের এই কার্যক্রম চালাতো তাহলে সাধারণ মানুষও তা পজিটিভলি নিত। উদাহরণ স্বরূপ আমি আমার ব্যাক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে চাই। আমি রোটারিয়ান দের কিছু প্রোগ্রাম দেখেছি যাতে তারা স্বাভাবিক পোষাকেই মাঝে মধ্যেই কিছু সেবামূলক কার্যক্রম চালায় [যেমনঃ ব্লাড গ্রুপিং ও ব্লাড ডোনেশন, গাড়ির হেডলাইট রঙ করে দেয়া, শীত বস্ত্র বিতরণ, বন্যার্তদের সাহায্য করা ইত্যাদি ইত্যাদি]। ঐসব কার্যক্রমে কিন্তু কোন প্রশ্ন উঠে না। তাতে অনেক মেয়ে থাকলেও তাদের ব্যাপারো কিন্তু কথা হয় না। আপনি পাবলিকলি কোন কাজ করলে তা কতটুকু পাবলিক কালচারের সাথে সঙ্গতি রেখে করতে পারবেন তার উপর সেই কাজের সফলতা নির্ভরশীল। এইটা কিন্তু কোন ফ্যাশন শো নয়, যে আপনি মডার্ণ পোশাকে আবির্ভূত হবেন আর পাবলিক তা গোগ্রাসে গিলবে।



মন্তব্য একান্তই ব্যাক্তিগত। মন্ত্যব্যে মনঃক্ষুন্ন হলে দুঃখিত।

৩৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩৭

আকাশ_পাগলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: যেহেতু আমি ওদের স্কুলে গেছি আমার একটা ধারণা আছে। আপনিও গিয়ে একবার দেখে আসেন।

আমার কথা হলো, এই উছিলায় যদি ১ জন বস্তির ছেলে মেইনস্ট্রিমে উঠে আসতে পারে, তাহলেই অনেক হবে।


পুকুর চুরি/সাগর চুরি করে সেই টাকার স্কুলে ফ্রি পড়ে লাভ নাই। এদের বাপ মা যাকাত দেয় ত? এরা যেই টাকা দিয়ে বিয়ার খাইতেছে, শিশা খাইতেছে সেই টাকাটা অপচয় না করলে কী হত না? বন্ধুরা মিলে এক দুদিন খেতে যাওয়া এক কথা আর রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে খাওয়া মানে ওরা রেগুলার খায়। তাই না? আর সবচেয়ে বড় কথা ব্যাপারটা অনৈতিক আর তার পিছনে খরচ।

আগের একটা কথা আবারও বলছি,
""উঁচু ফ্যামিলির ছেলে ঢাকা ইউনি থেকে পাশ করে বেকার, সেখানে পথশিশু ইংলিশ শিখে যে কী করবে বা কারিগরি শিক্ষা না দিয়ে সিলাই, ওয়েল্ডিং বা বাংলা স্বাক্ষরতা না শিখিয়ে ইংরেজি শিখানোটাই যে সঠিক পথ, সেটার ডিসিশান কারা কারা নিয়েছেন -- প্রশ্ন উঠেছে সেটা নিয়ে।পথশিশুরা না খেয়ে থাকে মানেই এই না যে তারা আপনার এক্সপেরিমেন্টের বস্তু।""

আগে এইটার উত্তর দেন। ওরা কাদের সাথে আলোচনা করে সিলেবাস ঠিক করছে? চাইলেই গরীব নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা যায়? ওখানে সিলাই শিখায়, ওয়েল্ডিং শিখায়?


আমার নিজের দেখা একটা কাহিনী বলি। এক পথশিশুকে দুটা ছিড়া জিন্সের মেয়ে(সেইটা নাকি স্টাইল) জিজ্ঞাসা করতেছে, "ঐ তুই বড় হয়ে কী করবি?" ওই পিচ্চী মেয়ে উত্তর দিলো, "কী জানি!" (আরও কী যেন বলছিল খেয়াল নেই)। ত ঐ মেয়ে দুটা আৎকে উঠল, "বলিস কী, তুই এত কিউট একটা মেয়ে, তুমি বড় হয়ে নর্থ সাউথে পড়বি।"

বুঝেন অবস্থা, দারিদ্র এদের কাছে এমন। এরা ঐ মেয়েকে সেলাই, ওয়েল্ডিং শিখাবে? এদের কাছ থেকে স্পোকেন শিখে সেই মেয়ের কতটুকু উপকার হবে সেটা নিয়ে জাগো কয়টা শিক্ষাবিদের সাথে আলোচনা করছে?

৪০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৮

আসা২৬৪ বলেছেন: এত লাগে কেন রে ভাই সবার, চলতে দেন না, এই সুযোগে আমরাও কিছু কঠিন চিজ দেখতে পারি, তারা তো শুধু নাইট ক্লাব আর বারে যা ইচ্ছা তা করে, আমাদের তা দেখার সুযোগ নাই, একরাতে কেউ কেউ যেই টাকা ঢালে তা দিয়া আমার পুরা মাসের সংসার চলে, তাই এখন মুফতে দেখতে পাইতেছি সেইটাও কি দিবেন না,
এই দেশে যৌন অধিকার নিয়াও শ্রেণী বিভেদ দেখলাম, গরিবের বাঙলা ছিনেমার অশ্লীলতা দূর করতে রেব, পুলিশ কত কিছু নামে, আর ধনীর নাইট ক্লাব ,বারে এমনকি বেডরুমে বিদেশী চ্যানেলে নীল ছবি চললেও সেইটা নাকি আধুনিকতা,কেনরে ভাই, গরীব হইছি বইলাকি আমার যন্ত্র নাই

৪১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১০

তরুক মকতো বলেছেন:

"দারিদ্র্য" নিয়ে খেলা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.