![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জামদানি শিল্প বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটি গুরুতপূর্ণঅংশ। পৃথিবীর যে প্রান্তেই জামদানি শব্দিটি উচ্চারণ হোক না কেন, চোখের সামনে ভেসে উঠে বাংলাদেশের নাম। ২০১৬ সালে তাঁতিদের বুনা জামদানি দেশের ইতিহাসের অনুষঙ্গ হিসাবে ইন্টারন্যাশনাল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশন (ওয়াইপিও) প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে। কিন্তু এই জামদানি ঘিরে চলছে বিসিকের প্লট বিরুদ্ধে দুর্নীতি।
স্বল্প সুদে ঋণ না পাওয়া এবং সরকারি পর্যায় থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। এমন একাধিক হতাশাজনক কারণে বন্ধ হয়ে চলেছে জামদানি তাঁত ঘরগুলো। আর যারা সময়য়ের সাথে সংগ্রাম করে টিকে আছে তাদের অবস্থা খুবই করুণ।
একাধিক তাঁতিদের সাথে কথা বলে জানান, তাঁতিদের মজুরি অভাবে এই শিল্প আসতে আসতে উঠে যাচ্ছে। এই কাজ করতে গেলে যে পরিশ্রম করতে হয় সেই অনুপাতে আমরা টাকা পাই না। আর যে মজুরী পাই সেটা দিয়ে আমাদের জীবন চলেন কঠিন হয়েছে পড়েছে। অন্য কাজ করলে এর চেয়ে বেশি আয় করা যায়। কিন্তু ছোট বেলা থেকে এই কাজ শিখেছি এবং বাপ-দাদা এই কাজ করেছে তাই বাধ্য হয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।
দুইজন মানুষ সকাল ছয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টানা এক সপ্তাহ কাজ করলে একটা শাড়ি তোলা যায়। শাড়ি থেকে পাওয়া যায় মাত্র ৫ হাজার হাজার টাকা। খরচ ২০০০ টাকা, ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, দুইবেলা খাবার খরচ চলে যাই প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ। বাকি টাকা আমরা নিব, নাকি মাহাজনকে দিব? আমরা তাঁতিরা যে দুইটা পয়সা সঞ্চয় করবো সেই সুযোগ নেই বলেই চলে।
আমরা অনেকেই অর্থ অভাবে ছেলেমেয়ে স্কুলে দিতে পাচ্ছি না। দিলেও ঠিক মত পড়া লেখা খরচ চালাতে গিয়ে ঋণে জড়িয়ে পড়ছি।
বর্তমানে অনেক তাঁতি এই ঐতিহ্যবাহী পেশা ছেড়ে বেঁছে নিচ্ছে অন্য পেশা। ফলে দক্ষকারিগরের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে হুমকির মুখে জামদানি শিল্প। রেশন, সুতা, রং ও অন্যান্য রাসায়নিক পণ্যে দাম বৃদ্ধির ফলে নতুন করে হুমকির মুখে পড়েছে এই শিল্প। এর সাথে যুক্ত হয়েছে দেশের বাজারে ভারতীয় শাড়ির অবাদ বিচরণ।
জামদানি তাঁত মালিকদের এক আবুল কাশেম। তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, যে হারে দ্রব্য মূল্য বাড়ছে তার সাথে আমরা তাল মিলাতে পারছি না। আমি ১২ বছর বয়স থেকে এই কাজের সাথে জড়িত। রেশন সুতার দাম আগের চেয়ে ১০০ গুণ বেড়েছে, কিন্তু শাড়ির দাম ২০ গুণও বাড়ে নাই।
শহিদ মোল্লা বলেন, একটা সময় নারায়ণগঞ্জের নোয়াপাড়া ও রূপগঞ্জ এলাকাতে পনেরশ বেশি তাঁতঘর ছিল। এখন যা তিনশতে এসে দাঁড়িয়েছে। একটা সময় দেখা যাবে এই শিল্পটি বাংলা থেকে হারিয়ে যাবে।
তাঁত মাহাজন করিম শিকদারের একটা সময় ১২টা তাঁত ঘর ছিল। যেখানে কাজ করতো প্রায় ৪৫০ শ্রমিক। এখন আছে তিনটা। অর্থ অভাব ও ভারতীয় শাড়ির সাথে চলমান প্রতিযোগিতার টিকতে না পেরে বন্ধ করে দিতে হয়েছে বাকিগুলো।
তিনি বলেন, আমার তাঁতে কাজ করতো এমন অনেকই এখন অটোরিক্সা চালান, অনেকে পেট বাঁচাতে গার্মেন্টসেও চাকরি করছে।
মো. সমির বেপারী বলেন ছোট বয়স থেকে কেউ যদি এই কাজে না তাহলে এই কাজ শেখা যায় না। আগে একটা সময় ছিল তাঁতির সন্তান তাঁতের কাজে আসতো। কিন্তু এখন কোনো তাঁতি তার সন্তানেকে এই পেশাতে আসতে দিতে চায় না।যাতে করে তাঁত কারিগরের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
জামদানি শিল্পের মূলধনের টানাপূরণ বেশ পুরানা। ব্যাংক থেকে চাইলে খুব সহজে ঋণ পাচ্ছেন না তাঁতের মালিকরা।
অন্যদিকে এনজিওগুলো টাকা দিলেও এর বিনিময়ে দিতে হচ্ছে উচ্চ হারে সুদ। যার ফলে আর্থিক ঘাটতি কাটি উঠতে পারছে না এই শিল্পের সাথে জড়িত উদ্যোক্তারা।
তাঁত মালিক মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা ব্যাংক লোন নিতে গিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি, দুই থেকে তিন মাস ঘুরতে হচ্ছে তাদের পিছনে। এর পরে কর্তৃপক্ষকে টাকা না দিলে মিলছে না লোনের অনুমোদন দেয়। আর এনজিও থেকে টাকা নিলে দিতে হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হারে ইন্টারেস্ট।
বিসিক জামদানি শিল্পের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে তাঁতিদের মাঝে ৩৯৯টি প্লট বরাদ্ধ দিয়েছিল। আর এই প্লট বরাদ্দ নিয়ে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। তাঁতি নয় এমন অনেককেই দেওয়া হয়েছে প্লট বরাদ্ধ। আবার প্লট পাওয়ার পরেও সেটি বাতিল করে, অন্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিসিকের কর্মকতারা ঘুষ নিয়ে এমন কাজ করছে বলে জানা তাঁতিরা।
তাঁতিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মামুন নামের একজন বিসিক কর্মকর্তা এই অপকর্মের নেতিত্ব দিয়েছে। মামুন সাহেব জমির কাগজ বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁতি প্রতি ১০ হাজার টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ করে স্থানীয় তাঁতিরা।
তাঁতিদের অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে বিসিক জামদানি শিল্পনগরির কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমানে সাথে কথা বললে তিনি বিসিক কর্মকর্তার মামুনের পক্ষে সাফাই গান। তিনি আরও বলেন, গ্রেজেট আছে তাঁতি না কিন্তু তাঁতশিল্পের সাথে জড়ির লোকেও জমি বরাদ্দ দেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য এই বিষয়ের গ্রেজেট দেখতে চাওয়া হলে তিনি তা দেখাতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, সরকারি কাগজপত্র সবাইকে দেখানোর নিয়ম নেই।
বিসিক শিল্পনগরি প্লট মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব জরিরুল ইসলামের নামও আসে এই অনিয়মের মাঝে। নাম না প্রকাশের শর্ত দিয়ে একজন তাঁত মালিক বলেন, সমিতি সভাপতি নিজেই কোনো দিন তাঁতি ছিলেন না। প্রথম দিকে তিনি সুদে টাকা দিতেন। এর পরে আসতে আসতে তিনি তাঁত থেকে শাড়ি নিয়ে ঢাকায় কেনা বেচা শুরু করে। এভাবে তার তাঁতের সাথে যুক্ত হওয়া। বর্তমানে তার ও তার পরিবারের নামে বেনামে মোট ১২টি প্লট আছে এই শিল্পনগরিতে।
এই বিষয়ে জরিরুল ইসলামের সাথে কথা বলার জন্য তার বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাও যায়নি।
এ সময় বাসাতে তার স্ত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তার এক আত্মীয় হজ্জ্বে যাচ্ছে, তাকে বিদায় জানাতে তিনি ঢাকায় গিয়েছেন।
জামদানি তাঁতিদের প্লট বরাদ্দের অনিয়মের বিষয়ে কথা বলার জন্য ঢাকার বিসিক ভবনে যোগাযোগ করে এর চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহঃ ইফতিখারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে রাজি হননি। তবে চায়ের টেবিলে তিনি জানান, প্লট বরাদ্ধে কিছুটা অনিময় হয়েছে। আর এর জন্য মামুন সাহেবকে বর্তমানে বগুড়াতে বদলি করা হয়েছে। জামদানি শিল্প বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটি গুরুতপূর্ণঅংশ। পৃথিবীর যে প্রান্তেই জামদানি শব্দিটি উচ্চারণ হোক না কেন, চোখের সামনে ভেসে উঠে বাংলাদেশের নাম। ২০১৬ সালে তাঁতিদের বুনা জামদানি দেশের ইতিহাসের অনুষঙ্গ হিসাবে ইন্টারন্যাশনাল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশন (ওয়াইপিও) প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে। কিন্তু এই জামদানি ঘিরে চলছে বিসিকের প্লট বিরুদ্ধে দুর্নীতি।
স্বল্প সুদে ঋণ না পাওয়া এবং সরকারি পর্যায় থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। এমন একাধিক হতাশাজনক কারণে বন্ধ হয়ে চলেছে জামদানি তাঁত ঘরগুলো। আর যারা সময়য়ের সাথে সংগ্রাম করে টিকে আছে তাদের অবস্থা খুবই করুণ।
একাধিক তাঁতিদের সাথে কথা বলে জানান, তাঁতিদের মজুরি অভাবে এই শিল্প আসতে আসতে উঠে যাচ্ছে। এই কাজ করতে গেলে যে পরিশ্রম করতে হয় সেই অনুপাতে আমরা টাকা পাই না। আর যে মজুরী পাই সেটা দিয়ে আমাদের জীবন চলেন কঠিন হয়েছে পড়েছে। অন্য কাজ করলে এর চেয়ে বেশি আয় করা যায়। কিন্তু ছোট বেলা থেকে এই কাজ শিখেছি এবং বাপ-দাদা এই কাজ করেছে তাই বাধ্য হয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।
দুইজন মানুষ সকাল ছয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টানা এক সপ্তাহ কাজ করলে একটা শাড়ি তোলা যায়। শাড়ি থেকে পাওয়া যায় মাত্র ৫ হাজার হাজার টাকা। খরচ ২০০০ টাকা, ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, দুইবেলা খাবার খরচ চলে যাই প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ। বাকি টাকা আমরা নিব, নাকি মাহাজনকে দিব? আমরা তাঁতিরা যে দুইটা পয়সা সঞ্চয় করবো সেই সুযোগ নেই বলেই চলে।
আমরা অনেকেই অর্থ অভাবে ছেলেমেয়ে স্কুলে দিতে পাচ্ছি না। দিলেও ঠিক মত পড়া লেখা খরচ চালাতে গিয়ে ঋণে জড়িয়ে পড়ছি।
বর্তমানে অনেক তাঁতি এই ঐতিহ্যবাহী পেশা ছেড়ে বেঁছে নিচ্ছে অন্য পেশা। ফলে দক্ষকারিগরের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে হুমকির মুখে জামদানি শিল্প। রেশন, সুতা, রং ও অন্যান্য রাসায়নিক পণ্যে দাম বৃদ্ধির ফলে নতুন করে হুমকির মুখে পড়েছে এই শিল্প। এর সাথে যুক্ত হয়েছে দেশের বাজারে ভারতীয় শাড়ির অবাদ বিচরণ।
জামদানি তাঁত মালিকদের এক আবুল কাশেম। তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, যে হারে দ্রব্য মূল্য বাড়ছে তার সাথে আমরা তাল মিলাতে পারছি না। আমি ১২ বছর বয়স থেকে এই কাজের সাথে জড়িত। রেশন সুতার দাম আগের চেয়ে ১০০ গুণ বেড়েছে, কিন্তু শাড়ির দাম ২০ গুণও বাড়ে নাই।
শহিদ মোল্লা বলেন, একটা সময় নারায়ণগঞ্জের নোয়াপাড়া ও রূপগঞ্জ এলাকাতে পনেরশ বেশি তাঁতঘর ছিল। এখন যা তিনশতে এসে দাঁড়িয়েছে। একটা সময় দেখা যাবে এই শিল্পটি বাংলা থেকে হারিয়ে যাবে।
তাঁত মাহাজন করিম শিকদারের একটা সময় ১২টা তাঁত ঘর ছিল। যেখানে কাজ করতো প্রায় ৪৫০ শ্রমিক। এখন আছে তিনটা। অর্থ অভাব ও ভারতীয় শাড়ির সাথে চলমান প্রতিযোগিতার টিকতে না পেরে বন্ধ করে দিতে হয়েছে বাকিগুলো।
তিনি বলেন, আমার তাঁতে কাজ করতো এমন অনেকই এখন অটোরিক্সা চালান, অনেকে পেট বাঁচাতে গার্মেন্টসেও চাকরি করছে।
মো. সমির বেপারী বলেন ছোট বয়স থেকে কেউ যদি এই কাজে না তাহলে এই কাজ শেখা যায় না। আগে একটা সময় ছিল তাঁতির সন্তান তাঁতের কাজে আসতো। কিন্তু এখন কোনো তাঁতি তার সন্তানেকে এই পেশাতে আসতে দিতে চায় না।যাতে করে তাঁত কারিগরের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
জামদানি শিল্পের মূলধনের টানাপূরণ বেশ পুরানা। ব্যাংক থেকে চাইলে খুব সহজে ঋণ পাচ্ছেন না তাঁতের মালিকরা।
অন্যদিকে এনজিওগুলো টাকা দিলেও এর বিনিময়ে দিতে হচ্ছে উচ্চ হারে সুদ। যার ফলে আর্থিক ঘাটতি কাটি উঠতে পারছে না এই শিল্পের সাথে জড়িত উদ্যোক্তারা।
তাঁত মালিক মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা ব্যাংক লোন নিতে গিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি, দুই থেকে তিন মাস ঘুরতে হচ্ছে তাদের পিছনে। এর পরে কর্তৃপক্ষকে টাকা না দিলে মিলছে না লোনের অনুমোদন দেয়। আর এনজিও থেকে টাকা নিলে দিতে হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হারে ইন্টারেস্ট।
বিসিক জামদানি শিল্পের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে তাঁতিদের মাঝে ৩৯৯টি প্লট বরাদ্ধ দিয়েছিল। আর এই প্লট বরাদ্দ নিয়ে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। তাঁতি নয় এমন অনেককেই দেওয়া হয়েছে প্লট বরাদ্ধ। আবার প্লট পাওয়ার পরেও সেটি বাতিল করে, অন্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিসিকের কর্মকতারা ঘুষ নিয়ে এমন কাজ করছে বলে জানা তাঁতিরা।
তাঁতিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মামুন নামের একজন বিসিক কর্মকর্তা এই অপকর্মের নেতিত্ব দিয়েছে। মামুন সাহেব জমির কাগজ বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁতি প্রতি ১০ হাজার টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ করে স্থানীয় তাঁতিরা।
তাঁতিদের অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে বিসিক জামদানি শিল্পনগরির কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমানে সাথে কথা বললে তিনি বিসিক কর্মকর্তার মামুনের পক্ষে সাফাই গান। তিনি আরও বলেন, গ্রেজেট আছে তাঁতি না কিন্তু তাঁতশিল্পের সাথে জড়ির লোকেও জমি বরাদ্দ দেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য এই বিষয়ের গ্রেজেট দেখতে চাওয়া হলে তিনি তা দেখাতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, সরকারি কাগজপত্র সবাইকে দেখানোর নিয়ম নেই।
বিসিক শিল্পনগরি প্লট মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব জরিরুল ইসলামের নামও আসে এই অনিয়মের মাঝে। নাম না প্রকাশের শর্ত দিয়ে একজন তাঁত মালিক বলেন, সমিতি সভাপতি নিজেই কোনো দিন তাঁতি ছিলেন না। প্রথম দিকে তিনি সুদে টাকা দিতেন। এর পরে আসতে আসতে তিনি তাঁত থেকে শাড়ি নিয়ে ঢাকায় কেনা বেচা শুরু করে। এভাবে তার তাঁতের সাথে যুক্ত হওয়া। বর্তমানে তার ও তার পরিবারের নামে বেনামে মোট ১২টি প্লট আছে এই শিল্পনগরিতে।
এই বিষয়ে জরিরুল ইসলামের সাথে কথা বলার জন্য তার বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাও যায়নি।
এ সময় বাসাতে তার স্ত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তার এক আত্মীয় হজ্জ্বে যাচ্ছে, তাকে বিদায় জানাতে তিনি ঢাকায় গিয়েছেন।
জামদানি তাঁতিদের প্লট বরাদ্দের অনিয়মের বিষয়ে কথা বলার জন্য ঢাকার বিসিক ভবনে যোগাযোগ করে এর চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহঃ ইফতিখারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে রাজি হননি। তবে চায়ের টেবিলে তিনি জানান, প্লট বরাদ্ধে কিছুটা অনিময় হয়েছে। আর এর জন্য মামুন সাহেবকে বর্তমানে বগুড়াতে বদলি করা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান পোষ্টটির জন্য । অনেক গুরুত্বপুর্ণ কথা উঠে এসেছে লেখাটিতে । কামনা করি লেখাটি সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষের কর্তা ব্যক্তিদের নজরে পড়ুক ।
শুভেচ্ছা রইল ।