![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতায় শুরু কবিতা শেষ
দলীয়করণ আজ বাংলাদেশের প্রতিটা জায়গায়। বিটিভি তে যে আজান হয় সেই আজানের কণ্ঠ কিংবা বঙ্গানুবাদটাও এই দলীয়করণের প্রভাব হতে মুক্ত হতে পারেনি।
মাঝে মাঝে মনে হয় একটা মানুষের মনও আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক অংশ লীগ পন্থি, আরেক অংশ দল পন্থি। কোথায় বিভাজন নেই, শিক্ষক থেকে শুরু করে মৎস্যজীবীরা পর্যন্ত দুই ভাগে বিভক্ত। এক দল জাল ফেলার পূর্বে জয় বাংলা বলে তো আরেক দল বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে জাল ফেলে।
সবচেয়ে মজা পেয়েছিলাম শুনে যে বাংলাদেশের আলেম সমাজও নাকি এ থেকে বাদ যাননি। সেখানেও নাকি ওলামা লীগ এবং ওলামা দল বিদ্যমান।
কেন এই বিভাজন? অনেকটা উত্তরই হবে নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্যই এই দলীয়করণ। অযোগ্যরাই এই দলীয়করণে বেশী আগ্রহী। দলীয় প্রভাবে নিজের অক্ষমতা ঢাকাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। পাঁচ বছর পর পর যেহেতু ক্ষমতার রদবদল হচ্ছে, তাই তারা পাঁচ বছর অপেক্ষা করে হলেও ভালো যায়গায় চলে যায়।
বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে যাদের নেয়া হয়, তাদের বেশিরভাগই যে দলীয়প্রভাবে যায় সেটা আজকালকার শিশুরাও জানে।
এই যদি হয় অবস্থা তাহলে এখানে অযোগ্যদের হাতেই সবকিছু থাকবে।
বিভাজনের আসলেই কি প্রয়োজন আছে? হ্যা বিভাজন থাকতেই পারে, কিন্তু সেটা হতে পারে আদর্শের জন্য। কিন্তু ব্যাক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য হলেই সেটা সমস্যায় রূপ নেয়।
এই দলীয়করণের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে সেটা ভবিষ্যতকে শুধু ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকেই নিয়ে যাবে।
আরেকটা ব্যাপার, যে ক্রিকেট নেই আমাদের গর্বের শেষ নেই, সেখানেও চলছে দলীয়করণ। একটু চিন্তা করলেই সেটা বুঝতে পারবেন।
দলীয়করণের প্রভাব থেকে মুক্ত হোক বাংলাদেশ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৫২
মুচি বলেছেন: বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে যাদের নেয়া হয়, তাদের বেশিরভাগই যে দলীয়প্রভাবে যায় সেটা আজকালকার শিশুরাও জানে।
তাই বি.সি.এস. দিমু না ঠিক করছি।
আমি কুনো দলে নাই।