নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার জীবন... খোলা চিঠি...

তেলাপোকা হয়ে না, যে কদিন বাঁচব, মানুষের মতো করে বাঁচতে চাই। ঠকছি... শিখছি...

শিক্ষার্থি

মানুষ মুসলমান বাংলাদেশি বাঙ্গালি আমি সন্ন্যাসী, সুর সৈনিক, আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান গৈরিক। আমি বেদুইন, আমি চেঙ্গিস, আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কূর্ণিশ। আমি বজ্র, আমি ঈষাণ-বিষানে ওঙ্কার, আমি ইস্রাফিলের শৃঙ্গার মহা-হুঙ্কার, আমি পিনাক-পাণির ডমরু ত্রিশুল, ধর্মরাজের দন্ড, আমি চক্র-মহাশঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ প্রচন্ড! আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা, বিশ্বামিত্র-শিষ্য, আমি দাবানল-দাহ, দহন করিব বিশ্ব।

শিক্ষার্থি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেঘের জলে ভেজা (point of view)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

ছায়া গল্প - সত্যি কাহিনী (জীবনের) অবলম্বনে - যেখানে মেঘের কাছে এক প্রেমিকের মৃত্যু হয়েছিলো।



আজকাল কাক সম্প্রদায় অনেক আধুনিক হয়েছে। যুগ বদলাইসে না ! ছোট থেকে জেনেছি পাখি ঘর বানায় খড়কুটা দিয়ে। এদের মধ্যে কাক আবার মহা ধুরন্ধর। কাক অন্যের ডিম খায়, কোকিলের বাসায় ডিম পাড়ে, চুরি করে ধাতব বস্তু আরো কতো অভিযোগ বেচারা কাকের নামে।



কাক সম্প্রদায়ের সাধারনত ২ প্রজাতি - নরমাল ও দাঁড়কাক।

নরমাল তো নরমালের মতই, কিন্তু দাঁড়কাক, বাপরে, পুরা ডাকাইত। চেতলে খবর আসে ট্যাগ লাগায়ে ঘুরে, দেখতেউ বেশ ষণ্ডামার্কা, বড়সড়। কিন্তু এরা যে ময়লা খেয়ে খেয়ে আমাদের পরিবেশে ভারসাম্য রাখছে, কেউ যেন ব্যাপারটা লক্ষই করেনা, গায়েই মাখেনা। বেচারা কাক।



কাক প্রাণী হিসাবে অনেক এগিয়ে। এরা মানুষের মতো টেকনোলজি তে এগিয়ে গেছে। কেউ হয়ত খেয়াল ই করেনি, আজকাল কাক ঘর বানাচ্ছে। নিজের জীবনের তাগিদে। অস্তিত্তের তাগিদে। আর সবথেকে বড় ব্যপার হল তারা under construction বিল্ডিং এর থেকে তার ও তার এর টুকরা দিয়ে ঘর বাধে। এর ফলে স্থাপনা আরো শক্ত ও মজবুত হয়। এবং দীর্ঘস্থায়ী ও নির্ভরশীল ও টেকসয় হয়। কাক এটা আবিষ্কার করে ফেলেছে। ব্যবহৃত তার ও ধাতব খণ্ডের ওজন গড়ে ৫-৮ কেজি পর্যন্ত হয়।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

আজ দেখলাম একটা কাক, নরমাল প্রজাতির কাক, অল্প বৃষ্টি তেই ভিজে দেখতে পুরা দাড় কাকের মতো হয়ে গেছে। বেচারা যে তার ঘরে আশ্রয় নেবে সে উপায় নেই। কারন তার এর তৈরি ঘরে পানি বেশি ঢুকবার কথা। আর কাক এবং কাক শ্রেণীর জীব চিরজীবন বৃষ্টি তথা মেঘের মতো এতো বড় শক্তির কাছে অতি নগন্য। সৃষ্টিকর্তা এভাবেই বানিয়েছেন। কাকেরা যত উন্নতিই করুক না কেন, মেঘের আগমন যতবার হবে, কাকের কিছুই করার থাকবেনা, কাক কখনই সাজানো গোছানো ঘর পাবেনা, কারন সৃষ্টিকর্তা তাকে কাক বানিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, মেঘের কাছে তার সংসার ভিজবে, নিজে ভিজে একাকার হবে, আর মানুষের কাছে হবে উপমা, "কাক ভেজা ভিজে গেছিস দোস্ত"।



মেঘ যখন এসে ফুলের ওপর বর্ষে দিয়ে যায় জীবন সুধা,

নগর জীবনে স্বস্তি, আর

যান্ত্রিক মনে রোমান্টিকতার ছোঁয়া,

কাক কাউকে দোষ দেয়না মানুষের মতো।

মানুষ হলে হয়তো বলতো

এক চিলতে মেঘ এসে আমার আর

আমার ঘরের সব শুভ্রতা কে ধুয়ে মুছে দিয়ে গেল,

আমার ঘর না ভাঙলেও অপরাজেয় মেঘ আমার সত্ত্বা কে জানান দিয়ে গেল,



আমি কতো ছোট।








বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০১৩ - বিকেল

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.