![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই সমাজ পচা গলা এই সমাজ ভাঙতে হবে। ভাঙতে গেলে লড়াই হবে। সেই লড়াই এ জিততে হবে।সমাজের প্রত্যেকটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য আমার উপর ও সে দায় পরে।
কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের চিত্রঃ
১. ১৯৯০ সালে মিরপুরের সারিকা গার্মেন্টসে ২৭ জন নিহত
২. ১৯৯৫ সালে লুকাস আপারেলস(ইব্রাহিম্পুর) ১০ জন নিহত
৩. ১৯৯৬ পল্লবীতে সান্তেক্স গার্মেন্টসে ১৪ জন নিহত
৪. ১৯৯৬ ঢাকার তাহিদুল ফ্যাশনে ১৪ জন নিহত
৫. ১৯৯৭ মিরপুরে রহমান অ্যান্ড রহমান ২২ জন নিহত
৬. ১৯৯৭ তামান্না গার্মেন্টস মিরপুরে ২৭ জন নিহত
৭. ২০০০ বনানীতে গ্লোব নিটিং ফ্যাশনে ১২ জন নিহত
৮. ২০০০ নরসিংদীতে চৌধুরি নিটুয়ার লি। ৫৩ জন নিহিত
৯. ২০০১ ঢাকার কাফরুলে ৬৬ জন নিহিত
১০. ২০০১ মিরপুরে মাইক সুয়েটারে ২৪ জন নিহিত
১১. ২০০৫ সান নিটিং নারায়ণগঞ্জে ২৬ জন নিহিত
১২. ২০০৬ কে টি এস এপারেল চট্টগ্রাম ৬৫ জন নিহিত
১৩. ২০০৮ ফকির গার্মেন্টসে নারায়ণগঞ্জ কয়েক জন নিহিত
১৪. ২০১০ গরীব অ্যান্ড গরীব গাজীপুরে ৩৬ জন নিহিত
১৫. ২০১০ হা- মীম গ্রুপে ৩১ জন নিহিত
১৬. ২০১২ তাজরিনে ১১১ জন নিহত
১৭. ২০১৩ সাভারে রানা প্লাজায় .......নিহিত
১৮. ২০০২ ২০০৫ সালে বিল্ডিং দসে কয়েক শ শ্রমিক নিহিত হয়।
*এই তথ্যের বাইরে আরও ঘটনা থাকতে পারে
পুরনো লাশের গন্ধ এখনও শেষ হয়নি, পুরনো লাশের জায়গা আমরা দিতে পারি নাই, এখন আবার নতুন লাশ দেখি, পুরনো চবিতে, এত লাশ রাখবো কোথায়? লাশের সংখ্যা কত?
লাশের সংখ্যা ঠিক এই মুহূর্তে আমি বলতে পারছি না, কারন লাশের মিছিল এখনও বন্ধ হয় না, বন্ধ হবে কি? হলে কত দিনের জন্য হবে? এই ত কয়েক মাস আগে আশুলিয়া এবং মহাম্মদপুরের লাশের মিছিল দেখলাম, এখন আবার সাভার তারপর? এই উত্তর আমার জানা নাই, কিন্তু হবে! আমাদের দেশের অর্থনীতির চালায় তিনটি পেশার মানুষ, পোশাক শ্রমিক, প্রবাসী, কৃষক, পোশাক শ্রমিকরা কয়েক দিন পর পর আগুনে পুরে, বা বিল্ডিং ধসে বা দাবী আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে লাশ হয়ে যায়, প্রবাসীরা হারভাঙ্গা কষ্ট করে যে দেশের জন্য অর্থ উপার্জন করে, আবার সেই দেশের ভ্রান্ত নিতীর কারনে কয়েক দিন পর পর লাশ হয়ে পিরে আসে, আর কৃষক রোদে পুরে বৃষ্টিতে ভিজে ফসল ফলায় ঋণ করে টাকা সুধে এনে, আবার সেই কৃষক যখন বাজারে তার ফসল বিক্রি করতে যায় তখন তার খরচের চেয়ে দাম কম পরে, এই আমাদের রাষ্ট্র চরিত্র, যাদের উপর দাড়িয়ে আছে আমাদের রাজনীতি , আর তাদের নিয়ে মৃত্যু নিয়ে আমরা এখন ঘৃণ্য রাজনীতি করি । এমন সব্য দেশ আর পৃথিবীতে আছে কিনা আজ আমার সন্দেহ হয়। আজ আমার সন্দেহ হয় আমি কি এই দেশের মানুষ, যে দেশে মানুষ মানুষ কে অত্যাচার করে, নির্যাতন করে, এমন কি মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। আমি এই দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমার অবিজ্ঞতায় বলতে চাই, এই পর্যন্ত যত মানুসের মৃত্যু হয়েছে , তার প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ভাবে দিয়েছে, কেও বলে ভাগ্য, কেও বলে দুর্ঘটনা, কেও বলে অপ্রত্যাশিত ঘটনা, কিন্তু আমি বলব এগুলো পরিকল্পিত গণহত্যা।
কেন বলব পরিকল্পিত হত্যা কাণ্ড?
তাজরিন গার্মেন্টস এ আগুন লাগার পর সেই ভবনের গেইট বন্ধ করা হয়েছিল, কারন তারা মনে করেছিল শ্রমিকরা তারাতারি বেরহয়ার সময় যদি কিছু নিয়ে বের হয় তাই , তাদের কে নিছে নামতে দেয় না এটাকে কে দুর্ঘটনা বলা যায়? যদি প্রথমেই সবাই কে নামার সময়দিত তাহলে একটি প্রান ও সেদিন যেত না। হয়ত কয়েকজন সেদিন আহত হত।
রানা প্লাজায় হত্যাকাণ্ডের চিত্র দেখে মনে হয় দেশে জনসংখ্যা বেড়ে গেছে তাই কিচু মানুষ কমাতে হবে, তা না হলে আগের দিন ওই ভবনে ফাটল দেখা গেল, এটা ত রেড সিগনাল তারপরও সতর্ক না হয়ে , কনও প্রকৌশলী কে না দেখিয়ে, কনও পরীক্ষা না করিয়ে কেন এর পরের দিন শ্রমিকদের কাজে আস্তে বলা হল। যাদের আদেশে সেই দিন কাজে যোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছিল , তারাই এই গণহত্যা কারী তাদের খুনের মামলায় সরবচ্চো শাস্তি হতে হবে, তা না হলে এভাবে প্রশ্রয় পেতে পেতে তাদের কাচে এখন পরিস্কার হয়েগেচে যে, এসব ঘটনা ঘটলে কোনও মামলা হয় না বিচার হয় না।
এভাবে আর কতদিন চলবে এই মুহূর্তে আমরা এর অবসান চাই,
শ্রমিক হত্যা থামাও এখনই!!!!!!!!!!!!!!!
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩১
রাজনীতি বিশ্লেষণ বলেছেন: বন্ধ করতে হবে।
২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:২৫
সুফিয়া বলেছেন: খেটে খাওয়া মানুষদের এভাবে লাশ হওয়া ঠেকাতে হবে। যে যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করতে হবে।
আপনার পোস্টটা তথ্যবহুল। তাই প্রিয়তে রাখলাম।
ধন্যবাদ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
রাজনীতি বিশ্লেষণ বলেছেন: ধন্যবাদ,
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৪
আব্দুল্লাহ নাটোর বলেছেন: এই লাশের মিছিল বন্ধ হবে না।