নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই মিথ্যে শহরে আমি থাকবনা তোমাদের মত

আহ অমরত্ব, তোমার উষ্ণ ঠোঁটে রাখি ঠোঁট, চোখ বন্ধ করে সবটুকু আনন্দ ভোগ করি। তোমার উষ্ণতায় বারেবারে বিলীন হয়ে যাই, দিতে পারিনি কিছুই, শুধু নষ্ট করে যাই।

ইমতিয়াজ ইমন

কবিতায় শুরু কবিতা শেষ

ইমতিয়াজ ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পঁচিশ পয়সার গল্প এবং সহস্র রজনী

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৩

মেয়েটা দশম শ্রেণীতে পড়ে। বয়স কত হবে, ১৫ বছর। প্রতিদিন তার রাতগুলো কাটছে মোবাইলে কথা বলে। রাত বারোটা বাজতেই সে ফোন করা শুরু করে। একজনকে নয়, একের পর এক কথা চলতেই থাকে।

তার একটা ফেসবুক আইডি ও আছে। সেদিন আমারই এক বন্ধু সুমন কে সে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। তারপর ফেসবুকে আলাপ, সে সূত্র ধরে মোবাইল নাম্বার আধান প্রধান। তারপর শুরু হয় তাদের কথা বলা। রাত গভীর হয়ে যায় তাদের কথা বলা শেষ হয়না। এভাবেই চলতে থাকে। এক সময় সে সুমনকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সুমন রাজী না হওয়ায়, সে সুমনকে অনুরোধ করে যাতে সুমন তার সাথে অন্তত কথা বলে। মজার ব্যাপার হল মেয়েটাই প্রতিদিন ফোন করতো।



সুমনের কাছে এ ঘটনা শুনে আরেক বন্ধু আদনান মেয়েটাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। তারপর আদনানের সাথেও বন্ধুত্ব। তার সাথেও মোবাইল নাম্বার বিনিময় হয়। আদনানের সাথেও সে কথা চালিয়ে যেতে থাকে। আদনানের সাথেও সে তার আবেগ গুলো প্রকাশ করতে থাকে।

দেখা গেলো যে সে আদনানের সাথে কথা বলা শেষ করেই সুমনকে ফোন করছে। এভাবেই চলছে তার সহস্র রজনী।



আমি জানিনা এই মেয়ের অভিভাবকরা কতটুকু সচেতন। কতটুকু চিন্তা করে তারা মোবাইল তুলে দিয়েছেন, তাদের মেয়ের হাতে। শুধু মেয়ে নয় ছেলেদের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। ১৮ বছরের নিচে মোবাইল ব্যাবহার বন্ধ করা উচিত কিনা সে ব্যাপারে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন। কিন্তু এর ফলে কত ছেলেমেয়ে যে বিকৃত মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠছে তার ইয়ত্তা নেই।



আর আমাদের মোবাইল কোম্পানি গুলো আমাদের হয়তো বা বলদ শ্রেণীর কিছু ভাবে। তারা তাদের চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের আকৃষ্ট করতে চায়। ইদানীং আবার দেশপ্রেম কে পুঁজি করে বিজ্ঞাপন বানাচ্ছে।



যাই হোক অভিভাবকরা সচেতন না হলে এই অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব নয়। অভিভাবকদের ভাবা উচিত এই ব্যাপারে। আমি একটি ঘটনার কথা বললাম, এ রকম সহস্র ঘটনা ঘটছে আমাদের আশেপাশেই।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৭

মুচি বলেছেন: ২৫ পয়সার যুগ শেষ হইল বলে।


আমাদের হয়তো বা বলদ শ্রেণীর কিছু কেন, বলেন বলদই ভাবে। আর আমরা কি তা নই??

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৫

ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: আসলেই আমরা বলদ। বিদেশী মোবাইল কোম্পানি যখন আমাদের দেশপ্রেম শিখায়, তখন নিজেরে এর চেয়ে ভালো কিছু বলা সম্ভব না।

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৮

বোকামন বলেছেন: অভিভাবকরা সচেতন না হলে এই অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব নয়

সহমত

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪২

এক্সপেরিয়া বলেছেন: নিজে ভাল তো সব ভাল ।আমি ক্লাস সেভেন থেকে সম্পূর্ণ নিজের মোবাইল ব্যবহার করি ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: ভালো থাকাটা কতটুকু সম্ভবপর তা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। আপনি হয়তো ব্যাতিক্রম, কিন্তু ৯৯% যেখানে খারাপ হয়ে যাচ্ছে সেখানে ব্যাপারটা চিন্তা করে দেখা উচিত

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

সাদা রং- বলেছেন: আমার মনে হয় বাবা-মাকে আরো সচেতন হতে হবে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: সচেতনতাই পারে এই অবক্ষয় রোধ করতে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.