নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাযাবর মন: একজন সাদাসিধা মানুষ

বাংলা ভাষায় ঈ, ঊ, ূ, ী, ণ, ষ এর মত নিয়ম সর্বস্ব বর্ণগুলোর পৃথক কোন ব্যবহারিক ধ্বনি নাই

মন যাযাবর

খুবই সাধারণ, একটু আবেগপ্রবন, স্সানবিশেষে খানিকটা গোয়ারর্তুমিও আছে

মন যাযাবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

যদি কর্তৃপক্ষ থাবা_বাবা'র লেখাগুলো মুছে দিয়ে থাকেন তবে বলতে হয় - হত্যাকারীরা রাজিবকে হত্যা করেছে শারিরিকভাবে; আর সামহোয়্যারইনব্লগ রাজিবকে হত্যা করেছে আদর্শিকভাবে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

অনুগ্রহ পূর্বক আহমেদ রাজিব হায়দারের প্রতি কোন প্রকার প্রতারণামূলক কাজ করবেন না বা, ব্লগ-কর্তৃপক্ষগুলো যেন নিজেরাই নিজেদের হিপোক্রিট না বানান এবং রাজিবকেও হিপোক্রিট হিসেবে পরিচিত না করান।



আদর্শের জন্য জীবন দেয়া নতুন কিছু নয়। যুগে যুগে অগণিত বিব্লবী তাদের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য জীবন দিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতারই অংশ হচ্ছে আহমেদ রাজিব হায়দারের মৃত্যু। আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর আদর্শের মানুষ নই। তাই বলে আমার বিপরিত আদর্শের কাউকে তার আদর্শের জন্য মৃত্যুবরণ করতে হবে সেটা কখনোই, কোনভাবে কল্পনা করতে পারি ন। একমাত্র পূর্বঘোষিত যুদ্ধ ছাড়া সকল হত্যাই হত্যা এবং হত্যাকারী যে কোন বিচারেই ঘৃণ্য। তাই রাজিবকে যেই হত্যা করুক বা যে কারনেই হত্যা করুক সেটা পাপের কাজ এবং সে পাপি।



কেউ যদি বলে রাজিবকে ইসলামবিরোধিতার কারনে হত্যা করা হয়েছে; তবে এই হত্যাও একটা চরম অনৈসলামিক কাজ। এই হত্যাকারী ইললামের নাম নিয়েই ইসলামের ক্ষতি করছে। সেই হিসেবে হত্যাকারী বা তার পরিকল্পনাকরী সবাই মুনাফেকী পাপে পাপি। আর ইসলামের বিচারে মুনাফেকের অবস্থান একজন নাস্তিক বা কাফেরের অবস্থানেরও নিচে ও ঘৃণ্য। তাই যেকোন বিচারেই আমি রাজিব হত্যার তীব্র বিরোধিতা করছি এবং হত্যাকারীর প্রতি আমি আমার চরম ঘৃণা প্রদর্শন করছি।



কিন্তু রাজিবের সহযোগী যারা আছেন তারাও কি রাজিবের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে পারছেন? একজন বিব্লবী যখন মৃত্যুবরণ করেন তখন তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে তার সকল কাজকে জীবিত ও সচল রাখা। তার পরিবর্তে যদি তার লেখাগুলোকে মুছে ফেলা হয় বা গোপন করা হয়, তবে সেটা হবে তাকে আদর্শিকভাবে হত্যা করা। অথবা বিপ্লবী জীবিত থাকাবস্থায় যে আদর্শ লালন করতেন, তার মৃত্যুর পর তার আদর্শের বিপরিত উপায়ে তাকে সম্মান দেখানো হয় তবে সেটাও হবে তার প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শন করা।



ব্যাপারটা অনেকটা এরকম - হে রাজিব যে প্রথা বা আচরন বা সামাজিকতা বা যে ধর্মিয় আচারকে তুমি সর্বোচ্চভাবে ঘৃণা বা পরিত্যাগ করতে সেই ধর্মিয় আচারেই তোমাকে আমরা সম্মান দেখালাম। কারন তুমি তো মৃত, তাই তোমাকে নিয়ে আমরা যা ইচ্ছা তা করতে পারি।



আজ রাজিব যদি বেঁচে থাকতেন তো তার সহযোগীরা তাকে যে ধর্মীয় আচারে সম্মান দেখালেন সেটা দেখলে তিনি নিজেই পুনর্বার আত্বহত্যা করতেন।



আরেকটি কথা, আমি আহমেদ রাজিব হায়দারের [থাবা_বাবা] কোন লেখা আগে পড়িনি। তাই সামহোয়্যার ইন ব্লগে তার লিংকে গিয়ে দেখলাম - সেখানে সবচেয়ে শেষ লেখাটি হচ্ছে অক্টোবর ২০১০ এ লেখা। এরকম একজন ব্লগারের গত আড়াই - তিন বছরে কোন লেখা প্রকাশ করেননি - এটা কেন যেন বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।



আর যদি কর্তৃপক্ষ থাবা_বাবা'র লেখাগুলো মুছে দিয়ে থাকেন তবে বলতে হয় - হত্যাকারীরা রাজিবকে হত্যা করেছে শারিরিকভাবে; আর সামহোয়্যারইনব্লগ রাজিবকে হত্যা করেছে আদর্শিকভাবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

মুক্ত আকাশ বলেছেন: সব হল রাজনিতি...

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

পথিকের ডায়েরীর পাতা বলেছেন: থাবা ১৫ দিন আগেও ধর্মকারীতে একটিভ ছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.