নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেরেস্তারা (দেবতারা) আকাশ থেকে এসে মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন। দীর্ঘমেয়াদী শিক্ষা আল্লারই পরিকল্পনা। ফেরেস্তা দেবতা (কথিত ভীনগ্রহ বাসী) সব একই । (পর্ব১)

১৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:২৮


মানুষ কি সহজেই নিজ থেকেই তার জ্ঞানের চুড়ান্ত বিকাশ ঘটিয়েছে? শরীরে পোষাক পড়তে হবে অন্য সকল পশু হতে তাকে আলাদা হতে হবে সংক্রান্ত মানুষের পোষাক আবিস্কার, মানুষের কথা বলা শেখা, পশু পালন, নৌকা আবিস্কার, কৃষি কাজ উপলদ্ধি, স্থাপত্য শিল্পের আবিস্কার, লিখন পদ্ধতির আবিস্কার, চিকিৎসা পদ্ধতি উন্নয়ন ? মানব জাতির জীবনে এত উন্নয়ন কি আপনা আপনি ঘটেছে নাকি এর মধ্যে কোন রহস্যময়তা বিদ্যমান ছিলো? আমি কিন্তু ভাবি অন্য কথা! সভ্যতার উন্মোচনের দিকে তাকালে দেখা যায় সভ্যতার উত্থানের পিছনে রয়েছে ধর্ম। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধর্ম বা ধর্মপ্রবর্তক সভ্যতা বিকাশের কারিগর হিসেবে কাজ করেছে। কোথাও কোথাও কখনও দেখা গেছে সেই ধর্মপ্রবর্তককে দেবতা জ্ঞানে পূজা করা হয়েছে। আর সেই ধর্মপ্রবর্তেকের কাছে দেবতা বা ফেরেস্তা নামক কোন প্রাণির আগমন ঘটেছে যা ধর্ম মানবজাগরনে গুরুত্বপূন বিষয় হিসেবে দেখা গেছে যুগে যুগে। ধর্মপ্রবর্তকের অধীনে লাখ লাখ মানুষের একাত্মতা বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। আর এই একাত্মতা ঘটার পিছনে ছিলো ধর্মপ্রবর্তকের বৈপ্লবিক চিন্তাচেতনা ! আমরা জানি ইদানিং ডলফিনকে ট্রেনিং দিয়ে মানুষ সমুদ্রের গভীরে কর্মকান্ড করিয়ে নিচ্ছে। বানর কে শিক্ষা দিয়ে মানুষ বিভিন্ন খেলা শিখিয়ে টাকা রোজগার করছে। কুকুরকেও শিক্ষা দিয়ে মানুষ তার প্রয়োজন মিটাতে ব্যবহার করছে। তাহলে মানব জীবনে কি স্রষ্টার এমন কোন হস্তক্ষেপ ছিলো না যাদ্বারা মানবজাতি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শিক্ষা পেয়ে উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করেছে? আমিতো মানুষের এই উন্নয়নের পিছনে স্রষ্টার হস্তক্ষেপ স্পষ্ট লক্ষ্য করছি ? আমি ধারাবাহিকভাবে মানব সভ্যতার প্রাগঐতিহাসিক উন্নয়নগুলো নিয়ে আলোচনা করবো। মানবসভ্যতার যে প্রাথমিক উন্নয়ন গুলো না হলে মানুষেরজীবনে এত উন্নয়ন হওয়া সম্ভব হতো না। (তবে এই পর্বে মানুষের জ্ঞানবৃক্ষ খ্যাত পোষাক আবিস্কারের গল্প নিয়ে তেমন কিছু বলবো না কারন জ্ঞানবৃক্ষ খ্যাত সময়কাল নিয়ে আমি আরেকটি পর্বে আলোচনা করবো। এ পর্বে মানুষের কথা বলার ইতিহাসটা আলোচনা করবো এবং আরো একটি পর্বে মানুষের লিখনপদ্ধতি আবিস্কার সংক্রান্ত বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করাবো পশুপালন অন্যান্য পর্বে কৃষি কাজ শেখা, চিকিৎসা পদ্ধতি আবিস্কার তথা মিশরের সভ্যতার ধর্মীয় উন্মাদনা যা রহস্যমায় পিরামিডের আবিস্কারসহ সকল বিষয় তুলে ধরবো। )

মানুষের সভ্যাতার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় হোমো সেপিয়েন্সের শুরুতে জ্ঞানবৃক্ষ জনিত ঘটনা বা মানবজাতির জীবনে পোষাক আবিস্কার ছিলো একটি গুরুত্বপূর্ন ঘটনা। এই ঘটনাটি মানুষকে পশু থেকে আলাদা করে। মানবজাতির জীবনে পোষাক আবিস্কার তার চিন্তা চেতনাকে মেরুকরন করে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে গেলেও পশুত্ব থেকে সদ্য বিচ্ছিন্ন হওয়া মানুষের জীবনের তেমন কোন পরিবর্তন হয় নাই যতদিন পর্যন্ত মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করতে না পেরেছে। মানুষ সভ্যতার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় মানুষের কথা বলা শেখাটাই ছিলো চমকপ্রদ উন্নয়নমূলক একটি মাইলফলক ঘটনা। কথা বলা শেখার পরেই মানুষ জাতির ঐতিহাসিক উন্নয়ন শুরু হয়। ধাপে ধাপে মানুষের পশুত্ব থেকে মনুষত্ব প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু মানুষ কথা বলা শিখলো কি করে? কে তাকে বোঝালো কন্ঠ থেকে বেরোনো সুর জিহ্বা ঘুরিয়ে পেচিয়ে পরিবর্তন করে মনের ভাব প্রকাশ করা যায়। বিভিন্ন শব্দ চয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন বস্তুুর নামকরন করে এক একটি বিষয় নির্ধারন করা যায়? কে তাকে শেখালো এই নামকরন করা? একটি গরুকে গরু বলতে হবে, একটি ছাগলকে ছাগল বলতে হবে, একটি মুরগীকে মুরগী বলতে হবে। আকাশকে আকাশ বলতে হবে। এই নামকরন করা মানবসভ্যতার চুড়ান্ত উন্নয়নের দ্মার উন্মোচরন করে। এই নামকরন করাইবা মানুষ শিখলো কি করে? কে তাকে শিখালো নামকরন করা?

পৃথিবীতে মানুষই হলো একমাত্র প্রাণী যাদের ভাষা আছে, এই ভাষার কারণে আমরা অন্যসব প্রাণী থেকে আলাদা হয়েছি," নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাগি টলারম্যান সত্যি একটি মহান সত্যি কথা বলেছেন ! আমাদের মানুষের উন্নয়নের চুড়ান্ত শিখরে আরোহন করার একটি মাত্র কারন যে মানুষেরা খুব সহজেই তার মনের ভাব প্রকাশ করাতে পারে। ভাষা আবিস্কারের প্রয়োজনীয়তা সর্ম্পকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ইতিহাসবিদ ড. লরা রাইট বলেন ‘এই আড্ডা মারার মতো করে কথা বলার গুরুত্বও কম ছিল না। টুকটাক কথা বলা, পরচর্চা বা গসিপ এগুলো প্রতিদিনেরই অংশ- আর একসকল কারনে মানুষের জীবনে ভাষা আবিস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ’ কিন্তু মানুষের এই কথা বলার পিছনে তার শারীরিক সক্ষমতা কি ছিলো? নাকি মানুষের বিবর্তেনের মধ্য দিয়ে মানবজাতি কথা বলার মতো যোগ্যতা পেয়ে যাচ্ছিলো। আদি মানুষের মস্তিষ্কের গাঠনিক অবস্থানের সাথে ভাষার উৎপত্তির সম্পর্ক স্থাপন করা খুবই কঠিন। আদিম পৃথিবীতে মানুষের আগেই এসেছিল এপরা। এই এপদের গলায় বড় আকারের বায়ুথলী ছিল। এটা দিয়ে তারা 'গোঁ গোঁ' ধরনের শব্দ করে প্রতিপক্ষ বা অন্যান্য প্রাণীকে ভয় দেখাত। বেলজিয়ামের ফ্রি ইউনিভার্সিটি অফ ব্রাসেলসে বিজ্ঞানী বার্ট দ্য বোর সিমুলেশন করে দেখিয়েছেন। মানুষের ভাষার পেছনে স্বরবর্ণ, যাকে বলে, আবশ্যক। এপদের মধ্যে এ ধরনের বায়ুথলী ছিল ঠিকই, সমস্যা হচ্ছে, এ ধরনের বায়ুথলী স্বরবর্ণের উচ্চারণে বাধা দেয়। কিন্তু হোমো হাইডেলবার্জেনিস প্রজাতীর দেহে এরকম কিছু দেখা যায় না। এই হোমো হাইডেলবার্জেনিস থেকেই পরে নিয়ান্ডারথাল ও স্যাপিয়েন্সরা এসেছে বলে ধারণা করেন বিজ্ঞানীরা। তাছাড়া কিছু কিচু বিজ্ঞানীদের মতে মানুষ যখন সোজা হয়ে দাড়াতে শিখতে শুরু করে তখন থেকেই মানুষের বাগযন্ত্র সোজাসুজি অথাৎ L আকৃতির হতে শুরু করে। মানুষের সোজা হয়ে হাটার কারনে তার কন্ঠনালী পারফেক্ট হতে থাকে। আধুনিক মুখের ভাষাগুলির বিভিন্ন ধ্বনি উচ্চারণের জন্য মানুষের বিশেষ উল্টো Lআকৃতির বাগনালী প্রয়োজন, এবং স্বরযন্ত্র বা ল্যারিংক্সের গলার বেশ ভেতরে থাকা প্রয়োজন। কিন্তু নিয়ানর্ডাথালদের পূর্বের শ্রেনির মাঝে জৈবিক কাঠামো, শ্বসনতন্ত্র, কণ্ঠের অবস্থা ইত্যাদি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছিলো। আধুনিক মানুষ তথা হোমো সেপিয়েন্স এর পূর্বের নিয়ান্ডারথালদের দৈহিক বাকযন্তু বা অণ্যান্য বিষয়বস্তু কথা বলার জন্য উপযোগী ছিল৷ বক্ষ ও উদরের মাঝখানের ঝিল্লিতে নার্ভের সংখ্যা বেশি হলে এবং স্পাইনাল কর্ড মোটা হলে তা কথা বলার পক্ষে সহায়ক ছিলো। এমনকি কথা বলার মূল চালিকা শক্তি FXP2 নামের একটি জিন নিয়ানডার্থাল শ্রেনির মাঝে বিদ্যমান ছিলো। কিন্তু কোন কোন প্রত্নতাত্ত্বিকের মতে নিয়ান্ডার্থাল মানুষদের মধ্যে ল্যারিংক্সের অবস্থান গলার বেশ উপরের দিকে ছিল এবং এই কারনেই তাদের পক্ষে বর্তমান মনুষ্য ভাষার ধ্বনিগুলি উচ্চারণ করা সম্ভব ছিল না। আধুনিক মানুষের কথা যদি ভাবি, মস্তিষ্ক থেকে মেরুদণ্ড হয়ে অনেক অনেকগুলো স্নায়ু ডায়াফ্রাম এবং পাঁজরের মধ্যকার পেশীতে এসে যুক্ত হয়েছে। ঠিকভাবে শ্বাস নিয়ন্ত্রণ ও যথার্থ শব্দ করার জন্য এগুলো জরুরি ভূমিকা রাখে। এই একই জিনিস নিয়ান্ডারথালদের মধ্যেও দেখা যায়। নিয়ানডার্থালরা বিভিন্ন রকম শব্দ করা বা কিছুটা ইশারা ইঙ্গীতের মাধ্যেমে কিচুটা মনের ভাব প্রকাশ করার চেষ্টা করলেও নিয়ানডার্থালরা আসলে ভাষা আবিস্কার করে উঠতে পারে নাই অথাৎ কোন বস্তুর নামকরন করার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন বস্তুর পরিচয় সৃষ্টির বিষয়টি তাদের মাথায় আসেনি । কথা বলাল মতো গো গু শব্দ করা ছাড়া চিৎকার করে কোন কিছু বোঝানো ছাড়া তেমন কোন শব্দ বা বস্তুর নামকরনের মাধ্যমে ভাষার সৃষ্টির কোন গ্রহনযোগ্য কোন প্রমান নিয়ানর্ডাথালদের আমলে পাওয়া যায় নি। এককথায় বলা যায় মানুষের কথা বলার মতো দৈহিক প্রস্তুতি নিতে প্রায় কয়েক লক্ষ বৎসর লেগেছিলো। আধুনিক কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক এর গবেষনা জানা যায় ভাষার উৎপত্তির প্রাচীন যে ঐতিহাসিক প্রমান পাওয়া যায় তা হলে তা হলো হোমো সেপিয়েন্সদের বসতি গড়ার মধ্য দিয়ে। তারাই ভাষা আবিস্কার করেছিলো বলে অনুমান করা হয়ে থাকে। প্রত্নতাত্ত্বীকদের গবেষনা অনুসারে সেই সময়কাল প্রায় ৪০/৫০ হাজার বৎসরের প্রাচীন।



মস্তিষ্কের যে অংশ কথা নিয়ন্ত্রণ করে FOXP2 জিন যার জন্য আমরা মুখ মধ্যে প্রয়োজনীয় নড়াচড়াগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। FXP2 নামের এই জিনটি স্তন্যপায়ী প্রায় সকল প্রাণীর শরীরেই আছে। কিন্তু মানবদেহে যেটি আছে সেটি এর রূপান্তরিত জিন," মানুষের কথা বলার জন্য এই রুপান্তরিত জীনটি কৃতিত্ব বহন করছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো মানব দেহে এই জীনটি রুপান্তরিত হলো কি করে? কথা বলা ও ভাষার বিকাশে এই জিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কারণ যেসব মানুষের শরীরে এই জিনটি রূপান্তরিত অবস্থায় থাকে না, তাদের কথা বলতে অসুবিধা হয়।" আর যাদের মধ্যে রুপান্তরিত অবস্থায় থাকে তারাই কথা বলতে পারে। যেমন গরিলা ওরাং ওটাং এর এই জিনটি রুপান্তরিত অবস্থায় নেই। কোন না কোন ভাবে কোন মিউটিশন মানব দেহে এই জীনটিকে রুপান্তরিত অবস্থায় পরিবর্তন করেছিলো। আর যাই হোক দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়ায় মানব দেহটাও কথা বলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। কিন্তু এই পরিবর্তন অন্য কোন প্রাণির দেহে ঘটলো না ঘটলো আল্লাহর নির্ধারিত প্রানি মানুষকে যাকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েচে তার মাঝে? নিয়ান্ডারথালদের মধ্যেও এই জিন ছিল, কিন্তু এতটা উন্নত ছিল না। আর এই কারনে জার্মান মনোবিজ্ঞানী উইলহেম উন্ড ভাষার উৎপত্তি নিয়ে যতো তত্ত্ব ও প্রস্তাবনা আলোচিত হয়েছে তা দেখে তিনি প্রশ্ন করেছেন মানব জগতে ভাষার আবির্ভাব ও ব্যবহারের সক্ষমতা কি কোন ‘ঐশ্বরিক দান’ নাকি?

একটু গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করলে আমরা লক্ষ্য করবো মানুষের ভাষা শিক্ষাটা একটি অলৌকিক বিষয়। ইতিহাস আমাদের বুঝতে শেখায় জ্ঞানবৃক্ষ জনিত ঘটনা বা হোমো সেপিয়েন্সদের মধ্য পোষাক পড়ার বাসনা থেকেই সুই সুতার আবিস্কার করে তার কিচুদিনের মধ্যেই অদ্ভুদভাবে হোমো সেপিয়েন্সরা কথা বলতে শুরু করে। বাইবেল অনুযায়ী বলা হয় ভাষা একটি ‘Divine Gift’ বা স্বর্গীয় উপহার। সৃষ্টিকর্তা মানুষ সৃষ্টির শুরুতেই মানুষের মধ্যে শুধু ভাষাই নয় বরং কথা বলার ক্ষমতাও দিয়ে দিয়েছেন। এবারে আমরা আল কোরআনের গুরুত্বপূন কিছু আয়াত নিয়ে আলোচনা করি। আল কোরআন মানবজাতির কথা বলা শিক্ষা নিয়ে কি বলেন? আল কোরআন বলেন- দয়াময় আল্লাহ, তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন। তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তিনিই তাকে ভাব প্রকাশ করতে শিখিয়েছেন। -সূরা রহমান : ১-৪ " যার অর্থ দাড়ায় স্রস্টাই মানুষকে ভাব প্রকাশ করতে বা কথা বলতে শিখিয়েছেন। নীচের উল্লেখিত আয়াতগুলোতে আল্লা আদমকে নাম শেখানোর বিষয়বন্তু তুলে ধরেছেন। আয়াতটি লক্ষ্য করুন যে বিভিন্ন বিষয়বস্তুর নাম সৃষ্ট বিষয় স্বয়ং আল্লা হতে। আল্লাই মানুষকে এসব নাম সৃষ্ট করতে শিখিয়েছেন-“আর তিনি আদমকে নামসমূহ সব শিক্ষা দিলেন তারপর তা ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। সুতরাং বললেন, ‘তোমরা আমাকে এগুলোর নাম জানাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’। তারা বলল, ‘আপনি পবিত্র মহান। আপনি আমাদেরকে যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয় আপনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। তিনি বললেন, ‘হে আদম, এগুলোর নাম তাদেরকে জানাও’। অতঃপর সে এগুলোর নাম তাদেরকে জানাল।” (আল কোরআন সুরা বাকারা 31-33) প্রিয় পাঠক, লক্ষ্য করুন এই তিনটি আয়াতে আদমকে নাম শিক্ষা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। আল কোরআনে আদমের এই নাম শিক্ষা দেওয়া বিষয়টি ভাষা সৃষ্টির ধারাবাহিক প্রয়াস ছিলো। আসলে ভাষা তখনই পূর্নতা পায় যখন নামকরনগুলো পূর্নাঙ্গরুপে প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা যখন একটি শিশুকে বিদেশী ভাষা শেখায় সর্বপ্রথম বিভিন্ন শব্দ শেখায় শব্দ মুখস্ত হলে ব্যকরন শেখায় এবং বাক্য গঠন শেখায়। আদিমকালে মানুষের সমাজে নানা প্রয়োজনে ভাষার ব্যবহার শুরু হয়। তখন তারা বিভিন্ন জিনিসের নাম দিতে থাকে যাতে সবাই একটি জিনিসকে একটি নির্দিষ্ট নামেই চেনে। শিকার করতে গিয়ে তাদের সহচরদের বুঝতে সহায়তা করতে শিকার করা প্রাণিটিকে একটি নাম ধরে ডাকা শুরু করে। এই নাম সৃষ্টিই পরবর্তীতে ভাষা সৃষ্টি করে। আসলে ভাষার তখনই পূর্নাঙ্গতা পায় যখন পর্যাপ্ত শব্দের ভান্ডার বিদ্যমান থাকে। যেমন একটি বাক্য আমি বলি “আমি বইটি পড়ছি”। এখানে তিনটি শব্দ দিয়ে বাক্য গঠন করা হলো। এই তিনটি শব্দকে তিনটি নামকরন করা হয়েছে। যেমন আমি শব্দটি আমাকে বোঝাতে নামকরন করা হয়েছে। বই একটি বিষয় তাকে বই নামে নামকরন করা হয়েছে। পরবর্তীতে পড়া একটি কাজ তাকে পড়া নামে নামকরন করা হয়েছে। এরকম বিভিন্ন নামকরন করার মধ্যেই হোমো সেপিয়েন্সরা ভাষা সৃষ্টির চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হতে থাকে।



প্রিয় পাঠক, কোন জিনিসটার নামকরণ কি হবে তা কিভাবে নির্ধারিত হয়? যেমন ধরুন, বৃক্ষের নাম কেন বৃক্ষ হলো? মাছের নাম কেন মাছ হলো? প্রজাপতির নাম কেন প্রজাপতিই হলো? প্রিয় পাঠক, আলাকোরআনে উল্লেখিত আদমের এই নাম তত্ব নিয়ে মহামান্য দার্শনিক প্লেটো তার ‘ক্র‍্যাটাইলাস’ গ্রন্থে বিষয়টির প্রমান্যতা আনয়ন করে। প্লেটোর ‘ক্র‍্যাটাইলাস’ বইয়ে জানা যায় দার্শনিক সোফিস্ট ক্র‍্যাটাইলাস দাবী করেছিলেন জগতের সবকিছুর নামকরণের পেছনে রয়েছে একজন ‘নামকর্তা’র ভূমিকা। সেই নামকর্তা হতে পারে স্বয়ং ঈশ্বর কিংবা আদিমকালের কোন পৌরাণিক বীর৷ ক্র‍্যাটাইলাস মনে করেন নামকর্তা নামকরণ করে প্রতিটা জিনিসের অন্তর্নিহিত প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে। এই সোফিস্ট কর‌্যাটাইলাস একজন মানুষকে উল্লেখ করেছিলেন যিনি মানবজাতিকে নামকরন করা শিখিয়েছেণ। এবং সেই মানুষটি স্বয়ং ঈশ্বরের কাছ থেকে নামকরন করার পদ্ধতি শিখেছিলেন। কিন্তু বিশিষ্ট দার্শনিক সক্রেটিস নাকি এই বিষয়টি মানেন নাই। (সক্রেটিস কোন দেব দেবী বিশ্বাস করতেন না। যদিও সক্রেটিসকে তৎকালীন রাজা হেমলক বিষ পানে মৃত্যু আদেশ কার্যকর করেন। ) সক্রেটিসের এ ব্যাপারে মন্তব্য করেন “সেই নামকর্তা সবকিছুর নামকরন করলেন তবে সেই নামকর্তা সবকিছুর নামকরণ করলো যদি তার পূর্বে কোন ভাষার অস্তিত্বই না থাকে যার মাধ্যমে নামকর্তা কোন জিনিসের অন্তর্নিহিত প্রকৃতিকে ভাষার মাধ্যমে চিহ্নিত করতে পারেন?” তৎকালীন সময়ে সক্রেটিস ছিলেন জ্ঞান বিজ্ঞানের জগতে হিরো? তাই সক্রেটিসের এই প্রশ্নে সবাই ইতস্তত বোধ করেন। ভাবলেন আসলেও তো তাই ভাষায় যদি না থাকে তবে নামকরন কি হবে? সক্রেটিসের এই কাউন্টোরের মুখে খারিজ হয়ে যায় ক্র‍্যাটাইলাসের তত্ত্ব। নামকর্তার বিষয়টি আর এগুলো না এখানেই থেকে যায়।

প্রিয় পাঠক, সেই সময়ে কর‌্যাটাইলাসের তত্ত্ব খারিজ হয়ে গেলেও এই যুগে কিন্তু কিছু প্রশ্ন এসে যাই? নামকরন সৃষ্টির জন্য ভাষার প্রয়োজনীয়তা আদৌ কি খুব জরুরী? যেমন আমরা আমাদের সন্তানদের যখন ইংরেজী ভাষা শিখতে বলি। তখন তাকে হাজার হাজার শব্দ (ওয়ার্ড) মুখস্ত করতে বলি যখন তার মুখস্ত বিষয়টি সর্ম্পূন হয় তারপর তাকে ব্যকরন শিখায় কিংবা বাক্য গঠন শিখায়। প্রিয় পাঠক তাহলে আপনিই বলুনতো শব্দ গঠনের জন্য বা বিষয়বস্তু নামকরনের জন্য আদৌ কি ভাষার প্রয়োজণীয়তা থাকে? ইশারা ইঙ্গিতে কি সেটি সম্ভব নয়? সেই এপদের আমল থেকে নিয়ানর্ডার্থাল আমল পযর্ন্ত ইশারা ইঙ্গিতের ব্যপক ব্যকরন গঠন করেছিলো আদি মানুষেরা। তৎকালীন সময়ে সক্রেটিস প্রকৃত বিষয়টি আড়াল করে আসলে সুস্থ আলোচনা করতে না দিয়ে আলোচনা থামিয়ে দিয়েছিলো। সক্রেটিসের সময়কাল থেকেই ভাষার উৎপত্তি সংক্রান্ত আলোচনাগুলি ছিল ভাষাতাত্বিক এবং দার্শনিকদের প্রিয় বিষয় এ ব্যাপারে পরবর্তী ভাষা বিজ্ঞানী ফার্দিনান্দ দ্য সস্যুরের মতে প্রকৃতি জগতে বিভিন্ন জিনিসের নামকরণ হয়েছিল Signified (চিহ্ন) এর দ্বারা। প্রতিকী ভাবেই আসলে নামকরন করা হতো। যেমন আমি উদাহরন দিয়ে বলতে পারি কুকুর ঘেউ ঘেউ করে অতএব কুকুরের নাম “ঘেউ”। বিড়াল মিউ মিউ বলে অতএব বিড়ালের নাম “মিউ”। আবার সমগ্র প্রাণি অর্থে প্রানীরা নড়াচড়া করে এবং জীবন আছে অতএব প্রাণিদের নাম “নড়াচড়াকারী জীবন” একটি প্রতিক সৃষ্টি করা হতো। ভাষা সৃষ্টির শুরুতে প্রকৃতি প্রদত্ত কোন বিষয়বস্তু দিয়েই প্রথমে নামকরন শুরু করা হয়। নামকরনের ভান্ডার প্রসার হওয়ার পর মানুষ ব্যকরন বানানো শুরু করে। শুরুতে ব্যকরণ বলে তেমন কিছু ছিলো না কেবল ভাব প্রকাশ হতে যতটুকু দরকার। সেই আদি যুগে কেউ ঘেউ বললেই অন্যেরা বুঝে নিতো কুকুর আবার কেউ মিউ বললেই বুঝে নিতো বিড়াল। সুতরাং তৎকালীন আমলের দেবতা অবিশ্বাসী মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত নাস্তিক সক্রেটিসের মন্তব্যে সেই যুগের মানুষেরা থেমে গেলেও এই যুগে সক্রেটিসের সেই মন্তব্য গ্রহনযোগ্যতা পাই না। নামকরনকর্তার প্রশ্নে সচেতন জাগরণের দরকার। ধর্মগ্রন্থগুলো তো এমনি এমনি বলে নাই স্রষ্টা মানবজাতিকে কথা বলতে শিখিয়েছেন। আর কোরআন বলে বাইবেল বলে স্রষ্টা আদমের জন্য ‘Divine Gift’ হিসেবে ভাষাকে দিয়েছিলো। শুধু তাই নয় প্লেটো ‘ক্র‍্যাটাইলাস’ বইতে যেবিষয়টি স্থান দিয়েছেলেন খেলার ছলে নয়। তাছাড়া ‘ক্র‍্যাটাইলাস’ এই তত্ত্ব অনুযায়ী ভাষার উদ্ভব একজন ব্যাক্তির কথা উল্লখ করেছিলেন আল কোরআন তাকে আদম বলছেন। আর আদম নামকরনের পদ্ধতিটি শিখেছিল স্রষ্টার কাছ থেকে। প্রিয় পাঠক আমাদের ভাষা উদ্ভব নিয়ে নতুন করে ভাবার দরকার এই গুরুত্বপূর্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিটি মানুষ আপনা আপনি শিখতে পারে কেমন করে যা অন্যান্য কোন প্রানি পারে নাই। অতএব আলকোরআনের কথাই ঠিক। আল্লাই মানবজাতিকে জ্ঞান সরবরাহ করেছে। এই মানবজাতির জীবনে বারেবার দেবতারা বা ফেরেস্তারা আকাশ থেকে এসেছেন মানবজাতিকে শিক্ষা দিতে। মিশরের তৎকালীন মমি করার পদ্ধতি যা ইউছুফ (আঃ) মানবজাতিকে শিখিয়েছিলেন। শুধু তাই নই চিকিৎসাবিজ্ঞানে ইউছুফ আ: এর অবদান কি কম? তিনি মানবজাতির জীবনে চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যপক উন্নয়ন সাধন করেছেলেন। এমনকি তৎকালীন সময়ে শরীর অপারেশন করে চিকিৎসার পদ্ধতি মানবজাতি শিখেছিলো। আল্লা মানবজাতিকে লিখিতে শিখিয়েছেন। আল কোরআন বলছে আমিই মানুষকে লিখিতে শিখিয়েছি। আপনি মিশরের হাইরোগ্রাফিক লিখনপদ্ধতির ইতিহাস ঘেটে দেখুন। প্রথম লিখন পদ্ধতি আবিস্কারের ইতিহাস। তৎকালীন মিশরীরা বলতো দেবতারা আকাশ থেকে এসে তাদের লিখন পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছে। ইহুদী ধর্মে যাকে বলে “এনখ” আর আমরা মুসলিমরা আলকোরআনের আলোকে তাকে বলি ইদ্রিস (আঃ)। তিনিই মানবজাতিকে লিখতে শিখিয়েছেন। এমন অসংখ্য দৃষ্টান্ত আছে। মানবজাতির ইতিহাসে স্থাপত্যকলা, নগরায়ন, কৃষি কাজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্রষ্টেই মানবজাতিকে শিখিয়েছে। আসলে জ্ঞানবৃক্ষ প্রয়োগ করে মানব মস্তিস্কে চিন্তা করার ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে স্রষ্টাই। এর একপর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে মানবজাতিকে বিভিন্ন বিষয় শিক্ষা দিয়ে মানবজাতিকে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন যা ছিলো স্রষ্টার পূব পরিকল্পিত। আসলে সমস্তটাই ছিলো স্রষ্টার একটি পরিকল্পনা। শুধু মাত্র তিনি লুকায়িত আছেন কারন হলো নরক সৃষ্টি।
(আগামী পর্বে আমি তুলে ধরবো মানবজাতিকে লিখন পদ্ধতি শেখার বিষয়বস্তু এবং তার পর্যাপ্ত প্রমান সমূহ)

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪৬

কামাল৮০ বলেছেন: মানুষ সবকিছু শিখেছে তার অভিজ্ঞতা থেকে।আগুনে হাত দিয়ে শিখেছে আগুনে হাত পুড়ে।এখনো শিশুরা এভাবেই শিখে।
কিছু কিছু পাখি মানুষের মতো করে কথা বলতে পারে।আপনি না দেখলে বুঝতেই পারবেন না, মানুষ না পাখি কথা বলছে।
ফেরেস্তার অস্তিত্বের কোন প্রমান নাই, আছে বিশ্বাস।ফেরেস্তা কোন কিছু করেছে তারো কোন প্রমান নাই।
অন্য প্রানীর সাথে মানুষের কিছু মৌলিক পার্থক্য আছে।মানুষ কথা বলতে পারে আবার সেই কথাকে পরবর্তি প্রজন্মের জন্য সংরক্ষন করতে পারে যা অন্য কোন প্রানী এখনো পারে নাই।এটা শিখতে মানুষের লক্ষ লক্ষ বছর লেগেছে।
মানুষ অন্য প্রানী থেকে বিবর্তিত হয়েই বর্তমান পর্যায়ে এসেছে।

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মানুষ সব অভিজ্ঞতা থেকেই শিখেছে কিন্তু মানুষের চিন্তার বা মানুষের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ক্ষেত্রে কখনও কোন সমস্যা পড়লেই স্রাষ্টা ফেরেস্তা পাঠিয়েছে কখনও কাউকে প্রতিনিধি বা অবতার বানিয়ে তার সমস্যা সমাধান করেছে।
মানুষ কথা বলতে পারে আবার সেই কথাকে পরবর্তি প্রজন্মের জন্য সংরক্ষন করতে পারে যা অন্য কোন প্রানী এখনো পারে নাই। আপনার এই কথাটাই সত্য কিন্তু আপনাকে ভাবতে হবে অন্য প্রানীরা যা পারলো না মানুষ তা পারলো কিভাবে? মানুষের দ্বারা এই সম্ভব টা কেনো হলো?

মস্তিস্কের গঠনে পাথক্য এই সমস্যার সমাধান করে না? সমাধান করে বাইরের কোন শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা। মানুষই সকল কিছু শিখেছে যখনই শিখতে প্রতিবন্ধকতা হয়েছে তখনই এসেছে বাইরের শিক্ষক এভাবেই এগিয়ে গেছে মানুষের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা।

ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি আমি বিজ্ঞানমনষ্ক হলেও আমি মুসলমান, নাস্তিক নই। নামাজ পড়ি,
সমাজিক শৃক্ষলা নর্মাল রাখতে একটা রিচুয়াল মেনে চলা উচিত সবার। তাই ঈশ্বরকে অন্ধভাবে মেনেই ইসলামের নামটা বজায় রাখি।

তবে সিরিয়াসলি বিজ্ঞান দিয়ে ভাবলে ঈশ্বর আর খুজে পাওয়া যায় না। ফেইক মনে হয়। ঈশ্বর প্রকৃত মহান হয়ে থাকলে আমার এই তুচ্ছ অবিশ্বাসের কারনে শাস্তি দেয়ার কথা না। ঈশ্বর সত্যই থেকে থাকলে নিশ্চই আছে। থাকুক।
তবে নিশ্চিতভাবেই প্রতিটি সুস্থ বোধসম্পন্ন মানুষই ভেতরে ভেতরে সন্দেহ প্রকাশ করে। আমিও ব্যাতিক্রম নই।

প্রাচীন ইতিহাস পর্যালচনা করে দেখলে এটা নিশ্চিত বলা যায় মানুষ ঈশ্বর তৈরি করেছে, মানুষের উপাসনা, বন্দনা, প্রার্থনা, অনুগ্রহেই ঈশ্বর বেঁচে আছে।

আদী মানব ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় হাজার হাজার ধরনের সমাজে বিভিন্ন শক্তিমান পুজনীয় রূপে দেবতা ঈশ্বর এসেছিল,
প্রথমদিকে আদী পেশীবহুল সমাজপতিই দেবতা ঈশ্বর রুপে গন্য করা হচ্ছিল, তাকেই পুজা দেয়া হত। (জাপানেও এই গত সতাব্দিতে রাজাকে ঈশ্বর বলা হত)
আদী সমাজে একসময় গোত্রপ্রধানকে আর দেবতা রুপে থাকতে পারেনি কারন বার বা্র নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ, পরাজিতকে আর কে ঈশ্বর মানবে? তাই সমাজপতির পেছনের খুটি বা খাম্বাটিই পুজনীয় দেবতা বা ঈশ্বর হয়ে গেল। এরপর এই ঈশ্বরও বেশিদিন বাচলো না, ঈশ্বর হয়ে গেল কাছের উঁচু পর্বত, এরপর আগুন এরপর চন্দ্র দেবতা, সুর্য পুজারি, আগ্নেওগিরি। এরপর মনুষ্যরুপি মুর্তি বানিয়ে ঈশ্বর। এরপর স্বর্গনরকের লোভ ভয় ঢুকিয়ে ধর্মপ্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল, পিরামিড মুর্তি ফেরাউন মমি বানানো মুর্তি বানানো, কিন্তু কোনটাই টিকে না, রাজ্য হারালে রাজ্যের ঈশ্বরগুলো একে একে সবাই মারা গেছে, এরপর ভিন্ন রুপে ভিন্ন নামে আবার এসেছে, এরপর খাদ্যাভাবে শিকারের পিছে ছুটা মাইগ্রশন ডাইভারশান পুজার অভাবে আস্তে আস্তে সেই দেবতা ঈশ্বররগুলো সব নাই হয়ে গেছে।
মুলত বান্দার বন্দনা স্থায়ী না হওয়াতেই মারা গেছিল সব ঈশ্বর আর স্রষ্টা।
অনেক পরে ধর্মব্যাবসায়ীরা বদ্ধপরিকর। আর মরতে দিবেনা এবারের ঈশ্বরকে। এবার ঈশ্বরকে করতে হবে অদৃশ্ব।
শুরু হয়ে গেল চতুর বুজুর্গি দেখানো। শাপ দেখানো, যাদু দেখানো। সমাজপ্রধানরা মুলত নেতৃত ও শৃক্ষলা বজায় রাখতেই ঈশ্বর বা অশরিরির কিছু ভয় দেখানো শুরু করে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে কিছু দুর্বল মানুষকে মানুষকে দাস বানায়। গোত্রের মাস্তান চতুররা নিজেকে সরাসরি ঈশ্বর না বলে ঈশ্বররের প্রতিনিধি দাবি করে, একজন তো নিজেকে ঈশ্বরপুত্র দাবি করে বসে! এভাবেই মুলত মানব মননে অদৃশ্য ঈশ্বরের আবির্ভাব।

এরপর হাজার বছর পার, অনেক পুথি পুস্তক গিতা বক্তৃতা অহি হিসেবে লেখা হল। অনেক পরে একসময় একজনকে অহি সহ ঈশ্বররের সর্বশেষ প্রতিনিধি দাবি করে আঞ্চলিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হল, বিপুল রক্তপাত করে।
এত বিপুল রক্তপাত অঞ্চল দখল করার পরও সেটাও পরে দেখা গেল ঢিলা হয়ে গেল, ধর্মব্যাবসায়ীরা তো থেমে থাকার নয়, এত লোভনীয় ব্যাবস্থা নগর দখল গনীমত দাস দাসী, স্বর্ন মুদ্রা লুটের সুযোগ কে ছাড়তে চায়? তাই ৩০০ বছর পর হাজার মাইল দূরে আবার নতুন 'সহযোগি পুস্তক' একাধিক সহি গাইড বই প্রকাশ করে ধর্ম পোক্ত হল। প্রার্থনা শুধু সন্ধায় নয়, দিনে পাঁচ বার, আর শত শত বার ঈশ্বরের নাম জপ/জিকির চলবে, এই ঈশ্বরকে আর ভুলতে দেয়া যাবে না। মরতে দেয়া যাবে না।। আর ঈশ্বরের বিরুদ্ধে সামান্য সন্দেহকারিকেও সহ্য করা হবে না।
নুন্যতম সন্দেহকারিকে যার যা কিছু আছে তা নিয়েই কোপানো হবে। সে যে দেশেই থাকুক।

এরপরেও বিলুপ্তির আতঙ্ক কাটে না। ধর্ম ব্যাবসায়ীদের। চলছে ওয়াজ ফটোশপ ভুয়া ছবি, মাংশের ভেতরে লেখা ভিডিও, প্রচলিত বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে সর্বশক্তিমানকে মহান করে রাখা চলছেই। পঙ্খিরাজ ঘোড়া মারফত ভাষা কোচিং ইতিহাস আমদানী . .. ঈশ্বরকে আর মরতে দেয়া যাবে না কোন মতেই।

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি যেরকম লেখা লিখেছেন এই ভাবে লেখে কলকাতার প্রবীর ঘোেষ সাহেব সহ আরো অনেক নাস্তিক লেখক। তাদের কথাটাই আপনি হুবহু লিখে দিলেন আবার বললেন আপনি নাস্তিক নন। আপনার কথা শুনে হাসি পায়!

আপনি যেভাবে ঈশ্বরকে ভাবছেন আদিতে মানুষ সেভাবে ঈশ্বরকে ভা্বেন নাই। এগুলো তাদের অলীক কল্পনা। এই সব অলীক কল্পনা কমিউনিস্ট শাসিত রাষ্টে্র বললে খুব বেশি বাহবা পাবেন। কিন্তু আমরা হাসবো। মানুষের ধর্মের ইতিহাস ঠিক এমনটি বলছে না। ধর্মব্যবসায়ীদের ধর্ম সংক্রান্ত রংসং নিয়ে আপনি অনেক কিছু বলতে পারেন আমি কিচু মনে করবো না। কিন্তু প্রকৃত ধর্মের আবির্ভাব সম্পর্কে আপনি যে রচনা লিখেছেণ তা হাস্যকর। ইতিহাস অন্য কথা বলে।

ধর্মের সূচনা ঘটেছিলো হোমো সেপিয়েন্স মানুষের আমলে আকস্মিক যখন মানুষেরা পশুর চামড়া পড়ে লজ্জা নিবারন করতে শিখেছিলো। কেনো লজ্জা নিবারন করতে হবে তারা নিজেরাই বোধ হয় জানতো না তারপরও লজ্জা নিবারন করতে লাগলো। সমগ্র পৃথিবীজুড়ে কোন প্রাণি লজ্জা নিবারন করার কথা ভাবলো না। হোমো সেপিয়ন্সরা ভাবলে। ঠিক একই সময় হোমো সেপিয়েন্সেরা বিভিন্ন বস্তুর নাম ধরে ডাকতে শুরু করলো। নাম ধরে ডাকতে হবে কেউ বুঝলো না তারা বুঝলো। প্লেটো বন্ধু সোফিস্ট কল্যাইটাারাস একজন বীরের কথা বলেছিলেন বিশ্ববিজয়ী বীর। তাহলে আপনি বলুনতো কেনো কি কারনে নিয়ানর্ডাাথাল সহ হোমো ইলেক্টাসরা হারিয়ে গেলো? কোথায় গেলো? কেনো তাদের অস্তিত্ব আর ইতিহাস খুজে পেলো না? কেনো আমরা হোমো সেপিয়েন্স থেকে এসেছি? অন্যেরা সব কোথায় গেলো? কেনো হোমো সেপিয়েন্স অস্ত্র হাতে আফ্রিকা থেকে বের হয়ে আষ্ট্রোলিয়া হয়ে মুহুত্বেই সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে গেলো?

একটু গভীরে যান। দেখতে পাবেন একটি ঐন্দাজিালিক বিষয়। হোমো সেপিয়েন্সর এই জয় স্রষ্টিার জয়। স্রষ্টা যা চেয়েছিলো তারই প্রতিফলন। আপনি তো সত্য ইতিহাস মানেন না মানেন বানানো অনুমানকৃত ইতিহাস। প্রমানের পক্ষে যান।

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৩৬

এভো বলেছেন: সুরা ২ আয়াত ৩১
আর আল্লাহ তা’আলা শিখালেন আদমকে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীর নাম। তারপর সে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীকে ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। অতঃপর বললেন, আমাকে তোমরা এগুলোর নাম বলে দাও, যদি তোমরা সত্য হয়ে থাক।
Sahih International: And He taught Adam the names - all of them. Then He showed them to the angels and said, "Inform Me of the names of these, if you are truthful."

Pickthall: And He taught Adam all the names, then showed them to the angels, saying: Inform Me of the names of these, if ye are truthful.

Yusuf Ali: And He taught Adam the names of all things; then He placed them before the angels, and said: "Tell me the names of these if ye are right."

Shakir: And He taught Adam all the names, then presented them to the angels; then He said: Tell me the names of those if you are right.

Muhammad Sarwar: He taught Adam all the names. Then He introduced (some intelligent beings) to the angels, asking them to tell Him the names of these beings, if the angels were true to their claim (that they more deserved to be His deputies on earth).

Mohsin Khan: And He taught Adam all the names (of everything) , then He showed them to the angels and said, "Tell Me the names of these if you are truthful."

Arberry: And He taught Adam the names, all of them; then He presented them unto the angels and said, 'Now tell Me the names of these, if you speak truly.'
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আপনি যেন অনুবাদ নিয়ে ত্যানা পেচাতে না পাড়েন , তাই বেশ কয়েকটা অনুবাদ দিলাম । যেহেতু আপনার মাথায় ঢুকে না যে এই সব অনুবাদ আমি করিনি এবং বলতে থাকেন আমার অনুবাদে ভুল আছে ইত্যাদি -- তাই সেই ত্যানা যাতে আবার ব্যবহার করতে না পাড়েন , তাই ইংরেজি অনুবাদ গুলো সহ দেওয়া হোল ---- আবারো বলছি ----- এই সমস্ত অনুবাদ আমি করি নি ।
এটা কেমন নজির --- মনে করুন আপনি আপনার ক্লাশের একজন ছাত্র নাম করিমকে প্রশ্নের উত্তর গুলো শিখিয়ে দিলেন এবং বাকি ছাত্রদের কোন ধারনা দিলেন না - এবং সবাই কে পরিক্ষাতে বসালেন ঐ প্রশ্ন গুলো দিয়ে । তখন একমাত্র করিম উত্তর দিতে পারলো বাকিরা পারলো না । তারপর বাকি ছাত্রদের কাছে করিমকে শ্রেষ্ঠ ছাত্র হিসাবে প্রমাণ করার চেষ্ঠা করলেন !! এই কাজ কি সৃষ্ঠিকর্তাকে মানায় ।
আল্লাহ শুধু আদমকে সব কিছুর নাম শিখালেন কিন্তু ফেরেশতাদের শিখালেন না , তারপর ফেরেশতাদের সাথে আদমের পরিক্ষার আয়োজন করলেন এবং আদম সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলো কিন্তু ফেরেশতারা পারলো না ।
এটা কি কোন গ্রহণ যোগ্য কাজ ?

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হায়রে ভাই এই বুঝ নিয়ে ধর্ম বিরোধী হইছেন। আমি যখন আপনাদের মতো নাস্তিক ছিলাম তখন তো তাও কিচুটা ধর্ম জ্ঞান ছিলো। এখন তো আমি আস্তিক। তো যাই হোক। এই আয়াতটি পূর্বের আয়াতটি আগে আপনাকে জানতে হবে। আর স্মরণ কর, যখন তোমার রব ফেরেশতাদেরকে বললেন, ‘নিশ্চয় আমি যমীনে একজন খলীফা সৃষ্টি করছি’, তারা বলল, ‘আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে তাতে ফাসাদ করবে এবং রক্ত প্রবাহিত করবে? আর আমরা তো আপনার প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করছি এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তিনি বললেন, নিশ্চয় আমি জানি যা তোমরা জান না “ আল্লা যখন ফেরেস্তাদের প্রতিনিধি সৃষ্টির ব্যপারে জানিয়েছিলেন তখন ফেরেস্তারা বলেছিলো এরা তো শুধু যুদ্ধ করবে দাঙ্গা ফ্যাসাদ সষ্টি করে বেড়াবে। ফেরেস্তাদের কথাটাই আল্লার পছন্দ হয়নি। তখন আল্রা ফেরেস্তাদের বলেছিরেন আমি যা জানি তোমরা তা জান না। আর এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে আল্রা ফেরেস্তাদের বুছিয়েছিলেন আমি যা ইচ্ছা করি সেটাই ঘটে। তাই তিনি আদমকে নাম শিক্ষা দিয়ে ফেরেস্তাদের ডেকে বললেন তোমরা পারো নাকি? তারা বললেন আপনি যা শিখিয়েছেন তার বেশি কিচু আমাদের জানা নেই। কিন্তু আদম পারে মানে তারাই প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে। যেহেতু আমি আমার প্রতিনিধি বানাচ্ছি সেহেতু আমিই জানি আদমকে দিয়ে কি হবে! তাই তোমাদের এরা তো শুধু যুদ্ধ করবে দাঙ্গা ফ্যাসাদ সষ্টি করে বেড়াবে বলে অভিহিত করাটা ঠিক হয়েনি।

ভাইরে এগুলো হলো রুপক গল্প। এই সব গল্প দিয়ে স্রষ্টা কিচু ম্যাসেজ মানবজাতিকে তুলে ধরেন! ভাইরে ফেরেস্তা হলো হায়ার ডাইমেনশনাল প্রাণি তারা ত্রিমাত্রিক জগতের নয় মানুষ হলো ত্রিমাত্রিক জগতের। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এগুলো রুপক গল্প।

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৩২

মৌফড়িং বলেছেন: প্রথম লাইনে বললেন মানুষের জ্ঞানের চূড়ান্ত বিকাশ! মানুষের জ্ঞানের চূড়ান্ত বিকাশ কিভাবে বুঝলেন? মানুষ প্রতিনিয়ত নিজের জ্ঞানকে বিকশিত করে যাচ্ছে।
এছাড়াও আপনি মানুষের মেধা, কর্ম, পরিশ্রমকে খাটো করছেন। মানুষ এগুলোর মাধ্যমেই নিজেকে দিন দিন উন্নত করছে। এপেল কোম্পানির যদি তাদের প্রথম দিকে আজকের মত টেকনোলজি ও সামর্থ্য থাকতো তাহলে প্রথম দিনেই তারা iphone-14 রিলিজ করতো। ঈশ্বরের হাতে প্রথম দিন থেকেই ক্ষমতা ছিল, তিনি যদি মানুষকে জ্ঞানী করে পাঠাতেন চাইতেন তাহলে আজকের কেনো আগামী ২০০০ বছর পর মানুষ যেরকম জ্ঞানী হবে সেরকম করে পাঠাতো।

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এছাড়াও আপনি মানুষের মেধা, কর্ম, পরিশ্রমকে খাটো করছি না বরং মানুষের একজন শিক্ষকের প্রয়োজনিয়তার কথা তুলে ধরছি। আপনার এই প্রশ্ন ছোটো মাুনুষি! উত্তর কি দেবো? আল্লা ধারাবাহিকভাবেই উন্নয়ন চেয়েছেন তাই এটি হয়েছে।
কি আর বলবো আমি। ভালো থাকুন

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ফেরেশতা আর দেবতা এক হলো?

আপনি অন্যের ধর্মকে অবমাননা করতে পারেন না।

১৯ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @সত্যপথিক শাইয়্যান, কেনো ভাই ফেরেশতা আর দেবতা এক হলো? এক হবে না কেনো? যে যার ভায়ায় নামকরন করেছে! এটাতো কোন সমস্যা বলে আমার মনে হয় না। তবে কিছু কিছু দেবতার ক্ষেত্র ভিন্ন। যেমন আলকোরানে কিছু কিছু দেবতার ছদ্মবেশধারী জীনদের কথা বলা হয়েছে। যারা জ্বীন কিন্তু মানুষকে দেবতা বলে বিভ্রান্ত করতো তাদের কথা আলাদা।

মানুষ জাতি যতদিন পর্যন্ত এক আল্লাকে বুঝতে শিখে নাই। ততদিন পর্যন্ত স্রষ্টা তাদেরকে নিজের এককত্ব বুঝতে দেয় নাই। সেই সময় পর্যন্ত মানুষজন দেবতাদের পূজা করেছে। আল্লাহও তাদের কিছু বলে নাই। ফেরেস্তারাও তাদের কিছু বলে নাই। যখন মানুষের মেধা শক্তি এক আল্লাহ কে বোঝার মতো ক্ষমতা অর্জন করেছে তখন থেকেই এক আল্লাহ বিষয়টি বাধ্যতামূলক হলো।

এই জন্য বিভিন্নসময় বিভিন্ন দেবতা হিসেবে বিভিন্ন দেবতাতে বিভ্রান্ত হয়েছিলো আদি মানুষেরা।

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫২

কামাল৮০ বলেছেন: নাস্তিক থেকে আস্তিক হয়ে ছিলেন কলমা পড়ে। নাস্তিক কিভাবে হয়ে ছিলেন জানতে ইচ্ছা করছে।

২০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি একবার কলেমা পড়ৃুন। আল্লাহকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করুন। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক।

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:২৪

এভো বলেছেন: আইচ্ছা -- ধরা খাইলেই রুপক অর্থে !! তাইতো :) :) :)

আর স্মরণ কর, যখন তোমার রব ফেরেশতাদেরকে বললেন, ‘নিশ্চয় আমি যমীনে একজন খলীফা সৃষ্টি করছি’, তারা বলল, ‘আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে তাতে ফাসাদ করবে এবং রক্ত প্রবাহিত করবে? আর আমরা তো আপনার প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করছি এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তিনি বললেন, নিশ্চয় আমি জানি যা তোমরা জান না “ আল্লা যখন ফেরেস্তাদের প্রতিনিধি সৃষ্টির ব্যপারে জানিয়েছিলেন তখন ফেরেস্তারা বলেছিলো এরা তো শুধু যুদ্ধ করবে দাঙ্গা ফ্যাসাদ সষ্টি করে বেড়াবে। ফেরেস্তাদের কথাটাই আল্লার পছন্দ হয়নি।

ফেরেশতারা দেখি আল্লাহ থেকে অনেক পাঁকা এবং জ্ঞানি !! তারমানে আদমকে সৃষ্ঠি করার আগে আল্লাহ এমন কাউকে আগে সৃষ্ঠি করেছিল, যারা ফেতনা ফেসাদ যুদ্ধ দাঙ্গা রক্তপাত করেছিল । তানা হোলে ফেরেশতারা কি করে জানলো ঐ সমস্ত ঘটনা আদম একা সৃষ্ঠি করবে ? কারন প্রথমে আদম একাই ছিল , বিবি হাওয়াকে তখনো বানানো হয় নি , ইবলিশের ও সৃষ্ঠি হয় নি , তাহোলে ফেরেশতারা কি করে জানতো --এর পর হাওয়াকে বানানো হবে -- আজাজিল শয়তানে পরিনত হবে --- এবং তারা গন্দম খেয়ে পৃথিবীতে যাবে এবং ফেতনা ফেসাদ যুদ্ধ সৃষ্ঠি করবে । এটাতো রুপক অর্থেও বুঝলাম না ।
আদমের আগে দুনিয়াতে কি করে ফেতনা যুদ্ধ কোরলো অন্য প্রাণী, যেটা ফেরেশতারা দেখেছে । ফেতনা যুদ্ধ করতে তো শয়তানের প্ররোচনা লাগে . আদমের আগে তো কোন শয়তান ছিল না --- আজাজিল তো তখন ইবলিশ হয় নি , তাহলে কোন শয়তানের প্ররোচনা ছাড়া কি করে আদমের আগের কোন কিছু -- ফেতনা যুদ্ধ কোরলো । আল্লাহ নাকি আদমে সবার আগে সৃষ্ঠি করেছিল --- যদি তাই হয় ,, তাহেল আদমের আগে অন্য কারা ফেতনা যুদ্ধ কোরলো ।
আদমের আগে যদি জিনদের সৃষ্ঠি করা হয় , তারা তো ফেরেশতাদের মত টু ডাইমেনশনাল, তারা কি করে শয়তানের ধোকায় পোড়লো --- তখন তো কোন শয়তান ছিল না , জিন আজাজিল শয়তান হোল আদমকে সৃষ্ঠি করার পরে । তাহোলে জিনরা কি করে ফেতনা ফেসাদ সৃষ্ঠি কোরলো ।

ফেরেশতারা দেখছি আল্লাহর চেয়ে বেশি জ্ঞানি--- কারন তাদের ভবিষৎ বাণী সত্য হয়েছে আদম সন্তানদের ব্যাপারে । :) :) :)

তাই তিনি আদমকে নাম শিক্ষা দিয়ে ফেরেস্তাদের ডেকে বললেন তোমরা পারো নাকি? তারা বললেন আপনি যা শিখিয়েছেন তার বেশি কিচু আমাদের জানা নেই।

আল্লাহতালা কি জানেন না যে --- তিনি যাকে যা শিখিয়েছেন তার বাহিরে তারা কেহ কিছু জানেন না ? তাহোলে শুধুমাত্র আদমকে নাম শিখিয়েছেন -- ফেরেশতাদের সাথে পরিক্ষা নিলেন এবং সব ফেরেশতা ফেল কোরলো ।
আল্লাহ জিবরাইলকে যা শিখিয়েছেন সেটা কি মিকাইল, আজরাইল বা অন্যানরা করতে পারবেন ? আল্লাহ মুনকার নৈকিরকে যা শিখিয়েছেন -- সেটা কি অন্য কেউ করতে পারবে ? তাহলে শুধু মাত্র আদমকে যে স্পেশাল শিক্ষা দিলেন -- সেটা অন্যানরা কি করে পারবে ।
তার মানে কোন শিক্ষক করিম নামের একজন ছাত্রকে প্রশ্ন পত্র দিয়ে তার সব উত্তর শিখানোর পরে , অন্যদের সাথে পরিক্ষা নিলেন , যেখানে অন্যরা কিছুই জানে না এবং তাদের শিখানো হয় নি -- তারপর করিম ১০০/১০০ এবং বাকি সবাই ০/১০০।

আরে ভাই ধরা খাইলে রুপক অর্থ রুপক অর্থ বলে কি পার পাওয়া যাবে ? পাবলিক ঠিকই আসল সত্য বুঝতে পারবে যে , গোজামিল কোথায় !

৮| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ এভো,
ফেরেশতারা দেখি আল্লাহ থেকে অনেক পাঁকা এবং জ্ঞানি !! তারমানে আদমকে সৃষ্ঠি করার আগে আল্লাহ এমন কাউকে আগে সৃষ্ঠি করেছিল, যারা ফেতনা ফেসাদ যুদ্ধ দাঙ্গা রক্তপাত করেছিল ।
ধর্ম নিয়ে আলোচনা করার আগে আপনার ধর্ম সম্পর্কে একটু লেখাপড়া করা উচিত। আপনার জানা উচিত ছিলো আদমকে সৃষ্টি করার আগে জ্বীন সৃষ্টি করা হয়েছেলো। আল্লাহর নির্দেশে তাদেরকে ধ্বংশ করেছে।
এখন আমার কিছু কথা আছে জ্বীন একটি রুপক শব্দ। বিভিন্ন আয়াতে জ্বীন শব্দকে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। ফেরেস্তারা এর পূর্বে আল্লার সৃষ্টি জ্বীন জাতিকে এসে ধ্বংশ করেছে তাই ফেরেস্তারা আল্রাকে বললো ফেতনা ফেসাদ যুদ্ধ দাঙ্গা রক্তপাত করবে।

তানা হোলে ফেরেশতারা কি করে জানলো ঐ সমস্ত ঘটনা আদম একা সৃষ্ঠি করবে ?
এই হলো আপনার সমস্যা। ভূল ধরার ওস্তাদ। আদম কিন্তু বিশাল একটা মানবজাতি সৃষ্টি করবে বংশপরম্পরায়। তারা যুদ্ধ রক্তপাত দাঙ্গা করবে্ যেমন ১ম বিশ্বযুদ্ধ, ২য় বিশ্বযুদ্ধ আসবে আপনাদের ৩য় বিশ্বযুদ্ধ।

কারন প্রথমে আদম একাই ছিল , বিবি হাওয়াকে তখনো বানানো হয় নি , ইবলিশের ও সৃষ্ঠি হয় নি , তাহোলে ফেরেশতারা কি করে জানতো --এর পর হাওয়াকে বানানো হবে -- আজাজিল শয়তানে পরিনত হবে --- এবং তারা গন্দম খেয়ে পৃথিবীতে যাবে এবং ফেতনা ফেসাদ যুদ্ধ সৃষ্ঠি করবে । এটাতো রুপক অর্থেও বুঝলাম না ।
আপনি বুঝবেন না। কারন আপনাকে বুজবার মতো মস্তিস্ক দেওয়া হয় নাই। কারন আল কোরআন স্পস্ঠ বলছে "হে মুহাম্মদ তুমি তাকে যতই কোরআন বোঝাও সে বুঝবেনা কারন তার দুচোখে ঢেকে দিয়েছি দুকানে ঢেকে দিয়েছি। তারা বুঝিবে না শুনিবে না-" আবার আরেক স্থানে বলছে " ‘তবে কি তারা কুরআনকে গভীরভাবে অনুধাবন করে না? নাকি তাদের হৃদয়গুলি তালাবদ্ধ?’ (মুহাম্মাদ ৪৭/২৪)। সুতরাং আমি আপনাকে যতই বোঝায় াাপনি বুঝবেন না। কারন আপনি নাস্তিক্যবাদী ফোবিয়া বা মানসিক বিভ্রান্তিতে আছেণ।


আরে ভাই ধরা খাইলে রুপক অর্থ রুপক অর্থ বলে কি পার পাওয়া যাবে ? পাবলিক ঠিকই আসল সত্য বুঝতে পারবে যে , গোজামিল কোথায় ! আপনার সাথে কথা বলা যায় না। আপনি খুব প্যাচের মানুষ। ধর্মের ভূল ধরার জন্য আপনি সব সময় আনচান আনচান করেন। এটা আপনার মানসিক সমস্যা। কোরআন মজিদে দুই প্রকার আয়াত রয়েছে। এক প্রকারকে 'মুহ্কামাত' তথা সুস্পষ্ট আয়াত এবং অন্য প্রকারকে 'মুতাশাবিহাত' তথা অস্পষ্ট ও রূপক আয়াত বলা হয়। আরবি ভাষার নিয়মাবলি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত ব্যক্তি যেসব আয়াতের অর্থ সুস্পষ্টরূপে বুঝতে পারে, সেসব আয়াতকে মুহ্কামাত বলে এবং এরূপ ব্যক্তি যেসব আয়াতের অর্থ স্পষ্টরূপে বুঝতে সক্ষম না হয়, সেসব আয়াতকে মুতাশাবিহাত বলে।

তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাজিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিতনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে তন্মধ্যকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলে, আমরা এর প্রতি ইমান এনেছি। এ সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তিসম্পন্নরা ছাড়া অন্য কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। (আল কোরআন ৩:৭)
সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে'- এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বর্ণনা করেন, যারা সুস্থ-স্বভাবসম্পন্ন না কুটিল মানসিকতা সম্পন্ন। তারা অস্পষ্ট আয়াত নিয়ে বেশি তথ্যানুসন্ধান করে ধর্ম নিয়ে উপহাস করে মন্তব্য করে।

সুতরাং আপনার সাথে আর কথা বলা যাবে না। আমি হেরে গেলাম তালগাছ আপনার। পাবলিকেরা সত্যটা বুঝুক।
ভালো থাকুন।

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪৮

মৌফড়িং বলেছেন: আপনি বলছেন ফেরেস্তারা হায়ার ডাইমেনশনাল জীব। এইটার তথ্যসূত্র কি?

২০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ মৌফড়িং, এ বিষয়টি অনেক জটিল। আপনাকে কমেন্টের মাধ্যমে বোঝানো সম্ভব নয়। তারপরও সংক্ষেপে যতটা পারি বলবো। তবে এ ব্যাপারে আমার একটি পোষ্ট বেরোচ্ছে “স্ট্রিং তত্ত্বের প্রকাশ। ধর্মতত্ত্বকেই প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। পর্ব-২” । সেই পোষ্টে আশা রাখি ডিটেলস পাবেন। সংক্ষেপে যতটা পারে বোঝাবো। তবে আমি কেনো জানি সংক্ষেপে বোঝাতে পারি না। তাই বিশাল বিশাল পোষ্ট করতে হয়।

” এই বিষয়টি জানতে হলে আগে আপনাকে ষ্ট্রিং তত্ত্বের গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় এই অর্ন্তবতী জগৎ সম্পর্কে জানতে হবে। ষ্ট্রিং থিয়োরি এম তত্বে বলছে আমাদের এই মহাবিশ্ব ৪ মাত্রায়। কিন্তু আসলে আমাদের মহাবিশ্ব ৪ মাত্রায় নয় আমাদের মহাবিশ্ব মোট ১১ মাত্রায় যার মধ্যে ১ মাত্রা সময়। আমাদের মহাবিশ্ব ৩ মাত্রা এবং আমাদের মহাবিশ্ব ব্যাতিরেকে ৭ মাত্রায় একটি অর্ন্তবতী জগত রয়েছে। ৭ মাত্রার অর্ন্ত বতী জগত একটি জগত যা আমাদের ৩ মাত্রার মহাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রিত করে। অর্ন্তবতী জগতের এসব মাত্রাসমূহের প্যাচ নিয়ন্ত্রিত হয় কিছু গানিতিক সুত্র মেনে। অর্ন্তবতী জগতের আকার আকৃতিই বিভিন্ন ভৌত ধ্রুবক, যেমন ইলেক্ট্রনের চার্জ ও মৌলিক কনিকাসমূহের মিথস্ক্রিয়া ইত্যাদির মান নিয়ন্ত্রন করে। ৭ মাত্রার অর্ন্তবতী জগতের পেচানো আকার আকৃতিই ত্রিমাতিক জগতের বিভিন্ন বিষয়বস্তু নির্ধারন করে’ এটি এম তত্ত্বে গানিতিক ভাবে দেখানো হয়েছে। এই তত্ত্ব আমাদের বলছে আমরা যদিও এই অতিরিক্ত মাত্রাগুলোকে দেখাতে পাচ্ছি না বা কোন পরীক্ষার দ্বারা এদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতেও পারছি না, কিন্তু আমাদের স্ট্রিং থিয়োরির গনিত বলছে যে তারা আছে। অতিরিক্ত স্থানিক মাত্রাগুলো স্থানের খুব সংকীর্ণ জায়গায় জরিয়ে-পেচিয়ে এমনভাবে আছে যে তাই আমরা তাদেরকে দেখতে পারছিনা। আমাদের মহাবিশ্বকে আমরা ঠিক ত্রিমাত্রিক অবস্থায় দেখি এবং বাকী ৭ মাত্রা খুব সংকীর্ণ জায়গায় জরিয়ে-পেচিয়ে অর্ন্তবর্তী জগৎ হয়ে আছে।
এবার আমি বলি আসলে স্ট্রিং থিওরি যদি ঠিক হয় তাহলে এই ৭ মাত্রার জগ’ আর ১ মাত্রার সময় নিয়ে একটি অস্তিত্ব আছে। যারা সেই অর্ন্তবতী জগতে বিচরন করে। মানুষ থ্রি ডায়মেনশনাল জীব তাই তারা সেইসব জগতে কোনোদিনও প্রবেশ করতে পারবে না।এমন কি তাদের প্রতিরূপও দেখতে পাবে না।কিন্তু মানুষ প্রবেশ না করতে পারলে কি হবে ফেরেস্তা তো থাকতেই পারে যারা মানুষের চেয়ে বেশি ডায়ামেনশনকেই প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম।যারা অন্য ডায়মেনশনের জীব।
আমি কমেন্টে বিষয়টি সঠিকভাবে বোঝাতে পারবো না। আমার একটি পোষ্ট আসছে “স্ট্রিং তত্ত্বের প্রকাশ। ধর্মতত্ত্বকেই প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। পর্ব-২ পোষ্টে যথার্থ তথ্য উত্থাপন করে আপনাদের বোঝানো চেষ্টা করবো। আল কোরআনের সময়ভিত্তিক মহাবিশ্ব সংক্রান্ত আয়াত দিয়ে এবং সায়েন্সের পর্যাপ্ত তথ্য দিয়ে।

ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। আমি আপনাকে লিংক সরবরাহ করবো।

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২৬

এভো বলেছেন: আপনার জানা উচিত ছিলো আদমকে সৃষ্টি করার আগে জ্বীন সৃষ্টি করা হয়েছেলো। আল্লাহর নির্দেশে তাদেরকে ধ্বংশ করেছে।
এখন আমার কিছু কথা আছে জ্বীন একটি রুপক শব্দ। বিভিন্ন আয়াতে জ্বীন শব্দকে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। ফেরেস্তারা এর পূর্বে আল্লার সৃষ্টি জ্বীন জাতিকে এসে ধ্বংশ করেছে তাই ফেরেস্তারা আল্রাকে বললো ফেতনা ফেসাদ যুদ্ধ দাঙ্গা রক্তপাত করবে।


---- আপনার যে স্থান কাল পাত্র জ্ঞান যে নেই সেটা বার বার প্রমাণ করেছেন । জীনদের যদি ধবংস করে ফেলা হয় তাহোলে এখন কোন জীন জীবিত নেই ? জীনদের পক্ষে কোন রকমের কু কর্ম করা কখনো সম্ভব ছিল না করান --- কুমন্ত্রণা যিনি দিবেন --- তিনি তখন শয়তানি শুরু করে নি । তিনি শয়তানে পরিনত হন আদমকে সৃষ্ঠি করার কিছু দিন পরে যখন আদমকে সেজদা করতে বলা হয় ।
যেখান শয়তান নামক কোন এনটিটি ছিল না , সেখানে জীন জাতী কি করে শয়তানি কোরলো । আপনার যে স্থান কাল পাত্র জ্ঞানের অভাব , সেটা কি বুঝেছেন ? যদি এই জ্ঞান থাকতো তাহোলে জীনরা শয়তানি করেছে তাই তাদের ধবংস করে দেওয়া হয়েছে সবাইকে , তারমানে বর্তমানে জীন নেই লিখতে পারতেন না । শয়তান তো পয়দা হোল মাত্র ২ লক্ষ বৎসর আগে , যখন হোমো সেফিয়ান্স পৃথিবীতে আসে । এই আদি হোমো সেফিয়েন্স গন্দম খেয়ে বেহেস্ত থেকে বিতারিত হয়েছিল শয়তানের প্ররোচনায় ।
এখন বলুন আদম আসার আগে জীন জাতী কি করে শয়তানি কোরলো -- তারা তো টু ডাইমেশনাল--- তারা কি করে রক্তারক্তি কোরলো ? রক্ত থ্রী ডাইমেনশনাল প্রাণীর ভিতরে থাকে --- টু ডাইমেনশন এনটিটির ভিতরে রক্ত আসলো কি করে ।

ফেরেশতারা জীনদের পরিনতি দেখে --- আদমের বংশধররা একই কাজ করবে কি করে জানলো ? তখন আজাজিল ইবলিশ হয় নি , বিবি হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয় না । আদম থাকবে বেহেশতে , তাকে দুনিয়াতে থাকতে হবে না , এই অবস্থায় ফেরেশতারা কি করে বলে --- দুনিয়াতে আদমের বংশধররা ফেতনা ফ্যাসাদ সৃষ্ঠি করবে । যদি আজাজিল বিট্রে না করতো তাহোলে আদমকে আর দুনিয়াতে আসতে হোত না । ফেরেশতাদের তো জানার কথা না আজাজিল বিট্রে করবে ।

১১| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ এভো, আপনার যে স্থান কাল পাত্র জ্ঞান যে নেই সেটা বার বার প্রমাণ করেছেন । জীনদের যদি ধবংস করে ফেলা হয় তাহোলে এখন কোন জীন জীবিত নেই ? ব্যাস্ততার কারনে গত দুই দিন লিখতে পারি নাই। আমি সরি।
[su]জ্বিনজাতিকে সৃষ্টি করার পর তাদেরকে গাইড লাইনের মাধ্যমে দিক-নির্দেশনা দিয়ে চলতে বলা হয়। গাইড লাইন দেয়া থাকলেও তারা অল্প কিছু দিন লাইনমত চলে তারপর আবার বেপরোয়া চলতে থাকে। নিজেদের মাঝে কলহ-বিবাদ, মারা-মারি, কাটা-কাটি লেগেই থাকত। তাদের সৃষ্টির উপাদান আগুন হওয়ার কারণেই হয়তো তাদের উশৃংখল জীবনধারা অব্যাহত ছিল। সৃষ্টিকর্তা মাঝে মাঝে তাদেরকে সতর্ক করলে কিছুদিন ভাল থেকে আবার আগের মত আচরণ শুরু করে। সৃষ্টিকর্তা মাঝে মাঝে আসমান থেকে ফেরেস্তার প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে তাদেরকে সতর্ক করেন। আবার বেশী বাড়াবাড়ি করলে ফোরেস্তার শক্তিশালী কমান্ডো দল পাঠিয়ে তাদেরকে দমন করেন। যারা বেশী অবাধ্য আচরণ করে তাদেরকে হত্যা করা হত।
এভাবে হাজার হাজার বছর জ্বিনদের জীবনাচরণ দেখে তাদেরকে শৃংখলার জীবনে ফিরিয়ে আনতে একসময় জ্বিনদের মধ্য থেকে ইয়াকুব নামের একজন নবীও পাঠানো হলো। ফাইনালী দুষ্টু জ্বিনেরা তাদের নবীকেও হত্যা করল। তাদের অশান্তির কারণে যখন পৃথিবীতে বিশৃংখলা দেখা দিল তখন সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে ধ্বংস করার জন্য আসমান থেকে একদল ফেরেস্তা পাঠালেন। ফেরেস্তারা প্রায় সমস্ত জ্বিনকে ধরে ধরে হত্যা করল। অল্প কিছু ভাল জ্বিন দুর-দূরান্তে পালিয়ে গেল, কতককে সৃষ্টকর্তার সৈন্যবাহিনী সাগর ও দূর্গম পাহাড়, দ্বীপপুঞ্জের দিকে তাড়িয়ে দিল। এসময় ফেরেস্তারা জ্বিনের এক বাচ্চাকে পেল যে দেখতে খুব সুন্দর ছিল। নাদুস নুদুস ছেলেটিকে বেশ আদর লাগছিল। বাচ্চাটির নাম ছিল আযাযিল। শিশু আযাযিলের প্রতি ফেরেস্তাদের মায়া হল এবং তাদের নিজেদের সাথে আযাযিলকে আসমানে নিয়ে যাবার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দরখাস্ত করল। আযাযিলের ব্যাপারে সৃষ্টকর্তা ফেরেস্তাদের আবেদন মঞ্জুর করলেন। ফলে ফেরেস্তারা ফিরে যাবার সময় আযাযিলকে তাদের সাথে দ্বিতীয় আসমানে নিয়ে গেলেন। শুরু হল নতুন এক অধ্যায়।
ফেরেস্তাদের দেখাদেখি আযাযিলও সৃষ্টিকর্তার ইবাদতে মশগুল হয়ে থাকত। আযাযিলের ভদ্র আচরণ আর ইবাদতে একাগ্রতা দ্বিতীয় আসমানের ফেরেস্তাদেরকে ছাড়িয়ে গেলে সৃষ্টিকর্তা তাকে তৃতীয় আসমানে তুলে নিলেন। এভাবে প্রতি আসমানের ফেরেস্তাদের চেয়ে বেশী ইবাদত করায় আযাযিল একসময় সপ্তম আসমানে উঠে গেল। সেখানেও সে অগ্রগামী থাকায় সৃষ্টিকর্তা আযাযিলকে ফেরেস্তাদের সর্দার বানিয়ে দিলেন। আগুনের তৈরী আযাযিল হয়ে গেল আযাযিল ফেরেস্তা।
ঐদিকে দুনিয়ায় জ্বিনদেরকে ধ্বংস করার পর দুনিয়াটা বিরানভূমি হয়ে থাকল। সৃষ্টকর্তা চাইলেন দুনিয়াতে এমন একটি জাতি থাকুক যারা সর্বদা তাঁরই প্রসংশা করবে। তাই তিনি ফেরেস্তাদের ডেকে বললেন আমি দুনিয়াতে আমার প্রতিনিধি সৃষ্টি করতে চাই। ফেরেস্তাদের সীমিত জ্ঞান, তারা সৃষ্টিকর্তার শিখানো বুলি ছাড়া কিছুই জানে না। তারা ইতিপূর্বে দু্ষ্টু জ্বিনদের মারামারি, রক্তারক্তি দেখেছে। তাই ফেরেস্তেরা আল্লাহকে বলল, আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যারা মারামারি, কাটাকাটি করবে? আল্লাহ বললেন, আমি যা জানি তোমরা তা জাননা। (সুত্র- চাটগা থেকে বাহার -সামহোয়ার ইন ব্লগ)


এ যে বিশাল একটি গল্প আমি আপনাকে তুলে ধরলাম। এটি হলো জীন জাতির ইতিহাস। এসব হলো হাদীসের কথা যা আমার পছন্দের বাইরে। তারপরও আপনি যখন এসব প্রসঙ্গ উঠালেন তাই আপনার সাথে আমার আলোচনা করতে হচ্ছে। ধর্ম সম্পর্কে আপনার অনেক অজ্ঞতার কারনে আমাকে এত লিখতে হচ্ছে। একেবারে জিরো থেকে শুরু করতে হচ্ছে। তাই মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি। কটু ভাবে দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করছি বলে হয়তো মনে একটু কষ্ট পাচ্ছেন। যাই হোক ক্ষমা করবেন আমার কটু দৃষ্টিভঙ্গির জন্য। হাদীসের যে সকল গল্প গুলো আপনার সাথে আমাকে আলোচনা করতে হচ্ছে সেগুলোর কোন গ্রহণযোগ্যতা দিতে পারবো না। ১০০% গ্যারান্টি দেওয়া যাবে না। আমি আল কোরআনে কোথাও জ্বীন জাতিকে ধ্বংশ করা হয়েছে সেটা খুজে পাইনাই। হয়তো কোন আয়াত থাকতে পারে আমার চোখে পড়ে নাই।তবে আযাযিলকে পৃথিবী থেকে বেহেস্ততে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এটা মিসিং লিংক বোঝাতে জোড়া দেওয়া হয়েছে পরবর্তীতে কারন হাদীস গুলো সহীহ বলে আমার মনে হয় না।আমার জ্বীন সংক্রান্ত গবেষনা 60% এগিয়েছে 40% এখনও বাকী তাই বিষয়টি অসমাপ্ত রয়ে গেছে।
(আরেকটি কমেন্টে পাঠাচ্ছি। হঠাৎ করে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম)

১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: মানুষ either taught, gifted or lucky, মানুষের ক্ষমতা এতটুকুই।
নতুন নতুন বিজ্ঞান শিখলে অনেকে আজব খেয়াল আসতে পারে, একটু গভীরে গেলে আর আসে নয়া।
কিন্তু ব্যাপারটা হচ্ছে মূর্খ না থাকলে জ্ঞানীর কি ওজন?
অন্ধকার না থাকলে আলোর কি প্রয়োজন?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি আপনার কথা বুঝলাম না?

১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৪

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার একটার পরে একটা গল্প আমাকে বিমহিত করছে !!! ভালো রুপকথা আপনি লেখেন !! চালিয়ে যান !!!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বোবার কোন শত্রু নেই। আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৬

নতুন বলেছেন: তাহলে আপনি স্বীকার করছেন যে মানুষকে পৃথিবির বাইরের কেউ এসে জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছে?

তাহলে ঐ এলিয়েন জাতীকেই তখনকার মানুষেরা সৃস্টিকতা, দেবতা, ঈস্বর হিসেবে জানতো....

আরেকটা জিনিস মানুষকে বর্তমানে কোন দেবতারা নতুন জিনিস শেখাচ্ছেন?

মানুষ যদি বর্তমানে কোন দেবতা ছাড়া শিখতে পারে তবে কোন আপনার মনে হচ্ছে যে মানুষ শুরুটা নিজেরাই খুজে পায়নি?

আর জিনিসের নাম করন মানুষই করেছে।

বিশ্বের হাজারো ভাষায় একই জিনিসের যদি হাজার নাম থাকতে পারে কিভাবে? কেন সবাই দেবতার দেওয়া একটা নামই বলছে না?

ভাষার বির্বতনের ফলে যেমন বিভিন্ন ভাষা এসেছে তেমনি মানুষই সব কিছু সময়ের সাথে পরিবর্তন করেছে।

আমাদের দেশের সিলেটি আর চট্রগামের দুইজনের বাংলা একে অপরে বুঝতে পারেনা। কেন?

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি আমার লেখাটা পড়েন নি। যদি পড়তেন তাহলে এভাবে প্রশ্ন করতেন না। আমি কি আমার লেখায় কোথাও উল্লেখ করেছি যে এলিয়েনরা মানবজাতিকে শিখিয়েছে। শিখিয়েছে ফেরেস্তারা। আল কোরআনের বাবিলে (ব্যাবিলনের ফেরেস্তা ) হারুত মারুত ফেরেস্তা সম্পর্কে কি কিছু জানেন? আপনি একটু জানেন বোঝেন তারপর বলেন। ধর্ম সম্পর্কে বলতে গেলে ধর্ম সম্পর্কে তো কিছু জানতে হবে। মানব জাতির উন্নয়নে যুগে যুগে আল্রাহ ফেরেস্তাদের পাঠিয়েছেন। ধর্ম গ্রন্থ দিয়ে গেছেন। আদমকে কথা বলতে শিখিয়েছেন। পোষাক পড়তে শিখিয়েছেণ। নুহু আঃ কে নৌকা বানাতে শিখিয়েছেন। ইদ্রীস (আঃ) লিখতে শিখিয়েছেন। মহাকাশ গবেষনা শিখিয়েছেন। ইউছুফ আঃ কে চিকিৎসা শাস্ত্র শিখিয়েছেন। লোকমান আঃ কে গাছ গাছাড়ি দিয়ে ঔষধ বানানো শিখিয়েছেন। ইব্রাহীম আঃ দিয়ে সত্য জ্ঞান শিখিয়েছেন। মানুষের শিক্ষার শুরুটা স্রষ্টাই করেছেন। পরবর্তীতে মানুষ সেটাকে আপডেট করেছেন। আধুনিকীকরন করেছেন মাত্র।

ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫০

নতুন বলেছেন: নতুন বলেছেন: তাহলে আপনি স্বীকার করছেন যে মানুষকে পৃথিবির বাইরের কেউ এসে জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছে?

তাহলে ঐ এলিয়েন জাতীকেই তখনকার মানুষেরা সৃস্টিকতা, দেবতা, ঈস্বর হিসেবে জানতো....



লেখক বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি আমার লেখাটা পড়েন নি। যদি পড়তেন তাহলে এভাবে প্রশ্ন করতেন না। আমি কি আমার লেখায় কোথাও উল্লেখ করেছি যে এলিয়েনরা মানবজাতিকে শিখিয়েছে। শিখিয়েছে ফেরেস্তারা। আল কোরআনের বাবিলে (ব্যাবিলনের ফেরেস্তা ) হারুত মারুত ফেরেস্তা সম্পর্কে কি কিছু জানেন? আপনি একটু জানেন বোঝেন তারপর বলেন।

আমি কি বলেছি আপনি সম্ভবত বুঝতে পারেন নাই।

আপনি বলেছেন ফেরেস্তারা শিখিয়েছে। <<< তার অর্থ হলো মানুষকে পৃথিবির বাইরের কেউ এসে শিখিয়েছে।

এলিয়েনরা শিখিয়েছে বলতে যা বোঝায় << পৃথিবির বাইরের কোন সত্বা যারা অন্য স্থানের বাসিন্দা এখানে এসে মানুষে শিখিয়েছে।

তাহলে আপনি যখন বলেন যে ফেরেস্তারা এসে মানুষদের শিখিয়েছে তার অর্থ দাড়ায় এলিয়ান থিউরির সমর্থন করা।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:২২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: না ত্রি মাত্রিক কোন প্রানী মানুষদের শেখায় নাই। শিখিয়েছে হায়ার ডাইমেনমনের প্রানি। মিনিমাম ৮ মাত্রা।

১৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০৬

নতুন বলেছেন: প্রিয় পাঠক, কোন জিনিসটার নামকরণ কি হবে তা কিভাবে নির্ধারিত হয়? যেমন ধরুন, বৃক্ষের নাম কেন বৃক্ষ হলো? মাছের নাম কেন মাছ হলো? প্রজাপতির নাম কেন প্রজাপতিই হলো? প্রিয় পাঠক, আলাকোরআনে উল্লেখিত আদমের এই নাম তত্ব নিয়ে মহামান্য দার্শনিক প্লেটো তার ‘ক্র‍্যাটাইলাস’ গ্রন্থে বিষয়টির প্রমান্যতা আনয়ন করে। প্লেটোর ‘ক্র‍্যাটাইলাস’ বইয়ে জানা যায় দার্শনিক সোফিস্ট ক্র‍্যাটাইলাস দাবী করেছিলেন জগতের সবকিছুর নামকরণের পেছনে রয়েছে একজন ‘নামকর্তা’র ভূমিকা।

বর্তমানে বিশ্বে ৭১০০ এর মতন ভাষা আছে,

মাছ, মীন, কন্কটি,শল্কী এমন অনেক নামে আমাদের বাংলার মানুষ মাছ বুঝায়। তাহলে ৭১০০ শব্দে আরো কত রকম ভাবে মাছের নাম করন হয়েছে?

আরো কত ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে তার হিসাব নাই। তাই নাম করনের পেছনে কোন নিদ্ধারিত অলৌকিক শক্তি প্রথিবিতে এসে মানুষকে জিনিসের নাম শিখিয়েছে ভাবনা ঠিক না।

যদি তাই হতো তাহলে সারা বিশ্বে নামের মাঝে একটা মিল দেখা যেতো এবং এতো রকমের ভাষার উদ্ভব হতো না।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: অনেক দিন পরে ব্লগ খুললাম।

মোবাইল কোম্পানী যখন প্রথম মোবাইল তৈরী করেছিলো। পরে অনেকেই সেই মোবাইল তৈরী করেছে। কিন্তু প্রযুক্তি এবং বানানোর বিষয়বস্তু গ্রহণ করে অনেক কোম্পানী মোবাইল বানিয়েছে। কিন্তু মূল বিষয়টি হলো কে প্রথম বানিয়ছিলো? সেই প্রযুক্তির উদ্ভবকর্তা।

নামকরণ করতে হবে এটাই ছিলো ভাষা সৃষ্টি মূল বিষয়। একটু মাথা খাটার সব বুঝতে পারবেন।

১৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০১

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: দুঃখিত আপনার পোস্টে এসে বিরক্ত করছি। দয়াকরে আমার ভুল গুলো শুধরে দিবেন

: শুধু অলি আউলিয়ারাই আল্লাহর অলি নয়
https://shakawatarticle.blogspot.com/2022/12/blog-post.html

সুফিবাদী সুন্নিদের আকিদা সমূহ
https://shakawatarticle.blogspot.com/2022/01/blog-post_3.html

সুফিদের শরিয়তের উৎস ও যৌক্তিকতা
https://shakawatarticle.blogspot.com/2022/01/blog-post_46.html?m=1



কুরআনের আয়াত দ্বারা পীরের দলিল খন্ডন

https://shakawatarticle.blogspot.com/2020/04/blog-post_90.html?m=1

https://shakawatarticle.blogspot.com/2020/04/blog-post_77.html?m=1

https://shakawatarticle.blogspot.com/2020/04/blog-post_46.html?m=1

https://shakawatarticle.blogspot.com/2020/04/blog-post_69.html?m=1

https://shakawatarticle.blogspot.com/2020/04/blog-post_48.html?m=1

১৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫

নতুন বলেছেন: নামকরণ করতে হবে এটাই ছিলো ভাষা সৃষ্টি মূল বিষয়। একটু মাথা খাটার সব বুঝতে পারবেন।


বিশ্বের মানুষের ভাষা, সংস্কৃতিতে পাথক্যের মাঝে এটাই বোঝা যায় যে তাদের একক কোন শিক্ষক ছিলো না।

বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ভাবে তাদের মাঝে ভাষা, সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে একে অপরের সাথে পরিচিত হবার ফলে কিছু বিষয় তারা বিনিময় করেছে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ভাবে তাদের মাঝে ভাষা সৃষ্টি হয় নি। নামকরন করা শব্দ সৃষ্টির প্রক্রিয়া এক জায়গায় সুচিত হয়েছিলো তারপর সেগুলো বিভিন্ন স্থানে ছড়িযে পড়েছিলো। শব্দ সৃষ্টি করার মাধ্যমে ভাষা সৃষ্টির সূচনা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.