![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোন রকম ভয়-ভীতি দেখিয়ে, যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে কখনোই কোন নাস্তিক অথবা বিধর্মীকে ইসলামের পথে আনা যায় না। অথচ বাংলাদেশে ইদানীং এটারই চেষ্টা করা হচ্ছে। শাহবাগ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু নাস্তিকের ইসলাম বিষয়ে অশ্রাব্য কথাবার্তার, ব্লগের পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে ইসলামী দলগুলো হরতাল আহ্বান করে। সেখানে বিভিন্ন কর্মসূচীর ঘোষণা দেওয়া হয়। নাস্তিকের ফাঁসি, নাস্তিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জিহাদী আন্দোলনের ঘোষণা ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রশ্ন হলো, ইসলামের কোথায় এটা লেখা আছে যে তোমরা নাস্তিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করো, জ্বালাও-পোড়াও, হরতাল দাও, নাস্তিক ধরে ফাঁসিতে ঝোলাও? কোথায় লেখা আছে এইভাবে ইসলামের পথে মানুষকে নিয়ে আসো? এটা কি বাস্তবসম্মত কোন কথা? যেখানে মহানবী (সাঃ) কাফিরদের হাতে বারবার বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়েও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেননি, হাসিমুখে, নরম ভাষায় তাদের উদ্দেশ্যে ইসলামের বানী প্রচার করে গেছেন। সাহাবীরাও তার ব্যাতিক্রম নন। যুদ্ধ তখনই করেছেন, যখন নিজেদের অস্তিত্বের উপর আঘাত এসেছে। তখনকার দিনে মুসলমানের চেয়ে কাফিররা সংখ্যায় ছিল অনেক অনেক গুণ বেশি। সঙ্গত কারণেই যুদ্ধ অনিবার্য ছিল। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশে কি মুমিন মুসলমানের সংখ্যাই বেশি, নাকি নাস্তিক/কাফিরের সংখ্যা বেশি? গুটিকয়েক নাস্তিক উলটাপালটা লিখে কি ই বা ক্ষতি করতে পারবে ইসলামের? ইসলাম কি এতোই ঠুনকো? আর মুমিন মুসলমানের ঈমানও কি তাসের ঘর, যে ওই লেখা পড়ে তাদের সবাই নাস্তিক হয়ে যাবে? যেটা করা উচিৎ সেটা হচ্ছে যারা অবিশ্বাসী, তাদেরকে সুন্দর ভাবে বুঝানো। বিভিন্নভাবে বুঝানো। টেকনিক্যালী, সিস্টেমেটিক্যালী বুঝানো। একবার হয়তো বুঝ মানবে না, হয়তো অনেক বাজে কথা শুনতে হবে। কিন্তু একসময় না একসময় ইসলামের অমায়িকতা তাকে স্পর্শ করবেই। করতেই হবে। তা না হলে আমেরিকা, ইউরোপের অনেক অমুসলিম প্রধান দেশেও প্রতি দিন হাজার হাজার লোক ইসলাম গ্রহণ করতেন না। জোরপূর্বক কাউকে ইসলাম গ্রহণ করাতে ইসলাম কখনোই বলে নি। এমনও নির্দেশ আছে, "তোমরা ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না।" এই কথার গূঢ় অর্থ কি আমরা অনুধাবন করতে পেরেছি? যুদ্ধ বাঁধিয়ে, ভয় দেখিয়ে শুধু অবিশ্বাসীদের মনে ইসলাম সম্বন্ধে বাজে ধারণাই দেওয়া যায়, কখনো তাদেরকে প্রকৃত ইসলামের পথে আকৃষ্ট করা যায় না।
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: চমতকার। আসলে ধার্মিক ও ধর্মান্ধদের মধ্যে পার্থক্যটা হলো বুদ্ধির প্রয়োগে। ধার্মিকেরা বুদ্ধিকে কাজে লাগায়। ধর্মান্ধরা তাদের বুদ্ধিকে কাজে লাগানোর প্রয়োজন মনে করেনা।
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
আদম আদোনিস বলেছেন: @ রাজুঃ আপনি কি রাজাকারদের ফাঁসির পক্ষপাতী নন? একটু ঝেড়ে কাশুন তো।
৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
আদম আদোনিস বলেছেন: @অমিয়ঃ যথার্থ বলেছেন।
৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: স্বপ্নতরী (রাজু) তাহলে এখন কি করবেন? কাদের মোল্লা বা বাকি ১৪ জনকে ছেড়ে দেবেন?
৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৫
মাহির কাবির বলেছেন: nastiker fasir dabi tola hyni,dabi tula hyse jara MOHANOBI SM k nia kharap kta likhse tadr...
mohanobi sm k nia kharap kobita rochona karidr sasti smprke jante itihas porun.
৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৬
শরীফ িবিড বলেছেন: কোন রকম ভয়-ভীতি দেখিয়ে, যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে কখনোই কোন নাস্তিক অথবা বিধর্মীকে যেমন ইসলামের পথে আনা যাবে না তেমনি ব্লগে/ শাহাবাগে ইসলাম সম্র্পকে আজেবাজে কথা বলে ইসলামের কোন ক্ষতিও করা যাবে না।
ইসলামের কোথায় যেমন এটা লেখা নাই যে, নাস্তিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে, জ্বালাও-পোড়াও, নাস্তিক ধরে ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে ......ইসলামের শিক্ষা এটা যে, কেউ ইসলামের বিরুদ্ধে কলম সন্ত্রাস করলে তাকে কলম দিয়ে, কেউ অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাস করলে তাকে অস্ত্র দিয়েই প্রতিহত করতে হবে।
ইসলামে হিপোক্রেসি/ হিপোক্রেটদের কোন স্থান নাই।
৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১০
আদম আদোনিস বলেছেন: @শরীফঃ যদি নাস্তিকেরা আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতো, তাহলে আমার লেখার ভাষা অন্যরকম হত। কিন্তু ইসলাম কখনোই প্রয়োজন ছাড়া যুদ্ধ-বিগ্রহ সমর্থন করে না।
৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৬
মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান শোভন বলেছেন: amar prosno holo, Rasulullah (SM) Mokka bijoyer por jader k Kabar gilaf dhore thakleo hotyar nirdesh diyechilen, tader Oporadh ki chilo? ebong Nobeer (SM) name oshleel kobita jara likhechilo tader hotyar nirdesh keno deya hoyechilo? Accha bad den esob dhormeeyo kecal, ekhon bolen ekjon manusher dhormio biswas a evabe oshleel vasha bybohar kore aghat kora ki gonotontro, naki fasibad???
১০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৪
আদম আদোনিস বলেছেন: @শোভনঃ অশ্লীল ভাষা ব্যাবহার যারা করে, তাদেরকে ধরে ধরে ফাঁসিতে ঝুলালে ইসলাম প্রচার বা প্রসার কোনটাই হবে না। প্রথমেই যেটা করা দরকার, তাদেরকে বুঝানো। যদি কোন কিছুতেই কিছু না হয়, একমাত্র তখনই চরম ব্যাবস্থা নিতে হবে। এটা আমার মনগড়া কোন কথা নয়। ইসলামেরই কথা।
১১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
একমত না বলেছেন: ইসলাম কে গালি দিতে পারলেই কি নাস্তিক দের মুক্তি?
১২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
আদম আদোনিস বলেছেন: @একমত নাঃ নাস্তিক দের মুক্তি একমাত্র ইসলাম। সেটা তাদেরকে বুঝানোর দায়িত্ব সকল মুমিন মুসলমানেরই।
১৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
একমত না বলেছেন: আমি সেটা জানি। কিন্তু নাস্তিকরা মনে ইসলাম কে গালি দিতে পারলে জাতে উথা যাবে। ইসলাম কে গালি দিলে সেইটা সাম্প্রদায়িক না। মনে হয় গালি বেশি দিতে পারলে ডলারও বেশি আসে।
১৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩২
ফাইন্ডিং নিমো বলেছেন: আপনার এক নম্বর ভুল হচ্ছে নাস্তিকের শাস্তি না, চাওয়া হচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষী ইসলাম অবমাননা/রাসূল সাঃ অবমাননাকারীদের শাস্তি। আর এর দ্বারা ইসলামের মুক্তি না, বরং আমার, আপনার আমরা যারা মুসলিম আছি, তাদের আত্মিক মুক্তিই কাম্য।
যেমন রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিলে কী দেশের কিছু যাবে আসবে? নাকি যারা রাজাকার/যুদ্ধাপরাধীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে তারা কিছু পাবে? ব্যাপারটা হচ্ছে আমরা যারা আছি তাদের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে এদের শাস্তি দেওয়া। ইসলাম ও রাসূল সাঃ অবমাননাকারীদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এরকম।
১৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৪
মিশনারী বলেছেন: ফাইন্ডিং নিমো বলেছেন: আপনার এক নম্বর ভুল হচ্ছে নাস্তিকের শাস্তি না, চাওয়া হচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষী ইসলাম অবমাননা/রাসূল সাঃ অবমাননাকারীদের শাস্তি। আর এর দ্বারা ইসলামের মুক্তি না, বরং আমার, আপনার আমরা যারা মুসলিম আছি, তাদের আত্মিক মুক্তিই কাম্য।
যেমন রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিলে কী দেশের কিছু যাবে আসবে? নাকি যারা রাজাকার/যুদ্ধাপরাধীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে তারা কিছু পাবে? ব্যাপারটা হচ্ছে আমরা যারা আছি তাদের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে এদের শাস্তি দেওয়া। ইসলাম ও রাসূল সাঃ অবমাননাকারীদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এরকম।
স হ ম ত ।
১৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৩
হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
+++++++++++++++++++
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
স্বপ্নতরী (রাজু) বলেছেন: আর কাদেরমোল্লার ফাসি হলেই কলঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ?
৩০ লক্ষ শহীদের লাশের দায়মুক্তি ১৫ জন রাজাকারের ফাসিতে?