|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:‘‘আল্লাহ তা’লা বলেন, আমার মু’মিন বান্দার নকট থেকে যখন তার অতি প্রিয়জনের জান কবয করা হয়, আর সে আল্লাহর নিকট সাওয়াবের আশা করে ধৈর্য্যধারণ করে, তার প্রতিদান আমার নিকট জান্নাত ছাড়া আর কিছু নয়’’। [বুখারী]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
তুমি যেখানে যে অবস্থায় থাক না কেন আল্লাহকে ভয় কর এবং প্রত্যেক মন্দ কাজের পর ভাল কাজ কর, যা তাকে মুছে দেবে; আর মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার কর।
আল্লাহর নবী আরো বলেছেন, জেনে রাখো, সমস্ত মানুষ জড়ো হয়ে যদি তোমার উপকার করতে চায়, তারা কোন উপকার করতে পারবে না, তবে ততটুকু ব্যতীত যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্য লিখে রেখেছেন। আবার তারা সকলে মিলে যদি তোমার ক্ষতি করতে চায়, তারা তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না, তবে ততটুকু ব্যতীত-যা আল্লাহ তোমার কপালে লিখে রেখেছেন। কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে এবং কিতাব শুকিয়ে গেছে।
‘এমন হতে পারে যে, কোন বিষয় তোমরা পছন্দ করছ না, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আবার এটাও হতে পারে যে, কোন বিষয় তোমরা পছন্দ করছ, অথচ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর।বস্তুত আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১১৬)
মহান আল্লাহ্ বলেন,
উর্বর ভূমি থেকে বিভিন্ন ধরনের শস্য বের হয়ে আসে। কিন্তু অনূর্বর ভূমি থেকে তেমন কিছুই বের হয়ে আসে না। আমাদের আত্মার অবস্থা হবে অনেকটা এরকম। কাজেই আমাদের ভিতর চমৎকার সব গুণাবলীগুলোর সুপ্ত যে প্রতিভা আছে তাকে লালন করে বিকশিত করা হচ্ছে এই পৃথিবীর জীবনের উদ্দেশ্য।
তওরাতে আছে যে ব্যাক্তি অল্পতে তুষ্ট হওয়ার অভ্যাস করে,সে পর মুখাপেখিপেক্ষিতা থেকে বেচে যায়।আর সে যদি মানুষের সংস্রব এড়াতে পেরেছে,সে প্রকৃত পথের সন্ধান পেয়েছে।যে প্রবৃত্তকে বশিভূত করতে পেরেছে,সে স্বাথিনতা লাভ করেছে।যে হিংসা দ্বেষ ত্যাগ করতে পেরেছে সে বন্ধুত্ব লাভের উপযুক্ত হয়েছে।হজরত হাসান বসরী(র)
নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুমহান রবের নিকট হতে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ্ বলেছেন:
হে আমার বান্দাগণ! তোমরা পূর্বাপর সকল মানুষ ও জিন যদি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মোত্তাকী ও পরহেযগার ব্যক্তির হৃদয়ের মত হয়ে যায়, তবে তা আমার রাজত্বে কিছুই বৃদ্ধি করবে না।
আমার বান্দাগণ! তোমাদের পূর্বাপর সকল মানুষ ও জিন যদি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে পাপী ব্যক্তির হৃদয়ের মত হয়ে যায়, তবে তা আমার রাজত্বে কিছুই কমাতে পারবে না।
আর যে কেউ রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে তার কাছে সত্যপথ সুস্পষ্ট হবার পরে, আর অনুসরণ করে মু‘মিনদের পথ ছেড়ে ভিন্ন পথ, আমি তাকে ফেরাবো সেই দিকে যে দিকে সে ফিরেছে, আর তাকে প্রবেশ করাবো জাহান্নামে, আর মন্দ সেই আবাসস্থল”। -সূরা নিসা
ততক্ষণ পর্যন্ত কারো ঈমান পরিপূর্ণ হবে না,যতক্ষণ পর্যন্ত না সে চাবে যে,তার ভাই তার আগে বেহেশতে যাক।ঈমানের স্বাদ যে পেয়েছে তার কাছে পৃথিবীর সবকিছু অর্থহীন হয়ে পড়ে।এই পৃথিবীর লোভ-লালসা,অর্থ-সম্পদ,গাড়ি,বাড়ি দ্বারা সে আর আকৃষ্ট হয় না।নতুন কোন পণ্য বাজারে বের হলেই সে সেটাকে কেনার জন্য পাগল হয় না।লোক দেখানোর জন্য সে কোন কাজ করে না।অন্যেরা তাকে সম্মান করুক,তার প্রশংসা করুক সেটাও সে চায় না। কে তার উপকারে আসবে আর কে তার উপকারে আসবে না এইসব আর তার মাথাব্যথার কারন না।তার ধ্যান-জ্ঞান থাকে শুধু আল্লাহ
আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত হাদীছে রাসূলূল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘বান্দা স্বীয় প্রভুর সর্বাধিক নিকটে পৌঁছে যায়, যখন সে সিজদায় রত হয়। অতএব তোমরা ঐ সময় বেশী বেশী প্রার্থনা কর’।
ছবিগুলো ফেইসবুক পেইজটির এই লিঙ্ক থেকে নেয়া
০ টি 
+০/-০©somewhere in net ltd.
