নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইরানে মার্কিন হামলা: আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন

২২ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:৪৫

ইরানে মার্কিন হামলা: আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন

এআইয়ের সহায়তায় তৈরি।

যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইনকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে ন্যাকারজনক হামলা চালিয়েছে—এটি বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি মারাত্মক হুমকি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি, "এভাবে চলতে দেওয়া হবে না, হয় শান্তি নয়তো ইরানের জন্য ট্র্যাজেডি," মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেই পুরনো আগ্রাসী ও আধিপত্যবাদী নীতিকেই সামনে নিয়ে এসেছে। কিন্তু ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের এই "শান্তি প্রতিষ্ঠার" নামে যুদ্ধ ও হস্তক্ষেপের ফলাফল সবসময়ই ধ্বংস, অস্থিরতা ও মানবিক বিপর্যয়ের দরজা খুলে দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশে "শান্তি আনার" দাবি করে সামরিক হস্তক্ষেপ করেছে, সেসব দেশ আজ সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভিয়েতনাম থেকে ইরাক, আফগানিস্তান থেকে সিরিয়া, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, বসনিয়া, সোমালিয়া ও লিবিয়া—প্রতিটি ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের পরিণতি হয়েছে ভয়াবহ। ইরাকে লক্ষাধিক নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু, আফগানিস্তানে দুই দশকের যুদ্ধের পর তালেবানের বিজয়, সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া শহরগুলো, ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন, ইয়েমেনে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট, লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধ ও অরাজকতা—এগুলো কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন ও হস্তক্ষেপের সরাসরি ফলাফল।

পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের "সভ্য" বলে দাবি করলেও তাদের কর্মকাণ্ড প্রকৃত সভ্যতার বিপরীত। সত্যিকারের সভ্যতা কি শুধুই প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, নাকি তা ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে গড়ে ওঠে? যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বারবার আন্তর্জাতিক আইনকে পদদলিত করে অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে, নিরপরাধ মানুষের জীবন ধ্বংস করছে। তাদের এই নীতির বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে জোরালোভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ইরান শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ষড়যন্ত্র ও আগ্রাসন মোকাবিলা করে টিকে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি ইরানের সংকল্পকে ভাঙতে পারবে না। ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ ও হস্তক্ষেপ শুধু ধ্বংসই নিয়ে এসেছে, কখনো শান্তি নয়। বিশ্ববাসীর উচিত এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং আন্তর্জাতিক আইন, ন্যায়বিচার ও প্রকৃত শান্তির পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া। কারণ, প্রকৃত সভ্যতা শান্তি ও ন্যায়ের পথে চলা—এবং সেই পথে হাঁটতে যুক্তরাষ্ট্রের এখনো অনেক শেখার বাকি।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:৫৬

লুধুয়া বলেছেন: মোল্লা দের এতো চুলকানি কেনো হলো পারমাণবিক বোম বানানোর জন্য । এখন বোঝো ঠেলা।

২| ২২ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:১৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: লুধুয়া@ "উত্তর কোরিয়া মোল্লা নয়, তাহলে তারা কেন পারমাণবিক বোমা বানায় ও পরীক্ষা করে?"

৩| ২২ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:১৮

Sulaiman hossain বলেছেন: যু্ক্তরাষ্ট্র মানুষ হবে বলে মনে হয়না।ওদেরকে শায়েস্তা করার জন্য বিশ্ববাসবকে একত্রিত হওয়া দরকার,জাতিসংঘ,আন্তর্জাতিক আদালত সব ওদের দখলে,ওদেরই বানানো,পূরনো জাতিসংঘ বাদ দিয়ে এখন নতুন জাতিসংঘ,এবং নতু আন্তর্জাতিক আইন আদালত বানাতে হবে।পরবর্তী প্রজন্ম যেন ধ্বংসের মধ্যে না পড়ে এজন্য মুসলমানদের এখনই কিছু করা উচিত।

৪| ২২ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩১

ঊণকৌটী বলেছেন: পরমাণু বোমা তার হাতেই থাকা উচিত যে অপ্রয়োজনীয় হিসাবে তা ব্যবহার করবে না, ইরান মধ্যে প্রাচএর বিষ ফোরা যত গুলি উগ্রপন্থী সংঘটন আছে তার নায়ক ইরান প্রতিটি আরব দেশ ইরান কে ভয় পায়, এই দেশ টা ধংস হয়ে গেলে আরব দুনিয়ার শান্তি চলে আসবে |

৫| ২২ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩২

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: সৈয়দ কুতুব বলেছেন: লুধুয়া@ "উত্তর কোরিয়া মোল্লা নয়, তাহলে তারা কেন পারমাণবিক বোমা বানায় ও পরীক্ষা করে?"

- এদের মূল সমস্যা উত্তর কোরিয়া বা ইসরায়েল নয় — সমস্যা তাদের মুসলমান ও ইসলাম নিয়ে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার পর কমিউনিস্ট-ভীতির ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে, তখন থেকেই ইসলামফোবিয়ার বাজার গরম, এবং তা আরও অনেকদিন চলবে।

এখানে মূল প্রসঙ্গ থেকে সরে গিয়ে ‘মোল্লা’ টেনে আনার উদ্দেশ্য—ইসরাইলের অন্যায়কে ঢাকার এক নগ্ন অপচেষ্টা। যেভাবে এক শোকাচ্ছন্ন মাতমের ভেতর হঠাৎ ‘উ লালা, উ লালা’ গান বাজানো অশ্লীল ও অশোভন, ঠিক তেমনই অন্যায়ের প্রতিবাদের মঞ্চে ভিক্টিমকে দোষারোপ করাও একধরনের বিকৃত বুদ্ধি।

এই মানসিকতা সেই মানুষদের মতো, যারা ধর্ষিতার পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তোলে, কিন্তু ধর্ষকের অপরাধকে আড়াল করে রাখতে চায়।

৬| ২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:২৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: দুটো পরমাণু শক্তিধর দেশ এমন একটি দেশকে আক্রমণ করেছে যাদের হাতে পরমাণু অস্ত্র নেই। বিশ্ব-সম্প্রদায় তথা ইউ.এন. এর নির্দেশনা বা মতামত উপেক্ষা করে একক ও নগ্নভাবে যে কোন স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের উপর আক্রমন আর্ন্তজাতিক আইন পরিপন্থী। এরপর আত্মসম্মান আছে এমন যে কোন দেশ এন.পি.টি. থেকে বেরিয়ে আসা উচিত (যদি স্বাক্ষর করে থাকে)। দুটো দেশের জন্য ভিন্ন নীতি অনুসরণ করেই আমেরিকা অতীতে ইরাকে আক্রমণ চালিয়েছে ডব্লিউ.এম.ডি. আছে এমন অভিযোগে যদিও তা পরবর্তীতে মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়েছে। তদুপরি ইরাকে লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ হত্যার অভিযোগে বুশের বা ব্লেয়ারের বিচার হয় নি। বিষয়গুলো মানব সভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবেই লিখা থাকবে।

৭| ২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:৩৯

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: তদুপরি ইরাকে লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ হত্যার অভিযোগে বুশের বা ব্লেয়ারের বিচার হয় নি।

- যে দেশ বহু আগেই এন.পি.টি.তে স্বাক্ষর করেছে এবং ৬০% ইউরেনিয়াম এনরিচ করেছে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই, সেই ইরানকে ঘিরে ‘আশঙ্কা’ তোলা বেশ ভণ্ডামি—বিশেষত যখন ইরাকের ইতিহাসের পাতায় প্রায় ১০ লক্ষ লাশ পড়ে থাকে স্মরণবিহীনভাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.