নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Indolent Mahmud বয়সঃ২১। ধর্মঃ ইসলাম

Indolent Mahmud

Indolent Mahmud › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাওলাতুল ইসলাম

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৪

জর্ডানের নাগরিক আবু মুসাব আল জারকাবি ২০০২ সালে তাওহিদ ওয়াল-জিহাদ নামের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের পরের বছর তিনি গঠন করেন আল-কায়েদা ইন ইরাক (একিউআই)। ২০০৬ সালে জারকাবির মৃত্যুর পর একিউআই ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক (আইএসআই) নামে একটি সমন্বিত সংগঠন গঠন করে। ২০১৩ সালের ৮ এপ্রিল আন্তর্জাতিক জিহাদি সংগঠন আল-কায়েদা থেকে বেরিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘দি ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত (আইএসআইএল)। এই সংগঠনটির অপর নাম ‘ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস)’। পরবর্তী সময়ে সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এটি মূলত ইরাকের সুন্নি বিদ্রোহীদের সংগঠন। ২৯ জুন ২০১৪ ইসলামিক ওয়েবসাইটে এবং টুইটারে প্রকাশিত এক বিবৃতির মাধ্যমে সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল অংশ দখল করে নেয় আইএস। নিজেদের দখলকৃত এলাকাকে তারা ইসলামী খেলাফত ঘোষণা এবং স্বীকৃতির জন্য মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানায়। ইরাক, সিরিয়া, জর্ডান ও লেবাননের অংশবিশেষ নিয়ে একটি অঞ্চলজুড়ে ‘খিলাফত’ পদ্ধতির ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে আইএস। আইএসের উত্থানের অন্যতম কারণ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ। সেখানে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলনের গোড়াতে পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থনপুষ্টদের একাংশ এই নতুন সংগঠনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
সংগঠনের প্রধান বাগদাদি : ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান ইব্রাহিম আওয়াদ ইব্রাহিম আলী আল-বদরি আল-সামারাই, তিনি আবু বাকার আল-বাগদাদি নামেই বেশি পরিচিত। আগে তিনি ড. ইব্রাহিম ও আবু দুইয়া নামে পরিচিত ছিলেন। ইরাকে ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযান শুরুর পরপরই জিহাদে জড়িত হন। তিনি বাগদাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন এবং পরে ইমামও নিযুক্ত হন। বর্তমানে তিনি খলিফা ইব্রাহিম নাম ধারণ করে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা করেন এবং দখলকৃত অঞ্চলে নিজস্ব মুদ্রা চালুসহ নিজেকে ওই রাষ্ট্রের খলিফা ঘোষণা করেন। আইএস প্রধান বাগদাদি ইতিমধ্যে ইসলামিক স্টেটের টাঁকশালের জন্য সোনা, রুপা ও তামার নতুন মুদ্রা প্রচলনের নির্দেশ দিয়েছেন। এই মুদ্রাগুলো ইসলামী দিনার নামে ইসলামিক স্টেটের নিজস্ব মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
বিশ্বের প্রভাবশালী ও ধনী জিহাদি সংগঠন : আইএস বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও ধনী জিহাদি সংগঠন। তারা সমগ্র ইরাকে প্রায় পাঁচ বছর ধরে বড় বড় অভিযান চালিয়ে আসছে। ইরাকের বিভিন্ন এলাকা দখলে আসার পর তাদের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস তেল। তাদের দখলে এখন ইরাকের পাঁচ থেকে ছয়টি তেলক্ষেত্র। সেখানে তেলকূপ আছে ৪০ থেকে ৭০টি। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলন ও পরিশোধন হয়। আর তা বাজারদর থেকে কম মূল্যে বিক্রি করে তারা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করে। ইরাকের বিভিন্ন তেল কম্পানির সঙ্গে যুক্ত ফড়িয়ারা এই তেল মসুল প্রদেশের মাধ্যমে তুরস্কে নিয়ে যায়। একইভাবে আনবার প্রদেশের মাধ্যমে তারা তেল নিয়ে যায় জর্দানে, কুর্দিস্তানের পথে ইরানে ও সিরিয়ার। কাতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এ ধরনের অর্থ আদান-প্রদানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে তারা।
আইএস যোদ্ধাদের প্রকৃত সংখ্যা অংশ ৫০০০০ এর উপর । সংগঠনটির পক্ষে হাজার হাজার জিহাদি ইরাকে লড়াই করছে বলে ধারণা করা হয়। অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধের কলাকৌশলের দিক থেকেও তারা বেশ অগ্রসর। ইসলাম বিরোধী কাফের মুরতাদদের ঢালাও শিরচ্ছেদ করে নিন্দিত হয়েছে আইএস। ইতিমধ্যে তারা মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমান হামলার জবাবে পাশ্চাত্যের কয়েকজন সাংবাদিক ও ত্রাণকর্মীকে জবাই করে ভিডিও প্রচার করে। বিমান হামলার আগেও কয়েকটি শিরশ্ছেদের ঘটনা ঘটিয়েছে। আল-কায়েদার মতো তারাও সংগঠনে যোদ্ধা নিয়োগ করে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তবে তাদের মাল্টিমিডিয়া প্রচারণা খুব সংঘবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত। সামাজিক মাধ্যমেও উচ্চমানের চমৎকার ভিডিও প্রোডাকশনের মাধ্যমে স্পষ্ট ও সহজ বার্তা প্রচার করে তারা। আল-কায়েদাও তাদের কিছু কাজকর্মকে বাড়াবাড়ি বলেছে।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা : ২০১১ সালের ৪ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট আইএস প্রধান আল-বাগদাদিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ঘোষণা করে তাকে জীবিত বা মৃত গ্রেপ্তার বা তথ্য দিয়ে সাহায্য করার জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে। এরপর ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের ওয়েলসে ২৬তম ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের শেষদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আইএস দমনে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক গঠনের ঘোষণা দেন। গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের নিয়ে আইএস নির্মূলে সর্বাত্মক বিমান হামলা শুরু করে। এরপর জাতিসংঘ ও তার সদস্য দেশগুলোর নাগরিকদের যোগ দেওয়া ঠেকাতে সদস্য দেশগুলোর ব্যবস্থা নেওয়ার তাগাদা দিয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ১৫টি সদস্য দেশের সর্বসম্মতিতে একটি প্রস্তাব পাস হয়। ওই বৈঠকে বারাক ওবামা এই সংগঠনকে ‘নেটওয়ার্ক অব ডেথ’ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ‘দুষ্টচক্র’ আখ্যায়িত করে। সর্বশেষ ২৩ জানুয়ারি আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পন্থা নিয়ে আলোচনা করতে লন্ডনে ২২ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সমন্বিত বৈঠক হয়েছে। তাই বুঝা গেল বর্তমান তাগুত বিশ্বের ভিতর ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে আইএসকে প্রয়োজন।
আসুন ভায়েরা সত্যের পথে ইসলামিক স্টেটের পতাকা তলে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.