নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য, যুক্তি এবং সত্যযুক্তি

http://www.youtube.com/user/imteazahmed

বেঙ্গলেনসিস

সবার জন্য বিজ্ঞান

বেঙ্গলেনসিস › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোনা সে-তো সোনা নয়

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

পৃথিবীতে যে পরিমান প্রমাণিত সোনার মজুদ আছে তা দিয়ে কেবল দুটি অলিম্পিক সাইজের সুইমিংপুল ভর্তি করা যাবে। আর অলিম্পিকে যে পরিমান সোনার পদক দেয়া হয় তাতে সারা পৃথিবীতে সোনার পরিমাণে টানাটানি পড়ে যাওয়ার কথা। অলিম্পিকে যেই স্বর্ণ পদক দেওয়া হয়ে তাতে আসলে সোনা থাকে খুবই সামান্য, বাকীটা রূপা দিয়ে ভর্তি করা হয়। আসুন রিও অলিম্পিকে ব্যবহৃত কোন পদকের কম্পোজিশন কি তা দেখে নেওয়া যাক।
স্বর্ণপদক: সোনা: ১.২%, রূপা: ৯৮.৮%
রৌপ্য পদক: রূপা: ১০০%
ব্রোঞ্জ পদক: তামা: ৯৫%, দস্তা: ৫%



স্বর্ণপদক: ১৯১২ সালের স্টোকহোম অলিম্পিক থেকেই পদকে আর ১০০% সোনা ব্যবহার করা হয় না। সেই সময় থেকে স্বর্ণপদকে সোনা থাকে খুবই সমান্য, অধিকাংশই থাকে রূপা। রূপার পদকের উপরে সোনার আস্তরণ দেয়া থাকে ফলে সেগুলোকে বাহ্যিকভাবে সোনার তৈরি দেখা যায়। রিও অলিম্পিকের স্বর্ণপদকে মাত্র ১.২ শতাংশ সোনা রয়েছে। বাকী ৯৮.৮ শতাংশই রূপা। যে সোনা দিয়ে রূপার পদকে আস্তরণ দেওয়া হয়েছে তা অতিমাত্রায় বিশুদ্ধ (৯৯.৯%)। এই সোনা পারদমূক্ত।

বিভিন্ন অলিম্পিকের পদকের কম্পোজিশন বিভিন্ন হয়। যেমন: ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকের স্বর্ণপদকে সোনা ছিলো ১ শতাংশ, রূপা ৯২ শতাংশ এবং তামা ৭ শতাংশ। কম্পোজিশন অনুযায়ী রিও অলিম্পিকের স্বর্ণপদকের বাজার মূল্য ৫৬৫ ডলার। যদি এটি খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরি হতো তাহলে দাম হতো ২১,২০০ ডলার!

রৌপ্য পদক: রৌপ্য পদকের সম্পূর্ণটাই রূপা, তবে এই রূপার বিশুদ্ধতায় ঘাটতি থাকতে পারে।স্বর্ণ এবং রৌপ্য উভয় পদকে রূপার বিশুদ্ধতা অন্ততঃ ৯২.৫% হতে হয়। এই পদকের সাথে লন্ডন অলিম্পিকে ব্যবহৃত পদকের পার্থক্য আছে। সেখানে ৯৩ শতাংশ রূপা এবং ৭ শতাংশ তামা ব্যবহার করা হয়েছিলো। রিও অলিম্পিকের পদকের জন্য ব্যবহৃত রূপার ৩০ শতাংশ আবার বিভিন্ন রিসাইকেল উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এক্সরে প্লেট, গাড়ির যন্ত্রাংশ এবং আয়না। ধাতবমূল্য অনুযায়ী রৌপ্য পদকটির দাম পড়বে ৩১৫ ডলার।

ব্রোঞ্জ পদক: পদক নির্মাতার তথ্য অনুযায়ী ব্রোঞ্জ পদকে ৯৫ শতাংশ তামা এবং ৫ শতাংশ দস্তা রয়েছে। ব্রোঞ্জে তামার বিশুদ্ধতা অন্ততঃ ৯৩.৭%। লন্ডন অলিম্পিকে কম্পোজিশন কিছুটা ভিন্ন ছিলো। সেখানে ৯৭ শতাংশ তামা, ২.৫ শতাংশ দস্তা এবং ০.৫ শতাংশ টিন ব্যবহার করা হয়েছে। রিও অলিম্পিকে ব্যবহৃত তামার ৪০ শতাংশই রিসাইকেল উৎস থেকে সংগৃহীত। স্বর্ণ এবং রৌপ্য পদকের তুলনায় ব্রোঞ্জপদকের ধাতবমূল্য অত্যন্ত নগন্য, মাত্র ২.৩৮ ডলার।

প্রতিদিন বিজ্ঞান বিষয়ক আপডেটেড খবর পেতে বিজ্ঞান পত্রিকা পড়ুন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হায় হায় কি শূনাইলেন!!!

মাত্র ১.২% সোনা???????????????

অজানা হল জানা :) ধন্যবাদ

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩২

বেঙ্গলেনসিস বলেছেন: হুম, সোনার প্রলেপ দেওয়া হয় কেবল। ৫০০ গ্রাম ভরের একটা মেডেলের পুরোটা সোনা দিলে পৃথিবীর অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে সোনা বিলীন হয়ে যাবে।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

ইফতি সৌরভ বলেছেন: এই জন্যই সম্ভবত বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের তেমন গরজ নেই। এতটুকু সোনা দিয়ে দেশ কি করব? তারচেয়ে ফ্রি ভ্রমণে মেলা জ্ঞান হয়, যা দেশের বাড়িতে গপ্পে করার জন্য খুব দরকার

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

বেঙ্গলেনসিস বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.