![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আফ্রিকা থেকে উদগত ইবোলা ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই ভাইরাস আক্রান্ত প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই মৃত্যুবরণ করতে পারে। এই অবস্থায় সকলের সচেতন থাকা জরুরি। ইবোলা ভাইরাস প্রধাণত বাদুড় ও অন্যান্য প্রানীর মাধ্যমে ছড়ায়। বাদুড়ের বেশ কিছু প্রজাতি এই ভাইরাসের মুখ্য পোষক। আক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্শে এসে মানুষও আক্রান্ত হতে পারে।
ইবোলা ভাইরাস আক্রমণের প্রধান লক্ষণগুলো হলো: তীব্র জ্বর, মাথা ব্যথা, শরীরের গিঁটে ব্যথ্যা, দুর্বলতা, অরুচি, গলাফোলা ইত্যাদি। রোগের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে রোগ হলে শরীরের ভেতরে ও বাইরে রক্তপাত হতে পারে। বিশেষ করে নাক, কান এবং চোখ দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। বমি কিংবা কাশির সাথে কিংবা মলত্যাগের সময় রক্ত দেখা যেতে পারে। সেই সাথে চামড়ায় গুটি দেখা যেতে পারে। ইবোলা ভাইরাস মানব কোষে প্রবেশ করে খুব দ্রুত সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকে। একসময় এদের চাপে কোষ ফেটে যায়, নতুন ভাইরাসগুলো নতুন নতুন কোষকে আক্রান্ত করে এবং ৬ থেকে ১৬ দিনের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে।
ইবোলা ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় না। তাই এটি ফ্লু সহ অন্য অনেক ছোঁয়াচে রোগের ভাইরাসের চেয়ে ব্যতিক্রম। এটি পানি বা খাবারের মাধ্যমেও ছড়ায় না। এমনকি এই ভাইরাসের বাহক কিন্তু রোগের লক্ষণ নেই এমন মানুষের সংস্পর্শেও এই রোগ ছড়ায় না। তাই কিছুটা সচেতনতা গ্রহণ করলে এই রোগের হাত থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব। ইবোলার প্রতিষেধক নেই তাই সচতন প্রধিরোধই নিরাপদ থাকার একমাত্র উপায়। ইবোলা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে কিংবা রোগীর শরীর নিঃসৃত তরল যেমন রক্ত, লালা ইত্যাদির সংস্পর্শে এলে ইবোলা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ইবোলা আক্রন্তদের চিকিৎসা ও সেবায় নিয়োজিত কিংবা মৃতরোগীর সৎকারের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা খুব সহজেই ইবোলা আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষ করে ইবোলায় আক্রান্ত মৃতদেহ এই ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষেত্রে একটি বড় হুমকী। ইবোলা ভাইরাসের রোগীদের উপজীব্য যাঁরা হবেন তাঁদের কিছু বিশেষ সর্তকতা গ্রহণ করতে হবে। যেমন:
১. শরীরের যথাযথ নিরাপত্তা আচ্ছাদন থাকতে হবে (পোষাক, দস্তানা, নিরাপদ চশমা, মাস্ক প্রভৃতি)।
২. যাবতীয় সরঞ্জাম যথাযথ ভাবে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৩. ইবোলা রোগের লক্ষণযুক্ত আক্রান্ত ব্যাক্তিকে অন্যদের কাছ থেকে পৃথক অবস্থায় রাখতে হবে। এবং অন্যদের সংস্পর্শে যেন না আসতে পারে সেই দিকে কড়া দৃষ্টি রাখতে হবে।
এই রোগ ছড়ানোর সবচেয়ে সহজ কারন হতে পারে একদেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমন। সেই ক্ষেত্রে বিমানবন্দর এবং অন্যান্য বন্দরে যথাযথ তদারকির ব্যবস্থা রাখা জরুরি। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ইবোলা ভাইরাস শনাক্ত করা যায়। তাই এইসব জায়গায় যথযথ পরীক্ষা-নীরিক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৫৩
বেঙ্গলেনসিস বলেছেন: সেটাই। সবার সচেতন থাকা জরুরী।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৪
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: জানলাম। অনেক ধন্যবাদ
১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৫৩
বেঙ্গলেনসিস বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৭
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে লিখবার জন্যে।
সামু কত্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেখাটি নির্বাচিত পাতায় স্থান করে দেবার জন্যে।
১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৫৩
বেঙ্গলেনসিস বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৮
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ভাই, আপনার নামে দৈনিক আমাদের সময় এ ছাপাতে চাই। পুরো নাম সহ অনুমতি দিন।
১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩৩
বেঙ্গলেনসিস বলেছেন: অনুমতি দিলাম।
পুরো নাম: ইমতিয়াজ আহমেদ
পিএইডি শিক্ষার্থী, কিংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, দক্ষিন কোরিয়া।
৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪৮
ভূতাত্মা বলেছেন: ফেসবুকে বিভিন্ন জায়গায় লেখাটির লিঙ্ক দেখলাম। সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। বাংলাদেশে এই ভাইরাস ছড়ানোর আশংকা প্রবল এবং আশংকাজনকভাবে অবস্থান তৃতীয়।
ভয়ে আছি...
১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৫৪
বেঙ্গলেনসিস বলেছেন: সচেতন থাকাটা খুবই জরুরি। রাষ্ট্রীয় এবং ব্যক্তিগত উভয় পর্যায়ে।
৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
সুমন কর বলেছেন: এবারের বইমেলায় অাপনার কোন বই বের হচ্ছে কি? যদি হয় তাহলে নাম, ধরন, প্রকাশক, মূল্য, প্রাপ্তিস্থান, প্রচ্ছদ -- এ তথৎগুলো দিতে হবে, পোস্ট দেবার ইচ্ছা আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৬
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আমাদের এখানে জনসংখ্যার যে ঘনত্ব, ইবোলা আসলে খুবই ভয়ংকর ব্যাপার হবে!