নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক ফেরিওয়ালা ভাই,স্বপ্ন ফেরী করে বেড়াই...।হরেক রকম স্বপ্ন পাবে আশা কিংবা নিরাশার, জন্মভূমি মুক্ত করা কিংবা প্রিয় প্রেমিকার। আমার স্বপ্ন কিনতে হলে আস্ত পাগল হওয়া চাই........।

প্রশ্নবোধক (?)

NOTHING LIKE ANYTHING

প্রশ্নবোধক (?) › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাকালের কাব্যনামা: ভালবাসা নয় ভাল লাগা

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১১



বিখ্যাতদের দাম্পত্য জীবন -

চরিত্রহীন, লুইচ্চা, লম্পট এই শব্দগুলো শুধু পুরুষদের বেলায় প্রযোজ্য, নারীদের বেলায় না ৷ যেসব পুরুষ চরিত্রহীন হয়, তারা কার সাথে চরিত্র নষ্ট করে? নিশ্চয় পুরুষের সাথে না ৷ কোন না কোন নারীর সংস্পর্শেই তাদের চরিত্র নষ্ট হয় ৷ আর সেসব নারীদের আড়ালে রেখে আমাদের সমাজ সব দোষ চাপিয়ে দেয় পুরুষের উপরে ৷

নারীদের প্রতি আমাদের অপরিসীম শ্রদ্ধার কারনে, কোনো নারী চরিত্রহীন হতে পারে, কোনো নারীর মাঝে লাম্পট্য থাকতে এসব আমরা ভাবতেই পারি না ৷ পুরুষদের মানবিক দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে সমাজ পুরুষকে চিহ্নিত করেছে কামুক ধর্ষক হিসেবে, আর নারীকে দিয়েছে দেবীর আসন ৷

আজকে আমরা জানবো উপমহাদেশের এমন একজন দেবীর দাম্পত্য জীবন নিয়ে ৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর এই প্রিয় ছাত্রীকে ডাকতেন, "প্রিয়দর্শিনী" বলে ৷ কে জানত এই প্রিয়দর্শিনী রাজনৈতিক মাঠের সাথে সাথে পুরুষদের হ্যার্টও কাঁপাবেন সমান তালে ৷ প্রিয় পাঠক, বলছিলাম উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনৈতিক শ্রীমতি ইন্দিরা নেহেরুর কথা ৷ ইন্দিরা নেহেরু এবং ফিরোজ জাহাঙ্গীরের প্রেম এক সময় ঝড় তুলেছিলো উপমহাদেশে ৷

অনেকে ফিরোজ জাহাঙ্গীরকে মুসলমান মনে করে ভুল করেন, তিনি ছিলেন জরাস্থুষ্ট্রীয় ৷ এটি পারস্যের অতিপ্রাচীন একেশ্বরবাদী ধর্মীয় মতবাদ ৷ এরা সাধারণত অগ্নিপূজক হয় ৷ এই ধর্মাবলম্বীরা পারস্য বা ইরান থেকে ভারতবর্ষে এসেছিলো বলে, এদেরকে পার্সীও বলা হয় ৷ ভারতের ধনকুবের রতন টাটা, অভিনেতা বোমান ইরানি, জন আব্রাহাম সহ অনেকেই পার্সী সম্প্রদায়ের ৷

ফিরোজের বাবা আনন্দ ভবনে মদ সাপ্লাই করতেন ৷ ফলে নেহেরু পরিবারের সাথে ফিরোজের পরিবারের সখ্যতা গড়ে উঠে ৷ ১৯৩০ সালে ফিরোজ একবার ইন্দিরাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ৷ তখন জওহরলাল নেহেরু এবং কমলা নেহেরু ইন্দিরার বয়স কম বলে সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ৷

১৯৩৬ সালে ইন্দিরার মাতা কমলা নেহেরুর মৃত্যু হলে, জওহরলাল নেহেরু তাকে পড়ালেখার জন্য ইংল্যান্ডে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পাঠিয়ে দেন ৷ ফিরোজ তখন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্র ৷ সেখানে দু'জনের কাছে আসা এবং ভালোবাসা হয় ৷ ইংল্যান্ড থেকে ইন্দিরা তার বাবাকে প্রায় শ'খানেক চিঠি লেখেন ৷ যার প্রতিটিতে শুধু একটা কথাই থাকত, "বাবা, আমি ফিরোজকে ভালোবাসি ৷"

নেহেরু পরিবার ছিলো ব্রাক্ষ্মণ ৷ হিন্দু শাস্ত্রমতে, ব্রাক্ষ্মণ ব্যতীত অন্য যে কোন ধর্মের লোকই শূদ্র বা নিচু জাত ৷ নিচু জাতের সাথে ব্রাক্ষ্মণ সন্তানের বিয়ে হলে জাত যাবে ৷ ইন্দিরা-ফিরোজের প্রেম তখন রাষ্ট্র হয়ে গেছে ৷ "মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ নাই", রাজনৈতিক মঞ্চে এ কথাটি বলা যত সহজ; বাস্তবে তার প্রমাণ দেওয়া অনেক কঠিন ৷ জওহরলাল নেহেরু পড়ে গেলেন উভয় সংকটে; একদিকে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার, অন্যদিকে জাত ৷

উপায়অন্ত না দেখে নেহেরু মহাত্মা গান্ধীর দ্বারস্থ হলেন ৷ মহাত্মা গান্ধী ফিরোজ জাহাঙ্গীরকে নিজের পালকপুত্র এবং ইন্দিরা নেহেরুকে পুত্রবধূ হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন ৷ ফিরোজ জাহাঙ্গীর হয়ে গেলেন ফিরোজ গান্ধী, আর ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী নেহেরু হয়ে গেলেন ইন্দিরা গান্ধী ৷

১৯৪২ সালে তাদের বিয়েটা হয়েছিলো হিন্দু ধর্মানুসারে ৷ হিন্দু ধর্মমতে একজন মানুষ পৃথিবীতে সাত বার জন্ম গ্রহণ করে ৷ এক জন্ম থেকে আরেক জন্মের ব্যবধানকে জন্মান্তর বলে ৷ স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের সাত জনমের সঙ্গী এই বিশ্বাস থেকেই, বিয়েতে তারা অগ্নিস্বাক্ষী রেখে সাত পাক খায় ৷

ইন্দিরা-ফিরোজ জুটির প্রেম, ত্যাগ, সংগ্রাম আদর্শ হতে পারত ভারতবর্ষের প্রেমিক যুগলদের কাছে ৷ কিন্তু সে বিয়েটাও টিকলো না ৷ বিয়ের মাত্র আট বছরের মাথায় ১৯৫০ সালে দুই সন্তান রাজীব গান্ধী এবং সঞ্জয় গান্ধীকে নিয়ে ইন্দিরা চলে আসে পিতা নেহেরুর কাছে ৷ জন্ম জন্মান্তরের সঙ্গী বলে হিন্দু ধর্মে সাধারণত ডিভোর্সের প্রচলন নেই ৷ তাদেরও ডিভোর্স হয়নি, তবে ইন্দিরা আর ফিরে যায়নি ফিরোজের ঘরে ৷

কি ঘটেছিলো তাদের সংসার জীবনে?

ফিরোজ গান্ধীর সাথে সম্পর্কচ্ছেদের আগে ও পরে একাধিক প্রেমে মজেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী ৷ ফিরোজ গান্ধীর সাথে সম্পর্কের পূর্বে শান্তিনিকেতনে তিনি প্রেমে পড়েছিলেন এক জার্মান শিক্ষকের । ওই শিক্ষক তাকে জার্মান ভাষা শেখাতেন ।

ফিরোজ গান্ধীর সাথে সম্পর্ক থাকাকালেই মোহাম্মদ ইউনুস নামের আরো একজনের সাথে প্রেম ছিল ইন্দিরার । কে এন রাও তার "নেহেরু ডায়নাস্টি" বইতে লিখেছেন, ইন্দিরার ছোট ছেলে সঞ্জয় গান্ধী মূলত ইন্দিরা-ইউনুসের ছেলে । মোহাম্মদ ইউনুসের লেখা "পারসন, প্যাশন অ্যান্ড পলিটিক্স" বইতেও এর ইংগিত পাওয়া যায় ৷

বিষয়টি আরো পরিস্কার হয় সঞ্জয় গান্ধী নিহত হওয়ার মাধ্যমে ৷ ২৩ জুন ১৯৮০ সালে নয়া দিল্লির কাছে সাফদারজং এয়ার পোর্টের কাছে জরুরি অবতরণ করতে গিয়ে নিহত হন সঞ্জয় গান্ধী ৷ পরে জানা যায় বিমানে বোমা বা বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ছিল । যা মাঝ আকাশে বিস্ফোরিত হয় । ঘটনা স্থলেই মারা যান সঞ্জয় গান্ধী ৷ এই ঘটনার আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়ছিলো সঞ্চয়ের মমতাময়ী মা ইন্দিরা গান্ধী ৷ বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাজনীতিতে জেষ্ঠ্য পুত্র রাজীব গান্ধীর পথ পরিষ্কার করার জন্যই তিনি এ পথ বেছে নেন ৷

সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর তাকে কে মেরেছে, এটা বুঝতে বিন্দু মাত্র দেরি হয়নি সঞ্জয়ের স্ত্রী মেনকা গান্ধীর । জানা যায় কংগ্রেসের বিপরীতে তিনি নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু সফল হন নি । পরে এক সময় যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি তে । তার পুত্র বরুণ গান্ধী বর্তমানে উত্তর প্রদেশের বিজেপির পার্লামেন্ট সদস্য এবং নরেন্দ্র মোদীর খুব কাছের মানুষ । বরুনের মা মেনকা বিজেপির হর্তা কর্তা দের একজন । রাহুল গান্ধী এবং বরুণ গান্ধী দুই জন কাজিন । কিন্তু দুইজন দুই মেরুর মানুষ ।

ইন্দিরা গান্ধী ও তার বাবা নেহেরুর ব্যক্তিগত সহকারী এম এ মাথাই তার আত্মজীবনী ‘'রেমিনিসেন্স অব দ্য নেহরু এজ’' বইয়ে লিখেন, নিজের স্বামী ফিরোজ গান্ধীকে খুব একটা পছন্দ করতেন না ইন্দিরা । প্রায় ১২ বছরের বেশি সময় ইন্দিরার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল তার । অবাধ এই যৌন সম্পর্কের ফলে একবার ইন্দিরা গর্ভবতী হয়ে পড়েন । পরবর্তীতে ইন্দিরার গর্ভপাত ঘটানো হয় । একাধিক পুরুষের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত থাকার কারণে ইন্দিরার সঙ্গে মাথাই তার যৌন জীবনের সমাপ্তি টানেন বলে উল্লেখ করেন ৷

দুনিয়াটা একটা রঙ্গ মঞ্চ ৷ আমরা প্রত্যেকেই এ রঙ্গমঞ্চের অভিনেতা । অভিনয়ের মাধ্যমে সফলতার শীর্ষে আরোহন করে হয়ত দেবীর আসন লাভ করা যায়, কিন্তু মন থেকে সুখী হওয়া যায় কি? ইন্দিরা কি পেরেছিলেন মন থেকে সুখী হতে? স্বামী-সন্তান-সংসার সব কিছু তুচ্ছ করে ইন্দ্রিয় সুখের জন্য যারা একের পর এক পুরুষকে কাছে টানে, উত্তরটা তাদেরই ভালো জানা আছে৷বিখ্যাতদের দাম্পত্য জীবন -

চরিত্রহীন, লুইচ্চা, লম্পট এই শব্দগুলো শুধু পুরুষদের বেলায় প্রযোজ্য, নারীদের বেলায় না ৷ যেসব পুরুষ চরিত্রহীন হয়, তারা কার সাথে চরিত্র নষ্ট করে? নিশ্চয় পুরুষের সাথে না ৷ কোন না কোন নারীর সংস্পর্শেই তাদের চরিত্র নষ্ট হয় ৷ আর সেসব নারীদের আড়ালে রেখে আমাদের সমাজ সব দোষ চাপিয়ে দেয় পুরুষের উপরে ৷

নারীদের প্রতি আমাদের অপরিসীম শ্রদ্ধার কারনে, কোনো নারী চরিত্রহীন হতে পারে, কোনো নারীর মাঝে লাম্পট্য থাকতে এসব আমরা ভাবতেই পারি না ৷ পুরুষদের মানবিক দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে সমাজ পুরুষকে চিহ্নিত করেছে কামুক ধর্ষক হিসেবে, আর নারীকে দিয়েছে দেবীর আসন ৷

আজকে আমরা জানবো উপমহাদেশের এমন একজন দেবীর দাম্পত্য জীবন নিয়ে ৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর এই প্রিয় ছাত্রীকে ডাকতেন, "প্রিয়দর্শিনী" বলে ৷ কে জানত এই প্রিয়দর্শিনী রাজনৈতিক মাঠের সাথে সাথে পুরুষদের হ্যার্টও কাঁপাবেন সমান তালে ৷ প্রিয় পাঠক, বলছিলাম উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনৈতিক শ্রীমতি ইন্দিরা নেহেরুর কথা ৷ ইন্দিরা নেহেরু এবং ফিরোজ জাহাঙ্গীরের প্রেম এক সময় ঝড় তুলেছিলো উপমহাদেশে ৷

অনেকে ফিরোজ জাহাঙ্গীরকে মুসলমান মনে করে ভুল করেন, তিনি ছিলেন জরাস্থুষ্ট্রীয় ৷ এটি পারস্যের অতিপ্রাচীন একেশ্বরবাদী ধর্মীয় মতবাদ ৷ এরা সাধারণত অগ্নিপূজক হয় ৷ এই ধর্মাবলম্বীরা পারস্য বা ইরান থেকে ভারতবর্ষে এসেছিলো বলে, এদেরকে পার্সীও বলা হয় ৷ ভারতের ধনকুবের রতন টাটা, অভিনেতা বোমান ইরানি, জন আব্রাহাম সহ অনেকেই পার্সী সম্প্রদায়ের ৷

ফিরোজের বাবা আনন্দ ভবনে মদ সাপ্লাই করতেন ৷ ফলে নেহেরু পরিবারের সাথে ফিরোজের পরিবারের সখ্যতা গড়ে উঠে ৷ ১৯৩০ সালে ফিরোজ একবার ইন্দিরাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ৷ তখন জওহরলাল নেহেরু এবং কমলা নেহেরু ইন্দিরার বয়স কম বলে সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ৷

১৯৩৬ সালে ইন্দিরার মাতা কমলা নেহেরুর মৃত্যু হলে, জওহরলাল নেহেরু তাকে পড়ালেখার জন্য ইংল্যান্ডে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পাঠিয়ে দেন ৷ ফিরোজ তখন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্র ৷ সেখানে দু'জনের কাছে আসা এবং ভালোবাসা হয় ৷ ইংল্যান্ড থেকে ইন্দিরা তার বাবাকে প্রায় শ'খানেক চিঠি লেখেন ৷ যার প্রতিটিতে শুধু একটা কথাই থাকত, "বাবা, আমি ফিরোজকে ভালোবাসি ৷"

নেহেরু পরিবার ছিলো ব্রাক্ষ্মণ ৷ হিন্দু শাস্ত্রমতে, ব্রাক্ষ্মণ ব্যতীত অন্য যে কোন ধর্মের লোকই শূদ্র বা নিচু জাত ৷ নিচু জাতের সাথে ব্রাক্ষ্মণ সন্তানের বিয়ে হলে জাত যাবে ৷ ইন্দিরা-ফিরোজের প্রেম তখন রাষ্ট্র হয়ে গেছে ৷ "মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ নাই", রাজনৈতিক মঞ্চে এ কথাটি বলা যত সহজ; বাস্তবে তার প্রমাণ দেওয়া অনেক কঠিন ৷ জওহরলাল নেহেরু পড়ে গেলেন উভয় সংকটে; একদিকে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার, অন্যদিকে জাত ৷

উপায়অন্ত না দেখে নেহেরু মহাত্মা গান্ধীর দ্বারস্থ হলেন ৷ মহাত্মা গান্ধী ফিরোজ জাহাঙ্গীরকে নিজের পালকপুত্র এবং ইন্দিরা নেহেরুকে পুত্রবধূ হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন ৷ ফিরোজ জাহাঙ্গীর হয়ে গেলেন ফিরোজ গান্ধী, আর ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী নেহেরু হয়ে গেলেন ইন্দিরা গান্ধী ৷

১৯৪২ সালে তাদের বিয়েটা হয়েছিলো হিন্দু ধর্মানুসারে ৷ হিন্দু ধর্মমতে একজন মানুষ পৃথিবীতে সাত বার জন্ম গ্রহণ করে ৷ এক জন্ম থেকে আরেক জন্মের ব্যবধানকে জন্মান্তর বলে ৷ স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের সাত জনমের সঙ্গী এই বিশ্বাস থেকেই, বিয়েতে তারা অগ্নিস্বাক্ষী রেখে সাত পাক খায় ৷

ইন্দিরা-ফিরোজ জুটির প্রেম, ত্যাগ, সংগ্রাম আদর্শ হতে পারত ভারতবর্ষের প্রেমিক যুগলদের কাছে ৷ কিন্তু সে বিয়েটাও টিকলো না ৷ বিয়ের মাত্র আট বছরের মাথায় ১৯৫০ সালে দুই সন্তান রাজীব গান্ধী এবং সঞ্জয় গান্ধীকে নিয়ে ইন্দিরা চলে আসে পিতা নেহেরুর কাছে ৷ জন্ম জন্মান্তরের সঙ্গী বলে হিন্দু ধর্মে সাধারণত ডিভোর্সের প্রচলন নেই ৷ তাদেরও ডিভোর্স হয়নি, তবে ইন্দিরা আর ফিরে যায়নি ফিরোজের ঘরে ৷

কি ঘটেছিলো তাদের সংসার জীবনে?

ফিরোজ গান্ধীর সাথে সম্পর্কচ্ছেদের আগে ও পরে একাধিক প্রেমে মজেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী ৷ ফিরোজ গান্ধীর সাথে সম্পর্কের পূর্বে শান্তিনিকেতনে তিনি প্রেমে পড়েছিলেন এক জার্মান শিক্ষকের । ওই শিক্ষক তাকে জার্মান ভাষা শেখাতেন ।

ফিরোজ গান্ধীর সাথে সম্পর্ক থাকাকালেই মোহাম্মদ ইউনুস নামের আরো একজনের সাথে প্রেম ছিল ইন্দিরার । কে এন রাও তার "নেহেরু ডায়নাস্টি" বইতে লিখেছেন, ইন্দিরার ছোট ছেলে সঞ্জয় গান্ধী মূলত ইন্দিরা-ইউনুসের ছেলে । মোহাম্মদ ইউনুসের লেখা "পারসন, প্যাশন অ্যান্ড পলিটিক্স" বইতেও এর ইংগিত পাওয়া যায় ৷

বিষয়টি আরো পরিস্কার হয় সঞ্জয় গান্ধী নিহত হওয়ার মাধ্যমে ৷ ২৩ জুন ১৯৮০ সালে নয়া দিল্লির কাছে সাফদারজং এয়ার পোর্টের কাছে জরুরি অবতরণ করতে গিয়ে নিহত হন সঞ্জয় গান্ধী ৷ পরে জানা যায় বিমানে বোমা বা বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ছিল । যা মাঝ আকাশে বিস্ফোরিত হয় । ঘটনা স্থলেই মারা যান সঞ্জয় গান্ধী ৷ এই ঘটনার আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়ছিলো সঞ্চয়ের মমতাময়ী মা ইন্দিরা গান্ধী ৷ বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাজনীতিতে জেষ্ঠ্য পুত্র রাজীব গান্ধীর পথ পরিষ্কার করার জন্যই তিনি এ পথ বেছে নেন ৷

সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর তাকে কে মেরেছে, এটা বুঝতে বিন্দু মাত্র দেরি হয়নি সঞ্জয়ের স্ত্রী মেনকা গান্ধীর । জানা যায় কংগ্রেসের বিপরীতে তিনি নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু সফল হন নি । পরে এক সময় যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি তে । তার পুত্র বরুণ গান্ধী বর্তমানে উত্তর প্রদেশের বিজেপির পার্লামেন্ট সদস্য এবং নরেন্দ্র মোদীর খুব কাছের মানুষ । বরুনের মা মেনকা বিজেপির হর্তা কর্তা দের একজন । রাহুল গান্ধী এবং বরুণ গান্ধী দুই জন কাজিন । কিন্তু দুইজন দুই মেরুর মানুষ ।

ইন্দিরা গান্ধী ও তার বাবা নেহেরুর ব্যক্তিগত সহকারী এম এ মাথাই তার আত্মজীবনী ‘'রেমিনিসেন্স অব দ্য নেহরু এজ’' বইয়ে লিখেন, নিজের স্বামী ফিরোজ গান্ধীকে খুব একটা পছন্দ করতেন না ইন্দিরা । প্রায় ১২ বছরের বেশি সময় ইন্দিরার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল তার । অবাধ এই যৌন সম্পর্কের ফলে একবার ইন্দিরা গর্ভবতী হয়ে পড়েন । পরবর্তীতে ইন্দিরার গর্ভপাত ঘটানো হয় । একাধিক পুরুষের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত থাকার কারণে ইন্দিরার সঙ্গে মাথাই তার যৌন জীবনের সমাপ্তি টানেন বলে উল্লেখ করেন ৷

দুনিয়াটা একটা রঙ্গ মঞ্চ ৷ আমরা প্রত্যেকেই এ রঙ্গমঞ্চের অভিনেতা । অভিনয়ের মাধ্যমে সফলতার শীর্ষে আরোহন করে হয়ত দেবীর আসন লাভ করা যায়, কিন্তু মন থেকে সুখী হওয়া যায় কি? ইন্দিরা কি পেরেছিলেন মন থেকে সুখী হতে? স্বামী-সন্তান-সংসার সব কিছু তুচ্ছ করে ইন্দ্রিয় সুখের জন্য যারা একের পর এক পুরুষকে কাছে টানে, উত্তরটা তাদেরই ভালো জানা আছে৷

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: দুনিয়াডা আসলেই রঙ্গ মঞ্চ!

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: লাইফ ইজ এ্যান ওয়ার, এনিথিং ক্যান হ্যাপেন।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


২য় পুত্রের বাবা অন্য কেহ ছিলো, এটা জানা ছিলো না

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সন্জয় ইন্দিরা গান্ধীর সুনামের অনেক ক্ষতি করে্ছিলো

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: না কি স্বরুপ উন্মোচন করে দিয়েছিল???

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: হুমমমম

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
খুব উপভোগ্য।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আপনিও ভোগ করলেন। =p~

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: দুনিয়াডা আসলেই রঙ্গ মঞ্চ! - স হ ম ত

৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৬

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ভালো লেগেছে।
ভালবাসা ও ভালো লাগা নিয়ে পোষ্ট চাই....

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১২

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: গল্প নয়, জীবন থাকবে। সাথে থাকুন। কমেন্ট-এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

ওয়াহেদ সবুজ বলেছেন: ধন্যবাদ জানাতে চাই!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২১

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: অলওয়েজ ওয়েলকাম।

৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




অনেক কিছুই জানলাম ।

ধন্যবাদ

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৭

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: সাথে থাকুন। গল্প নয়, জীবন পাবেন।

১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: নাও দ্যাটস কল স্টোরি !!! পড়েও মজা, কমেন্ট করেও মজা। কি সব “ছাই, বাংলা সাবান” কমেন্ট করেন ? গল্পে +++

১১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩৭

নাহিদ০৯ বলেছেন: ইন্দিরা গান্ধী এর মুটামুটি দেশী ভার্সন আমাদের দেশে’র মিতু রা। বহুগামিতা সত্যি অনেক অমঙ্গল ডেকে আনে। তার মধ্যে অন্যতম হলো বহুগামীদের ছেলে মেয়েরা অবহেলায় মানুষ হয় (চাঁদগাজী থেকে শোনা)। এই বহুগামিতা নিজের সাথে সাথে কিছু সুস্থ মানুষের জীবনকেও অসুস্থ করে ফেলে যায়।

০৯ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:২৮

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: কাপড় খোলাকে যদি আধুনিকতা বলা হয়, নারী স্বাধীনতা বলা হয়- তাহলে আমার কি বলার আছে বলুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.