নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার জীবন... খোলা চিঠি...

তেলাপোকা হয়ে না, যে কদিন বাঁচব, মানুষের মতো করে বাঁচতে চাই। ঠকছি... শিখছি...

শিক্ষার্থি

মানুষ মুসলমান বাংলাদেশি বাঙ্গালি আমি সন্ন্যাসী, সুর সৈনিক, আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান গৈরিক। আমি বেদুইন, আমি চেঙ্গিস, আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কূর্ণিশ। আমি বজ্র, আমি ঈষাণ-বিষানে ওঙ্কার, আমি ইস্রাফিলের শৃঙ্গার মহা-হুঙ্কার, আমি পিনাক-পাণির ডমরু ত্রিশুল, ধর্মরাজের দন্ড, আমি চক্র-মহাশঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ প্রচন্ড! আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা, বিশ্বামিত্র-শিষ্য, আমি দাবানল-দাহ, দহন করিব বিশ্ব।

শিক্ষার্থি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমায় দেয়া আমার না দেখা স্বপ্ন (ছোট্ট গল্প)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৪০

তোমায় দেয়া আমার না দেখা স্বপ্ন (ছোট্ট গল্প)

স্বপ্ন

সামনেই অস্বাভাবিক কম প্রস্থের একটি নদী। ডানে থেকে বামে কুলুকুল করে প্রবাহিত হচ্ছে। ঠিক কিনারে এসে দাঁড়ালে বাতাসের মৃদু শো শো আওয়াজ ছাড়া আর কোন কিছুই শোনা যাচ্ছেনা। না কোন পাখির ডাক, না কোন মানুসের কথা, না কোন যান্ত্রিক আওয়াজ। একজন শ্রবন প্রতিবন্ধীর মতো অনুভূতি; শুধু শো শো করে ঈষৎ গতির বাতাসের শব্দ। পৃথিবীকে যেন টিভির মিউট বাটন দিয়ে নিস্তব্ধ করে দেয়া। বাতাসে শরীর একটু শিরশির করছে। স্বপ্ন দেখাটা বাতাসে ভাসতে পারে, ‘স্বপ্ন দেখা’ থেকে কোন কিছুই আটকে রাখতে পারেনা, সদ্য মুক্ত আত্মার মতো ভেসে ভেসে স্বপ্ন দেখে বেড়ায়।



অনেক সকালে, যখন ঠিক বোঝা যায় না যে সূর্যের কারনেই পৃথিবী আলোকিত হয়ে উঠেছে, খুব নরম সে আলো, এমন আলোতে মনটাই অনেক নরম হয়ে ওঠে, মনটাতে স্নিগ্ধতা ছেয়ে যায়, একটা সুখ সুখ অনুভুতি কাজ করে, মন বলে এমন দিনে পৃথিবী কে বিদায় বলতে অনেক কষ্ট হবে, এমনই এক আধো-আলোময় পরিবেশ চারদিকে। সপ্ন-চোখে যেদিকেই তাকাই, শুধু সেই টুকুই নজরে আসে, আর বাকি চারপাশ কেমন যেন ঘোলা হয়ে থাকে। পরিবেশটা এতটাই নিরাপদ যে দৃষ্টি কিংবা মন কোনটাই ছটফট করছেনা, একটু আলসে ভঙ্গিতে চোখের দৃষ্টি একটু একটু করে সামনের দিকে এগুচ্ছে।



সামনেই, নদী থেকে একটু এগুলেই স্বপ্নের চোখে দেখতে পায় একটা মাঠ, কচি ঘাসে বিস্তীর্ণ, অনেকটা গলফ খেলার মাঠের মত, কিন্তু মোটেই উচু নীচু ঢেউওয়ালা নয়, বরং বেশ সমান, সমতল। চোখ আরেকটু বেশী দূরে নিলে একটা বন এর মত, কিছু বড় বড় গাছের জঙ্গলের মত, ঐ যে রূপকথার গল্পের বন থাকেনা, অনেকটা তেমন। কিন্তু এ বনটা একটু অন্যরকম, বনটার রঙ পায়ের নিচের কচি ঘাসের রঙের সাথে মিলে যাচ্ছে, বনটা দেখলে মনেই হচ্ছে না যে এখানে কোন ভয় লুকিয়ে থাকা সম্ভব, বরং মনে হচ্ছে এ বনের ভেতরে কোন এক বিশাল গাছের কোটরে আমাদের স্বপ্নের বাড়ী।

দৃষ্টি দূরের বন থেকে কাছের দিকে আস্তে আস্তে আনতে গিয়ে আলতো করে চোখ আটকে গেল শুভ্র সাদা ছোট্ট হাতার কামিজ পরা বড় এক পরীর দিকে। একটু সময় যেতেই বুঝতে পারছি, এটা মানুষ, আর মানুষটির পঙ্কিলহীনতা, শুদ্ধতা তাকে পরীর রূপ দিয়েছে। তার শ্বেত শুভ্র জামার রঙ যেন তার মনের পবিত্রতা কে জানান দিচ্ছে। সে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে আছে, বুঝে উঠতে পারছে না, এতো স্বাধীনতা, এতো খুশি আর সুখ সে কিভাবে সহ্য করবে। সারাটা জীবন বুঝি সে এমন এক মুহূর্তের অপেক্ষা করেছে। তাকে কেউ দেখছেনা, কেউ পিছু নিচ্ছেনা, তার অস্তিত্ব শুধু সে ছাড়া আর কেউ দেখতে বা জানতেই পারবেনা। লজ্জা শরমের কিংবা বুকের আঁচল দেবার কোন তাড়া বা আদেশ নেই, এতটাই নির্ভরতার জায়গায় রয়েছে মেয়েটি।



মেয়েটি ভীষণ ভীষণ ভীষণ খুশি। ঠিক সাত আট বছরের কোন বাচ্চার মনে যেই চঞ্চলতা কাজ করে ঠিক সেই রকম অনুভব করছে সে। পৃথিবীর বুকেই এমন জায়গা অকল্পনীয় কিন্তু সে জায়গায় কিভাবে যেন সে পৌঁছে গেছে।



ও বাচ্চাদের মতো হাসছে... দৌড় দিচ্ছে... একটু লাফিয়ে উঠছে... একপাশে কাশফুলের বন, একপাশে সরিষা ক্ষেত, দু একটা মৌমাছির নির্লিপ্ত গুনগুন।

আজ ও অনেক খুশি। ...*



আমার প্রিয় মানবী যখন রাতে ঘুমুতে যেত, বিদায় জানাত ফোনে কথা বলে, একবার ওকে এ স্বপ্নটা দিয়েছিলাম। এ স্বপ্নের কথাগুলো যখন একটা একটা করে শব্দ হয়ে আমার মুখ থেকে ও শুনছিলো, অনেক আস্তে আস্তে নিঃসৃত পানির শব্দের মত করে কথাগুলো ওর কান থেকে হৃদপিণ্ড হয়ে সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল। ও ঘুমিয়ে পড়েছিল... স্বপ্ন দেখতে দেখতে...



* এখানে কিছু কথা আছে কেউ জানতে চাইলে বলব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.