![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতায় শুরু কবিতা শেষ
বাংলাদেশের রাজনীতির শুদ্ধতা হারানোর সময়ও কিছু রাজনীতিবিদ তাঁদের আদর্শে অটল থেকেছেন। চেষ্টা করেছেন রাজনীতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য। জিল্লুর রহমান এই কিছু শুদ্ধ রাজনীতিবিদদের মধ্যে অন্যতম। যার আদর্শ তৈরি হয়েছিল তাঁর বিশ্বাস থেকে, চেতনা থেকে। রাজনীতিকে তিনি সংজ্ঞায়িত করেছেন দেশপ্রেমের অনন্য সংজ্ঞায়।
দেশপ্রেমবোধটা সবার মধ্যে কাজ করেনা। এটা একটা সাধনার ব্যাপার। জিল্লুর রহমান সেই সাধনায় উত্তীর্ণ হয়েছেন সাফল্যের সাথে।
১৯৫২ সাল। ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ওই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় এক সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন। সে সভা থেকে একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কারণে ১৯৫৩ সালে তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং তিনিসহ আটজনের এমএ ডিগ্রি কেড়ে নেওয়া হয়। পরে ছাত্র আন্দোলনের মুখে সরকার তা আবার ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
না দেশপ্রেমের প্রশ্নে তিনি কখনই আপোষ করেন নি। তাই পাকিস্তান সরকারের সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি দৃঢ় চিত্তে লড়াই করে গেছেন।
অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশের জন্মলগ্নের প্রতিটি আন্দোলনে। ১৯৬২-র ছাত্র আন্দোলন, ১৯৬৬-র ছয় দফা এবং ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছিলেন তিনি।
অংশগ্রহণ করেছেন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে। নিজেকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
রাজনৈতিক জিল্লুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক জীবন কাটিয়েছেন জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। ১৯৭০ সালে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ গণপরিষদ সদস্য হিসেবে সংবিধান প্রণয়নে অংশ নেন। স্বাধীনতার পর তিনি আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তিনি গ্রেপ্তার হয়ে চার বছর কারাগারে থাকেন। অন্যান্য নেতাদের মত তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাথে হাত মেলান নি। এখানেই তিনি অনন্য। ক্ষমতার লোভ ত্যাগ করে তিনি আদর্শকেই আঁকড়ে ধরেছিলেন।
জিল্লুর রহমান ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিল্লুর রহমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশের ১৮-তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ শপথ গ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সফলতার সাথে দায়িত্বপালন করেন তিনি।
জন্মেই তিনি মুখোমুখি হন এক করুন বাস্তবতার।১৯২৯ সালের ৯ মার্চ জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে জন্মগ্রহণ করেন। জম্মের সাত মাসের মাথায় মা বাচ্চু বিবি মারা যান। আর নয় বছর বয়সে হারান বাবা স্বনামধন্য আইনজীবী অবিভক্ত ময়মনসিংহ লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জেলা বোর্ডের সদস্য মেহের আলীকে। জিল্লুর রহমান দাদা হাজি মোজ্বাফর মুন্সী ও নানা-নানির আশ্রয়ে বেড়ে ওঠেন।
শিক্ষা জীবনেও তিনি রেখেছেন কৃতিত্বের স্বাক্ষর। জিল্লুর রহমান ১৯৪৫ সালে ভৈরব কেবি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৪৬ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজে (বর্তমান ঢাকা কলেজ) ভর্তি হন। ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৫৪ সালে এমএ পাস করেন। ১৯৫৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।
রাজনীতির নির্মমতায় হারিয়েছেন তাঁর সহধর্মিণী আইভি রহমানকে। সব দুঃখ ভুলে আজীবন রাজনীতিকে সঠিক পথে চালনার চেষ্টা করেছেন তিনি।
২০ মার্চ ১৯১৩ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই মহানায়ক। মৃত্যু থাকে বিলীন করে দিতে পারেনি ,তার কর্ম তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে প্রতিটি বাংলাদেশীর হৃদয়ে।
জাতি তাঁর এই সূর্য সন্তানের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা এই সূর্য সন্তানকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দিয়ে তাঁকে জানাবো যে আমরা তাঁকে ভুলবনা।
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: মহসিন০৮ বলেছেন: জাতি একজন বর্ষীয়ান নেতা হারাল। একমত হলেও পুরো পোষ্টের সাথে একমত নয়।
তবে জন্য দোয়া করি ।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৯
মহসিন০৮ বলেছেন: জাতি একজন বর্ষীয়ান নেতা হারাল।
http://www.ctgblog.com/post/1067