![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতায় শুরু কবিতা শেষ
স্বাধীনতার স্বরূপ খুজতে গিয়ে দেখি, স্বাধীনতা আটকে আছে রিকশার ঘূর্ণনে। মানুষ হয়ে মানুষকে টেনে চলা মানে কি স্বাধীনতা?
অন্যকে নিজের অধিনস্ত করা মানেই কি স্বাধীনতা। নিজে মুক্তি খুজতে গিয়ে অন্যের স্বাধীনতা হরণ করছে সবাই।
স্বাধীনতার স্বাদ নেয়ার জন্য জীবনকে পরাধীন করে ফেলছে সবাই। প্রতিটা মানুষ বেঁচে থাকবে নিজের মত করে। কিন্তু তা কি সম্ভব?
নিজের অধিকারের জন্য , নিজের মুক্তি লাভের জন্য একদল হরতাল ডাকছে, অপর দিকে সাধারণ জনগন হরতালের কারনে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার স্বাধীনতা হারাচ্ছে। এভাবেই দেখা যাচ্ছে একজনের স্বাধীনতা লাভ অন্যের পরধীনতার মাধ্যমে অর্জিত হচ্ছে।
দাসপ্রথা যদিও বিলুপ্ত হয়েছে, কিন্তু মানসিক দাসত্ব আজও রয়ে গেছে। দাসপ্রথা এখন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শুধু খোলস পাল্টেছ।
আমরা ভোট দিয়ে দাসত্ব কিনি। আমাদের নেতারা, জাতীয় পর্যায় থেকে পাড়ার ছোট নেতা সবাই এখানে হুকুমকারি। আর আমরা দাসের মত তাদের হুকুম পালন করে যাই। ছোট একটা দোকান খুলতে গেলেও নেতাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা নজরানা দিয়ে আসি। আমদের মন মানসিকতায় দাসপ্রথা শিকড় গজিয়েছে।
কিন্তু মানুষ মানেই স্বাধীনতা। মানুষ কারো অধিনস্ত থাকতে পারেনা। মানুষ তার কর্মে, তার চিন্তায় হবে স্বাধীন। আজ বিশ্বজিতের শার্ট রক্তে লাল হয়ে যায় , স্বাধীনতাবিরোধীরা হরতালে দেশ অচল করে দেয়, এর পেছনে দায়ী আমরা।
আমাদের স্বাধীনতা আজ কেউ কেউ নিলামে বিক্রি করে দেয় খুব সহজেই। আমরা কিছুই বলিনা, আমরা শুধু মনে মনে ভেবে নেই আমরা স্বাধীন। কিন্তু এটাও সত্য, একটি প্রজন্মের পরাধীনতা মানে, তার পরবর্তী প্রজন্মকে পরাধীনতার দিকে ঠেলে দেয়া।
আজ জন্মগুলো ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। একটা স্বাধীন দেশে জন্মগ্রহণকারী শিশু খুব দ্রুতই পরাধীন হতে শিখে যায়।
কিন্তু মানুষ বেশীদিন পরাধীনতা মেনে নেয়না। শেকলের ভার বহন করার জন্য মানব জন্ম নয়। মানুষ একদিন তাই শিকল ভাঙ্গার গান গেয়ে ভেঙ্গে ফেলে তার শিকল। পরিবর্তন করে ফেলে সভ্যতার গতিপথের।
শেকল ভাঙ্গার দিন চলে আসছে। প্রতিটা জীবনে স্বাধীনতা ছড়িয়ে দেবে জীবন। মানুষ মানে দাসত্ব নয়, মানুষ মানেই স্বাধীনতা।
©somewhere in net ltd.