নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

এস্টিরয়েডের আঘাত থেকে মানব জাতির রক্ষা কি হবে?

৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:২৯

কিছুদিন আগে মিডিয়াতে জানা গেলো রাশিয়া নাকি এমন ক্ষেপনাস্ত্র তৈরী করেছে যা দিয়ে পৃথিবীতে ধাবিত হয়ে আসা এস্টিরয়েড আঘাত করে উপরেই ধ্বংশ করতে পারবে। এস্টিরয়েড পৃথিবীর কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
উপলদ্ধী করে বলতে হয়। এটাকেই বলে মনুষ্যত্ববাদের অহংকার। আল কোরআন বলে “হে মানুষ তুমি কি নিশ্চিত যে আমি তোমাদের উপর প্রস্তরখন্ডের আঘাত করবো না?” এটা যেনো সৃষ্টার কথার বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ।

আমরা নিজেরাই সৃষি করছি নিজেদের ধ্বংশ করার পথ্। কওমে লুত সম্পর্কে আমরা যারা জানি’ সমকাম তাদের এমন এক স্তুরে নিয়ে গিয়েছিলো যে স্তরে সকল প্রজাতি বিনষ্ট হওয়ার মতোন ঘটনা ঘটেছিলো। এখন ডেডসী জর্ডানের সেই এলাকা যার বিষক্রিয়াক্রান্ত এলাকায় গুমোট গন্ধ, পারমানবিক বোমার চেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক আবহাওয়া ওই স্থানে বিরাজ করে।

হয়তো অনেকে বলে কওমে লুতে এর ঘটনা গাল গল্প! আল্লা আমাদের ক্ষমা করুন। ওরা অবুঝ তাই’ বলে! অামাদের জানা মতে কওমে লুতের সময় ব্যাপক পাথরের আঘাতে কওমে লুত জাতিসত্ত্বার ধ্বংশ হয়েছিলো। পাথরের আঘাতে ধ্বংস হয়েছিলো এটা কি গালগপ্প? নারে ভাই এটা বৈজ্ঞানিক ভাবেই প্রমানিত। আমরা জানি আমাদের সৌরজগত সম্পর্কে্ । এবং এটাও হয়তো আমাদের অনেকের জানা আছে মঙ্গলগ্রহের পাশেই একটি এলাকা আছে যাকে বলা হয় এস্টিরয়েড বেল্ট। যে স্থানে কোটি কোটি পাথরের স্তুপ আমাদের এই সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছে পাথরের স্তুপ একটি গ্রহ যা কোন কারনে বিস্ফোরনগত কারনে ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে গেছে। কিন্ত যেহেতু সে একটি গ্রহ তাই খন্ড খন্ড অংশগুলো সূর্যকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে।

পাঠক ধর্মতত্বের কথাগুলো গাল গল্প বলা ঠিক নয়। বর্তমার পেক্ষ্পট আর ঐতিহাসিক নির্দমন এবিষয়টি কে প্রমান করে। আকাশ থেকে প্রস্তরখন্ড সেই জাতিসত্তাব উপর আঘাত করেছিলো। যা আঘাত করেছিলো তা এস্টিরয়েড বেল্ট এর এস্টিরয়েড। বা বড় উল্কা। বড় বাড় এসিটরয়েড বা উল্কাপাত এর জর্জরিত আঘাত সেই সভ্যতার বিলীন ঘটিয়েছে।


আমি আতঙ্কিত। আমাদের সময়ে কি এমন বিপর্যয় আসতে পারে? আমরা ভীতগ্রস্ত । যদি এরকম কোন এস্টিরয়েড আঘাত করে যা 5 টি পারমানবিক বোমার সমান আঘাত ঘটাতে সক্ষম। যে এস্টিরয়েড মঙ্গল গ্রহের সাথে সাথে ঘোরে ‍যদি অকস্মাৎ পৃতিবীর গতিপথে ঢুকে পড়ে। অপরাধী শ্রেণীর মানুষের শ্বাস প্রম্বাসের গতিময়তা যেমন অস্বাভাবিক ঠিক তেমনি পাপে ভরা পৃথিবীর গতিময়তা প্রকৃতির রোষে পড়ে বিপর্যয় ঘটাতে পার। বিপর্যয় ঘটাতে পারে। সৃষ্টি করতে পারে কওমে লুত এর সভ্যতার মতো ধ্বংশপ্রাপ্ত একটি সভ্যতার।

আল কোরআন বলে “হে মানুষ তুমি কি নিশ্চিত যে আমি তোমাদের উপর প্রস্তরখন্ডের আঘাত করবো না?” পাঠক এখনও সময় আছে, আমাদের ধর্শতত্বের দিকে ফিরে যেতে হবে। আল কোরআন কেনো এই ঘোষনা দিলো? কারান মানুষের বাড়াবাড়ি। এই যেমন কিছুদিন আগে মিডিয়াতে জানা গেলো রাশিয়া নাকি এমন ক্ষেপনাস্ত্র তৈরী করেছে যা দিয়ে এস্টিরয়েড আঘাত করে উপরেই ধ্বংশ করতে পারবে। আমরা বিজ্ঞানের এসব বাড়াবাড়ি কে গালগল্প বলি। কারন নিয়ন্ত্রিত এই পৃথিবীর কোন জাতিসত্তার ধ্বংশ যদি উদ্দেশ্য হয় তাহলে কি মানুষে কি তা ব্যর্থ করতে পারে। আর এ কারনে আল কোরআনে প্রকাশ্য ঘোষনা দিচ্ছে “ হে মানুষ তোমরা কি নিশ্চিত” আজ যেমনা রাশিয়া মিডিয়াতে প্রকাশ্য ঘোষনা তাদের ক্ষেপনাস্ত্রে এস্টিরয়েডের আঘাত থেকে মানব জাতিকে রক্ষা করা যাবে। আল কোরআন বলে “সেদিন তাহারা কিছুই করিতে পারিবে না”।

অতএব প্রকৃতির রোষানল থকে রক্ষা পেতে আসুন আমরা আল্লাহর কথা ভাবি। আল্লাহ এর কাছে আত্বসমর্পন করি।
আল্লাহ আমাদের রক্ষা করবেন সেই মহা হিসাবের দিন

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.