![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই সমাজ পচা গলা এই সমাজ ভাঙতে হবে। ভাঙতে গেলে লড়াই হবে। সেই লড়াই এ জিততে হবে।সমাজের প্রত্যেকটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য আমার উপর ও সে দায় পরে।
হেফাজতে ইসলাম নামের ধর্মীয় এই সংগঠন টি তিন বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হলেও, এই এক মাসে তাদের কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে, এই সংগঠনের সাথে জরিত আছে বাংলাদেশের প্রায় সকল কাওমি মাদ্রাসার ছাত্র এবং শিক্ষক,এই সংগঠনের নেতা হল আল্লামা শফি,এই কয়েক দিনের মধ্যে তাদের চাওয়া পাওয়া কি এখন তা স্পষ্ট,ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তারা মিছিল মিটিং করে ৬ এপ্রিল ঢাকায় লং মার্চের ঘোষণা দেই,এই লং মার্চে বাংলাদেশের অন্যান্য ইসলামি দল গুলু কেও সমর্থন জানিয়েছেন,কেও আবার বলছেন লং মার্চের এই তত্ত্ব একজন কমিওনিস্টের,এই বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন,লং মার্চ কে নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা ছিল,শেষ পর্যন্ত তাদের মঞ্চে বিভিন্ন দলের নেতারা গিয়ে,একুশে টিভির সাংবাদিককে শারীরিক নির্যাতন করে,রমনা পার্কের ওয়াল ভেঙ্গে শাহবাগে যাওয়ার চেষ্টা করে,তাদের এই মহৎ উদ্দেশ্য কে প্রশ্ন বিদ্ধ করেছে,
অবশেষে তাদের লং মার্চ শেষ করে ১৩ দফা দাবী উত্থাপন করে গেল,
কি ছিল সেই ১৩ দফায়?
১. সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল করা।
২. আল্লাহ্, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস।
৩. কথিত শাহবাগি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।
৪. ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
৫. ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।
৬. সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
৭. মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।
৮. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করা।
৯. রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা।
১০. পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিষ্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
১১. রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করা।
১২. সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দানসহ তাঁদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করা।
১৩. অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদ্রাসাছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
উপরের দাবী গুলু একটি প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী সংগঠন করতেই পারে, যে কোন সময়, কিন্তু এখন প্রশ্ন হল এই সময় এসে কেন এইসব দাবীর বাস্তবায়ন দরকার হল?
তাদের ১ নাম্বার দাবী তে আছে,
সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল করা। এই দাবীটা করলে তারা আরও দুই বছর আগে করতে পারত কিন্তু তখন না করে এখন উত্তপ্ত সময়ে এসে দাবী করার পেছনে অন্য কিছু আছে।
দুই নাম্বারে বলছে ব্লাসফেমির কথা, এই আইন বাংলাদেশে প্রথম সংসদে এনেছিল নিজামী,
৩ নাম্বারে বলছে আসল দাবীর কথা তারা যত কিছুই বলুক না কেন তাদের চোখ কিন্তু শাহবাগের দিকে,শাহবাগে আন্দোলন শুরু হওয়ার পরে ব্লগার রাজীব মারা যাওয়ার পর আমারদেশ পত্রিকা তার নামে দিয়ে অনেক কুৎসিত লেখা চাপানোর পরে সজাগ হল গুমন্ত তৌহিদি জনতা ইসলাম গেলো, তাই এখন দরকার হেফাজতের তাই প্রস্তুত "হেফাজতে ইসলাম" শুরু হল আমারদেশে আর সংগ্রামে তাদের 'খোলা চিঠি'।
তারা ৬ নাম্বারে বলেছে, সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করা। এখানে প্রশ্ন হল কে মুসলিম আর কে অমুসলিম এটা কে নির্ধারণ করবে কি সরকার ? তারা তো বলেছে এই সরকার একটা নাস্তিক সরকার তাহলে কিভাবে তারা এই মহৎ কাজ টা করতে পারবে?
তাদের ৭ নাম্বার দাবী টায় বুজা যায় তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা কে একটুও মূল্য দেই না, কিন্তু অনেক ইসলামি দেশে এমন ভাস্কর্য আছে, তারা যেটাকে বলে মূর্তি।
তাদের ৯ নাম্বার দাবীতে আর বুজতে বাকি নাই এই দাবী টা কেবল জামাতের, কারন নাটক চিনেমায় শুধু ৭১ যারা রাজাকারের ভূমিকায় ছিল তাদের কে ব্যবহার করেছে, এটাতো সত্যি তারা টুপি মাথায় দিয়ে সব করেছে।
১১ , ১২, ১৩ নাম্বারে তারা কার কথা বলেছল তারাই ভালো করে জানে,
প্রশ্ন............।
১. তাদের প্রত্যেক নেতার বক্তব্যে প্রায় একই কথা পুঁটে উঠেছে,যে, এই সরকার নাস্তিকদের দালালি করে, তৌহিদি জনতার সাথে প্রতারনা করে কেও খমতায় থাকতে পারবে না, তাহলে কে পারবে?
২. লং মার্চের আগে যখন তারা বক্তব্য দিত তখনও একই কথা যদি এই লং মার্চে বাঁধা দেওয়া হয় তাহলে সারা দেশে আগুন জ্বলবে, তাহলে তারা জানত যে সরকার বাঁধা দিবে?
৩. চট্টগ্রাম থেকে ১ হাজার গাড়ি ভাড়া করেছিল সােড় ৩ কোটি টাকা এতো টাকার উৎস কোথায়?
৪. তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাঁধা প্রদান করায় তারা ৮ তারিখ হরতাল ডাকল বলেছিল কোন ঘারি ভাংচুর হবে না ঘটল তার উলটো , এখন মিথ্যাবাদী বলা যায় কিনা?
৫. মাহমুদুর রহমানকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে, কারন সে তাদের কে সকল সত্য কথা পত্রিকার মাধ্যমে দিয়েছে, কাবাঘরের ইমাম দের নিয়ে যে খবর প্রচার করেছিল তাও কি সত্য?
৬. হেফাজতের লং মার্চের সময় জামাতের কোন তৎপরতা চোখে পরে না কেন? কিন্তু লং মার্চ শেষ হওয়ার পর আবার শুরু এতে কি ভুজা যায়?
৭. তারা দাবী করে তাদের সাথে জামাতের সাথে কোন সম্পর্ক নাই, বরং কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্ক আছে, তাহলে তাদের খোলা চিঠি একটি মাত্র পত্রিকায় প্রকাশ হল সেটি হল জামাতের মুখপাত্র সংগ্রাম পত্রিকায়, দেশে আর কোন বিখ্যাত পত্রিকা নাই?
৮. বিগত কয়েক দিনে সঙ্খালগুদের শত শত বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিল তার বিরুদ্ধে কোন কথা নাই, তার মানে তারা এসব কে সমর্থন করে?
৯. বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেইটে যারা জায়নামাজ পোড়ালও তার বিরুদ্ধে কোনও কথা বলল না কেন?
১০. আসলে তাদের শক্তির উৎস টা কোথায় তাদের বক্তব্যে বুজা যায় তারা মনে হয় দেশের বিরোধী দল?
সেই প্রশ্ন আবার করা দরকার আসলে তারা কি চায়?
©somewhere in net ltd.