নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্রষ্টা কত মহান! মানুষের জন্য এই মহা বিশ্ব সৃষ্টি। পর্ব-১।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৫



জগতের অদ্ভুদ রকমের কিছু অসংখ্য সুক্ষ সমন্ময় দেখে নাসার জোতিবিদ প্রফেসর জন ও কিফ এর মতে“ আমরা মানবজাতি পরিকল্পিত ভাবে সৃষ্টি করা একটি জাতী। যদি এই মহাবিশ্ব সঠিকভাবে তৈরী না হতো তাহলে আমাদের অস্তিত্বই থাকতো না। এসব দেখে আমার মনে হয় এই মহাবিশ্¦ মানুষের সৃষ্টি ও বসবাসের লক্ষে তৈরী করা হয়েছে।” ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং “The laws of science, as we know them at present, contain many fundamental numbers, like the size of the electric charge of the electron and the ratio of the masses of the proton and the electron. … The remarkable fact is that the values of these numbers seem to have been very finely adjusted to make possible the development of life.” বিট্রিশ জোর্তিবিদ পল ডেভিস বলেন “There is now broad agreement among physicists and cosmologists that the Universe is in several respects ‘fine-tuned’ for life” তিনি আরো বলেন “the laws [of physics] ... seem themselves to be the product of exceedingly ingenious design…. The universe must have a purpose." বিট্রিশ গনিতবিদ প্রফেসর রজার পেনরোজ বলেন :‘There has got to be fine tuning. This is fine tuning, this is incredible precision in the organisation of the initial universe.’ তিনি আরো বলেন - “I would say the universe has a purpose. It's not there just somehow by chance.স্যার মার্টিন রীস এর লিখিত দি সিক্স নাম্বার নামের এ্কটি বই আরো বেশি আড়োলন করে তুলেছে। তিনি তার বইতে ্উল্লেখ করেছেন। এই মহাবিশ্বের কতিপয় ধ্রুবক এর মান এমন কেনো? এতটাই রহস্যময় যে এই ধ্রুবকের মান এমন হওয়ার দরকার ছিলো মানুষের আর্বিভাবের জন্য। যদি এমন না হয়ে অন্যরকম হতো তবে এই মহাবিশ্বটাকে আমরা যেভাবে দেখছি সেভাবে হয়তো দেখা হতো না।



ধ্রুবক গুলোর মান এমন না হলে প্রানের নান্দনিক স্পর্স হতো না এই পৃথিবীতে! এ্ই বিষয়বস্তু নিয়ে ফাইন টিউনিং বিশারদদের এর খোলামেলা বক্তব্য। যেমন ধরুন এই পৃথিবী। যা সূর্য থেকে ১৫,০০,০০০,০০ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত থেকে সুর্যকে কেন্দ্র করে উপবৃত্তাকার পথে ঘুরছে। উপবৃত্তাকার পথে ঘুরতে গিয়ে কোনভাবেই সূর্য পৃথিবীকে কাছে টেনে নিচ্ছেনা। পৃথিবী কোনভাবেই তার কক্ষচ্যুত হচ্ছে না। সূর্য ও পৃথিবীর জন্য থেকেই দুজনেই একই দুরত্বে অবস্থান করছে। যদি সৃষ্টির শুরুতে সূর্য থেকে পৃথিবীর দুরত্ব কিছুটা কম হতো। যদি কোন কারনে সূর্য থেকে পৃথিবী ১% কাছে অবস্থান করতো তাহলে এই পৃথিবী সূর্যের অত্যাধিক তাপ ও চাপের কারনে জ্বলে পুড়ে শুক্র গ্রহের রুপ ধারণ করতো। ফলে কখনই বায়ুমন্ডল সৃষ্টি হতো না। আর বায়ুমন্ডল সৃষ্টি না হলে কোনভাবেই এই পৃথিবীতে প্রাণ উতপাদন সম্ভব হতো না। আর যদি পৃথিবী সূর্য হতে ১% দুরে অবস্থান করতো তাহলে সূযের তাপ ও চাপ এর অভাবে পৃথিবী হিম শীতল হয়ে মঙ্গল গ্রহের মতো তুষারাচ্ছন্ন হয়ে পড়তো। ফলে প্রাণ উৎপাদনের প্রতিটি শর্ত্ই ভঙ্গ হতো। পৃথিবীর নির্ধারিত অবস্থান প্রাণ উৎপাদন ও জীবনের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এই অবস্থানের কারনে সূর্যের পর্যাপ্ত আলো এই পৃথিবীকে টিকিয়ে রেখেছে। টিকিয়ে রেখেছে বৃক্ষমন্ডলী এবং প্রানীকুল। এ যেনো সুক্ষ এক সমন্ময় আর মহাপরিকল্পনার ফসল। নির্ধারিত একটি অবস্থান যে অবস্থানের কারনে পৃথিবী আজ প্রাণময়।

পৃথিবীর অবস্থান যেমন প্রাণীকুলের অস্তিত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি পৃথিবীর আয়তন এর উপরও ডিপেন্ড করে মহাজাগতিক এবং প্রাণময় হিসেব নিকেশ। যেমন ধরি পৃথিবী ও তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি। এই মধ্যাকর্ষন শক্তির পরিমান নির্ধারিত হয়েছে পৃথিবীর আয়তন এর উপর। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি যদি নির্ধারিত ধ্রুবকের চেয়ে ০.১% বেশি হতো তবে অত্যাধিক মধ্যাকর্ষন এর চাপের কারনে পৃথিবীর বুকে কোন ভাবেই বায়ুমন্ডল সৃষ্টি হওয়া সম্ভব হতো না আবার যদি পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি যদি নির্ধারিত ধ্রুবকের চেয়ে ০.১% কম হতো তবে পৃথিবীকে ঘিরে বায়ুমন্ডলের বলয় তৈরী না হয়ে বরং তা মহাশুন্যে উড়ে হারিয়ে যেতো। ফলে বায়ুমন্ডলের এই অভাবে পৃথিবীর বুকে কখনই ঘটতো না কার্বন ভিত্তিক নান্দনিক প্রাণের মহাযাত্রা। আমেরিকান ভূতত্ত্ববিদ ফ্রাংক প্রেস এবং সিলভার তাদের গবেষনার মাধ্যমে প্রাপ্ত ডাটার উপর ভিত্তি করে বলেন “পৃথিবীর আয়তন একে জীবনধারনের উপযোগী করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যদি পৃথিবীর আয়তন কিছুটা কম হতো তবে এটি এর বর্তমান বাযূমন্ডল ধরে রাখতে পারত না। কারন এর অভিকর্ষীয় শক্তি গ্যাস সমূহকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট হতো নাা। আবার যদি এর ভর কিছুটা বেশি হতো তবে এর শক্তিশালী অভিকর্ষীয় আকর্ষন শক্তির দ্বারা এটি বেশি পরিমান গ্যাস (ক্ষতিকর গ্যাস সমূহ) বায়ুমন্ডলে ধারণ করত। পৃথিবীর আকৃতি এবং অভ্যন্তরের পদার্থ সমহের উপরও প্রাণীকুলের অস্তিত্ব নির্ভরশীল। এইগুলো যদি এক বিন্দু এদিক ওদিক হতো তাহলে কোনভাবেই এ পৃথিবীতেই প্রানিকুলের আবির্ভাব ঘটতো না।

The Van Allan Belt পৃথিবী রক্ষাকারী দূর্গ হিসেবে কাজ করে। এই বুহ্য মহাবিশ্ব থেকে আসা সূর্য এবং অন্যাান্য নক্ষত্র থেকে আসা ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করে। এই The Van Allan Belt মহাবিশ্ব থেকে আসা মাত্র ০.১ % রেডিয়েশন পৃথিবীতে প্রবেশ করতে দেয় এবং বাকী অংশ রেডিয়েশন তা মহাশুল্যে ফেরত পাঠায়। গামা রে, এক্স রে সহ এমন ভয়াবহ ক্ষতিকর রেডিয়েশন যদি ফেরত না পাঠাতো তবে এই পৃথিবীতে প্রাণীকুল এর আর্বিভাব কোনভাবেই সম্ভব হতো না। The Van Allan Belt নামক এই প্রানীকূল রক্ষাকারী বুহ্যটি পৃথিবী হতে ১০০০ কি:মি: পর্যন্ত বিস্তুত যা পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত। পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ ভাগ বা এর কেন্দ্রের Iron Core (আইরন কোর) চুম্¦ক ক্ষেত্র তৈরীতে গুরুত্বর্র্পূণ ভূমীকা রাখে। এই চুম্বক ক্ষেত্রটি পৃথিবীর কেন্দ্রের চুম্বকীয় ধাতু লোহা নিকেল দ্বারা সৃষ্টি হয়। এই Iron Core টির দুটি অংশ আছে Outer Core এবং Inner Core কঠিন পর্দাথ দ্বারা তৈরী এবং Outer Core তরল পদার্থ। এ দুটি লেয়ার পরস্পর বিপরীত দিকে ঘুরতে থাকে এবং তাদের এই ঘুর্ননের কারনে ভূচুম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরী হয়। এই চুম্বকীয় ক্ষেত্র বায়ুমন্ডলের স্তরকে ধরে রাখে এবং মহাজাগতিক কসমিক রেডিয়েশন হতে পৃথিবীকে প্রাণীকুল এবং বৃক্ষজগতকে রক্ষা করে। পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ ভাগ সুষম তাপীয় ইঞ্জিন ব্যবস্থা Radioactivity দ্বারা পরিচালিত। যদি এই তাপীয় ব্যবস্থা কিছুটা ধীর গতিতে চলতো তবে কোনভাবেই Inner Core সৃষ্টি হতো না। আর যদি এই তাপীয় ব্যবস্থা কিছুটা দ্রুতগতিতে হতো তবে এই পৃথিবীতে প্রতিদিন ভূমীকম্প ও অগ্নুপাত হতো। এবং প্রতিদিনের ভূমীকম্পের ফলে পৃথিবীতে প্রাণীকুলের টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে উঠতো। প্রাণীকূলের বিনাশ ঘটতো।

এই পৃথিবীটা একটু সুক্ষসমন্ময়ের উপর দাড়িয়ে রয়েছে। যার একচূল এদিক ওদিক হলে এই পৃথিবীর উপর কোনভাবেই প্রানের আর্বিভাব ঘটতো না। পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ ও পৃথিবীর সর্ম্পক টি জটিল এবং একটি গানিতিক হিসাবের নিয়ন্ত্রনে। আমরা জানি পৃথিবী ও চাঁদ একে অন্যকে আর্কষণ করে। এবং এই আর্কষনের কারনে পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটা ঘটে। চাঁদ পৃথিবী হতে ৩,৮৪,৪০৩ কি:মি: দুরে অবস্থান করে। এতটা দুরে থেকে আর্কষন এবং প্রভাবিত করে। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ যদি তার অবস্থান থেকে কিছুটা নিকটবর্তী হতো তবে নদী-সমুদ্রের পানি নিমজ্জিত করে রাখতো। আর সমগ্র পৃথিবীজুড়ে যদি পানি আর পানি এর অথই নিমজ্জিত থাকতো তবে কি পৃথিবীতে প্রানের আর্বিভাব ঘটতো ? ঘটতো না। প্রানের এই নান্দনিক আয়োজন অকালেই ভ্রম বলে পরিগনিত হতো। আর যদি চাঁদ কিছুটা দুরে সরে যেতো তবে এই পৃথিবীটা মরুভূমীতে পরিনত হতো। মেঘচক্র বৃষ্টিচক্র বাধাগ্রস্ত হবার কারনে পৃথিবীর মাটির পূর্ণবিকাশ ঘটতো না ফলে পাথরময় বালুকাময় একটি প্রাণ সৃষ্টির অনুপযুক্ত একটি গ্রহ বলেই পৃথিবী বিবেচিত হতো। আর তা যখন হয় নাই তাহলে আমাদের এটা মেনে নিতে হবে এই চাঁদের অবস্থানটিও মহাপরিকল্পনাকারীর পরিকল্পনার গানিতিক রুপায়নেরই ফসল। আর এ্ই কারনেই সম্ভবত আল কোরানে বলে “নিশ্চয়ই আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃজন ক্রিয়ার এবং দিন রাতের অনুবর্তনে অন্তদৃষ্টিসম্পন্ন জনদের জন্য বার্তা রয়েছে। যারা দাড়িয়ে বসে ও শুয়ে আল্লাহ সমন্ধে ভাবে এবং আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃজন সম্বন্ধে চিন্তা করে। তাদের কথা হলো; হে আমাদের প্রতিপালক তুমি এর কোনোকিছুই অর্থবর্জিতভাবে সৃষ্টি করনি। তুমি তো সকল ত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত! তুমি আমাদেরকে আগুনের যন্ত্রনা থেকে রক্ষা কর!” (২১:১৬-১৭)



এই মহাবিশ্বের প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রতিটি স্থানে একটি চূড়ান্ত ভাবে একটি পরিকল্পনার প্রভাব স্পষ্ট। কে যেনো গানিতিক নিয়ম একটি রুল একটি মহাজাগতিক পান্ডুলিপিতে পূনাঙ্গ ভাবে পরিস্ফুটিত করে রেখেছে। যার মাঝে একটি উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে। আর সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি। তাহলে উদ্দেশ্যটা কি? আধুনিক বিজ্ঞানের চুড়ান্ত কিছু গবেষনা প্রমান করে দিচ্ছে সেই উদ্দেশ্যটি হলো এই পৃথিবীর অবস্থিত প্রানীকূল নিদীষ্ট করে বললে “মানুষ”। এই মানুষ সৃষ্টি করার জন্য সমগ্র মহাবিশ্বটাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সুপরিকল্পিত, নিয়মতান্ত্রিক ও নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। সমগ্র বিশ্বজগতে বিদ্যমান রয়েছে পরিকল্পনার সুস্পষ্ট ছাপ। আল কোরআন বলে- “আল্লাহ যর্থাথরুপে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। এতে নিদর্শন রয়েছে ইমানদার সম্প্রদায়ের জন্যে।(২৯:৪৪)” আধুনিক বিজ্ঞান স্পষ্টভাবে আবিস্কার করতে সক্ষম হয়েছে যে এই মহাবিশ্বটা সুক্ষ থেকে সুক্ষতম নিয়ম শৃংখলা ভারসাম্যতার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত। যার একবিন্দু এদিক ওদিক হলে মহাবিশ্ব নামের এই সিষ্টেমটা মানুষের জন্য বাসযোগ্যতা দুরের কথা মুহুত্বের মধ্যে অচল হয়ে ধ্বংশ হয়ে যেতো। অত্এব এটি যে একটি উন্নত চেতনার উচ্চমার্গিয় পরিকল্পনার ফসল তা নিশ্চিত। মানুষের জন্য বাসযোগ্য মহাবিশ্বটা দৈব্যক্রমে সৃষ্টি হয়েছে এই চিন্তা করাটাও রিতীমতো অসম্ভব। এবার আসি আমরা সকল গ্রহমন্ডলী এবং সৌরজগত নিয়ে একটু আলোচনায়। এই সৌরজগতটিও একটি নিয়ন্ত্রিত ও সুক্ষ সমন্ময়ের ভারসাম্যে তৈরী। এ কারনে আল কোরআন বলে “এবং তোমাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন সূর্যকে এবং চন্দ্রকে সর্বদা এক নিয়মে এবং রাত্রি ও দিবাকে তোমাাদের কাজে লাগিয়েছেন।(১৪:৩৩) বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগত এবং গ্রহ উপগ্রহের একটি মডেল তৈরী করে দেখেছেন আমাদের সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহ উপগ্রহের ভর এবং অবস্থান সুক্ষ পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যর্পূন। আর এই ভর এবং অবস্থানের নিত্যতা ১৪০০ কোটি বতসরের সৌরব্যবস্থার সাম্যতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমীকা পালন করেছে। নক্ষত্রবিদ্যা থেকে জানা যায় সৌরজগতের গ্রহ উপগ্রহের অবস্থান ও ভর এতটাই পারফেক্ট যে এই পারফেক্টনেসই পৃথিবীর বুকে প্রাণ উতপাদনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এবং এই সৌরব্যবস্থার উপর নির্ভর করে থাকে আমাদের পৃথিবীর নিরাপত্তা। অন্যান্য গ্রহগুলোও পৃথিবীকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। এবং তাদের অবস্থানের উপর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নির্ভরশীল। যেমন ধরি বৃহস্পতি গ্রহটি। বৃহস্পতি গ্রহটি যেনো সৌর পরিবারে মা এর মতো দায়িত্¦ পালন করে চলছে। এই গ্রহটি এমন একটি অবস্থানে অবস্থান করছে যে এই গ্রহটির বর্তমান অবস্থান অন্যান্য গ্রহগুলোকে তাদের অবস্থানে থাকতে সাাহায্য করছে। পৃথিবীর উপর বৃহস্পতি গ্রহের প্রভার এতটাই বেশি যে তার অবস্থানের উপর পৃথিবীর প্রাণ সৃষ্টির কৃতিত্ব নির্ভর করে। এই গ্রহটি যদি না থাকতো তবে পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির শুরুতেই তা ধ্বংশলীলাতে নিপতিত হতো। বৃহস্পতি গ্রহের সৃষ্ট চুম্বকীয় ক্ষেত্র উল্কা এবং ধূমকেতুগুলোর গতিপথ বদল করে আমাদের সৌরব্যবস্থার প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করে এবং আমাদের পৃথিবীকে এসব উল্কা এবং ধূমকেতুর হাত থেকে রক্ষা করছে। বৃহস্পতিগ্রহের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা উল্লেখ করেন নক্ষত্রবিদ জর্জ ওয়েদারহিল তার “How Special Jupiter Is” আর্টিকেলে তিনি বলেন “Without a large planet positioned precisely where Jupiter is, the earth would have been struck a thousand times more frequently in the past by comets and meteors and other interplanetary debris. If it were not for Jupiter, we wouldn't be around to study the origin of the solar system.” এই সৌরজগতের সৃষ্টিশীলতা দীর্ঘস্থায়ীত্ব এখন প্রশ্ন সাপেক্ষ। আধুনিক বিজ্ঞান গবেষনা করে পাচ্ছেন যে এই সৌরজগত এর প্রতিটি বস্তু এর অবস্থান ভর এতটাই সুক্ষ এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ করে নির্মিত। এ্ই পৃথিবীর প্রাণ সৃষ্টিতে সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহ উপগ্রহের অবস্থান ছিলো পারফেক্ট এবং নিয়ন্ত্রিত যদি কোন কারনে সৌরজগতের কোন গ্রহ উপগ্রহের অবস্থান একটু পরিবর্তিত হতো তবে প্রাণ সৃষ্টি হওয়া অসম্ভব হয়ে যেতো। আমাদের পৃথিবী এবং এর উপগ্রহ চন্দ্রের মধ্যে যে সৌর ব্যবস্থা বিদ্যমান তা সৌরজগতের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমীকা পালন করছে। এই দুটির অনুপস্থিতে বৃহস্পতি গ্রহের আকর্ষন শক্তি শুক্র ও বুধ গ্রহের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করত। এই অধার্কষণ শক্তি শুক্র ও বুধ দুটি গ্রহের মধ্যে দুরত্ব ক্রমান্ময়ে কমিয়ে আনত। ফলে একসময় বুধ সৌরজগত হতে ছিটকে যেতো শুক্রগ্রহের কক্ষপথ পরিবর্তিত হতো। The Astronomical Journal এর 1998 এর ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসের সঙ্কলনে বলা হয় ‘Our basic finding is nevertheless an indication of the need for some sort of rudimentary "design" in the solar system to ensure long-term stability” আল কোরআন বলে “ তিনি তোমাদের কল্যাণের জন্য রাত ও দিন ও সূর্য এবং চন্দ্রকে বশীভূত করে রেখেছেন।এবং সমস্ত তারকাও তারই হুকুমে বশীভূত রয়েছে। যারা বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগায় তাদের জন্য রয়েছে এর মধ্যে প্রচুর নিদর্শন। (আল নাহল-১২)


মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪১

রানার ব্লগ বলেছেন: সবকিছু একই সুতায় গাথা !!!

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭

মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: মুসলিমদের উচিত বিজ্ঞান চর্চায় আরও বেশি মনোনিবেশ করা...

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার পোষ্ট স্রষ্টাকে আরেকটু বদলায়ে দিয়েছে; প্রতিটি লেখা, প্রতি ওয়াজ, আমাদের স্রষ্টাকে একটু একটু করে হলেও বদলায়ে দেয়।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যাবাদ। আপনার মতো মানুষ স্রষ্টার কদর করতে জানে এটা ভাবি নাই! আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৯

মাহিরাহি বলেছেন: ভোরের স্নিগ্ধ বাতাসে পৃথিবীর এক চেহারা, মধ্যাহ্নের খরতাপে পৃথিবীর এক চেহারা, গোধুলি বেলায় পৃথিবীর এক চেহারা আর জোছনা রাতে পৃথিবীর অপূর্ব আরেক চেহারা। কত আলো রং, কত আয়োজন।

৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মানুষ যখন ছিল না যখন শুধু ডাইনোসর ছিল তখন কাদের জন্য বানিয়ে ছিল এই মহা বিশ্ব।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এটাও ছিলো স্রষ্টার সৃষ্টির একটি ধারাবাহিকতা। আজ যদি ডাইনোসর থাকতো তাহলে কি চতুষ্পদ প্রাণী সমাজ কি রাজত্ব করতে পারতে এই পৃথিবীতে? ডাইনোসর সমাজ এদেরকে সমূলে বিনাশ করে দিতো। বংশ বৃদ্ধি রোধ করে দিতো। সৃষ্টির প্রতিটি পর্ব বা ধারাবাহিকতা একটি পরিকল্পনা। এই বৃহৎ শ্রেনীর প্রনীরা পৃথিবীতে প্রানী বিচরনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আর মানুষ সেই সুযোগ নিয়েছে। এট্রাই স্রষ্টার পরিকল্পনা।

৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০২

ওমেরা বলেছেন: ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:১০

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন কিন্তু- রাস্তা ঘাট, বড় বড় বিল্ডিং, ব্রীজ, প্লেন, রকেট, মোবাইল, ইন্টারনেট, গাড়ি, জাহাজ এসব বানিয়েছে মানুষ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মহাবিশ্বে অসংখ্য নক্ষত্র গ্রহ সৃষ্টি করা হয়েছে এমনি এমনি নয়। এই সৃষ্টির পিছনে কারন আছে । আর এই কারনটা হলো মানুষ সমগ্র মহিাবিশ্বে বিচরন করবে। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির পুর্বে থেকেই এই জ্ঞান দিয়েছে। যে জ্ঞান ধারাবাহিকভাবে মানুষ অর্জন করবে। সমস্ত কৃতিত্বের অধিকারী তিনি স্রষ্টা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.