নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই মিথ্যে শহরে আমি থাকবনা তোমাদের মত

আহ অমরত্ব, তোমার উষ্ণ ঠোঁটে রাখি ঠোঁট, চোখ বন্ধ করে সবটুকু আনন্দ ভোগ করি। তোমার উষ্ণতায় বারেবারে বিলীন হয়ে যাই, দিতে পারিনি কিছুই, শুধু নষ্ট করে যাই।

ইমতিয়াজ ইমন

কবিতায় শুরু কবিতা শেষ

ইমতিয়াজ ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ........

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৩

তুমি আমাকে বলেছিলে একটা কবিতা লেখার জন্য। কিন্তু আজ কবিতার খাতায় ১৪৪ ধারা জারী করা হয়েছে। আমাদের দেশের প্রধান দুটি দল একই সময়ে কবিতার খাতায় সমাবেশ ডেকেছিল। তাই সেখানে এখন ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আমি কবিতার খাতায় কলম ছোঁয়ালেই গুলি করবে, ঠিক মস্তিষ্ক বরাবর।



এমনিতেই অবশ্য লিখতে পারতাম না। কিভাবে লিখব বলতো। আমার ছোট ভাই বোনেরা পরীক্ষাগুলো ঠিকভাবে দিতে পারছেনা। পরীক্ষার আগে তাদের ভাবতে হয়, আগামীকাল হরতাল হবেনা তো। সব প্রস্তুতি নেয়া শেষ হওয়ার পর যখন শুনে আগামীকাল পরীক্ষাটা হবেনা, তখন তাদের অজান্তেই তাদের চোখ জলে ভরে যায়। এটা আমাদের অক্ষমতা আজও স্বাধীনতা বিরোধীরা এ দেশ হরতালে অচল করে দেয়।



আমি কিভাবে কবিতা লিখবো বল। যখন আমরা তরুন প্রজন্ম দেশদ্রোহীদের বিচারের দাবিতে এক হয়েছি, তখন দেশের প্রধান দুটি বিরোধী দল ব্যাস্ত এই আন্দোলন থেকে ফায়দা লুঠার জন্য। আমরা যখন শ্লোগানে শ্লোগানে সারা দেশ কাপাচ্ছি, তখন আমাদের প্রধান বিরোধী দল সংবাদ সম্মেলন করে বলছে, এটা নাকি সাজানো নাটক। আমরা এদের ভোট দেই। আমরা এদের দ্বারা শাসিত হই। কিছু ক্ষমতালোভী ভণ্ডদের দ্বারা, যারে ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায় নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য।



এই সময়ে কি কবিতা লিখা যায়। তিন মিনিট নীরবতায় সংহতি জানিয়েছিলেন তিনি। আজ আর তিনি সংহতি জানাতে রাস্তায় নামবেন না।

একটি লজ্জার মৃত্যু। এ লজ্জা কার, আমাদের, এই দেশের। আজ দেশদ্রোহীদের হাতে মৃত্যু হল তার। আর কি কবিতা লিখা যায়।

আমরা দেশদ্রোহীদের বুকে কেন গুলী চালাই না। ছাত্রদের মিছিলে গুলি করতে পারো, শিক্ষকদের মিছিলে গুলি করতে পারো, শ্রমিকের মিছিলে গুলী করতে পারো। এই অমানুষগুলোকে মারতে তোমাদের হাত কাপে কেন?



আজ কবিতা লিখবনা, আজ মিছিলে যাওয়ার দিন, আজ প্রতিবাদ জানানোর দিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.