নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেরেস্তারা (দেবতারা) আকাশ থেকে এসে মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন। দীর্ঘমেয়াদী শিক্ষা আল্লারই পরিকল্পনা। ফেরেস্তা দেবতা (কথিত ভী্নগ্রহ বাসী) সব একই । (পর্ব ৩))

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫১

লুই পাওয়েলস আর জ্যাক বের্জিয়ের একটি কথা মনে পড়ে গেল । তারা তাদের [AUFBRUCH INS DRILITE JAHR - TAUSEND ] বইয়ে লিখেছিলেন “ সংবিধান মারফত যে সমস্ত স্বাধীনতা আমাদের দেওয়া আছে আমাদের উচিত তার উপর আরও একটি দাবি করা - সেটা হল বিজ্ঞান কে সন্দেহ করার স্বাধীনতা । খুব অতীব গুরুত্ব পূর্ণ কথা তারা বলেছেন । আবার এলিক ফন দানিকেন এর একটি কথাও খুব প্রশংসনিয় । তিনি তার বইতে লিখেছেন “আগেকার দিনে লোক যাজক সম্প্রদায়কে বলত গোড়া আর বিজ্ঞানিদের বলত প্রগতিশীল। কিন্তু সেই যুগ হয়েছে বাসী । বহুকাল হল যাজক শ্রেনী হয়েছে প্রগতি শীল আর বিজ্ঞানীরাই আজ গোড়া, নেহাত দায়ে না ঠেকলে তারা নড়ে বসে না” । বিজ্ঞান এবং ধর্মের এই সকল দুরত্ব বোধ কে অবসান ঘটিয়ে একটি ঐক্য মিলন ঘটানোর সাহসি উদ্যেগের একান্ত প্রয়োজন । বিজ্ঞানের জ্ঞান মানুষ কে খোদায় দিয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন যে নবী রাসুল বা খোদার প্রিয় পাত্ররা ছিলেন বড় বড় বিজ্ঞানী। নূহ (আঃ) যদি নৌকা বা জাহাজ তৈরী না করতেন তাহলে আজ হয়ত টাইটানিক তৈরি হত না ৷ খোদা মানুষ কে কথা বলতে শিখিয়েছে খোদা মানুষকে লিখিতে শিখিয়েছে। খোদা মানুষ কে পিরামিড বানাতে শিখিয়েছে, মমি বানাতে শিখিয়েছে, এই মমি বানানোর মধ্যে দিয়ে চিকিৎসা বিদ্যার অগ্রগতি সাধন করেছে। আমাদের মানব জীবনের জন্য পরিপূর্ণতা খোদায় আমাদের এনে দিয়েছেন। ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন সকল ধর্ম গ্রন্থ নিয়ে গবেষনা করে দেখুন, বুঝবেন খোদার পরম দান মানুষকে ধন্য করেছে। অথচ আমরা মানুষ খোদার চাওয়া পাওয়ার হিসাব নিকাশ এর অংকে শুন্যতা এনে দিয়েছি । কিন্তু এটা কত দিন ? যে খোদা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, যে খোদা মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন,তার জয় হতেই হবে, তার পরিকল্পনা ব্যার্থ হতে পারে না । মানব জীবনে খোদার সূর্য আনাগোনা করে । সূর্য যখন উদয় হয় তখন পৃথিবী জ্ঞানে গুনে ভরে যায়, খোদার ইবাদত প্রার্থনায় মানুষ মশগুল থাকে । আবার যখন সূর্য ডুবে যায় তখন আবার পৃথিবী অন্ধকারে ডুবে যায় । খোদার এই সূর্যসম মহামানবের অনাগত প্রতীক্ষায় মানুষকে আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না ।অচিরেই মানুষেরা আবার খোদার ইবাদত করবে, খোদার চাওয়া পাওয়ার হিসাব নিকাশে পূর্ণতা এনে দেবে। আবার এই পৃথিবীর মানুষেরা খোদার প্রার্থনা সংগীতের ঝংকারে পৃথিবীকে মোহগ্রস্ত করে তুলবে। আলকোরআনের একটি আয়াত ইদানিং আমাকে বেশ চিন্তিত করে তুলেছে “মানুষেরা কি নিশ্চিত যে আমি আর তাদের উপর প্রস্তর খন্ড নিক্ষিপ্ত করিব না” । আল কোরআনের আলোচ্য আয়াতে সরাসরি মানুষকে হুমকি দেওয়া হয়েছে । প্রস্তর খণ্ড নিক্ষিপ্ত হবার সময় বোধ হয় আর বেশি দিন নেই, কারন এই পৃথিবীর আজ যে অবস্থা, অন্ধকারে এত বেশি নিমজ্জিত তাতে অচিরেই ঘটবে এই আসমানি গজব।এ ক বার ভেবে দেখুন আমাদের সৌর জগতে মঙ্গল গ্রহে পাশ্ববর্তি কক্ষপথে লক্ষ কোটি গ্রহানু পুঞ্জ ক্রমাগত ঘুর্নায়মান অবস্থায় রয়েছে । ঐ গ্রহানু পুঞ্জ থেকে (এষটিরয়েড বেল্ট) থেকে যদি কয়েকটি গ্রহানু পৃথিবীর বুকে আঘাত করে তবে তা কয়েক শত পারমানবিক বোমার ক্ষমতা দিয়ে পৃথিবীর বুকে অনায়াসে ধংস লীলা চালাতে সক্ষম । আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি এই ধংশ লীলার মধ্যে দিয়ে কিছু কিছু জাতীর অস্তিত্ব চিরতরে বিলীন হয়ে যেতে পারে । অতএব আমাদের সাবধান হোতে হবে ।



দেবতা বা ফেরেস্তারাই মানব জাতীকে শিক্ষা দিয়ে জ্ঞানে গুনে গুনান্বিত করেছেন । নির্দীষ্ট সময় পর পর প্রতিনিধি (নবী রাসুল) পাঠিয়ে বিভিন্ন জ্ঞান বিজ্ঞান সরবরাহ করেছে। আজ ঐতিহাসিক বিভিন্ন পেক্ষাপট আমাদের এই কথায় বলছে। ফেরেস্তারা বা দেবতারা এসেছিলেন দুর দুরান্ত থেকে। স্বয়ং স্রষ্টার নির্দেশে যুগে যুগে তারা মানব জাতিকে বহু ভাবে শিক্ষা দিয়ে আজ এ অবস্থায় উপনীত করেছেন । এবিষয়ে আমরা নূহ (আঃ) এর দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে পারি । নূহ (আঃ) কে যদি ফেরেস্তারা নৌকা বা জাহাজ বানাতে না শেখাতেন তাহলে হয়ত বা আমাদের এই আধুনিক যুগে 'টাইটানিক' বা বিশাল বিশাল ডুবো জাহাজ বানানোর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতো না। নূহ (আঃ) কে ফেরেস্তারাই আল্লাহর নির্দেশে জাহাজ বানানো শিখিয়েছিলেন । তার প্রমান ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে বিদ্যমান । এ ব্যপারে আল কোরান ঘোষনা দেয় – “তুমি আমার তত্ত্বাবধানে আমার প্রত্যাদেশ অনুযায়ী নৌকা নির্মান কর এবং যারা সীমালঙ্গন করেছে তাদের সম্পর্কে তুমি আমাকে কিছু বলোনা ”। (১১:৩৬) আলকোরআনের বক্তব্য অনুযায়ি আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারছি আল্লাহর তত্ত্বাবধানে আল্লাহর প্রত্যাদেশ অনুযায়ী, নূহ(আঃ) নৌকা নির্মান করেছিলেন । নৌকা বানাতে কোন কাঠ ব্যবহার করেতে হবে, কিভাবে বানাতে হবে, কি সেই কাঠে লেপন করতে হবে তাও স্রাষ্টা তাকে বলে দিয়েছিলেন । এ ব্যপারে বাইবেলে আদি পুস্তকে জানা যায় -“তখন ঈশ্বর নোয়াকে বলিলেন' আমার গোচরে সকল প্রাণীর অস্তিম কাল উপস্থিত, কেননা তাহাদের দ্বারা পৃথিবী দৌরাত্বে পরিপূর্ন হয়েছে । আর দেখ আমি পৃথিবীর সহিত তাহাদিগকে বিনষ্ট করিব। তুমি গোফর কাষ্ঠ দ্বারা এক জাহাজ নির্মান কর, সেই জাহাজের মধ্যে কুঠুরী নির্মান করিবে ও তাহাদের ভিতরে ও বাহিরে ধুনা দিয়া লেপন করিবে । এ প্রকারে তাহা নির্মান করিবে । জাহাজ দীর্ঘে ৩০০হাত এবং প্রস্থে ৫০ হাত এবং উচ্চতায় ৩০ হাত হইবে । আর তাহার ছাঁদের এক হাত নিচে বাতায়ন প্রস্তুত করিয়া রাখিবে ।আর জাহাজের পার্শ্বে দাড় রাখিবে ।ও তাহা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা হইবে।( বাইবেল আদি পুস্তক ৫:১৩- ১৬)। বাইবেলের আদি পুস্তুক থেকে আমরা জানতে পারি জাহাজ নির্মানের যাবতীয় খুটি নাটি হিসাব নিকাশ খোদা তায়ালা নূহ (আঃ) অর্থ্যাৎ খ্রীষ্টান ভাইদের নোয়া কে শিখিয়ে দিয়েছিলেন । যার ফলশ্রুতিতে নোয়া এমন জাহাজ নির্মান করতে সক্ষম হয়েছিলেন যা বিশাল প্লাবনের হাত থেকে মানব জাতীকে রক্ষা করেছিলেন । যার মধ্যে নূহ (আঃ) বা নোয়া কে এবং তার পরিবার বর্গ কে রক্ষা করেছিলেন । বিশ্বের বিভিন্ন জাতির বিভিন্ন ধর্ম গন্থ, পুরান, পুথিতে নূহ (আঃ)এর যুগের মহা প্লাবনের কথা বলা আছে । ব্যাবীলনের সৃষ্টি সংক্রান্ত নীতি মালা মুলক “ এনুমা ইলিস” কাব্যে পাওয়া যায় । মহাপ্লাবনের বর্ণনা । সেখানে নোয়া বা নূহ (আঃ) কে আত্তাহিসিম' নামে পরিচিত করানো হয়েছে । তাতে বলা আছে দেবতা এংকি স্বর্গ থেকে নেমে এসে আত্তাহিসিম কে জাহাজ তৈরি করবার নির্দেশ দিয়েছিলেন । আত্তাহিসিম জাহাজ তৈরির ব্যপারে কিছু বুঝতে পারেন নাই, বিধায় দেবতা এংকি তাকে মাটিতে জাঁহাজের নকশা একে তা তৈরির নিয়ম কানুন শিক্ষা দিয়েছিলেন । প্রাচ্য ভাষাবিৎ মার্কিন পণ্ডিত জাকারিয়া সিচিন যিনি সর্ব প্রথম সাহস করে সুমেরীয়, আসিরিয়, ব্যাবীলনিয় ও বাইবেলের পুথি গুলোকে আধুনিক পন্থায় অনুবাদ করেছেন। তিনি লিখেছেন যে ' এংকি চেয়েছিলেন সুপরিকল্পিত ভাবে তৈরি একটি জাহাজ হাওয়া ঢুকতে পারেনা, এমন ভাবে বন্ধ করা । আর শক্ত পিচ ঢেলে সব গুলো কাটা বন্ধ করা । কোথাও কোন ডেক ছিল না, কোন খোলা জায়গাও ছিল না,যাতে সূর্যের আলো ঢুকতে পারে ।এমন করে জাহাজ তৈরি করিয়েছিলেন দেবতা এংকি । অধ্যাপক প্রয়েস ১৯১৩ হতে ১৯১৪ সালের ভিতর সান আগুস্তিনির খানিকটা খোড়া সভ্যতার মধ্যে আবিস্কার করেছিলেন কাগাবা কোগীদের ঐতিহ্য। তিনি ৫০ বছরেরও আগে কাগাবা কোগি দের প্রাচীন পূরান কাহিনী লিখে গেছেন। ওই কাহিনীতে নোয়াকে সিজানকুয়ান নামে অভিহিত করা হয়েছে। ওই পুরানের কিছু অংশ তুলে ধরলাম
“৩৮শ স্রোতঃ এক্ষণে বহু শতাব্দি অতিক্রান্ত হইল এবং পৃথিবীতে মানুষ্যগণ অস্বাভাবিক ব্যাভিচারে গামি হইল, মাতা পুত্রকে সম্ভোগ করিল, পিতা কন্যার সহিত, ভ্রাতা ভগিনির সহিত কাম চরিতার্থে প্রবৃত্ত হইল ।
৩৯শ স্রোত : দেবরাজ পুত্র জানতানা এ সকলই প্রত্যক্ষ করিলেন এবং স্বর্গের উন্মুক্ত করে দিলেন। ইহার ফলে চারি বৎসর ধরিয়া প্রবল বর্ষন হইতে লাগিল ।
৪০শ স্রোতঃ যখন পুরোহিত গণ অবগত হইলেন যে তিনি (দেবরাজ পুত্র) এরুপ প্রমাদ ঘটাবেন, তখন আদি পুরোহিত সিজানকুয়ান একটি জাদু পোত নির্মান করিলেন এবং ইহাতে প্রাণীজগতের সকল প্রাণী ও অন্যান্য দ্রব্য ইহাতে সন্নিবেশিত করিলেন। তাহার মধ্যে চতুস্পদ জন্তু পক্ষী ও বৃক্ষথলতা দি রক্ষিত হইল । সর্বোপরি জ্যেষ্টভ্রাতা মুলকুয়েইকাই এই জাদু পোতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিলেন ও ইহার দ্বার রুদ্ধ করিয়া দিলেন।
৪১শ স্রোতঃ তখন লোহিত ও নীল বর্ণের বারিধারা বর্ষিত হইতে লাগিল। চারি বৎসর ধরিয়া প্রবল বর্ষণের ফলস্বরুপ সমগ্র বিশ্ব জলমগ্ন হইয়া সমুদ্রে পরিনত হইল ।
৪২শ স্রোতঃ ইতো মধ্যে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা মুলকুয়েইকাই তাহার জাদু পোতটি সিয়েরা নেগ্রার শীর্ষ দেশে নোঙ্গর করিলেন ।অত্যন্ত ঝুকি লইয়া জাদু পোতটি খুব নিকটবর্তী স্থানে,অল্প সময়ের জন্য পোত হইতে অবরোহন করিলেন, তিনি সিয়েরা নেগ্রায় নবম দিবস অতিবাহিত করিলেন ।
৪৩শ স্ত্রোতঃ পুরোহিত গণ আমাদের কিম্বদন্তীসমুহে যেরুপ কহিয়া গিয়াছেন,নবম দিবস পর,নবম শতাব্দিও অতিক্রম হইয়া গেল, সমুদ্রের জলরাশি শুষ্ক হইয়া গেল ।
৪৪শ স্রোতঃ এক্ষণে দুষ্ট লোকের বিনাশ হইল, পুরোহিত গণ বয়োজেষ্ঠগণ সকলেই স্বর্গ হইতে অবতরন করিলেন । ইতিমধ্যে মুলকেইকাই জাদুপোতের দ্বার উন্মুক্ত করিয়া দিলেন, পক্ষিও চতুষ্পদ প্রাণী সকল, বৃক্ষ-লতাদি পৃথিবী পুনরায় স্বস্থানে রক্ষিত হইল । দেবোপম পিতা কালগুসিজা এবং বিধ সকল কর্ম ই সম্পাদন করিলেন ।
৪৬শ স্রোতঃ এবং সকল দেবস্থানেই স্মৃতি চিহ্ন হিসাবে একটি করিয়া স্মারক বস্তু রাখিয়া গেলেন।”




মহাপ্লাবনের গল্প সুমেরীয়, ব্যাবীলনীয়, ইস্রায়েলীয়, কাহিনিতে আছে । তেমনি আছে কলম্বিয়া কাগাবা ইন্ডিয় আর যোসেফের আজবেক দের পূরান পুথিতে । আজবেক পুথিতে নোয়ার নাম ছিল “টাপি’। এমন কি হিন্দু তত্ত্বের মাঝে, অথ্যৎ যীশু খ্রীষ্ঠের জন্মের ২৫০০ বৎসর পূর্বের পুরানে মহা প্লাবনের উল্লেখ পাওয়া যায় । এত সকল প্রমান দ্বারা অন্তত আমাদের ভিতর এ বিশ্বাস জাগরুক হয় যে দেবতা বা ফেরেস্তাদের মাধ্যমে নুহ (আঃ) জাহাজ বানানোর প্রযুক্তি পেয়েছিলেন, এবং তিনিই ছিলেন এথম ব্যক্তি যিনি মানব জাতিকে পানির উপর দিয়ে চলা চলের ‘জাহাজ প্রযুক্তি' শিক্ষা দিয়েছিলেন । আর আজ এ বিশ্বে কত বড় বড় জাহাজ, সাবমেরিন, তৈরি হচ্ছে । এ সকল কিছুই ছিলো নুহ (আঃ) এর অবদান । ধর্ম গ্রন্থ গুলো পড়ে জানা যায় খোদা মানুষকে শুধু ধর্ম তত্ত্বই শিক্ষা দেন নাই তাছাড়াও জ্ঞান বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান, অস্ত্র বিজ্ঞান সম্পর্কেও মানুষকে ধারনা দিয়েছেন। আমি আগামী পর্বে ইমহোটেপ বা ইউছুফ (আঃ)এর দ্বারা মানবজাতির উপর চিকিৎসাশাস্ত্রের ব্যাপক উন্নয়নমূলক জ্ঞান বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করবো। মমি সংক্রান্ত তথ্য বা চিকিৎসাশাস্ত্রের যে ব্যপক উন্নয়ন মিশরে ত’ৎকালীন সময়ে হয়েছিলো তা ঐতিহাসিক পেক্ষাপটেই আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।

প্রিয় পাঠক,দেবতাদের নিদের্শে মানুষেরা জ্ঞান বিজ্ঞান অর্জন করেছিলো এবং তা দীর্ঘদিন ধরে স্মৃতিমান করে বংশ পরম্পরায় জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নয়নই ঘটিয়েছিলো। ইহুদী প্রাচীন ধর্মগ্রন্থসমূহে অদ্ভুদ কিছু বৈজ্ঞানিক বর্ননা পাওয়া যায়। যেমন একটি বিষয় উল্লেখ করি জোশুয়াতে উল্লেখ আছে দেবতারা ইহুদীদের তথ্য দেয় ভেড়ী বাজাইতে।ভেড়ী বাজােইলে প্রাচির ফেলে দিতে পারবে। প্রথমে তাদের মধ্যে সন্দেহ উদ্দ্যেক হইলেও পরে তাহারা সেই প্রচেষ্টা করে বাস্তবায়িত ঘটে। ইহুদী গ্রন্থ জোশুয়া (৬ থেকে ২০) স্রোতে উল্লোখ আছে-“পরে লোকেরা সিংহ নাদ করিল ও যাজকেরা তুড়ি বাজাইল, আর লোকেরা তুড়ি ধ্বনি শুণিয়া সিংহ নাদ করিয়া উঠিল, প্রাচীর স্বস্থানে পড়িয়া গেল, পরে লোকেরা প্রত্যেক জন সম্মুখ পথে নগরে উঠিয়া নগর হস্ত গত করিল”। দেব অনুগ্রিহিত মানুষের দল যখন জর্ডানের নদী পার হয়ে জেরিকো নগরের ১০০ ফুট পুরু দেয়ালে ঘা দিতে শুরু করলো তখন পুরোহিত কুলকে নির্দেশ দেয়া হলো তাদের ভেড়ি বাজাতে আর তখনই প্রাচির স্বস্থানে ধ্বশে পড়ে গেল ।এখন প্রশ্ন হলো ভেড়ী বাজানোর সাথে সাথে ১০০ ফুট পুরু দেয়াল কেমন করে পড়ে গেল?
এই ভেড়ী বাজানোর সাথে দেয়াল পড়ে যাওয়ার একটা সম্পর্ক খুজে পাওয়া যায় । “১৯৬৪ সালের বসন্ত কারে মার্সেলেস্ এর ইলেকট্রো এ্যাকাউস্টিক্স সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থাটি নতুন বাড়িতে উঠে গেল । যাবার দরুন কতক পর থেকেই অধ্যাপক ব্লাদিমির গাবরোর সহকর্মীদের মাথা ধরতে শুরু করলো,কারুর গা হাত পা চুলকোতে লাগল,কারুর বা দেখা দিল বিবমিষা। ইলেকট্রো এ্যাকাউস্টিকসের গবেষণা যেখানে চলে, সেখান কার অসংযত কোন বিকিরন এ ধরনের ঝঞ্ঝাট বাধাতেই পারে । বাড়িটার আগা পাগুলা অতি সুক্ষ্ণ সব পরিমাপ যন্ত্র দিয়ে সন্ধান চালানো শুরু হলো, যদি মেলে কর্মী দের দৈহিক অস্বস্তীর কারন । সন্ধান মিললো,তবে অসংযত কোন বৈদ্যুতিক কম্পাঙ্কের বিকিরণ তার কারন নয় ।তার কারন, একটা গবাক্ষপথে ধীর-কম্পন শব্দ- তরঙ্গের বহিঃসরণ। আর তারই ফলে সারা বাড়িটাকে ছেয়ে ফেলেছিল একটা ধীর গতি ধ্বনি ত্রঙ্গ স্পন্দন । হঠাৎ যোগাযোগে অনেক কিছু ঘটেছে, অনেক গবেষকের জীবনে।ফলে গবেষণার কাজ এগিয়ে গেছে হু হু করে । অমনিতরই একটা হঠাৎ শুভ যোগই ধ্বনিতরঙ্গের গবেষণায় অধ্যাপক গাবরোর বিশবছরের পরিশ্রমে এনে দিল চরমসার্থকতা । এ ব্যাপারের পর গাবরো ভাবলেন, যে ঘটনা আকস্মিকভাবে গবাক্ষ পথে ঘটে গেল, তাকে তো চেষ্টা করে গবেষণার মারফতে ও বের করা যেতে পারে । তার পর ইলেকট্রো এ্যাকাউস্টিকসের গবেষণাগারে গাবরো এবং তাঁর সহ কর্মীরা মিলে তৈরি করলেন পৃথিবীর সর্ব প্রথম ধ্বণিপ্রাস । দাবার ছকের ধাঁচে তৈরি একটা গ্রিলে একষট্টিটা নল জুড়ে,তাদের ভেতর দিয়ে সংনমিত বায়ু ছাড়তে লাগলেন অনবরত যতক্ষন না ১৯৬ হার্টসের একটা ধ্বনি ওঠে । ফল যা পাওয়া গেল তা বিকট রকম বিধ্বংশি । নতুন বাড়ির দেয়ালে ফাটল দেখা দিল,গবেষণাগারের কর্মী দের পেটের ভেতর অসহ্য একটা যন্ত্রনা দায়ক কম্পন অনুভূত হতে লাগলো। যন্ত্রটি কে গাবো বন্ধ করতে পথ পায়না। অধ্যাপক গাববোর ইচ্ছে, সে গবেষণা আরো চালান । কিন্তু তার আগে কর্মী দের জন্য তৈরি করলেন একটা রক্ষে কবচ । তার পর তৈরি করলেন সত্যিকার একটা ‘মরনভেরী' যা থেকে উৎপন্ন হল ২০০০ ওয়াট শক্তি আর তা থেকে বেরুতে লাগল ৩৭ হার্টসের একটি ধ্বনিতরঙ্গ । সে যন্ত্র মার্সেলেসের মত জায়গায় পূরো পুরি পরীক্ষা করা সম্ভব নয় কেননা, তাতে কেলেঙ্কারীর এক শেষ হবার সম্ভবনা । কয়েক মাইল জুড়ে সমস্ত বাড়ি গুড়িয়ে ধুলো হয়ে যাবে। সম্প্রতি আরো একটা মারন ভেরী ' তৈরি হচ্ছে পঁচাত্তর ফুট লম্বা । সে ভেরি থেকে ৩.৫ হার্টস সের যে ধ্বনি বের হবে তা আসলে মারণতরঙ্গ। তাহলে আমরা জোশুয়ার ইতিহাস থেকে জানতে পারলাম যে ভেরি বাজাতে দেবতারা নির্দেশ দিতেন সে ভেরি প্রযুক্তির পিছনে বর্তমানে বৈজ্ঞানিক ভাবে পাওয়া যায় যার লৌকিক ব্যাখা।এই সকল লৌকিক ব্যাক্ষা দেবতারা তাদের দিতেন কি করে? দেবতাদের জ্ঞানে গুনেই যুগে যুগে ধামীর্কেরা উন্নয়নের চরম সোপানে উঠেছে এবং সেই সকল জ্ঞান বিজ্ঞান স্মৃতিশক্তিতে সংরক্ষন করে বংশ পরম্পরাই মানুষরা নিজেদের উন্নয়ন ঘটিয়েছে।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৪

নতুন বলেছেন: আপনি উপরে যেই ছবি দিয়েছেন সেটার পেছনে কোন প্রমান নাই যে এটা Noah's Ark.

আর যেই আকারের নৌকার কথা বলা হয় এবং যতগুলি প্রানী নেবার কথা বলা হয় সেটা বাস্তবে সম্ভবনা। B-)

কিন্তু কথায় আছে গাজার নৌকা পাহাড় ডিঙ্গায়ে যায়... সেই ভাবে সবই সম্ভব।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এই জন্য তো গাজা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ হয়। আমেরিকাও গাজা খাইতে চাইছে? হ্যা ভাই। গাজা’র নৌকা যাই।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ব্যাস্ততার কারনে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি নােই। সংক্ষিপ্ত ।
আপনি উপরে যেই ছবি দিয়েছেন সেটার পেছনে কোন প্রমান নাই যে এটা Noah's Ark.
আর যেই আকারের নৌকার কথা বলা হয় এবং যতগুলি প্রানী নেবার কথা বলা হয় সেটা বাস্তবে সম্ভবনা।
আমি এই ছবি দিয়েছি সত্য কিন্তু এই ছবি সত্য মিথ্যা কোন বিষয় আমার লেখার তুলে ধরি নাই। ছবি টা দিয়েছে উদাহরন হিসেবে। তাছাড়া এই ছবি স্থােনের সাথে তুরস্ক ও চীন যৌথভাবে গবেষনা করে সময় কাল নিধারন করেছে।
মেসোপটেমীয় পুরাণে মহাপ্লাবন, বাইবেলের মহাপ্লাবন, তৌরাত শরিফে মহাপ্লাবন, হিন্দুধর্মে মহাপ্লাবন, প্রাচীন রোমান পৌরাণিক কাহিনিতে মহাপ্লাবন, পূর্ব আফ্রিকার মহাপ্লাবন, আসামের মহাপ্লাবন, সুমেরিয়ান মহাপ্লাবন, চিনের মহাপ্লাবন পড়ে আমি দেখেছি সকলে কাছাকাছি জাতীয় মন্তব্য করছে। আমার জানা মতে নাস্তিকদের প্লাবনের বিপক্ষে ২ টি যুক্তি আছে। গণিতবিদ ইয়াকভ পেরেলম্যানের যুক্তিতে মহাপ্লাবনের বিবরণের অসংগতি নুহু প্লাবনের অস্তিত্বকে অস্বীকার করতে পারে না। কারন তিনি শুধু বােইবেলের জেনেসিসের কল্পিত এক বিবরনের উপর ভিত্তি করে গবেষনা করেছিলেন। তিনি প্রমান করতে চেয়েছিলেন সমগ্র পৃথিবী জুড়ে প্লাবন হয় নাই। কিন্তু উনি আল কোরআন পড়েন নাই। আল কোরআনে সমগ্র পৃথবীর কথা বলা হয় নাই। আমার এই লেখাটা পড়তে পারেন। Click This Link কাজেই এটি বড়জোড় একটি স্থানীয় মহাপ্লাবন হতে পারে,পুরো পৃথিবী জুড়ে নয়। আর ২য় যিুক্তিটি ছিলো পশু পাখি নিয়ে।
তবে কি মহাপ্লাবন অকাট্যভাবে ডাহা মিথ্যে প্রমাণিত হয়???
১)নোয়া/নূহ(আ) তো নিশ্চয়ই ক্যারোলাস লিনিয়াসের সংজ্ঞা অনুযায়ী প্রজাতি ধরে আনেন নি। মানে গ্রিজলি ভাল্লুক, মেরু ভাল্লুক, কালো ভাল্লুক আলাদা আলাদা প্রজাতি হলেও তিনি নিশ্চয়ই এক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন ভৌগলিক পরিমন্ডলে একই প্রাণির আলাদা আলাদা প্রজাতিগুলোকে সংগ্রহ করতে পৃথিবী চষে বেড়ান নি। তাছাড়া,সে সময় প্রাণিজগতে প্রজাতি সংখ্যাও কি নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব?
২)ইয়াকভ পেরেলম্যান এক হাত বলতে ০.৪৫ মিটারকে ধরে নিয়েছেন। কিন্তু এটা কি নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব? সে সময়কার একহাতের মাপ ভিন্নও ধরা হয়ে থাকতে পারে। কাজেই,কল্পিত আয়তনের সাথে আর্কের প্রকৃত আয়তনের হেরফের থাকতেই পারে। বিশেষত এটা যদি আমলে নেওয়া হয় যে ঘনকাকার বস্তুর একমাত্রিক বাহুর দৈর্ঘ্য ২ গুণ করলে এর ত্রিমাত্রিক আয়তন ৮ গুণে বেড়ে দাঁড়াবে। আর তাছাড়া আল কুরআন এবং মৎস্যপুরাণে কিন্তু জাহাজের মাপ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় নি।
৩)বায়ুমন্ডলের বর্তমান অবস্থার সাথে সে সময়কার অবস্থানের তুলনা করা কতটা যৌক্তিক? আবার বৃষ্টির সাথে হিমবাহের বরফ গলেও যে এ প্লাবনে অংশ নেয় নি-তার নিশ্চয়তা কি? আইস এজে বরফ গলে সাগর তৈরির উদাহরণই বিবেচনা করুন। তবু তা পুরো পৃথিবীকে ডুবিয়ে দিতে হয়তো যথেষ্ট হত না,এটি না হয় আঞ্চলিক একটা প্লাবন। কিন্তু অন্তত আল কুরআনে আঞ্চলিক প্লাবনের তত্ত্বকে সমর্থন করা হয়েছে। নূহের নৌকায় কয়জন ব্যক্তি আরোহণ করে নাজাত পেয়েছিলেন, সে বিষয়ে কুরআনে বা হাদীছে কোন কিছুই বর্ণিত হয়নি। অমনিভাবে নৌকাটি কত বড় ছিল, কিভাবে ও কত দিনে তৈরী হয়েছিল, এসব বিষয়েও কিছু বর্ণিত হয়নি। এসব বিষয়ে যা কিছু সবকিছুর ভিত্তি হ’ল ইস্রাঈলী উপকথা সমূহ। সেমেটিক ধর্মসমূহের অভিন্ন ভিত্তির কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু হিন্দুধর্ম,চীনের উপকথা,গ্রিক পুরাণ,রোমান পুরাণ,গিলগামেশের কাব্য,আফ্রিকার মাসাই উপকথা-পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলের ধর্ম এবং লোকগাথায় ফ্লাড মিথ স্থান পাওয়ার বিষয়টি সত্যিই চমকপ্রদ। যদি এটি বৈশ্বিক প্লাবন না হয়ে থাকে,তবে সবগুলো বিবরণের আদি উৎস একই হয় কি করে? আর প্লাবন হওয়া অস্বাভাবিক কিছুই নয়। স্বাভাবিক বিষয়। জেনেসিস এর সময় কাল এবং নৌকার মাপ টাপ না ধরলে নূহ এর প্লাবন মিথ্যা প্রমান করা সম্ভব নয়।

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার জ্ঞান ৫ম শ্রেণীর বাচ্চা থেকেও কম; আপনি বলেছেন যে, সুর্য ডুবে গেলে পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যায়। আজকের ৫ম শ্রেনীর বাচ্চাও জানে যে, "সুর্য ডুবে না, পৃথিবীর ঘুর্ণনের ফলে ( নিজের অক্ষের চারিদিকে ) সুর্য আড়ালে চলে যায় কিছু সময়ের জন্য"; লিখতে জানতে হয়।

এসব ম্যাঁওপ্যাঁও টাইপ করছেন কেন?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এই আপনার দৌড়! এতটুকুই শিখেছেন? ১৪০০ বৎসরের আগের ভূল ধরেছেন বর্তমান সময়ে। ঐ সময়ে বলতেন এই কথা। দেখতেন গু’এর ট্যাংকিতে আমাকে চোবাতো। তো যাই হোক ভালো থাকুন।

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৩

নিমো বলেছেন: আপনার এই দেবতারা কেবল পুরুষদেরই চোখে দেখছে। এ জন্য নবী, রাসুল, ইমাম, পুরোহিত, যাজক, আরও যা যা হাবি জাবি সবই পুরুষ। জনসংখ্যার অর্ধেকের জন্য কোন শিক্ষার পরিকল্পনাই নাই। কোথায় পান এসব আজগুবি গল্প! আপনার এসব আজব গল্প-গাঁথার সুন্দর একটা নাম হচ্ছে ethnocentrism।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: পৃথিবীতে কয়টা মেয়ে মাণুষ যোদ্ধা ছিলো? কতজন বিজ্ঞানী? কতজন শ্রেষ্ঠ ছিলো? ১৪০০ বছর পূর্ব পর্যন্ত মেয়েরা ঘরের ভিতর বন্দী ছিলো তাহলে তাদেরকে নবী বানানোর কথা ভাবলেন কেনো? সমাজ সংক্রান্ত জ্ঞান আপনার কম? ঐ পরিস্থিতিতে কোন অবতার বা নবীর কোন তত্ত্ব কি কেউ মানতো? তাহলে কি ধর্ম কি প্রতিষ্ঠিত হতো? সমাজের বাস্তবতাকে বুঝে অবতার এসেছে? এখন নারীরা একটু উন্নত মানসিকতা সম্পন্ন। তারপর ও কি বলতে পারেন? বিশ্বে কতটি রাষ্ট আছে? আর তাদের মধ্যে কতজন নারী প্রধান আমাকে দেখান তো? পূরুষের সংখ্যা এখনও কেনো বেশি? সমাজ সংস্কার করতে চান? ভাই? নিজেকে বাস্তববাদী করে গড়ে তুলুন তারপর সমাজ সংস্কার করুন।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩২

নতুন বলেছেন: আলকোরআনের একটি আয়াত ইদানিং আমাকে বেশ চিন্তিত করে তুলেছে “মানুষেরা কি নিশ্চিত যে আমি আর তাদের উপর প্রস্তর খন্ড নিক্ষিপ্ত করিব না” । আল কোরআনের আলোচ্য আয়াতে সরাসরি মানুষকে হুমকি দেওয়া হয়েছে । প্রস্তর খণ্ড নিক্ষিপ্ত হবার সময় বোধ হয় আর বেশি দিন নেই, কারন এই পৃথিবীর আজ যে অবস্থা, অন্ধকারে এত বেশি নিমজ্জিত তাতে অচিরেই ঘটবে এই আসমানি গজব।এ ক বার ভেবে দেখুন আমাদের সৌর জগতে মঙ্গল গ্রহে পাশ্ববর্তি কক্ষপথে লক্ষ কোটি গ্রহানু পুঞ্জ ক্রমাগত ঘুর্নায়মান অবস্থায় রয়েছে । ঐ গ্রহানু পুঞ্জ থেকে (এষটিরয়েড বেল্ট) থেকে যদি কয়েকটি গ্রহানু পৃথিবীর বুকে আঘাত করে তবে তা কয়েক শত পারমানবিক বোমার ক্ষমতা দিয়ে পৃথিবীর বুকে অনায়াসে ধংস লীলা চালাতে সক্ষম । আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি এই ধংশ লীলার মধ্যে দিয়ে কিছু কিছু জাতীর অস্তিত্ব চিরতরে বিলীন হয়ে যেতে পারে । অতএব আমাদের সাবধান হোতে হবে ।

প্রতিবছর প্রায় ১৭০০০ উ্ল্কা পৃথিবিতে আঘাত করে। আকাশ থেকে উল্কা পড়ে এটা আগের মানুষ জানতো, তাই এই আয়াত মানুসের অজানা কিছু বলেনাই।

বরং ভবিষ্যতে পৃথিবি বিনাষ করতে পারে এমন উল্কাকে মানুষ ধংষ বা এর পথ পরিবর্তন করে দিতে পারবে। সেই ভাবনায় তৌরি armageddon movie তো দেখেছেন?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আল কোরআন বলছে সেদিন তাহারা কিছুই করতে পারবে না।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৩০

তারেক অরণ্য বলেছেন: আপনি ভাইরাল হওয়ার আশায় এসব লিখে থাকলে আপনার জন্য এক বদনা সমবেদনা। কেননা ভাইরাল হতে পারলেন না। আপনাকে কেউ চিনলোই না। আর শেখানোর উদ্দেশ্যে লিখে থাকলে তো আরো সমবেদনা, কেউ শেখা তো দূরের কথা বরং আরো ক্রিটিসিজমের শিকার হয়ে এবার আক্রমন করছেন। জ্ঞানের পরিপক্কতা বা মানষিক বিকাশের সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট! যাইহোক নিজের ২ মিনিট সময় নষ্ট করে এখানে লিখলাম। আফসোস হচ্ছে বড্ড..

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @তারেক অরণ্য, আপনি এ জাতীয় মন্তব্য কেনো করলেন আমি বুঝলাম না? আমি ৭ বছর ধরে এই ব্লগে নিয়মিত লিখি। কিন্তু এই লেখা ভাইরাল হওয়ার জন্য কেনো বলছেন বুঝলাম না। তো যাই হোক। কাউকে শেখানোর জন্য লিখি নাই বা ভাইরাল হওয়ার জন্য লিখি নাই। আমি যেটা সত্য বলে মনে করেছি সেটাই লিখেছি। আপনাার বিরোধীতাটা কেনো সেই ব্যাপারে কিছু খুলে বলেননি। শুধু মাত্র রাগ প্রকাশ করেছেন। আমি এই ৩টি পর্বে ৩টি বিষয় তুলে ধরেছি। ১ম পর্বে বোঝায়েছি আল্লা মানুষকে কথা বলতে শিখিয়েছে ২য় পর্বে বলেছি আল্লা মানুষকে লিখন পদ্ধতি শিখেয়েছে। ৩য় পর্বে বলেছি আল্লা মানুষকে নৌকা বানাতে পিরামিড বানাতে, চিকিৎসা বিজ্ঞান শিখিয়েছে। আরো পর্বে আসছে তাতে আমি বোঝায়েছি মানুষের র্জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রাথমিক অংশ নবী রাসুলের মাধ্যমে তারপর মানুষের আভ্যন্তরীন জ্ঞান। কিন্তু আপনি আমার জ্ঞানের পরিপক্কতা বা মানষিক বিকাশের সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট করেছেণ কিন্তু বলেন সেগুলো কোনগুলো?
আপনি তো নাস্তিক নই যে আমার লেখা নিয়ে আপনার বিরক্ত হওয়ার কথা। কারন আমি আপনার পেজে ঘুরে এসেছি। ৭ বৎসর ধরে নাস্তিকেরা আমার লেখাতে ব্যাক্তি আক্রমন করে কিন্তু আমি কিচু মনে করি না। কিন্তু আপনি এই আচরন করলেন কেনো বুঝলাম না। আমার প্রতিটা লেখাতে আমি আল কোরআন কে নিয়ে লিখি। কিন্তু ফেরেস্তা দেবতা এই ৩ পর্বে আমি আল কোরআনের সাথে অন্য ধর্ম গ্রন্থ তুলে ধরেছি কারন ফেরেস্তা শব্দের সাথে দেবতা শব্দ সংযোজন করার কাররনে আমি এই ৩ পর্বে অন্য ধর্ম গ্রন্থের সাহার্য্য নিয়েছি। আপনার যখন আফসোস হচ্ছে বড্ড.. তাহলে আমার আর কিচু বলার নেই। কিন্তু আমার কোন ভূল তুলে না ধরে শুধু শুধ রাগ প্রকাশ করলেন। কারন কি বুঝলাম না।
ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:০০

আলামিন১০৪ বলেছেন: লিখা পড়লাম, বিস্তর পড়াশুনা করেছেন মনে হলো। কিছু বিষয়ে একমত হতে পারলাম না। তবে অর্বাচীনদের মন্তব্য দেথে দমে যাবেন না যেন। লিখতে থাকুন, শুভ কামনা।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: যে বিষয়গুলো একমত হতে পারলেন না আমাকে জানান। আমি তো আর ফেরেস্তা নয়! আমি মানুষ। ভূল ভ্রান্তি হতেই পারে। আমারও জানার মধ্যে ভূল থাকতে পারে অসম্পূনতা থাকতে পারে। আর একটা কথা ৭ বৎসর ধরে লিখছি ভাই আমি দমে যাবার পাবলিক নই।

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:০৭

আলামিন১০৪ বলেছেন: আরেকটা কথা, আপনার লিখায় কিছু অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার করাতে অনেক স্থানে হোচট খেয়েছি। ওগুলো কি সংস্কৃত থেকে ধার করা?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: অপ্রচলিত শব্দ বলতে কেমন ভাই? দু’ একটা উদাহরন দেন। বলেন কোন কোন শব্দ তাহলে বুঝবো।

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: এই আধুনিক যুগে এসে রুপকথার গল্প বেশ হাস্যকর লাগে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মৃত্যুর পর যখন পাছার উপর হাকাবে না তখন বুঝবা রুপকথা কারে কয়?

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৭

বিজন রয় বলেছেন: আপনি অনেক বিশ্লেষণ বা ব্যাখ্যা করতে পারেন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২

নতুন বলেছেন: আপনি উপরে যেই ছবি দিয়েছেন সেটার পেছনে কোন প্রমান নাই যে এটা Noah's Ark.

Noah's Ark এখনো খুজে পাওয়া যায় নাই।

ভুল ছবি দিলে পাঠকেরা বিভ্রান্ত হয়ে যাবে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ছবিটা দিয়েছি। আল কোরআনের বর্ননার সাথে স্থানটির অলৌকিক একটি মিল রয়েছে। এখন আপনি বা কেউ যদি বলে ঔ ছবিটি ভূল বলতে পারেন। কিন্তু আমি প্রশ্ন করতে পারি। পাহাড়ের উপরে অদ্ভুদ নৌকার মতো ভাজ হওয়াটা সত্যি আম্চয্যজনক। স্থানটি কিন্তু খুজে পেয়েছে চীনা ইঞ্জিনিয়ারগন। যেহেতু তারা মুসলিম নয় সেহেতু অলৌকিকই বলতে হবে বৈকি।

১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ছবিটা দিয়েছি। আল কোরআনের বর্ননার সাথে স্থানটির অলৌকিক একটি মিল রয়েছে। এখন আপনি বা কেউ যদি বলে ঔ ছবিটি ভূল বলতে পারেন। কিন্তু আমি প্রশ্ন করতে পারি।

প্রত্নত্ববিদেরা বলেছেন ঐটা প্রাকৃতিক কাঠামো এবং ঐটা নৌকার ধ্ংসাবেশে না।

এখন আপনি বিশ্বাসী মানুষ তাই যে কোন কিছু বিশ্বাস করতেই পারেন।

কিন্তু যদি বলেন ঐটা নৌকার ছবি তবে প্রমানিত জিনিস না হলে এটা গুজব প্রচারনার পর্যায়ে পরে।

Noah's Ark খৃস্টানদের অত্যান্ত পছনের একটা জিনিস। ঐটা যদি হইতো হবে এতো দিনে প্রমান করেই ছাড়তো।

Noah's Ark এর ৩টা রেপ্লিকা আছে লাইফ সাইজের, নেদারল্যেন্ড, হংকং, আমেরিকাতে....

ক্রিয়েসনিস্ট গুপ কম চেস্টা করেনাই Noah's Ark খুজে পেতে।
In 2020, the young Earth creationist group the Institute for Creation Research acknowledged that, despite many expeditions, Noah's Ark had not been found and is unlikely to be found.[6] Many of the supposed findings and methods used in the search are regarded as pseudoscience and pseudoarchaeology by geologists and archaeologists.[7][8]: 581–582 [9]: 72–75 [10] https://en.wikipedia.org/wiki/Searches_for_Noah

এখন আপনি যদি একটা ছবি দিয়ে পাঠকদের বিভ্রন্ত করে চান সেটা আপনার ই্চ্ছা।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, ছবি পরিবর্তন করে দিয়েছি।

১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫

নতুন বলেছেন: সেমেটিক ধর্মসমূহের অভিন্ন ভিত্তির কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু হিন্দুধর্ম,চীনের উপকথা,গ্রিক পুরাণ,রোমান পুরাণ,গিলগামেশের কাব্য,আফ্রিকার মাসাই উপকথা-পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলের ধর্ম এবং লোকগাথায় ফ্লাড মিথ স্থান পাওয়ার বিষয়টি সত্যিই চমকপ্রদ। যদি এটি বৈশ্বিক প্লাবন না হয়ে থাকে,তবে সবগুলো বিবরণের আদি উৎস একই হয় কি করে? আর প্লাবন হওয়া অস্বাভাবিক কিছুই নয়। স্বাভাবিক বিষয়। জেনেসিস এর সময় কাল এবং নৌকার মাপ টাপ না ধরলে নূহ এর প্লাবন মিথ্যা প্রমান করা সম্ভব নয়।

সান্তাক্লাস্ট বিশ্বের সকল দেশের কাহিনিতেই পাওয়াযাবে তার মানে এই নয় যে আমরা শান্তাক্লস্টকে সত্য বলে ধরে নেবো।

আরেকটা জিনিস হইলো যদি সকল দেশের মিথে থাকে তবে বৈশ্বিক প্লাবন হয়েছিলো বলে ধরে নেওয়া যায়। তাহলে প্লাবন বৈশ্বিক স্কেলে হলে এটা যে বাস্তবে সম্ববনা সেটা বুঝতে পারবেনা।

দুনিয়াতে কিছু কিছু স্থানে কিছু প্রানী আছে যেটা অন্য খানে নাই। এখন বৈশ্বিক প্লাবনে বিশ্ব রিস্টাট করার পরে এক জোড়া ক্যাঙ্গারু শুধুই অস্ট্রেলিয়া চলে গেলো?

kangaroos, dingos, wallabies and wombats and of course the koala, platypus and echidna এমন আরো প্রানী আছে যারা নুহ আ: এর নৌকা থেকে সোজা অস্ট্রেলিয়া চলে গিয়েছিলো । নতুবা প্লাবন বৈশ্বিক স্কেলে হয় নাই।

আর ঐ নৌকাতে কতজন মানুষ ছিলো? সেখান থেকে পৃথিবিতে বর্তমানে ৭ বিলিওন মানুষ? এতো জাতী/বর্ন/ধর্ম/ভাষা?

বাইবেল অনুযায়ী কতবছর আছে প্লাবন হয়েছিলো? ৪৩৫৯ বছর আগে....

আপনি যদি বিশ্বাস করতে বলেন তবো বিশ্বাস করা যায় কিন্তু এটা অসম্বব সেটা আপনিও বোঝেন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ভাই আমি বারেবার বলছি বাইবেল এর সময়কাল ভূল। ধর্মগ্রন্তের উপর হস্তক্ষেপ করা যাদের চিরাচরিত স্বভাব। সময়কাল কোন ধর্মগ্রন্থতেই নেই। জেনেসিসের এই সব মানুষ রচিত তথ্য ধর্মের ক্ষতি করছে। আদম এর বংংশের তালিকা। নুহ এর কিস্তির মাপ বা আজগুবি কিছু তথ্য ধর্মকে শানিত করতে দেয় না। তবে আল কোরআনই সত্য।
সমগ্র আল কোরআন চুলচেরা বিশ্লেষন করলে কোথাও একটি আয়াত পাওয়া যাবে না যেখানে বলা আছে সমগ্র পৃথিবী জুড়ে প্লাবন হয়েছিলো। বাইবেলে উল্লেখিত “ তখর ইশ্বর নোয়াকে বলিলেন’ আমার গোচরে সকল প্রানীর অন্তিম কাল উপস্থিত, কেননা তাহাদের দ্বারা পৃথিবী দৌরাত্বে পরিপূর্ন হয়েছে। আর দেখ আমি পৃথিবীর সহিত তাহাদিগকে বিনষ্ট করিব।” অথচ কোরআন বলে “আমি তো নূহকে তাহার সম্প্রদায়ের নিকট পাঠাইয়াছিলাম । সে বলিয়াছিল আমি অবশ্যই তোমাদের জন্য প্রকাশ্য সতর্ককারী, যেন তোমরা আল্লাহ ব্যতীত অপর কিছুর ইবাদত না কর। আমি তো তোমাদের জন্য এক মর্মন্তুুদ দিবসের শাস্তি আশংকা করি।” উপরোক্ত দুটি আয়াত পর্যালোচনা করলে স্পষ্ট প্রতিয়মান হয় যে আল কোরআনের নূহের সম্প্রদায় আর বাইবেলের সমগ্র দুনিয়া।

অথচ বন্যার ঘটনাটি পরীক্ষা করে এমন কোন চিহ্ন পাওয়া যায় নি যে সেকালে সমগ্র পৃথিবীতে জুড়ে বন্যা হয়েছিলো। কিন্তু বিভিন্ন ফসিল, প্রতœতত্ব প্রাপ্ত তথ্য থেকে এটি অনুমেয় যে একটি প্লাবন সেকালে ঘটেছিলো। কিন্তু সেটা সমগ্র পৃথিবী জুড়ে নয়। বিশেষ কওে মেসোপটমেয়িা ও মিশরের কিছুু অংশে অথাৎ ইরাক, সিরিয়া, ইরাক, তুরস্ক, আরব, মিশরের সামান্য কিছুগুলোতে এ বন্যা হয়েছিলো। আমরা ঐতিহাসিকভাবে ইতিহাস প্রাপ্ত যে জ্ঞান পেয়েছি তাতে জানা যায় সে সময়কাল মিশরে প্রাচীন রাজত্বের পর মধ্যবর্তী যুগ শেষ হয়ে মধ্য রাজত্বের শুরু হয়। অথচ অথচ সেই রাজত্বেও যুগে প্লাবন? ইতিহাস কোন ভাবেই সেই প্রমান দিতে পারছেনা। বৃহত্তর মিশরের ইতিহাসে প্লাবনের তেমন কোন চিহ্ণ পাওয়া যায় নাই। সুতরাং ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করলে পাওয়া যায় বাইবেলের বর্ননার সাথে আধুনিক জ্ঞানের প্রাপ্ত তথ্যের সর্ম্পূণ বিরোধী। আধুনিক ঐতিহাসিক পেক্ষাপট ও আমাদের প্রাপ্ত জ্ঞান সমগ্র দুনিয়ার বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে আল কোরআনের তথ্যজ্ঞানকে স্বীকার করে নেয়। তবে একথা সত্য যে বাইবেলের ও আলকোরানের নবী রাসুল সম্পর্কে অনেক তথ্য আমরা ধর্মগ্রন্থ থেকে প্্রাপ্ত। আমাদের ঐতিহাসিক তথ্য ও পুরাতত্বেও জ্ঞান এতই স্বল্প যে তা দিয়ে ধর্মগ্রন্থগুলোর প্রাপ্ত তথ্যের সত্যাসত্য খুব বেশি প্রমান করা সম্ভব নয়। বন্যার ঘটনাটি ঐতিহাসিকভাবে এমন কোন চিহ্ন রেখে যাইনি পক্ষান্তরে আধুনিক জ্ঞানেও এমন কোন তথ্য নেই যা দ্বারা ধর্মগ্রন্থগুলো বর্ননা সমালোচনা করা যেতে পারে। তারপরও প্রাপ্ত তথ্য থেকে এতটুকু প্রমান করা সম্ভব যে বন্যাটি সমগ্র দুনিয়া জুড়ে হয় নাই। হয়েছিলো কয়েকটি সম্প্রদায়ের উপর অথবা পাশ্ববর্তী কিছু এলাকা জুড়ে। তাহলে বাইবেলের এই অতিরঞ্জিত শব্দ প্রয়োগের কারণ সংযোজন ও বিয়োজন।

১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১১

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই আমি বারেবার বলছি বাইবেল এর সময়কাল ভূল। ধর্মগ্রন্তের উপর হস্তক্ষেপ করা যাদের চিরাচরিত স্বভাব। সময়কাল কোন ধর্মগ্রন্থতেই নেই। জেনেসিসের এই সব মানুষ রচিত তথ্য ধর্মের ক্ষতি করছে। আদম এর বংংশের তালিকা। নুহ এর কিস্তির মাপ বা আজগুবি কিছু তথ্য ধর্মকে শানিত করতে দেয় না। তবে আল কোরআনই সত্য।

বাইবেল অবশ্যই মানব রচিত সেটা নিয়ে অনেক কাহিনি আছে। ১০০% সহমত। এই কারনেই খৃস্টান creationist রা বাইবেলের চেয়ে বাইবেলের তাফসির বেশি পছন্দ করে।

কোরান আধুনিক তাই বর্ননা করা হয়েছে এমন ভাবে যাতে সরাসরি তথ্য দেওয়া হয়নি বিয়ষের উপরে আলোকপাত করা হয়েছে।

আর যদি নুহ আ: এর কাওমের উপরেই এই বন্যা সৃস্টিকর্তা দিয়ে থাকেন তবে সেটাও তো অল্প এলাকাতেই হবার কথা। ততকালিন সময়ে তো আর কোটি কোটি মানুষ ছিলো না।

সমস্যা হইলো অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা দুনিয়াতে ঘটে না। কারন দুনিয়া দুনিয়ার নিয়মেই চলে।

আপনি মেনে নিচ্ছেন যে দুনিয়ার মানুষ বাদে সকল প্রানী বিবর্তনের মতন প্রকৃয়া দিয়ে এসেছৈ তাহলে কোটি বছরের সময়েই সব কিছু হয়েছে.... অর্থ দুনিয়া চলে দুনিয়ার নিয়মেই।

কিন্তু যখন অলৌকিক দাবী কিছুর দাবি করবেন তখন কিন্তু দুনিয়ার নিয়মগুলি ভেঙ্গে দ্রুত বা নতুন কিছু ঘটতে হয়।

এবং সেইগুলির কোন প্রমান কারুর কাছে থাকেনা। কিন্তু বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে বসে থাকে... :(

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ঐ ৈসময়কাল তো দুনিয়া ছোট ছিলো মানে মানুষের উপস্থিতি বেশি স্থানে ছিলো না। ইরাক ইরান, মিশর, হয়তোবা ভারত, তুরস্ততে, চীনেও সম্ভবত মানুষ প্রবেশ করে নাই। আবার করতেও পারে। সামান্য কিছু এলাকা। রোম তথা ইটালী বা ইউরোপ মানুষের বসতি ছিলৈা না। আমেরিকাতো অনেক পরের কথা।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আল কোরআন যেহেতু আমাদের বলছে প্লাবন হয়েছিলো নূহের সম্প্রদায়ের উপর। এবং প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষনায় এখনও প্রমানিত হয়নি যে সমগ্র দুনিয়া জুড়ে প্লাবন হয়েছিলো। সেহেতু সমগ্র দুনিয়া জুড়ো প্লাবনের বিষয়টি গুজব বা অতিরঞ্জিত বলেই ধরে নিতে পারি। তবে এটা সত্য এবং আমাদেরকে এটাই মানতে হবে প্লাবনটা আসলেই মধ্যপ্রাচ্য ও অফ্রিকার কিছু এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো। তবে একটি বিষয় এখনও গুরুত্বপূর্ন বলে বিবেচিত যে মিশরের কিছু অংশে সম্ভবত প্লাবন হয়েছিলো। বিভিন্ন পুথিপত্রে এ বিষয়ে কিছু বক্তব্য আছে। সঠিক সত্যটা আল্লাই জানে। তবে যেহেতু মুসলিম সমাজের ধর্মগ্রন্থ আলকোরআনে যেহেতু নূহের জনপদ ধ্বংশের কথা বলছে অতএব অতি আধুনিক এবং সংরক্ষনকারী ধর্মগ্রন্থ বলে সেটাই মেনে নেয়া আমাদের জন্য উচিত। এটা হতেই পারে অসম্ভব কিছু নয়।

১৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০০

নতুন বলেছেন: এই তো বুঝতে পারছেন যে ধর্মের কাহিনি গুলিতে কতটা ঘাপলা আছে...

আর ইসলাম আগের ধর্মের গুলির একটা আপডেটেড ভার্সান মাত্র। ;)

যাই হোক মানুষ এখন বুঝতে পারছে যে ধর্ম মানুষকে নিয়ন্ত্রনের একটা হাতিয়ার মাত্র। দিন দিন মানুষ আরো মানবিক হবে আশা করি। ধর্মের নামে এখনো কোটি কোটি টাকার ধান্দা হয়, নারীদের নির্যাতন করা হয়। এসব বন্ধ হবে।

আমি আসাবাদী আলো আসবেই...

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার মন্তব্যর সাথে আমি এক হতে পারলাম না। কারন আপনি ধর্মকে মানুষকে নিয়ন্ত্রনের একটা হাতিয়ার বলতে চাইছেন এটা আপনার ভূল ধারনা। ধর্ম কখনও মানুষেকে নিয়ন্ত্রন করে নাই। মানুষের নিয়ন্ত্রন বলতে মানুষের কি জাতীয় নিয়ন্ত্রন বোঝাচ্ছেন? সেটা নির্ধারন করেন নাই সেটা কি রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রন? ধর্ম কখনই মানুষকে নিয়ন্ত্রন করে না। তবে মানুষের জীবনে অপরাধ প্রবনতা রোধ করতে ধর্ম সব সময় সজাগ সচেতন ছিলো। মানুষের এই সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রন করতে ধর্ম বা ধর্ম প্রতিষ্ঠাতা সব সময়ে সচেতন থেকে সমাজ থেকে অপরাধ প্রবনতা রোধ করেছে।
ধর্ম ব্যবসায়িরা তাদের ব্যবসার জন্য ক্ষমতা প্রতিষ্টিত করে ধর্মের মাধ্যমে মানুষকে নিয়ন্ত্রন করেছে হয়তোবা। কিন্তু তাকে ধর্মের নিয়ন্ত্রন করা বোঝায় না। আপনি হয়তো খ্রীণ্টানদের সময়কালে কিছু বিজ্ঞানীদের মৃত্যু বা হত্যাকান্ডকে সামগ্রীকভাবে ধর্মের নিয়ন্ত্রন বলে চালিয়ে দিতে চান সেটা কিন্তু অন্যায়! কারন সেটা তৎকালীন খ্রীষ্ট ধর্মের ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্তের ফলে কতিপয় বিজ্ঞানীদের মৃত্যুকে পুজি করে সকল ধর্ম মানুষকে নিয়ন্ত্রন করে বলাটা সমীচিন নয়। খ্রীষ্ট ধর্ম ব্যাপকভাবে নির্যাতিত হয়েছে তাই তারাও তাদের ধর্মদর্শন ব্যতীত অন্য চিন্তা চেতনাদের বিরুদ্ধে নির্যাতীত করেছে।
আর সক্রেটিসের কথা বলবেন? তখনকার দিনের আইন অনুসারে সক্রেটিসের বিরুদ্ধে অভিযোগের যৌক্তিকতা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা যায় না৷ সক্রেটিসকে বলা যেতে পারে সম্পূর্ণ মুক্ত চিন্তাশীল , কোনো কিছুকেই তিনি স্বতঃসিদ্ধ বলে মেনে নেননি৷ সমস্ত কিছুর মহত্ত্ব , গুরুত্ব ও পবিত্রতা সম্বন্ধে তিনি প্রশ্ন করেছেন , সমস্ত কিছুকেই বিচার করতে চেয়েছেন। সবচেয়ে বড় ব্যপার সক্রেটিস ঐ সময়কালে চরম নাস্তিক্যবাদ প্রকাশ করেছিলেন এবং তরুনদের চরমভাবে প্রভাবিত করতেন। একটা কথা না বললেই না ক্রালাইটাসের মতো চরম জ্ঞানী দার্শিনেকের নামতত্ত্ব কে চরমভাবে হেয় করে উপহাস করে তার দর্শন সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ারে চেষ্টাকে ঠেকিয়ে দিয়ে তার নামতত্ত্ব বিষয়ক পুস্তক প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করেন। এগুলো ছিলো তার ক্ষমতার দাপট। এসকল বিষয়ের অনেক কিছুই প্লেটোর ক্রাইটালাস পুস্তক থেকে জানা যায়। ক্রাইটালাস তার পুস্তক প্রকাশ হলে ভাষা উৎপত্তির মূল কারন প্রকাশ পেয়ে যেতো। কিন্তু ক্রাইটালাস তার পুস্তক প্রকাশ না করার কারনে তৎকালীন আমজনতা বিজ্ঞানের গোপন একটি দলিল থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। ক্রালাইটাস আস্তিক্যবাদী দার্শনিক ছিলেন। আস্তিক্যবাদী দাশনির্ক গন সক্রেটিসকে তার দ্বারা লাঞ্চিত হতেন।
আল কোরআনে অসংখ্যবার জ্ঞানঅর্জন করবার কথা বলা হয়েছে। জ্ঞানের কোন বিরোধীতা করা হয় নাই। তবে আধুনিকতার নামে আপনার যে উগ্রতা আগমন ঘটাবেন সেটা কোনভাবেই গ্রহণ করা যাই না। আর নারীদের নির্যাতন করা হয় বলে যে অভিযোগ করছেন সেটাও ভূল নারীরা নির্যাতিত যুগে যুগেই। এটা নারী পুরুষের অভ্যান্তরীন দন্দের কারনে। এটাকে সেক্সুয়াল পলিটিক্স বলে। মেরী ওলস্টেনক্রাফ্টের সেক্সুয়াল পলিটিক্স পুস্তকটি পড়লে বুঝবেন। এখানে ধর্মের উপর কিছুটা দোষ চাপানো হয়্। কিন্তু এটা সর্ম্পূন ভূল। রাসুলের যুগে নারী শিশুদের জ্যান্ত কবর দেওয়াকে রাসুল প্রতিহত করেছে। তবে ধর্ম নারীর চেয়ে পূরুষের আধীপত্য দিয়েছে। কারন জেনেটিক্যালি পূরুষ নারীর চেয়ে উন্নত ম্যাকানিজম নিয়েই সৃষ্টি।

১৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:৫৯

আলামিন১০৪ বলেছেন: জাদুপোত, ভেড়ী, গবাক্ষ... ঈশ্বরচন্দ্র - আর বঙ্কিমের ভক্ত নাকি আপনি?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হ্যা ভাই এগুলো বিভিন্ন পুথির স্ত্রোত অংশভ এগুলো কলকাতার বঙ্গানুবাদ থেকে নেওয়া। যেমন ইহুদীদের এনখ পুথি থেকে। এই পুথির কিছু অংশ এরিক ফন দানেকেনের বিভিন্ন পুস্তক থেকে সংগ্রহ করা। আর কিছু প্রাচিন পুথি ও ধর্ম সংস্কৃত নামক একটি বই এর কিছু কিছ অংশ থেকে পুথির স্ত্রোত নেওয়া যেগুলো সব কলকাতার বঙ্গানুবাদ। এই কারনে এই শব্দগুলো ব্যবহৃত। ধন্যবাদ ভালো থাকুন

১৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৫৭

আলামিন১০৪ বলেছেন: Click This Link এই পোস্টে আমার মন্তব্য পাবেন।
সংক্ষেপে বলি,
১। নুহ (আঃ) সমস্ত পৃথিবীর মানুষদের উদ্দেশ্যে প্রেরিত হয়েছিলেন বলে মনে হয় না। এর প্রমান হলো কিছু স্থানের, যেমন অস্ট্রেলিয়ার জীবজন্তু-বিশ্বের অন্য কোথাও দেখা যায় না। যদিও বন্যা সমস্ত পৃথিবী জুড়ে এসেছিল এবং প্রত্যেকটি স্থানে আমার মনে হয় ভিন্ন নবী ছিলেন এবং তাঁরা আলাদা আলাদা ভাবে আল্লাহর নির্দেশে নৌকায় চড়ে বা পাহাড়ে উঠে (Australian Aboriginal Flood Story) নিজেদের এবং ঐ এলাকার জীব-জন্তুকে রক্ষা করেছিলেন। আর বাইবেলে বর্ণিত জাহাজের আকারের বিষয়ে সব তথ্য সত্য নাও হতে পারে, কারন এতে অনেক কিছুই অবিকৃত অবস্থায় নেই। Genesis এ বর্ণিত আদমের আগমনের সময়কাল এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
২। আরেকটি কথা যেটি অনেকে বলে থাকে তা হলো, বন্যা নেমে গেলে ঐ স্থানে পলির একটা আস্তরন পড়ার কথা, নুহ (আঃ) এর বন্যার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত এরকম কিছু মাটি খুড়ে পাওয়া যায় নি। এরা ভুলে যান যে নুহের (আঃ) এর বন্যা স্বাভাবিক কোন বন্যা না যেসময় সারা পৃথীবি জুড়েই বৃষ্টি হযেছিল এমনকি মাটির গভীর থেকেও সর্ব স্থানে পানি উথ্থিত হয়েছিল, আর পানি নেমে যাওয়ার সময় মৌসুমি বন্যার মতো নদীপথে সাগরে নেমে যায়নি যে পলি পড়বে। কারন মহাসাগরগুলোতেও ঐ উচ্চতার পানি ছিল। তাহলে এই পানি গেল কোথায়? একমাত্র উত্তর: Ground Water (And it was said, “O earth! Swallow up your water. And O sky! Withhold ˹your rain˺.” The floodwater receded and the decree was carried out. The Ark rested on Mount Judi, and it was said, “Away with the wrongdoing people!” 11:44)
৩। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, আসমানী কিতাব নাযিলের উদ্দেশ্য মানুষকে জ্ঞান-বিজ্ঞান শিখানো না। তাই ফেরেস্তা দিয়ে বা নবী পাঠিয়ে মানুষকে আগুনের ব্যবহার শিখানো বা এ জাতীয় তত্ত্ব আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না! তবে দুই একটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আছে (হারুত-মারুতের কালো যাদু শিখানো)।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, আসমানী কিতাব নাযিলের উদ্দেশ্য মানুষকে জ্ঞান-বিজ্ঞান শিখানো না। তাই ফেরেস্তা দিয়ে বা নবী পাঠিয়ে মানুষকে আগুনের ব্যবহার শিখানো বা এ জাতীয় তত্ত্ব আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না! তবে দুই একটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আছে (হারুত-মারুতের কালো যাদু শিখানো)।
আসমানি কিতাব নাযিলের উদ্দেশ্য মানুষকে জ্ঞান বিজ্ঞান শেখানো এটি ঠিক আমি বলতে চাইছি না। তবে মানুষকে জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রাথমিক অংশটাই স্রাষ্টর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। “দয়াময় আল্লাহ, তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন। তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তিনিই তাকে ভাব প্রকাশ করতে শিখিয়েছেন।” -সূরা রহমান : ১-৪ " যার অর্থ দাড়ায় স্রস্টাই মানুষকে ভাব প্রকাশ করতে বা কথা বলতে শিখিয়েছেন। আর বাইবেলে বলা হয়েছে “ভাষা ঈশ্বরের পক্ষ থেকে একটি স্বর্গীয় উপহার।” স্রষ্টার পক্ষ থেকে ফেরেস্তারা পৃথিবীতে এসে মানবজাতিকে লিখনপদ্ধতি শিখিয়েছে।এ মর্মে আল কোরানে উল্লেখ ‘‘পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমানে সৃষ্টি করেছেন। যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন আলাক থেকে। পড়,আর তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।’’ সুরা আলাক ১-৫। আল কোরআন প্রকাশ্যে ঘোষনা করে যে মানুষকে আল্লা লিখতে শিখিযেছে। যা মানুষ জানে না। লক্ষ্য করুন ধর্মগ্রন্ত প্রকাশ্যে কথা বলা শিখা ও লিখন পদ্ধিতি শেখার ঘোষনা দেয়। তাহগলে আপনি মানবেন না কেনো? আপনি কি জানেন না আদমের সন্তান হাবিল ও কাবিলের হস্তাহস্তির পর একজনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফেরেস্তা কাকের রুপ ধরে এসে কবর দেওয়ার পদ্ধতি শেখায। এটিও তো মানবজাতির গুরুত্বপূর্ন শিক্ষা। নগর গঠন সভ্যাতা বিকাশ ফেরেস্তারাই শিখিয়েছে। ইদ্রীস আঃ বা এনখকে সুমেরিয় সভ্যাতা থেকে নিয়ে গিয়েছিলৈা মিশরের নীল নদের তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করতে। শুরু হইলো মিশরীয় সভ্যতার বিকাশ। এভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে লক্ষ লক্ষ নবী রাসুল পৃথিবীতে এসেছিলো। এনেকেই হিজরত করেছে নিজেদের বসবাসের জন্য নতুন ভূখন্ড খজে বেরিয়েছে। গড়ে তুলেছে নতুন নতুন সভ্যতা। পাহাড় কেটে ভবন দৃশ্যপট তৈরী থেকে মাটির ভবন নির্মান ও নগরায়ন মানুষের চিন্তা হলেও এর মাঝে আছে দেবতা দান। হাম্মরাবির কথায় আসেন । তিনি সুর্য দেবতা প্রেরিত অবতার বলে তৎকালীন সকলেই মানতো। প্রাচীন ইতিহাসে হাম্বুরাবি, হাম্বুরাবি আইন প্রবর্তনের জন্য সুপরিচিত। তিনি নিজে দাবী করেন যে এই আইন তিনি সূর্য় দেব শামাশের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। আধুনিক আইনের তুলনায় হাম্বুরাবির প্রবর্তিত আইন বেমানান মনে হলেও তৎকালিন সমাজ ব্যবস্থার বিবেচনায় এবং মানব সমাজে প্রথম লিখিত আইন হিসাবে এর গুরুত্ব অনেক। তৌরাতে বর্ণিত মূসা (আঃ) এর প্রবর্তিত আইনের সাথে এর অনেক মিল রয়েছে। হাম্মুরবি প্রথম আইন শাস্ত্র প্রবর্তন করেন এবং একটি বিচার ব্যবস্তার প্রবর্তন করেন। হাম্মুরবিকে আপনি নবী বলবেন না কেনো? তিনি সৎ আধ্যাত্বিক মনন সম্পন্ন মানুষ ছিলেন। আল কোরআনে অসংখ্য নবী রাসুলের কথা বলা হয়েছে। হাম্মুরাবির মতোন এত জ্ঞানি মানুষ নবী না হয়ে পারে না।

এবার আসেন ইউছুফ আঃ তিনিই প্রথম চিকিৎসা বিজ্ঞানের ব্যাপক অগ্রগতি করেন। ইমহেপটেপ রাজা বা ফারও জোসের আমলে উজিল ছিলেন। তিনিই মমি বিষয়টি আবির্ভাব করেন। জানা যায় ইমহোটেপ বড় মাপের চিকিৎসক ছিলেন তিনি শল্য চিকিৎসার মাধ্যম চিকিৎসার করার ব্যবস্ঞা প্রবর্তন করেন। মহোটেপ মানব ইতিহাসের প্রথম বিজ্ঞানী, স্থপতি ও চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত । শতাব্দী থেকে শতাব্দী পার হয়ে যায় তাকে নিয়ে তৈরি হতে থাকে কল্পকথা। তিনি পরিচিতি লাভ করেন একজন মহান চিকিৎসকরূপে, যার আরোগ্য লাভ করার ছিল বিশেষ ক্ষমতা। প্রাচীন মিসরীয় চিকিৎসাবিদ্যা সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায় প্যাপিরাস কাগজের উপর ইমহোটেপের বর্ণনা থেকে। হোগলাজাতীয় গুল্ম বা ঘাস জাতীয় প্যাপারি থেকে তৈরি প্যাপিরাসরীড বা কাগজ। রীডের অন্তঃসার নিষ্কাশন করে নিয়ে একজাতীয় গাছের কস বা আঠা দিয়ে জোড়া দিয়ে শুনিয়ে নেওয়া হত। যার ফলে একটি মসৃন, দৃঢ় এবং স্থায়ী অবতল পাওয়া যেত। এর মধ্যেই লেখা হত প্রাচীন হায়ারোগ্লাফিক।
প্যাপিরাসরীড নীল নদের উপত্যকায় প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। প্রাচীন মিসরে লেখার উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হত প্যাপিরাসরীড।
ঐন্দ্রজালিক বা জাদুকরী চিকিৎসার চেয়ে সাধারণ জখম, ক্ষত, পচন আর অস্ত্রোপচার সব সম্পর্কেই তথ্য দেয়া ছিল ইমহোটেপের লেখা প্যাপিরাসে। প্যাপিরাসে লিখে যাওয়া শত শত মিসরীয় ওষুধ যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে যায় স্থানীয়রা। প্যাপিরাসে বর্ণিত ৪৮টি চিকিৎসা ধরনের মধ্যে ৩০ টি এখনো চিকিৎসার ক্ষেত্রে উপযুক্ত। তবে তার সব কাজের কৃতিত্ব ছাপিয়ে উঠে ইতিহাসের প্রথম মানব নির্মিত বিশাল প্রস্তরখণ্ডের সমাধিক্ষেত্র "পিরামিড" নির্মানের মাধ্যমে। মেম্ফিসের নিকটে সাক্কারায় অবস্থিত এই পিরামিড। সাক্কারা হচ্ছে প্রাচীন মিসরের বিখ্যাত রাজধানী মেম্ফিসের একটা সমাধিপুরী। পৃথিবীতে ইমহোটেপ প্রথম কলামের সাহায্যে দালান মজবুত করার প্রথা প্রবর্তন করেন, এর আগে কখনো কলাম ব্যবহার হত না। প্রথম পিরামিডের ডিজাইনও তিনিই করেন, মিসরের সাক্কারাতে। "ফারাও জোসের এর পিরামিড" নামে পরিচিত সেটা। জোসের ভাগ্যবান ছিলেন ইমহোটেপের মত একজন জ্ঞানী ব্যক্তিকে উজির পেয়ে। মিশরীয় প্রজারা তাকে চিকিৎসা শাস্ত্রের দেবতা বলে গন্য করতেন। মনে করা হয় তিনি ক্ষরা জনিত দুর্বিক্ষের হাত থেকে মিশরবাসিদের রক্ষা করেছিলেন। দেবতারা তাকে সমস্ত বিসয় জানাতেন এবং তিনি দেবতাদের শক্তিতে বলীয়ান ছিলেন।
তো যাই হোক এমন অসংখ্য উদাহরন দেওয়া যায়। স্রষ্টা ফেরেস্তারদের মাধ্যমে প্রতিনিধির মাধ্যমে মাধ্যমে মানবজাতির উন্নয়ন করেছেন একটি নিদীষ্ঠ লক্ষ্য মাথায় রেখে। মানুষের উত্থানে স্রষ্টার হাতকে অস্বীকার করা যাবে না।



১৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯

আলামিন১০৪ বলেছেন: আল্লাহ মানুষকে বিভিন্নভাবে বিশেষায়িত জ্ঞান শিক্ষা দিতে পারে। সেটা যে শুধু সরাসরি ওহী বা ফেরেস্তার মাধ্যমে হতে হবে তা কিন্তু নয়। বর্তমানে বিজ্ঞানের যে অগ্রগতি তা এসছে মূলতঃ গবেষণালব্ধ ফলাফল থেকে ক্ন্তি এটাও আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত সম্ভব ছিল না। হতে পারে কিছু ক্ষেত্রে প্রাপ্ত জ্ঞান (লিখন পদ্ধতি কিংবা সূহ আঃ এর জাহাজ নির্মান কৌশল) সরাসরি আল্লাহর নিকট হতে এসেছে। কিন্তু বিষয়টিকে Generalize করা ঠিক হবে না।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মানুষ সভ্যতার প্রাথমিক জ্ঞান বিজ্ঞান স্রষ্টা প্রদত্ত্ব। একটি নিদীষ্ট লক্ষ নিয়েই স্রষ্টা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। এই যে দুনিয়ার কোটি কোটি প্রৃাণি কেউ সভ্য হয় নাই কিন্তু মানুষ সভ্য জ্ঞানে বিজ্ঞানে গুনিত। এর পিছনের কারিগর স্রষ্টা। এটা অস্বীকার করা আমাদের জন্য চরম বোকামী হবে। তাছাড়া আমি মনে করি র্জ্ঞান বিজ্ঞান এখন ধার্মিক শ্রেনির হাতে যাওয়া উচিত। তাদেরই সময় আসছে। তারা মহাকাশ বিজ্ঞানকে দাড় করাতে পারবে। মহাকাশ গবেষনা ধার্মিকদের দারাই সম্ভব। আমি একটা উদাহরন দিয়ে আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করি। একটি পশু তার ভুমীষ্ট সন্তানটিকে লালন পালন করে যতদিন পর্যন্ত তার সন্তানটি নিজের পায়ে দাড়ানোর মতো অবস্থায় না থাকে নিজের খাবার নিজের যোগাড় করার পর্যায়ে না থাকে ততক্ষন পর্যন্ত মা সন্তানটির সাথে থাকে। সে দাড়ানোর মতো অবস্থা শেষ পর্যায়ে মা শিশুটিকে ছেড়ে দেয়। শিশু সন্তানটি তখন নিজের মতো খাবার সংগ্রহ করে নিজের মতো জীবন যাপন করে। ঠিক এরকম মানুষ যতদিন প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করার মতো অবস্থা অর্জন করে নাই ততদিন স্রষ্টা মানুষকে জ্ঞান বিজ্ঞান শিখিয়েছে। সভ্যতা নগরায়ন শিখিয়েছে। আল কোরআনে প্রতিপালক একটি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। লক্ষ্য করবেন। আল্লার একটি গুনাবলী। এই প্রতিপালক নামের আল্লার গুনাবলীটি মানুষের উত্থানে ভূমীকা রেখেচিলো ফেরেস্তাদের সাথে নিয়ে। আমাদের ইতিহাস সাক্ষি। Click This Link

আমি আল কোরআনের একটি আয়াতের প্রতি লক্ষ্য করুন। ৩১. হে মানুষ ও জিন্ন! আমরা অচিরেই তোমাদের প্রতি মনোনিবেশ করব, (৩২) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহকে মিথ্যাজ্ঞান করবে? হে জিন ও মানুষ সম্প্রদায়! আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সীমা তোমরা যদি অতিক্রম করতে পার, অতিক্রম কর; কিন্তু তোমরা তা পারবেনা আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত। ৩৪. কাজেই তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহে মিথ্যারোপ করবে? ৩৫. তোমাদের উভয়ের প্রতি প্রেরিত হবে আগুনের শিখা ও ধুম্রপুঞ্জ। তখন তোমরা প্রতিরোধ করতে পারবে না।৩৬. কাজেই তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহে মিথ্যারোপ করবে? আল কোরআনের এই অংশ পড়লে আপনি নিশ্চিত ভা্বে বুঝতে পারছেন প্রতিপালক বা রব মানুষের প্রতি আবার মনোনিবেশ করবেন। মনোনিবেশ করবেন কি কারনে? কারন টি হলো মানুষ যেনো মাহাকাশের সবত্র বিচরন করেতে পারে। আর সবত্র বিচরন করতে গেলে আল্লার অনুমতি নিতে হবে। আর আমরা যে পদ্ধতিতে মহাকাশ যেতে চাই সেই পদ্ধতিতে যাওয়া সম্ভব নই। কারন আগুনের শিখা ও ধুম্রপুঞ্জ আমাদের মহাকাশযানকে ব্যহত করবে। তাহলে এ পদ্ধতি ব্যতিত অন্য কোন পদ্ধতিতে মহাকাশে পৌছতে পারবে মানুষ। আর সেই পদ্ধতিতে পৌছতে গেলে মানুষকে আল্লার অনুমতি নিতে হবে।

আমার কি মনে হয় মানুষ বেশি দুর এগুতে পারবে না স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে। কারন এভাবে মহাবিশ্বের কতদুরই বা যেতে পারবে মানুষ। আমরা জানি মানুষ নক্ষত্র থেকে নক্ষেত্রে যাবে। কিন্তু আমাদের ছায়াপথ, যাকে মিল্কিওয়ে বলা হয়, প্রায় 100 আলোকবর্ষ জুড়ে এটির বিস্তৃতে। এমনকি যদি আমরা আলোর গতিতে ভ্রমণ করতে পারেন, আমরা 100 বছর পরে গ্যালাক্সির অপর প্রান্তে পৌঁছাবেন। আবার মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি থেকে এ্যান্ডামিডা গ্যালাক্সিতে পৌছতে ইংল্যান্ডের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই দূরত্বটি গণনা করতে পেরেছেন এবং এটি তার সর্পিল ডিস্কের আকারের 15 গুণ বেশি, দুই মিলিয়ন আলোকবর্ষের কম নয়। এত দুরত্বে পৌছত্বে কয়েকটা জেনারেশন পার হয়ে যাবে তাও পৌছনো সম্ভব হবে না। গ্যালাক্সি থেকে গ্যালাক্তি ভ্রমন কিভাবে সম্ভব? আমার মনে হয় এর জন্য প্রয়োজন অন্য পথ। আধুনিক বিজ্ঞান যেমন হোয়াইট হোল বা টাইম ট্রাভেল জাতীয় কল্পনা করছে। এক গ্যালাক্সি থেকে আরেক গ্যালাক্সিতে যাবার সহজ পথ। আল কোরআনে ঠিক এমন আসমানের দরজা সমূহ সম্পর্কে বলা আছে। মানুষ হয়তো সেই পথ খুজে পাবে সেই পথ।

তবে আমার মনে হয় ঐ মুহুত্বে স্রষ্টিার প্রতি বিশ্বাসি শ্রেনিটািই পৃথিবীতে বেশি প্রয়োজন পড়বে। স্রষ্টার অনুমতি ছাড়া যেহেতু সেটা সম্ভব নয়। অতএব ধর্মের পক্ষের লোকদের বিজ্ঞান বেশি জানা দরকার। তাদেরই সময় আসছে মহাজাগতিক গবেষনায়। এই গবেষনায় স্রষ্টা তথা রব ফেরেস্তাদের নিয়ে আবারও মানুষের প্রতি মনোনিবেশ করবে। মানুষ নতুন কোন প্রযুক্তি পাবে। মানুষ খুজে পাবে আসমানের দরজা সমূহ যে পথে মহাকাশের গ্যালাক্সি থেকে গ্যালাক্সিতে ভ্রমন করতে সক্ষম হবে।

ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

১৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:













বড়ই আচানক ঘটনা।
আফসোস!

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমারও আফসোস। যে আমি আপনাকে বোঝাতে পারলাম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.