নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই মিথ্যে শহরে আমি থাকবনা তোমাদের মত

আহ অমরত্ব, তোমার উষ্ণ ঠোঁটে রাখি ঠোঁট, চোখ বন্ধ করে সবটুকু আনন্দ ভোগ করি। তোমার উষ্ণতায় বারেবারে বিলীন হয়ে যাই, দিতে পারিনি কিছুই, শুধু নষ্ট করে যাই।

ইমতিয়াজ ইমন

কবিতায় শুরু কবিতা শেষ

ইমতিয়াজ ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হে ধর্ষক কিংবা হে শুয়োর শাবকেরা

১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩২

যে মেয়েটা প্রতিদিন রাতে কারখানায় কাজ করে বাড়ি ফেরে , তার উপর আপনার অধিকার আছে। তার শরীরের মাংস থেকে শুরু করে সবকিছু দৃষ্টি দিয়ে ধর্ষণ করার অধিকার আপনার আছে। যদি শারীরিক ভাবে চান, সেটাও পারবেন। ভাবছেন প্রলাপ বকছি। কেন , আজও তো ধর্ষনের খবরগুলো মনযোগ দিয়ে পড়েছেন। চলন্ত বাসে কিভাবে ধর্ষিত হলো , সেটা আপনার আগ্রহ জাগাতেই পারে। আপনি পুরুষ , আপনার অধিকার আছে পাট ক্ষেত থেকে শুরু করে বেডরুম সবকিছুকেই ধর্ষণের ক্ষেত্র বানাতে পারেন।



আমাদের দেশের নারীরা এখন কতটুকুর মধ্যে বন্দী থাকলে ধর্ষিত হবে না বলে দিন। শরীরের কতটুকু ঢেকে রাখলে তারা ধর্ষিত হবে না বলে দিন। জন্মের পরই তাদের হয়তো ঢেকে দিতে হবে আচ্ছাদনে।



ধর্ষনের শাস্তি কি হওয়া উচিত? মাননীয় গণতন্ত্রের রায়ে সাত বছর জেল। আর যদি প্রভাবশালী কেউ থাকে তাহলে কিছুই না। বলি কি , একটা শুয়োরের বাচ্চা কে শুধু জনসম্মুখে জবাই করুন। তাহলেই দেখবেন ধর্ষনের ইচ্ছে কোথায় যায়। মানব বন্ধন , দানব বন্ধন কোন কিছুতেই কাজ হবে না। শুধু মাননীয় বিজ্ঞ আদালত বলে দিন , ধর্ষণের শাস্তি হলো পাথর ছুড়ে হত্যা কিংবা শিরঃচ্ছেদ। তাহলেই দেখবেন তাদের লিঙ্গ আর যেখানে সেখানে উত্তেজিত হবে না, এমনকি নিজের বউয়ের সাথে সহবাসেও ভয় পাবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২২

আরিফ রুবেল বলেছেন: ধর্ষণের অকাট্য প্রমাণ পাওয়া মাত্র ধর্ষককে যৌন অক্ষম করে ফেলতে হবে। এরপর ধর্ষককে ধর্ষিতার চিকিৎসা ব্যয় ও পুনর্বাসনের জন্য সম্মানজনক অর্থ জরিমানা এবং কম পক্ষে পাঁচ বছরের জেল।

পাঁচ বছরের জেল যদিও কম মনে হতে পারে, তবে যৌন বিকারগ্রস্থ একজন মানুষ যৌন ক্ষমতা হারিয়ে জেলে পরে থাকার চাইতে বাইরে থাকা অধিক শাস্তি হবে বলে মনে করি।

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

bakta বলেছেন:






@ আরিফ রুবেল - তাতে কি প্রকৃত শাস্তি হবে ?
আবার সে সমাজে ফিরে এসে বদলার নেবার জন্য প্রতিহিংসাপরায়ন হবে না কে বলতে পারে ? যৌন অক্ষম করে দিলেও কিন্তু শারীরিক ক্ষমতা তো তার হারিয়ে যাবে না। সে ক্ষমতার বলে সে যে ধর্ষিতাকে আঘাত হানবে না বা খতম করার চেষ্টা করবে না কে বলবে ভাই ? কারণ সে তো বুঝেই গেছে যে আমার তো জীবনটা গেলোই - আমি বেঁচে থেকেও মরা - তাই বদলা আর কি।

আমার মনে হয় এভাবে হবে না ধর্ষণের প্রতিকার । আবার যদি পাকরাও করে প্রকাশ্যে পিটিয়ে বা পাথর ছুড়ে মারা হয় তাতেও কি এ ধরণের অপরাধ কমবে ? অনেক ধর্ষক আছে যারা পাল্লায় পড়ে এ কাজ করে ফেলে - তাদের এটা বিরাট ভুল ঠিকই কিন্তু তাদের ধরে এ রকম ভাবে হত্যা করে শিক্ষা দেওয়াটাও আমাদের সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন মানুষের ও ভুল কাজ হবে।
সুতরাং সমাজের সংস্কার আগে দরকার, চেতনা জাগানো দরকার , নারীদেরও সাবধানে চলাফেরা করা দরকার। চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটতে দেখলে প্রতিবাদের বা প্রতিরোধের জন্য ঝাঁপানো দরকার। ইভটিজিং ও এক ধরনের ধর্ষণ। রাস্তা ঘাটে যা হামেশাই ঘটে। সেখানেও এমন ঘটনা ঘটতে দেখলে প্রতিবাদের বা প্রতিরোধের জন্য ঝাঁপানো দরকার। এটা সকলকে বুঝতে হবে এবং বোঝাতে হবে । মানুষের মধ্যে একতা দিয়ে চেতনা জাগাই সবচেয়ে বড়ো বিপ্লব । তা দিয়েই দেশের শাসন ব্যবস্থাও প্রতিষ্ঠিত হয় বা নির্মূল করা হয় ।

শুভকামনা রইল অনেক।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

আরিফ রুবেল বলেছেন: ধর্ষকদের অনেক ক্ষমতা, ওদের ক্ষমতা না কমিয়ে অথবা অত্যাচারিতদের ক্ষমতাবৃদ্ধি করতে না পারা পর্যন্ত কোন কিছুতেই কিছু হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.