সাইকেলানন্দ

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৩

ইদানিং আমাকে নানাজনের কাছ হ’তে একটা মন্তব্য গিলতে হয় - ভাই এই বুড়া বয়সে এত কষ্ট কইরা সাইকেল’র মত এক মহা ঝুকি পূর্ণ [?!] বাহন চালান; আপনার ভুড়িও তো কমে না, তাইলে লাভটা কি?
এমন দরদ দিয়া তাহারা কথাখান শুধায় যেন আমার ভুড়িটা তাদের গলায় কাটার মত এমন ভাবে ঢুকছে যে গলার একখান দিয়া ঢুইকা আরেকখান দিয়া বাহির হইয়া গেছে।

আরে, সেই সকল দরদীয়াগণ !
শুনেন দিয়া মন,
সাইকেল চালাই আমি আনন্দে,
যদিও কাহারো মন ইহাতে কান্দে।
মাখিয়া ভোরের আলো,
টানিয়া বাতাস ভালো,
ঋতু-মাস-দিনের’এ আলাদা করিয়া চিনি,
বেজায় সস্তায় প্রকৃতির ধন দেদারসে কিনি।
চাগিয়ে পেটের খুধা,
গ্রহণ করি খাদ্য-সুধা।
আরে আমরা তো নই পুলিশ বা সেনা,
হবেই ঝরাতে মেদ !
মোরা নই তো কারো কেনা।

. . . . . . সেই মোতাবেক আমরা ১৪ জন সাইকেলারোহী গতকাল মোক্তারবাড়ি হতে দিয়া-বাড়ি, উত্তরাভিমুখে সাইকেল চালাই। গতকাল নানা জায়গা থেকে সাইক্লিস্টগণ এসেছে। মোক্তারবাড়ি-শফিউদ্দিন-সুরতরঙ্গ থেকে, সাখাওয়াত, রেদোয়ান, রফিক, আলাউদ্দিন, কামরান, মামুন ও আমি; পুবাইল থেকে, সাদমান ও আ. কাদের; বোর্ডবাজার-গাজীপুর থেকে তানভির, তারেক, আ.গাফ্ফার, চেরাগ আলি থেকে পার্থ এবং উত্তরা থেকে মিজান।

আমরা প্রায় ২৫-৩০ কিলো সাইকেল চালিয়ে প্রফুল্ল মনে ঘরে ফিরিলাম।
উৎস: আমার ফেবু পাতা হতে [f/zazabormon]

২ টি +০/-০