![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ততোবার শুধুমাত্র একটা চিন্তাই আমার মাথায় এসেছে। সেটা হচ্ছে একটি ড্রিল মেশিন নিয়ে নিজের মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা।
এক জীবনে অনেক কিছু দেখার বাকি ছিল আমার।
গহীন অরণ্যের ভেতর
নির্জন পাতায় বসে থেকে দেখতে চেয়েছিলাম পিঁপড়ের চলন। অন্ধকারে
ব্যাঙের মতন ঘাপটি মেরে বসে ছিলাম কতদিন, বৃষ্টির জল আর কাদা
পানিতে মাখামাখি হয়ে যাচ্ছিলো শহর। অন্ধকারে আমি সাপের অপেক্ষায়
ছিলাম। আমি দেখেছি, রাত হলে
আমাদের বাবুরাও কীভাবে দো পেয়ে
সাপ হয়ে যায়- রমণীদের জৌলুসমাখা শরীরে ঘোরাফেরা করে।
তারপর ছেড়ে খোলস এবং মদের বোতল- ডানা ভাঙা পাখি হয়ে
ঘরে ফেরে।
এক জীবনে কত কিছু হওয়ার বাকি ছিল আমার। আমি
হতে চেয়েছিলাম একটি লাল ভাঙা ভায়োলিন। কোনো শিল্পীর ব্যক্তিগত
দুঃখ। রিকশাওয়ালার ঘাম। কুলিদের, মাঝির।
দুই দিনের অভুক্ত শিশুদের সামনে একথালা সাদা ভাত।
এ জীবনে তা হয়তো আর হওয়া হল না। আমি হতে চেয়েছিলাম একটা কবিতা, তখন
শুধু আমার মায়ের কথা মনে পড়ে। আমি আপন মনে আমাকে খুঁজতে যেয়ে দেখি আমার পা-
আর পা নেই, ওগুলো শেকড় হয়ে যাচ্ছে, তারপর গাছ। আমি টেনে হিঁচড়ে
নামাই আমার দেহটা
কিন্তু পথ হতে যেয়ে আর পথ হতে পারি না-
আমি ধু ধু প্রান্তরের মাঝে
ঠিক একটা কাকতাড়ুয়া- হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি অথচ
মাটিতে আমার কোনো ছায়া নেই। আমি কান পেতে শুনতে চেয়েছিলাম
নদী, কিন্তু শুনেছি তপ্ত খরায় মাটির প্রবল চৌচিরধ্বনি। মধ্যরাতে উঠে
একটা রুপালী হ্রদ খোঁজার কথা ছিল, কিন্ত আমার সেই ঘুম কখনও ভাঙে নি।
আমি স্বপ্নের মাঝে জেগে উঠতে পারি নি তাজমহল তৈরির কোনো প্রাচীন রাতে।
ঘুমের ঘোরে হাজার হাজার শ্রমিকের ছেনী হাতুড়ীর শব্দ আমার কানে
এসে বাঁধে।
এক জীবনে আমার কত কিছু পাওয়ার বাকি ছিল। দশটা
সমুদ্র ধরে রাখার কথা ছিল হৃদপিণ্ডে। অথচ
ছোট বুকে জায়গা করে নিলো বিশাল একটা মরুভূমি! ঘোড় সওয়ার হয়ে চলি।
ছোট বেলার মত কোনো বাগানে শুয়ে রাতের পরিষ্কার আকাশ
দেখতে ইচ্ছা করে। মাঝে মাঝে বালি ঝড় নামে।
কত কিছুর জন্য অপেক্ষা ছিল। ভয়ংকর ঘূর্ণি আর প্রবল বাতাসের মাঝে
এমন একজনের সাথে দেখা হওয়ার কথা ছিল-
যাকে দেখে মনে হবে-
এক জীবনে আমি তাকে এত ভালবাসবো কীভাবে?
খুব অদ্ভুত একটা জীবন কাটানোর কথা ছিল তার সাথে!
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৭
ইনকগনিটো বলেছেন: শুনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর ।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ, সেলিম আনোয়ার ভাই।
৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২১
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অনবদ্য কবি!
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২
ইনকগনিটো বলেছেন: অনবদ্য এর পর একটা যতি চিহ্ন হবে, নাকি?
নাহলে তো কবিতা নয়, আমিই অনবদ্য হয়ে যাচ্ছি।
ধন্যবাদ, অভি!
৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
Rubel rana বলেছেন: ভাল লাগা জানিযে গেলাম........++++
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫
ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৭
ইউনুস আহমেদ কোমল বলেছেন: ভাল লাগল ++++
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭
ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: টু থাম্বস আপ।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৩
ইনকগনিটো বলেছেন:
বিয়ারহাগ।
৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮
সুমন কর বলেছেন: এক জীবনে অনেক কিছুই পাওয়া হয় না !!
অনেক সুন্দর হয়েছে।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৪
ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ , সুমন কর।
৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫৩
এম. এ. হায়দার বলেছেন: আবিদ আজাদের একটা আবেশ পেলাম...
অনবদ্য কবিতা
+++
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
ইনকগনিটো বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন।
পাঠের জন্য ধন্যবাদ।
৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: চমৎকার !
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪
ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ , তিতির আপা!
১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭
লেখোয়াড় বলেছেন:
ওয়ান লাইফ ইজ নট এনাফ.............
এনি ওয়ে........... সুন্দর লেখা।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১২
ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ, লেখোয়াড়।
১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
অনবদ্য!
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭
ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ, কবি
১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:১৯
নস্টালজিক বলেছেন: বাহ!
নিখাদ এক টুকরো বিষাদ। রুপক শব্দকল্পের ব্যাকড্রপে ভায়োলিন বেজে যাচ্ছে যেনো দূর থেকে।
আর কথক আত্মকথন বর্ণনা করছে নিমগ্ন হয়ে।
ভালো একটা লেখা পড়লাম।
শুভেচ্ছা নিও।
ভালো থেকো নিরন্তর।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
ইনকগনিটো বলেছেন: প্রিয় নস্টালজিক ভাই,
বহুদিন পর আপনাকে দেখলাম। কেমন আছেন?
লেখা ভালো লেগেছে শুনে আমারও খুব ভালো লাগছে।
শুভেচ্ছা আপনার জন্যেও, ভালো থাকুন সব সময়।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০২
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। পড়তে পড়তে হৃদয়ে যে টোন বাজছিল এরকম টোন আমার জীবনানন্দের কবিতা পড়লে বাজে।
প্রথম ভালোলাগা দিয়ে গেলাম।