নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কর্ম দিয়ে পৃথিবী জয় করা যায়।

ইসতিয়াক ইসতি

শেখ ইসতিয়াক আহমেদ

ইসতিয়াক ইসতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইন আছে প্রয়োগ নেই

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৩

গাছের প্রাণ আছে এর বদলে বলতে হয় গাছের অনেক পরিক্ষা আছে ।এই পরিক্ষা গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির ,নিজের অস্তিত্ব লড়াইয়ের। নতুন নগর পিতাদের নতুন নগর পরিকল্পনার বিশেষ অংশ বৃক্ষরোপণ ।কিন্তু বৃক্ষের মরণ ঠেকানোর দায়িত্ব কার হাতে সেটি হয়তো খুঁজে ফিরছে ব্যস্ত ঢাকার অলিগলির বৃক্ষগুলো।

১৯১০ সালে ‘জীব ও জড়ের সাড়া’ বই প্রকাশের মাধ্যমে বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসু সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেন গাছেরও প্রাণ আছে। সময়ের সাথে যেমন স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর কথা ভুলে গিয়েছে অনেকে তেমনি ভুলে গিয়েছে ২০১২ সালে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘দেওয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন’টি। আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগ নেই যার ফলে সমাজের অসঙ্গতি ,পরিবেশ দূষণসহ নানা হিতকর কাজ করতে দেখা যায় সমাজের কিছু অসৎ ব্যক্তিদের । ২০১২ সালের এই আইনের ধারা ৪ অনুযায়ী, ‘নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোন স্থানে দেওয়াল লিখন বা পোস্টার লাগানো যাবে না ।

দেওয়ালের সংজ্ঞায় যা আছে তা হোল’’ দেওয়াল’’ অর্থ বাসস্থান, অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসাকেন্দ্র, শিল্প কারখানা, দোকান বা অন্য কোন স্থাপনা, কাঁচা বা পাকা যাহাই হউক না কেন, এর বাহিরের ও ভিতরের দেওয়াল বা উহাদের সীমানা নির্ধারণকারী দেওয়াল বা বেড়া; এবং বৃক্ষ, বিদ্যুতের খুটি, খাম্বা, সড়ক দ্বীপ, সড়ক বিভাজক, ব্রীজ, কালভার্ট, সড়কের উপরিভাগ ও বাড়ির ছাদও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।

পোষ্টার বলতে কী বোঝানো হয়েছে তাও স্পষ্ট উল্লেখ আছে সংবিধানে ।সংবিধান অনুসারে ‘‘পোস্টার লাগানো’’ অর্থ প্রচার বা ভিন্নরূপ কোন উদ্দেশ্যে, দেওয়াল বা যানবাহনে, আঠা বা অন্য কোন পদার্থ দ্বারা পোস্টার সাঁটিয়া দেওয়া, লাগাইয়া দেওয়া, ঝুলাইয়া দেওয়া, টাঙ্গাইয়া দেওয়া বা স্থাপন করা । এসব উল্লেখ থাকলেও দেখেও না দেখার ভান করছে কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আর প্রশাসন আছে অন্য কাজে।

সৌন্দর্যবর্ধনের কথা মাথা রেখে শহরের প্রধান সড়কের দুই পাশে গাছ লাগানো হয়ে থাকে।সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য না হোক গাছ থেকে অক্সকিজেন পাওয়া যাবে এই বিষয় তো আছে ।কিন্তু বর্তমানে ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরগুলোতে রাস্তার দুই পাশের বৃক্ষগুলো অসৌন্দর্যের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে।

ঢাকার সড়কগুলো এর বড় প্রমাণ। ধরা যাক, মোহাম্মদপুর থেকে ঝিগাতলা হয়ে নিউমার্কেটের কথা। রাস্তার পাশের প্রায় প্রতিটি গাছ ব্যবহার হয়েছে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের সাইনবোর্ড,বাড়িভাড়া এবং কোচিং সেন্টারের প্রচার মাধ্যম হিসাবে।এই বিজ্ঞাপনগুলো পেরেক এবং গুনা তারের মাধ্যমে গাছের সাথে লাগানো হচ্ছে।বিজ্ঞাপনে্র ব্যবহৃত পোস্টারগুলো তৈরি করা হচ্ছে কাগজ, কাপড়, রেক্সিন দিয়ে।যার ফলে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়ছে।

অনেক ক্ষেত্রে মারা যাচ্ছে গাছ।এসব অনিয়ম বন্ধ করার জন্য ২০১২ সালে জাতীয় সংসদে “ ‘দেওয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন পাস করা হয়।যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে গাছ( বৃক্ষ) কোনো প্রচারণার কাজে ব্যাবহার করা যাবে না।কিন্তু আইন পাস হলেও পরীক্ষা দিয়ে চলছে গাছগুলো।

চলতি বছরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা খালিদ মাহমুদ মিঠু (৫৫) ধানমণ্ডি এলাকায় রিক্সায় করে যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ ভেঙে তার মাথায় পড়ে যার ফলে সে মারা যায় । হ্য়তো অনেকেই গাছকে দায়ী করবেন কিন্তু আসলে গাছের দোষ কিসের । যে গাছকে বাঁচতে দিল না সেই এই অপরাধে অভিযুক্ত ।এই ঘটনার কয়েক দিন পর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে অভিযান চালানো হয় কিন্তু খুব বেশিদূর আগায়নি এই অভিযান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সার্জেন বলেন, সবাই গাছকে ভালোবাসার কথা বলেন।পরিবেশ দিবসে সুশীল সমাজের উদ্যোগে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানের মহড়া দেখা যায় । যেখানে থাকে গাছ বাঁচানোর নানা ফুলঝুরি কিন্তু দিন শেষ হলেই এদের আর দেখা পাওয়া যায় না । আইনের রক্ষক হয়ে অনেকেই আইন ভঙ্গ করে চলছে দিনের পর দিন । অনেক সময় নেতার ছবিসহ ব্যানার গাছে ঝুলতে দেখে নির্বাক চলচিত্রের ভূমিকা পালন করি ।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সংস্থার (বেলা)আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির বলেন ,নিবিড় পর্যবেক্ষণের অভাবে এধরনের পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের প্রবণতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে সাইনবোর্ডগুলো নামানোর নির্দেশ দেওয়া হয় কিন্তু অব্স্থার কোন পরিবর্তন হয় না । তিনি আরও বলেন, আইনের ব্যাপারে সাধারণ জনগণ সচেতন হলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:০০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আহহহহা! এত্ত প্রুব্লেম। শিইইইইইইইইত্তত্তত্তত্তত্ত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.