![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নি:সঙ্গ, রিক্ত ও নিঃস্ব এজন মানুষ। দেয়ার মত আমার কিছু নেই, আছে শুধু হৃদয় এবং হৃদয়ের অশ্রু। আমার হৃদয় শুধু ভালোবাসতে পারে এবং ভালোবাসা অনুভব করতে পারে। আমার চোখ শুধু অশ্রু ঝরাতে পারে এবং অশ্রুর ভাষা বুঝতে পারে। আমি চাই তুমি আমাকে ভালোবাসো এবং আমার ভালোবাসা গ্রহণ করো। আমি চাই, তুমি আমার চোখের একবিন্দু অশ্রু গ্রহণ করো এবং আমাকে তোমার চোখের একটি অশ্রুবিন্দু দান করো।কিন্তু যে পৃথিবীতে ফুল হয়েছে বাণিজ্যের পণ্য, সেখানে এক ফোঁটা ভালোবাসার কিংবা একবিন্দু অশ্রুর কী মূল্য! চাহিদা এখন হৃদয়ের নয়, হৃদপিণ্ডের। চাহিদা এখন মানুষের নয়, মানুষের অঙ্গ- প্রত্যঙ্গের।
ফাগুন মাস। ইংরেজী হিসেব করলে বায়ান্ন সালের একুশে ফেব্রুয়ারী। আকাশে হলদে রোদ্দুর থির হয়ে জমে আছে। পামগাছের চিরল পাতাগুলো বাতাসে কাঁপছে না। শুধু দু একটা শঙ্খচিল কালো বিন্দুর মতো অপরাজিতা নীল আকাশে ওড়ে বেড়াচ্ছে।
প্রকাণ্ড একটা গাছের নীচে স্থির হয়ে বসে আছে নজরুল। আশেপাশে অজস্র শাল মহুয়ার গাছ। নরম ছায়া ছড়িয়ে আছে চারিদিকে। কোথায় যেন শালকুঁড়ি ফুটেছে। তারই মিষ্টি গন্ধ এলোমেলো বাতাসে ভরে আছে।
সে বসে আছে পাতাঝরার বনে। বাতাসে গাছের পাতারা এলোমেলো গা মেলে দিচ্ছে। তার সমস্ত শরীরের ওপর চোখ মুখে অবিরাম ঝরা পাতা পড়ছে।
বুনো ঝোপ জঙ্গলের ছমছমে চেহারা। ঝাঁকড়া গাছের গা বেয়ে বুনো লতা। ঝাঁঝাল একটা গন্ধ। কত পাখি। জলপায়রা, বসন্ত বাউরি, কাজলগৌরি আর খঞ্জনা । ঝোপেঝারে তাদের খসে যাওয়া পালক দেখা যায়।
আকাশটা যেন তার গা থেকে সমস্ত রোদের ঢেউ মাঠ খেত আর নিরিবিলি ফাঁকায় ছড়িয়ে দিয়েছে।নজরুল ঘাসের গন্ধ পায়। নতুন গজানো ঘাস তকতকে সবুজ। নজরুলের খুব ইচ্ছে করে একমুঠো ঘাস তুলে চোখে মুখে ঘষতে। ঘাসের সবুজ রস দিয়ে তার চোখ যদি একবার ভিজিয়ে নেয়। আহ্ কি যে ভালো লাগবে তখন।
ছায়া এখানে ঘন। গাছ, লতাপাতা মিলে কেমন বুনো মিষ্টি গন্ধ। তিলিঘুঘু ডাকছে মাথার উপর। নজরুল তাকায়। কয়েকটা গাঙশালিক পোকামাকড় খুঁটছে আপন মনে। রোদ যেন থই থই পলাশ।
এই সব সুমসাম নিরিবিলি দুপুর বেলায় হু হু বাতাসে ভেসে আসলো জন কণ্ঠে। “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই” টুকুস টাকুস। চিরিক চিরিক পাখিদের ডাকে বুঝে ওঠার আগেই “আওয়াজটা” মিলিয়ে গেল শিরশির বাতাসে। আবার “আওয়াজটা” আসলো লালমাটির পথ থেকে।
‘কারা যাচ্ছে এই পথ দিয়ে! পথের ধুলো উড়িয়ে! কোথায় যায়? শহরে নাকি!’
ছেঁড়া চাদরটা ভাল করে জড়িয়ে পথের দিকে হাঁটা শুরু করল নজরুল।
▄
আঁকাবাঁকা রাস্তা। সাপের মতো ঢাকা শহর পর্যন্ত চলে গেছে রাস্তাটা। প্রতিবাদী কণ্ঠে মিছিল এগিয়ে চলছে। দূরে আবছা কুয়াশার মত চোখে পড়ছে ঢাকা শহর। অদূরের একটি খামার বাড়ির গোলাঘর থেকে কয়েকটি পাখি উড়াল দিয়ে রোদের ভেতর মিলিয়ে গে। শুধু তাদের খসে যাওয়া কিছু নরম পালক ভাসতে লাগল। দৃশ্যটা মিছিলে আসা সবাই দেখল।
তালেতালে মিছিল এগিয়ে চলছে। বাংলা ভাষার ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠায় বাঙালিক কণ্ঠ আজ প্রতিবাদে সোচ্চার। দেশের বৃহত্তর জন সংখ্যার মাতৃভাষা বাংলা হওয়া সত্ত্বেও তার অমর্যাদা করে উর্দূকে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ যেন অশুভ চক্রান্তে এক স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত।
সমগ্র বাংলাদেশ আজ এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমবেত হতে যাচ্ছে। সাতচল্লিশ সালের পনেরো আগস্ট ভাষার ন্যায্য দাবিতে যে ক্ষীণ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল তাই আজ ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে শাসকচক্রের অশুভ তৎপরতায়। ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র বাংলাদেশে, প্রকট হয়ে উঠেছে স্বাধিকার আন্দোলনের কণ্ঠ। বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বাঙালী। জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে।
ঢাকায় এসে পৌঁছেছে কুমিল্লা থেকে আসা মিছিলটি। নেতা সবাইকে থামিয়ে দিয়েছে। একসাথে গেলে ধরা পড়ে যাবে, তাই যে যার মত চলে যেতে বলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে সবাই সমবেত হবে।
নজরুল কেন এসেছে এই মিছিলে! কিসের তাগিদে! কিছুই জানে না সে। কিন্তু মিছিলে আসা লোকদের কথায় সে খানিকটা বুঝে নিয়েছে। কোন অত্যাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য সবাই একত্রিত হচ্ছে। নাহ্ কাজটা মন্দ হবে না মনে হচ্ছে।
রোদে পুড়ে গাছগুলো চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার দু’পাশে। কত গাছ পাশাপাশি। চুপচাপ। শুনশান পাতারা ফিসফিস করছে।
▄
বাতাসে শীতের আমেজ রয়ে গেছে। নতুন দুর্বাঘাসে গজিয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সতেজ মাটিতে। আমরুলি শাকে ছেয়ে গেছে ফজলুল হক হলে পাশের টলটলে কাকচক্ষু পানির পুকুরটা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে সবাই সমবেত হয়েছে, হাজির হয়েছে এখানে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ও বিভিন্ন পেশাজীবী লোক। হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে। হ্যাণ্ড মাইক দিয়ে জাগায় জাগায় বক্তৃতা দেয়া হচ্ছে। উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ। আগুনের শিখার মতো প্রতিবাদী শব্দগুলো উড়ে বেড়াচ্ছে উত্তুরে বাতাসে। ধক্ করে ওঠে নজরুলের বুকটা।অনেক কিছু বুঝে নিয়েছে সে। উত্তেজনায় ফেটে পড়তে চায় তার বুকটা। টপটপ করে গড়িয়ে কফোঁটা অশ্রু।
কিছুক্ষণের মধ্যেই মিছিল বের হবে। কাতার বন্দী করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায়। হাতে হাতে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার দেয়া হয়েছে। কেউ চুপ নেই। সবার কণ্ঠ উজ্জীবিত। পাগল হয়ে উঠেছে সবাই। টগবগিয়ে উঠছে রক্ত। বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে সংগ্রামী জনতা। এক সঙ্গে সবাই চিৎকার করে উঠলো। একশ চুয়াল্লিশ ধারা জারি করে আমাদের মুখ বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে সরকার। প্রতিবাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছে। এ অন্যায়। এ জুলুম। আমরা মানি না, মানবো না। মাথা পেতে নিব না এ অন্যায়। ওরা আমাদেরকে শৃঙ্খলিত করতে চায়। আমরা তা ভেঙ্গে চুরমার করে দিব। আবার চিৎকারের ঝড় উঠলো।
: এই যে আপনার নাম কী?
: জি, আমার নাম নজরুল। আপনার?
: সালাম। কোত্থকে আসলেন?
: কুমিল্লা থেকে।
: ভয় পাচ্ছেন?
: জি না!
লাল রোদের দুপুর। কত রকম পাখি মন উতল করে ডাকছে।
রাস্তায় পুলিশ নেমেছে। পুলিশের গাড়ি এদিক সেদিক ছুটোছুটি করছে। পথঘাটগুলো জন- মানবহীন অবস্থায় আছে।
হ্যাণ্ড মাইক হাতে সবার সামনে উত্তেজিতভাবে পায়চারি করছে একজন। দেয়ালের বাহিরে পুলিশের গাড়ি ছুটে যেতে দেখেছে সে। দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে তার অন্তর। চোখে মুখে অস্থিরতা। সোচ্চার গলায় বলে উঠলো সে –
: একশ চুয়াল্লিশ ধারা আজ আমাদের ভাঙতেই হবে। তা না হলে আমাদের এই আন্দোলন এখানেই দমে যাবে। আমাদের বাংলা ভাষা, মাতৃভাষাকে চিরতরে নির্মূল করে দিবে ওরা। আমরা হরতাল করবো। ওরা নিষেধ করেছে। আমরা সভা করবো। ওরা নিষেধ করেছে। সে জন্য মারাত্মক কিছু ঘটতে পারে। আমাদের মৃত্যুও হতে পারে।
মৃত্যুর কথা শুনেই শিউরে উঠল নজরুল। মনে হল, মৃত্যু তার চোখের সামনে। প্রত্যক্ষ করছে সে মৃত্যুকে।
গগন বিদারি চিৎকার করে উঠল সবাই।
“রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।”
বজ্রের মতো ধ্বনিতে প্রকম্পিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা।
“আমাদের দাবি মানতে হবে।”
অসংখ্য কণ্ঠের চিৎকারে চমকে উঠল দেয়ালের ওপাশে কন্সটেবলগুলো। ছোট কর্তারা বড় কর্তাদের পানে চেয়ে আছে। হুকুমের ক্রীতদাস ওরা।
রোদের ঢেউ নেমেছে চারদিকে। রাইফেলের নলগুলো চিকচিক করছে রোদে। হুকুম তামিল হলেই জ্বলে উঠবে সেগুলো।
হুকুমের দাসগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে গেটের দিকে এগিয়ে এলো।
:আমরা একশ চুয়াল্লিশ ধারা ভাঙবো। কিন্তু খেয়াল করতে হবে বিশৃঙ্খলা যাতে সৃষ্টি না হয়। তাই দশজন দশজন করে আমরা বেড়িয়ে পড়বো রাস্তায়। মিছিল করে সামনে এগিয়ে যাবো। এই আমাদের আজকের শপথ।
“রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।”
▄
বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট খুলে গেল। রাস্তায় বেড়িয়ে এলো দশটি মুখ। ধ্বনি উঠলো-
“রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।”
এরপর আরো দশজন। মুষ্টিবদ্ধ হাতগুলো আকাশের দিকে ততক্ষণে অনেক দশ। পুলিশ কর্তাদের চোখে মুখে উৎকণ্ঠা। লাল হয়ে গেছে তাদের চেহারা। কৃষ্ণচূড়া গাছ থেকে যেন থোকা থোকা আগুনঝরা ফুল ঝরে পড়ছে তাদের উপর। চোখ মুখে।
ঢেউয়ের মতো বেড়িয়ে আসছে মানুষ, ছাত্র, জনতা।ব্যরিকেড তৈরী চারপাশে। ঘিরে ধরেছে পুলিশ। ধরে ধরে সবাইকে খালি ট্রাকে তুলে নিচ্ছে। কাঁদুনে গ্যাস ছুঁড়েছে। চোখ জ্বলজ্বল করছে। টলটল করছে। পানি ঝরে পড়ছে। বিপুল ছাত্র হুমড়ি খেয়ে পড়লো বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে।
সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে জনতা। একশ চুয়াল্লিশ ধারা ভেঙ্গে ফেলেছে তারা। ঝাঁক বেঁধে এগিয়ে যাচ্ছে মেডিক্যালের দিকে।
চিৎকার করে উঠলো নজরুল। দরদর করে পানি ঝরছে তার চোখ থেকে। সবকিছু অন্ধকার। ডুব দিল টলটলে পুকুরটাতে। টগবগিয়ে উঠছে তার দেহ। ক্রোধে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে। উদ্যমের জোয়ার বইছে তার সারা দেহে।
শৌর্য-বীর্যে মেডিক্যালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে জনতা। যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠেছে মেডিক্যালের দিকের রাস্তা। মুহুর্মুহু গুলি শুরু হয়েছে মেডিক্যালের রাস্তায়।
মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে এগিয়ে যাচ্ছে নজরুল। আশেপাশের গাছগুলোতে কাকগুলো ভয়ার্ত চিৎকার শুরু করেছে। আর্তশব্দে কয়েকটি কাক উড়ে গেল মাথার উপর দিয়ে। পাশের লোকটার কপালে এসে গুলি লাগলো। লুটিয়ে পড়লো। ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়ছে। গলগল করে রক্তে স্রোত নামছে। মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গেল। এখনো শক্ত হাতে ধরে আছে হ্যাণ্ড মাইক। পৃথিবীটা যেন কিছুক্ষণের জন্য দুলে উঠলো।
ঝিরঝির করে বাতাস বইছে। সাদা কালো মেঘ ভেসে এলো নজরুলের মাথার উপর। গুলির শব্দে ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে পুরো শহর। নজরুল সহ্য করতে পারছেনা। চাপা যন্ত্রণায় ছটফট করছে ভিতরটা। টলটল করছে চোখ।
হ্যাণ্ড মাইকটা শক্ত হাতে তুলে নিয়ে সামনের দিকে এগুচ্ছে। রাস্তার পাশে বুকে বেয়োনেট বেঁধা লাশ পড়ে আছে। আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে অসহায় আর্তচিৎকারে। বিষাদভরা কণ্ঠ বাঁজছে প্রকৃতির তন্ত্রে তন্ত্রে।বিশৃঙ্খলভাবে ছুটোছুটি করছে সবাই।
বুকের ভিতর যন্ত্রণা। ভেতরে কেউ যেন জ্বলন্ত শলাকা গেঁথে দিচ্ছে। চোখ জ্বালা করছে। হাতের মটি শক্ত। কণ্ঠে দীপ্ত প্রতিবাদ।
“রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।”
গুলির শব্দ। অদূরেই এক পুলিশ কন্সটেবলের রাইফেল তাক করা নজরুলে দিকে। বুকের বাম পাশটায় এস বিধঁলো। পাঁচটা গুলি। ভয়ার্ত কয়েকটি কাক উড়ে গেল গুলির শব্দে। খসে যাওয়া কয়েকটি পালক পড়লো রাইফেলের চিকচিক নলের উপর।
থমকে গিয়েছে সে। হাতের মুটি এখনো শক্ত। টলটল করছে চোখ। দুলতে দুলতে রাস্তার অদূরে এস পড়েছে। বুকফাঁটা আর্তনাদ করে লুটিয়ে পড়ল ছোট পুকুরটার পাশে।গায়ের ছেঁড়া চাদরটা রক্তে ভিজে গেছে। আস্তে আস্তে চোখ দুটো নিভে এল।
টলটলে পুকুরের পাশটা অজস্র ঘাসফুল ফুটে আছে। লাশটার চোখে মুখে ছেঁয়ে আছে ঘাসফুল। মাটি রক্তে ভেজা। নির্জন জায়গা। লাশের উপর কয়েকটা ক্ষুধার্ত শকুন ডানা মেলে উড়ছে। হিংস্র উজ্জল চোখ। সরল গাছের বুক ছুঁয়ে ছুঁয়ে শাঁ শাঁ বাতাস বইছে।
কেউ এলো না লাশটা নিতে। শুধু কয়েকটা বুনোহাসঁ লাশের উপর দিয়ে যাবার সময় অল্প সময়ের জন্য থমকে গিয়েছিল। সেই সময় বুনোহাসঁগুলোর কান্না পেয়েছিল কিনা! চোখ টলটল হয়ে এসেছিল কিনা! তা আর জানা গেল না।
©somewhere in net ltd.