নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Indolent Mahmud বয়সঃ২১। ধর্মঃ ইসলাম

Indolent Mahmud

Indolent Mahmud › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিরিয়া থেকে
ইউরোপমুখী মুনাফিকদের জন্যে
মোমিনের কান্না নয় আল্লাহর লানত...

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২১

ইউরোপ নেমে এক সিরিয়ান জিন্সপরা উলঙ্গ নারীর মন্তব্য "আমরা নরক থেকে স্বর্গে ফিরে এসেছি"। অথচ খিলাফাহর ভূমির এক টেক্সি ড্রাইভার বলছে, মৃত্যু যেদিন আসবে শামের এই পবিত্র ভূমিতে হবে তবুও কোন মুসলিম মুশরেকদের কাছে আশ্রই চেতে পারে না। দুটি কথার মাঝে শুধু কি প্রার্থক্য না আকাশ পাতাল আকীদাগত ব্যবধান? অথচ আমরা জাতে বাঙ্গালী তাই দুই আনার চোখের পানি আর কয়েক লাইন মর্সিয়া যেন কোন দাম নেই। সেটা কার জন্যে করছি? কে করছি? এবং এর ফলাফল কী? কোনটাই আমরা ভাবি না।
ঈমান আনার পর মোমিনের উপর প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে আল্লাহর আইনকে মাথায় তুলে নেয়া। আর মুসলিম শাসকের দায়িত্ব হচ্ছে আল্লাহর হুদুদ কায়েম করা। কারণ মোমিন মৃত্যুর পর তার এই আমলের জন্যে কঠিন জিজ্ঞাসিত হবে। আল্লাহ বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই যারা নিজেদের জীবনের প্রতি যুলুম করেছিল (আল্লাহর হুকুম না মেনে) ফেরেশতাগণ তাদের প্রাণ হরণ করতে গিয়ে বলবেঃ তোমরা কি অবস্থায় ছিলে?তারা বলবে, আমরা দুনিয়ায় অসহায় ছিলাম (রাষ্ট্রীয় আইন কানুনের কারনে মানতে পারিনি)। তারা বলবেঃ আল্লাহর দুনিয়া কি প্রশস্ত ছিল না যে, তোমরা তন্মধ্যে হিজরত করতে? অতএব তাদেরই বাসস্থান জাহান্নাম এবং ওটা কত নিকৃষ্ট গন্তব্যস্থান।’’(সূরা নিসাঃ ৯৭)
চিন্তা করে দেখুন সিরিয়ার ৭০% ও ইরাকের ৬৫% এলাকা আল্লাহর সেই হুকুম বাস্তবায়িত হচ্ছে এখন নবুওযতের আদলে। দুনিয়ার সব দিক থেকে দলে দলে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা হিজরত করছে সেখানে। সেদিনই তো বাংলাদেশ থেকে পুরো একটি পরিবার পাড়ি জামালো সেই দারুল ইসলামে। আর ইউরোপ, আমেরিকা ও আরবের আলীশান জীবন ছেড়ে আরজুল খিলাফাহকে নিজের বসত বানিয়ে নিচ্ছে কতজন। অথচ সেই ভূমির পাশ থেকেই ঐসব কুফর মুশরেকদের দেশে উন্নত জীবনের আশায় যারা ভূমধ্য সাগর ফাড়ি দিচ্ছে তারা কি? যদি তারা বাশারের জুলুম থেকে পালাতো তাহলে তাদের জন্যে ছিলো খিলাফাহর ভূমি উন্মোক্ত আর যদি তারা খিলাফাহর ভয়ে পালায় তবে তারা হবে খোদাদ্রোহী বাগী। কারণ আরজুল খিলাফাহ থেকে কেবল মুনাফিকরাই পালায়ন করে যেমন করেছে আব্দুর বিন উবাই বিন সুলুলের দলের লোকরা।
তারা কি মনে করে ইউরোপের সেই মাটিতে মালাকুল মওত তাদের খুজে পাবে না? হিযরত তো কিয়ামত পর্যন্ত জারি করে গেছেন রাসূল সা.। তিনি বলেছেন, ততদিন হিজরত থাকবে যতদিন তাওবার দরজা খোলা থাকে আর তাওবা ততদিন গ্রহণ হবে যতদিন সূর্য্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত না হয়। আর দারুল ইসলামের দিকে হিজরত ওয়াজিব। রাসুল সা. বলেছেন, শেষ জামানায় মুনাফিক ছাড়া কেউ শামের বাইরে থাকবে না। আর ঐসব কপাল পোড়াদের জন্যে কোন মোমিনের হৃদয় বিগলিত হলে বুঝতে হবে তার ঈমান টলমল করছে। কারণ রাসূল সা. বলেন যে, ‘‘সেইসব মুসলিমদের কারো সাথে আমার সম্পর্ক নেই যারা মুশরিকদের ভেতরে অবস্থান করে।’’ (আবু দাউদ, তিরমিযী) সুতরাং হে মুসলিম হাসবেন না কাদবেন চিন্তা করুন এবং আল্লাহকে ভয় করুন। নিশ্চই আপনার হাসি-কান্না কেবল তারই জন্যে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.