নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পর্শ করতে চাই তাকে, কিন্তু পারিনা তবুও চেয়ে তার পথ ছুয়ার আসায় ।

স্পর্শ

স্পর্স করতে চাই তাকে কিন্তু কিছুতেই পারিনা,তবুও আসায় আছি তার পথ চেয়ে।

স্পর্শ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেতৃত্ব না ‘পূজার আসন’? বিএনপির ভেতরেই কি এক নতুন ‘ফেরাউন’ উঠে আসছে?

১৫ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৩:১৫






নেতৃত্ব না ‘পূজার আসন’? বিএনপির ভেতরেই কি এক নতুন ‘ফেরাউন’ উঠে আসছে?

সম্প্রতি কওমি ভিশনের একটি পোস্টার সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সেখানে উঠে এসেছে বিএনপি-সংশ্লিষ্ট কিছু ভয়ঙ্কর মন্তব্য ও অস্বাভাবিক চর্চা, যা দলটির আদর্শ, নৈতিকতা এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রশ্নে বড় এক সংকেত বহন করে।

পোস্টারে যেসব কথা উঠে এসেছে তা অবাক করার মতো:

1. “তারেকের পায়ে সিজদা করতে হবে” – এ দাবি এসেছে এক বিএনপি নেতার মুখে। এটি শুধু রাজনৈতিক আদর্শবর্জিত মন্তব্যই নয়, বরং ইসলাম ও সভ্য রাজনীতির বিরুদ্ধেও ভয়ানক অপমান।

2. “লীগ নয়, এখন তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ জুলাই বিপ্লবীরা” – এই বক্তব্য ইঙ্গিত দেয়, বিএনপি এখন নিজেরা নিজেদের ভেতরেই বিপক্ষ খুঁজে নিচ্ছে। বিরুদ্ধচিন্তার মানুষ বা গোষ্ঠীকে শত্রুতে পরিণত করার প্রবণতা বাড়ছে।

3. চরমোনাই পীরের মতো সম্মানিত আলেমকে নিয়েও আক্রমণাত্মক ভাষা – বিএনপির একজন নেতা আলেমদের প্রতি অশ্রাব্য মন্তব্য করেছেন। প্রশ্ন ওঠে, ইসলামের নাম ভাঙিয়ে রাজনীতি করে আবার ইসলামিক ব্যক্তিত্বদের অপমান কেন?

4. বিএনপির সমালোচনা করলেই “অযু করতে হবে -ওলামা দল – বিএনপির ভেতরের কেউ কথা বললেই তাকে “ওলামাদলের অযোগ্য নেতা” বলে দোষারোপ করা হচ্ছে। এটা রাজনৈতিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি, মতভিন্নতাকে দমন করার নোংরা কৌশল।

---
কী ঘটছে আসলে বিএনপির অভ্যন্তরে?

এত কিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছে বিএনপিতে এখন দুই ধরনের রাজনীতি চলছে:

1. অন্ধ আনুগত্যভিত্তিক রাজনীতি, যেখানে প্রশ্ন তোলা মানেই ‘বিশ্বাসঘাতকতা’।

2. চাটুকারিতার প্রতিযোগিতা, যেখানে সত্য বলাও হয়ে যাচ্ছে অপরাধ।

এভাবে কোনো রাজনৈতিক দল টিকে থাকতে পারে না। এই ধরনের মানসিকতা দলকে গণমানুষের দল নয়, বরং একটি ফেরাউনতান্ত্রিক উপাসনাগারে পরিণত করছে।

---

⚠️ এই উগ্র আচরণ রাজনীতিতে কী বার্তা দিচ্ছে?

একটি দলের অভ্যন্তরে যদি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা না থাকে, সেখানে সত্য ও গণতন্ত্রের জায়গা কীভাবে থাকবে?

চরমোনাই পীর বা আলেম সমাজের প্রতি অবজ্ঞা শুধু ইসলামবিরোধী নয়, বরং সমাজে বিভেদ সৃষ্টির ইঙ্গিতও।

দলীয় সমালোচনা মানেই যদি “অযোগ্যতা” হয়, তাহলে আত্মশুদ্ধির পথ রুদ্ধ হয়ে যায়।

---

বিএনপির সামনে এখন দুটি পথ:

1. আদর্শ ও নৈতিকতার ভিত্তিতে দলে শুদ্ধি আনতে হবে।

2. অথবা এই ব্যক্তিপূজা ও চাটুকারিতার রাজনীতিতে হারিয়ে গিয়ে ধ্বংসের পথে হাঁটতে হবে।

---

কওমি ভিশনের মতো প্ল্যাটফর্ম এই সত্যগুলো সামনে এনে এক সাহসী কাজ করেছে। রাজনীতিতে যদি সত্যের জায়গা না থাকে, তাহলে সেখানে কোনোদিনই জনগণের আস্থা তৈরি হবে না।

---

আর্টিকেল লিখেছেন: [ মাহমূদ হাবীব ]
পোস্টার ও সূত্র: কওমী ভিশন

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০২৫ ভোর ৫:১১

Akasher tara বলেছেন: সুন্দর আর্টিকেল।আসলে বিম্পি এবং আম্লিক বিষাক্ত একটি গাছের দুটি ডাল মাত্র,জনগন আজ না বুঝলেও কাল ঠিকই বুঝতে পারবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.