নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার জীবন... খোলা চিঠি...

তেলাপোকা হয়ে না, যে কদিন বাঁচব, মানুষের মতো করে বাঁচতে চাই। ঠকছি... শিখছি...

শিক্ষার্থি

মানুষ মুসলমান বাংলাদেশি বাঙ্গালি আমি সন্ন্যাসী, সুর সৈনিক, আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান গৈরিক। আমি বেদুইন, আমি চেঙ্গিস, আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কূর্ণিশ। আমি বজ্র, আমি ঈষাণ-বিষানে ওঙ্কার, আমি ইস্রাফিলের শৃঙ্গার মহা-হুঙ্কার, আমি পিনাক-পাণির ডমরু ত্রিশুল, ধর্মরাজের দন্ড, আমি চক্র-মহাশঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ প্রচন্ড! আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা, বিশ্বামিত্র-শিষ্য, আমি দাবানল-দাহ, দহন করিব বিশ্ব।

শিক্ষার্থি › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাসন

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

নির্বাসন





“তুমি বোঝনা না যে আমি তোমাকে ভালবাসি ?” দাঁতে দাঁত চেপে চেপে কথাগুলো বলল শোয়েব। ততক্ষণে তার হাত চলে গেছে জেবার দু’কাঁধে, অনেকখানি পুরুষালী জোর দিয়ে ধরে রেখেছে সে। জেবা কিছুটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেছে, একই সাথে সে বুঝি অপেক্ষাও করছিলো এমন আক্রোশে শোয়েব কখন ফেটে পড়বে সেই সময়ের অপেক্ষায়। নির্লিপ্ত সে কিছুই বলতে পারলনা, শুধু একবার সে বিড়বিড় করে বলল “কি করছ”... হয়ত জেবা নিজেও পাগলের মতই অপেক্ষা করেছিলো কবে শোয়েবের নিস্তব্ধতা ভাঙবে... জেবার ভেতরের অনেক কঠিন একটা বাধ গলে গলে ভেঙ্গে পড়তে লাগল... কাঁধে প্রচন্ড চাপ সত্ত্বেও প্রতিরোধের বদলে আরো অনেক খানি শিথিল করে দিল কাঁধ খানা।



জমা কষ্টের পাহাড়টা কখন জেবা কে দেখতে দেবেনা বলে ভেবেছিল শোয়েব। কিন্তু হঠাত দীর্ঘ দিন পর ওকে একা এত কাছে পেয়ে নিজেকে আর সামলাতে পারেনি, চুরচুর করে ভেঙ্গে পড়েছে একটু আগেই, তীব্র ভাবে চেপে ধরেছিল তাকে, নিজের দু’হাত দিয়ে, কাঁধগুলো মনে হয় থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে বুঝে নিচ্ছিলো সব কষ্ট আর অভিমান। জেবা চুপচাপ হয়ে শুয়ে আছে, মাঝে মাঝে একটু কেঁপে উঠছে ঘটনার আকস্মিকতায়। ওর চোখে ফাঁকা দৃষ্টি। শোয়েবেরও, ভেজা চোখে ও তাকিয়ে জেবার দিকে, পৃথিবীর সবচেয়ে আপন একটা ঘর, একটা ঠিকানা, দিনের পর দিন তা থেকে দূরে সরে থাকা, ধরা ছোঁয়ার বাইরে, কিন্তু খুব কাছাকাছি... আশেপাশেই ঘোরাফেরা চলাচল...



হঠাত খেয়াল করে শোয়েব দেখল তাদের রুম টির চারপাশে কোন দেয়াল নেই, তারা যেন একটা অডিটোরিয়াম এর মঞ্চে, একটা বৈজ্ঞানিক সংবাদ সম্মেলনে। নিমেষেই সে পাশ ফিরল। পাশে রাখা টেবিল থেকে সুই এর মতো তীক্ষ্ণ মাথাওয়ালা কলম সাদৃশ বস্তু খেঁচ করে ঢুকিয়ে দেয় নিজের মাথার পেছনে... শুয়ে থাকা জেবাও তখন আস্তে আস্তে খেয়াল করতে পারছে যে তারা আর সেই ছোট্ট রুমটা তে না, অডিটোরিয়াম এ। আর তার চোখের সামনেই শোয়েব নিজের সত্ত্বাকে বিকিয়ে দিচ্ছে বৈজ্ঞানিক গবেষনার জন্য, ওই সূচালো যন্ত্র দিয়ে শোয়েবের জীবনী স্থানান্তরিত হবে মানব শরীর থেকে মেশিনে। ওইযে কিছু AI আছে যেগুলো মানুষের কমান্ড গ্রহন করে, ভারী গলায় বলে “স্বাগতম, আপনার গোপন নম্বর প্রবেশ করান”। শোয়েবের সত্ত্বা আবদ্ধ হয়ে যাবে এমনই এক মেশিনে, যেখানে কোন প্রোগ্রাম বা AI নয়, মানুষের সাথে কথা বলবে শোয়েবের মানবীয় সত্ত্বা। শরীরী কোন অস্তিত্ব আজকের পর আর থাকবেনা তার। তার ইন্টেলিজেন্স হবে প্রোগ্রামেবল।



জেবা নিষ্পলক, তাকিয়ে দেখছে... শোয়েবের স্বেচ্ছায় নির্বাসন।





চলবে...



এমনই একটা স্বপ্ন দেখে আজ ঘুম ভাঙল। স্বপ্নের ঘটনাটার intencity এতো বেশী ছিল যে আমার চোখ ভিজে গেছে, আমিও কাঁদছি। বাইরে তাকিয়ে দেখি আজকের সূর্যটার ভোল্টেজ কম, মানে আকাশে মেঘ মেঘ করেছে। ভাবলাম লিখে ফেলি, ঘুম থেকে উঠে লেখা শুরু করলাম, কিন্তু মাঝে কাজের ডাক চলে এলো, প্রাতঃকৃত সারবার সময় পেলাম না, ছুটতে হল কাজের ডাকে। ৫ ঘন্টা পর এই একটু আগে ফিরলাম, গল্পটার পেছনের কিছু কাহিনী আছে, লিখে ফেলব... সময়ের প্রয়োজন, কিন্তু আমার যে সময় অতি দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে... কোনটা ফেলে কোনটা করব, বুঝতে পারছিনা...



কেউ ভেতর থেকে বলে ওঠে, আস্তে, বোকা কোথাকার। যতক্ষন শ্বাস, ততক্ষণ আশ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.