নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইনফা_অল

ইনফা_অল › বিস্তারিত পোস্টঃ

Google Earth ও আমাদের পৃথিবী

০৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:১৯

Google Earth এ যেয়ে পৃথিবীটাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখতে হবে কত বড় না এই পৃথিবী! আস্তে আস্তে জুম ইন করুন বিভিন্ন মহাদেশ- ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া কত বড় লাগছে না? এই সবই কিন্তু আলাদেভাবে পৃথিবী থেকে অনেক ছোট। জুম ইন করে এন্টার্টিকা মহাদেশ কে দেখুন কতবড় একটি জায়গা কিন্তু লোক সংখ্যা কই বিরান আর বিরান। জুম করে এবার এশিয়া মহাদেশে চলে আসুন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাদেশ; কিন্তু অন্য সব মহাদেশের একসাথের তুলনায় কিন্তু ছোটই। আরো জুম ইন করে দেখুন কত বড় রাশিয়া চীন, ভারত, সেই তুলনায় বাংলাদেশ কে খুব ছোটই লাগে। এবার জুম ইন করে বাংলাদেশকে দেখুন। দেখবেন কত বড় চিটাগাং বিভাগ, রাজশাহী বিভাগ, বরিশাল বিভাগ সিলেট বিভাগ, আর ঢাকা বিভাগ । কিন্তু গোটা বাংলাদেশের তুলনায় এরা কিন্তু খুবই ছোট। এবার ঢাকা বিভাগকে জুম ইন করলে দেখতে পাবেন, ময়মনসিংহ, টাংগাইল, গাজিপুর, ঢাকা নামক জিলা গুলি। মনে হচ্ছেনা এরা ঢাকা বিভাগের তুলনায় খুবই ছোট? এবার শুধু ঢাকা জিলাকে জুম ইন করে দেখুন মোহাম্মদপুর, উয়ারী, লালবাগ, মতিঝিল, তেজগা, মিরপুর আরো কথ থানা। এরা কি প্রত্যেকে ঢাকা জেলা থেকে ছোট। শুধু মিরপুর কেই জুম ইন করতে থাকুন, মিরপুর ১২, রুপনগর, মিরপুর ১১, ১০, ২, ১ এক একটি তথাকথিত কত বড় এলাকা (!)। আসলেই এরা ঢাকা রাজধানীর এক একটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পার্ট। তারই একটি যদি ধরি মিরপুর-১। গুগল ম্যাপে জুম ইন করলে দেখবেন কত বড় মিরপুর ১, বিশিল,কল্যানপুর, মধ্যপাইকপারা, শাহাআলি বাগ, রাইনখোলা, আহম্মদনগর ইত্যাদি। আসলে গোটা মিরপুরের তুলনায় মিরপুর১ অনেক ছোট, সেই মিরপুর ১ এর ভিতর উল্লেখিত এলাকা গুলি আরও কত ছোট। এবার যদি আমি আহম্মদ নগর কে জুম ইন করি দেখবো ছালেমুদ্দিন মার্কেট এলাকা, জোনাকি রোড, বড় বাড়ি, স্কুল রোড, ছাপাখান, সি।এস টেকের মাঠ, হাবুলের পুকুর পাড় মাদ্রাসা রোড।



এখানে কত হাজার হাজার বাড়ি ঘর, সেখানকার কোন একটি বিল্ডিং, না! কোন একটি ছাদ, না! কোন একটি ফ্লোর তাও না! কোন একটি ফ্লোরের ইউনিটের ১১০০, ১২০০ ১৩০০ স্কোয়ার ফিটের মালিকানার জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত সংগ্রাম চলছে। তার জন্য আমরা হারাম পথে যেতে দ্বিধা করছি না। কেউ ঠিকাদার হন তাহলে ম্যাটরিয়াল কম দিচ্ছেন, লেবার এর টাকা মেরে খাচ্ছেন, রডের ব্যবসা করলে মাপে কম দিচ্চি, গ্রশারির ব্যাবসায়ী করলে মাপে কম দিচ্ছি, জিনিসে ভেজাল দিয়ে বিক্রি করছি, মিথ্যা কথা বলছি, চাকুরী জীবি হলে ঘুষ খাচ্চে, পুলিশ হলে আসল অপরাধী কে না ধরে নিরীহ মানষকে ধরে ঘুষ বানিজ্য করছে, টিচার হলে প্রশ্ন পত্র ফাসঁ করে দিয়ে ইঙ্কাম করছে, স্কুলে পড়ান বাদ দিয়ে কোচিং নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকছে শুধু মাত্র ওই অল্প কতটুকু স্কোয়ার ফিটের মালিকানার জন্য। এতটুকু জায়গার জন্যা আমরা হারাম হালাল ধার ধারছি না। লক্ষ্য একটা যে কোন উপায় আমার অতটুকুন স্কোয়ার ফিটের মালিকানা নিশ্চিত করা।

আমার যেন মৃত্যুর কথা ভুলেই গেছি। কিন্তু এই একটা জিনিশ নাস্তিক আস্তিক, কাফের, মুমিন, মুশরিক কেউ অস্বীকার করে না। কেউ এড়াতও পারবে না। সেটা হল মৃত্যু। আমি আপনি মারা গেলে এত কষ্ট করে অর্জন করে এই জিনিশের মালিক কে হবে? সেটা তো এখানেই পড়ে থাকবে। আমার জানার কোন উপায় নাই কে এর মালিক হল আমার ওয়ারিশ না অন্য কেউ? সেটা কি আমরা ভেবে দেখি?



তাহলে এই অসত উপার্জন তো আমাদের দুনিয়াতেই কোন উপকার করতে পারলো না আর মৃত্যুর পর তা আমাদের কি উপকারে আসবে?

মৃত্যুর কথা কবরের কথা কি আমাদের স্মরন আছে?



কবরের অবস্থা সম্পর্কে শুনুনঃ https://www.youtube.com/watch?v=1SUnpUx5tBI

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.