![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতায় শুরু কবিতা শেষ
কট্টর বামপন্থী অনিন্দিতা দাশের সাথে আমার পরিচয় পরীক্ষার হলে। আমার দুই বেঞ্চ সামনে বসেছিল সে। পরীক্ষা যখন প্রায় মাঝ পর্যায়ে , তখন আমি চোখ তুলে তাকিয়ে দেখি , আমার দুই বেঞ্চ সামনে বসে একটি মেয়ে মাথা নিচু করে কলম চালিয়ে যাচ্ছে। ঘামে তার সারা পিঠ ভিজে গেছে। আমি তার ভেজা পিঠের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। তাকিয়ে থাকাটা যদিও অন্যায় ছিলো , তারপরও মাঝে মাঝে কিছু অন্যায় করতে ইচ্ছে করে।
পরীক্ষা শেষে আমি তার দিকে তাকিয়ে দেখি , সে তার পানির খালি বোতলের দিকে হতাশ চোখে তাকিয়ে আছে। আমি আমার পানির বোতল তার দিকে বাড়িয়ে দেই।
-আপনাকে খুব সুন্দর লাগছিল।
-কখন?
-আপনি মাথা নিচু করে লিখছিলেন , আর আপনার সার পিঠ ঘামে ভিজে যাচ্ছিল।
অনিন্দিতা অদ্ভূত চোখে তাকিয়েছিলো।
তারপর অনিন্দিতার সাথে আপনি থেকে তুমি অতঃপর তুই সম্বোধণে গড়ায় সম্পর্ক। অনিন্দিতা দাশ, কোথায় নেই? নারী অধিকার আন্দোলন থেকে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন সব জায়গায় সে আছে। সে একা থাকলে সমস্যা ছিলো না, সে আমার মত গর্তবাসী মানুষকেও ঐসব আন্দোলনে নিয়ে যেত। দর্শকশ্রোতাহীন রাজপথের আন্দোলনে সে মাইকে প্রতিবাদের ঝড় তুলতো।
সেদিন সকাল দশটায় অনিন্দিতার ফোন। পনের মিনিটের মধ্যে চলে আয়। পৌছে দেখি , অনিন্দিতা মন খারাপ করে বসে আছে।
-কী ব্যাপার অগ্নিকন্যা, মন খারাপ কেন?
-বস।
-কি হয়েছে সেটা বল।
-আমাদের বাসায় একটা কাজের মেয়ে ছিল , দেখেছিস ?
-হুম, কেন?
-মেয়েটা গতরাতে মারা গিয়েছে।
-কিভাবে?
-মেয়েটা চার মাসের প্রেগন্যান্ট ছিল। গতকাল মা একটা ক্লিনিকে নিয়ে গিয়েছিল এ্যবোরশনের জন্য।
আমি চুপ করে যাই। আর কিছু জিজ্ঞেস করাটা বোধহয় উচিত নয়।
-তুই জানতে চাইলি না , কে এই কাজটা করেছে? আমার বাবা।
অনিন্দিতার চোখ জলে ভরে গেছে। আমি তার জল ভরা চোখের দিকে তাকাই। আমি অপেক্ষা করতে থাকি , কখন নেমে আসবে জলধারা।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০৮
ফা হিম বলেছেন: অদ্ভূত!