নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এডিট করুন

কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস

দুরের পাখি

ফারুক ওয়াসিফ সিন্ড্রোম : লক্ষণসমূহ ১ > সকালে ঘুম থেকে উঠে পেট ক্লিয়ার না হওয়া : ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত । ২ > রাস্তায় হাঁটতে গেলে ভুল করে ড্রেনের পানিতে পা দিয়ে দেওয়া : সিআইএ মোসাদের ষড়যন্ত্র । ৩ > বউএর জাঙ্গিয়া ময়লা : স্থানীয় জাঙ্গিয়া শিল্পের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী কর্পোরেট বেনিয়াদের আক্রমণ । ৪ > দেশপ্রেম এবং গর্বের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নষ্টামি সহ্য না করা : ডিসকোর্স ইন্টারকোর্স না বুঝা ফ্যাসিবাদ নাযি জাতীয়তাবাদ ।

দুরের পাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-৮

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩১

২৭ রুজার পর খুরশিদ এর মাদরাছা ছুটি হৈল । এক সপ্তার জৈন্য । গেরামে এসে সে আমার দোকানে বৈসা থাকে পরায় সারাদিন । অনেক কথা জমা । জীবনের ব্যস্ততায় ঠিকমত কথা বলছি দুইজন অনেকদিন পরে । আমার মন উশখুশ করে কুলসুমার খবর জানার লাইগ্যা । একথায় সেকথায় তারে জিগাইলাম কুলসুমার কি খবর , আছে কেমুন ।খুরশিদ নিজেও অতভাল জানে না । ও নিজেই থাকে দৌড়ের উপর । কৈল চল যাই ঈদের পরদিন । পরে সিনেমা দেখতে যামুন কাননে অথবা দুলালে ।



ঈদের পরদিন খুরশিদ আমি আর ওর ছুড বৈনটা মিলা গেলাম কুলসুমার শ্বশুর বাড়ি । কুলসুমার জামাই এক বাপের এক পুলা । বাপ মারা গেছে । ঘরে কেবল শ্বাশুড়ি । মাঝারি ধরণের গেরস্ত পরিবার । ধানের মওসুম লাইগাই আছে সারা বছর । তাছাড়া বাড়িতে এইকাজ সেইকাজ লাইগাই আছে । শ্বাশুড়ি বুড়া মানুষ । বিপদআপদের ব্যাপার স্যাপার আছে । বিয়ার দুইমাস পরে জামাই চৈলা গ্যাছে উমান । একা বাড়ীতে শ্বাশুড়িরে ফালাইয়া যাইতে পারে না । বউ-শ্বাশুড়ি দুইজন মিলা বাড়ী খালি কৈরাও যাইতে পারে না । তাই বাপের বাড়ীত যাওন আর হয়না । বুড়ী এমনিতে ঝামেলা করে না কিন্তু কোথাও ছাড়তে চায় না এক দিনের লাইগাও । একা বাড়ি খাঁ খাঁ করে ।



দুফরে খেয়েদেয়ে , বেইল পড়লে রওনা দিমু এই ঠিক কৈরা খুরশিদ আর ওর ছুড বৈন ঘুম দেয় । আমার মনের ভিতর কথার পাহাড় জমা । এদিক সেদিক একটু ঘুরাঘুরি কৈরা আমি বৈঠকখানায় গিয়া বসি । কুলসুমার জামাই মাসিক মদীনার নিয়মিত গ্রাহক মনে হয় । বৈঠকখানায় অনেকগুলা সাজানো । উল্টাইয়া পাল্টাইয়া দেখতাছি এমন সময় কুলসুমা এসে দরজায় দাঁড়ায় । আবার সেই মায়াময় চোখ । আমি সহ্য করতে পারমু না বৈলা তাকাই না । ভালো আছেন ? এই ছুট্ট একখান কথায় সারা জীবনের ভাগ্যের পুন্দানি যেন চুখের সামনে ভাইসা উঠে আমার । মাথা নিচা করে সোফায় বসে গলায় উঠে আসা কান্নার দমক সামলাচ্ছি । সামনে এসে কুলসুমা বলে মাথার চুলতো অর্ধেকও নাই, ঘাড়ের পিছে ময়লা , পাইন্জাবির উপরে দিয়া পিঠের হাড্ডি গুনা যায়। গোসল করেননা ঠিকমত, খাননা ঠিকমত । মরতে চান নাকি ? আমার লাইগাই বৈলা আমারেও মাইরেন না । আমি আর ধইরা রাখতে পারলাম না । সব এমন হৈল ক্যান বৈলা উইঠা কুলসুমারে আন্জা কৈরা ধরতে যাই । নীল দেয়া পাইন্জাবির উপর চোখের পানির দাগ । ঝট কৈরা কুলসুমা সৈরা দাঁড়ায় । তারপর দরজা দিয়া বাইরে । দরজার সামনে সিঁড়িতে দাঁড়াইয়া বলে , আমি অন্যের বউ । তারে ঠকাইতে পারব না ।



যেই মেয়ে শইল্যের সব অঙ্গ কাইট্যা দিয়া হৈলেও আমারে বাঁচাইতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবো না , সে পরপুরুষের সামান্য ছোঁয়া দিয়াও , নিজপুরুষরে ঠকাইতে চায় না । এই জিনিস কুলসুমারেই মানায় । আয়েশারেও হয়ত মানায় । জানি না । মনে মনে বলি আল্লা আমার ভাইগ্যের সবগুলা পুন্দানি ফুল কৈরা ঝরাও তুমি কুলসুমার জীবনে । আমারে আরও লাত্থিগুতা খাওয়াও । আপত্তি করব না । শুধু কুলসুমারে না । চোখ মুছতে মুছতে ভিতরের ঘরে চইলা যায় মেয়ে ।



বিকালে খুরশিদ এর পিচ্চি বৈনডারে বাড়িতে দিয়া আমি আর খুরশিদ ফেনী যাই সিনেমা দেখতে । কাননে হুমায়ুন আহমেদ এর কি জানি একটা ম্যান্দা মার্কা ছবি চলতাছে । দুলালে যাই মুনমুনের ছবি দেখতে । মাঝখানে দুইজনই আলাদা আলাদা কৈরা এস্তেন্জা ঘুইরা আসি ।



আব্বার দোকানরে বেলেন্সে আনতে যাইয়া শইল্যের উপর আসলেই অনেক খাটনি গেছে । কুলসুমার মত কৈরা কেউ বলে নাই বৈলা হয়ত এদ্দিন খেয়াল করি নাই । রাইতে ঘুমানোর আগে দোকান থাইকা একটা কাঁচা ডিম খালি একটু নুন দিয়া খাইয়া নেই সেদিন । কে জানি কৈছিল কাঁচা ডিমে ভিটামিন বেশি । সিদ্ধ করেল ডিমের ভিটামিনের বেশিরভাগই আগুনে নষ্ট হৈয়া যায় । আইজকা আবার সিনেমা হলে একবার ফিরা আইসা সন্ধ্যায় আরেকবার এস্তেন্জায় গেছি ।



মাসগুলা কাটতে থাকে নিরানন্দ । এইভাবে ধুঁকে ধুঁকে রক্ত ফানি কইরা আর কত টানমু এই দোকানরে । ১১ জনের ঘর । দোকানের যেই লাভ তাতে ঘরের খরচ চালাইতেই অবস্থা কাহিল । বড় ভাই ভোদাই । সাইঝা ভাই উড়নচন্ডী । আমার উপরের টা দরবেশ । মসজিদের কিছু লাগলে নিজের বেতনের ট্যাকাডা আগে বাড়াইয়া দেয় । একমাত্র মাইঝা ভাই কিছু কাজে লাগার মাত সাহাইয্য করে । উপায় ভাবতে থাকি আমি কয়েকদিন ।



উপায় একখান মোটামুটি পাই । তয় যেই ধকল , সেইটা সামলাইতে পারমু কিনা সেইটা নিয়া কয়েকদিন ভাবি । তারপর ঐটাই ফাইনাল কৈরা ফেলি । নয় মাস থাইকা ফরিদ ভাই আবার চৈলা গেলেন । থাকার কথা ছিল ছয় মাস । ঘুরতে ঘুরতে বিভিন্ন ছুতানাতায় আরো তিনমাস থাইকা গেলেন । খালেদারে ফালাইয়া যাওনের যন্ত্রণা আমিও বিলক্ষণ বুঝি । যাওয়ার আগে ফরিদ ভাই একখান বুদ্ধি দিয়া গেছিলেন । রমজানের সিজনে বিভিন্ন মাদরাছা থাইকা মইধ্যপ্রাচ্যে লুক পাঠানো হয় । মাদরাছার ফান্ড কালেকশনের জৈন্য । যাওয়া আসা থাকা খাওয়ার খরচ বাদ দিয়া যেটা থাকবো তার ৪০ ভাগ নিজের । ৬০ ভাগ মাদরাছারে দিতে হৈব । যেনতেন মাদরাছা দিয়া অবশ্য হৈব না । মোটামুটি পরিচয় আছে এমন কোনো মাদরাছা হওন লাগবো । খুরশিদ কৈছে অর মাদরাছার থাইকা কাগজপত্তর ব্যবস্থা কৈরা দিতে পারব । তয় যাওয়া আসা থাকা খাওয়ার খরচ আগে থাইকা দিতে পারব না । ঐগুলা নিজে ব্যবস্থা কৈরা যাইতে হৈব ।পরে মোট কালেকশন থাইকা সেইগুলা আমরা কাইটা নিমু । লাখখানেক ট্যাকার কারবার ।



তয় আইজকাইল অনিশ্চয়তারে ডরাই না আমি । অতি লুভের কারণে আছাড় খাওনের সম্ভাবনা আছে । সেইটারেও ডর লাগে না । এমনিতে যেইভাবে আছি, আর কত খারাপ হৈব আর । খারাপ এখন আর গায়ে লাগে না । বড় ভাইরে পাঠাইমু বৈলা ঠিক কৈরা ফেলাই । দোকানে ঢুকার পর থাইকা আস্তে আস্তে আমিই এখন ঘরের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী । হাসন আসে যদিও এইরকম শব্দ একা একা মনে করলে । তারপরও কাউয়া কি পাখি না ? বড় ভাই এখন আমার কাছ থাইকা পরামর্শ নেয় মাঝে মইধ্যে । আব্বা তাবলীগ নিয়া আছেন । আমি দোকানে ঢুকাতে পাওয়ার চৈলা যাওয়া নিয়া উনার তেমন বিকার নাই । বরং অনেকটা খুশিই ।



বড় ভাই একটু গাঁইগুই নয় ছয় করেন । তারপর বুঝ মেনে যান । সমস্যা শেষতক লাখখানেক ট্যাকা জোগাড় করা নিয়া । নিজের সাহসে নিজেরই একটু আচাইর্য লাগে । হাতে ১০ ট্যাকার ১০ টা নুট নিয়া আমি এক লাখের পেলান কৈরা ফেলাই ।



গেরামের মাদরাছার মোহতারাম ছাবের কাছে যাইতে হৈব । ছাত্রথাকাকালে মাদরাছার ফান্ড নিয়া একটু ঘাটাঘাটি করনের অভিজ্ঞতা আছে ।

------------------------------------------------

কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-৭ Click This Link

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৯/-৫

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৫

লীনা দিলরূবা বলেছেন: এই জিনিস কি আরো চলবে? হাতে দশটা দশ টাকা নিয়ে ঘটনার নায়ক তো কম করলো না। বাঁইচ্যা থাক বাপ, খাইট্যা খা। আপনার জেনারেলী উঠনের কোন অগ্রগতী হইলো? কাল কবিতা পোস্টাইয়েন। (অ)শুভরাত্রি।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৭

দুরের পাখি বলেছেন: ঘটে কনফেশনের তো কমতি নাই । কতক্ষণ চলে দেখি না । জিনারেলী উঠানোর কুনো অগ্রগতি হয় নাই এখনো ।

স্লিপ টাইট ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৩

দুরের পাখি বলেছেন: গদ্য পড়তে পড়তে টায়ার্ড হৈয়া গ্যাছেন ? গদ্য গুছাইয়া লেখতে পারি না । তাই একটা জুশ যখন আইছেই, এইডার সর্বোচ্ছ ব্যবহার করতে চাইতাছি ।

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৭

মদন বলেছেন: জটিলসসসসসসসসসসসসসসসসসসস

একটানে ১ থেইকা ৮ পর্যন্ত পইড়া মনে হইলো আর কই??? কিছুইতো লিখলো না...

টাইপ স্পীড আরেকটু বাড়ানো যায় না?? :)

২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৩

দুরের পাখি বলেছেন: টাইপ স্পীড বাড়ানির চেষ্টায় আছি । বাংলা লেখায় নতুন তো তাই একটু সমস্যা হৈতাছে । শিফট বেশি চাপতে হয় এইটা ও একটা কারণ ।

কাহিনী আরো অনেক আছে । এইরকম উৎসাহের মন্তব্য পাইলেতো খাওন ঘুম বাদ দিয়া লিখমু ।

তয় ব্যাপক দুস্কে আছি । ছয় নাম্বারডার একটা অচলীল শব্দের কারণে , জিনারেন মইন উহ বানাইয়া দিছে । তাও আবার আরিল কাকা । আরিল কাকা যে রাস্তার বাংলা পর্যন্ত বুঝে এইডা জানতাম না ।

চখের ফানি মুছতে মুছতে ৮ লেখলাম । তাই অন্যগুলার চাইতে এইটা দিতে একটু দেরী হৈছে ।

আবার আইসেন । আগাম দাওয়াত ।

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৪৬

দেশী পোলা বলেছেন: টাইপ স্পীড আরেকটু বাড়ান, নাইলে কাঁচা ডিম বা আম দুধ খেয়ে নেন

:D

২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫০

দুরের পাখি বলেছেন: বেশ মনোযোগ দিয়া পড়ছেন বুঝা যাইতাছে । অনেক ধন্যবাদ ।

হ দেহি দুধ খাইতে হৈব । :P

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৫০

ওয়ার হিরো বলেছেন: মামা, চালাও......
লগে আছি..
নেক্সট টা কবে????

২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

দুরের পাখি বলেছেন: আজকেই । লগে থাকেন । সাহস পাই । জিনারেল বানাইয়া দিছে । আমি এখন জিনারেল মইন উহ ।

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

আখসানুল বলেছেন: জনারেল হইছোস তাইলে???

অল্পের ওপর দিয়ে গেছে। খুশি থাক।

ভালো হইতাছে। পুরাতা শেষ করে একটা pdf ফাইল বানাইস।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:১৭

দুরের পাখি বলেছেন: আরে ব্যাটা জিনারেল হওনের পর লেখার আগ্রহ কৈমা গ্যাছে ।

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:২০

নূহান বলেছেন: চলুক

২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:২১

দুরের পাখি বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৩১

স্বজন বলেছেন: দারুন! চালাইয়া যান। সাথে আছি।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৩৮

দুরের পাখি বলেছেন: ধন্যবাদ । সাথে থাকুন । উৎসাহ পাইলে লেখতে ভাল্লাগে । কাহিনী কম নাই পেটে ।

জিনারেল বানাইয়া দেওনে পুস্ট পরথম পাতায় আসে না । কষ্ট কৈরা পড়নের জন্য ধন্যবাদ ।

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:২১

মাহমুদ৬৯ বলেছেন: এলেখার জন্য সারা রাত জাগলেও সমস্যা নাই। একটানা পড়ছি, আজ রাতেই সব পর্ব গুলো পড়া হয়ে যাবে মনে হয়, ভাবছি এরপর কি করবো? টাইপ স্পিড বাড়ান।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:১৫

দুরের পাখি বলেছেন: টাইপ স্পিড এই লেখা লিখতে গিয়াই বেশ বাড়ছে । কিন্তু দৈনন্দিন অন্যান্য কাজ করতে হয় বৈলা অত দ্রুত লিখতে পারি না ।

৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৪২

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: শুরুর দিকের বর্ণনাগুলো রগরগে না করে এমন করলে গল্পটা আরও আকর্ষণীয় লাগত। ঠিক 'রগরগে' শব্দটা অবশ্য যায়না, 'অহেতুক ' শব্দটাই পারফেক্ট।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.