নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবর্তনবাদের ফাক ফোকরে ভ্রান্তি ধারনা এবং আল কোরআনের দৃষ্টিভঙ্গি (পর্ব-2)

২৮ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:১০



প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ানের পরবর্তী দীর্ঘ সময় জুড়ে ব্যাক্টেরিয়াদের নিরবচ্ছিন্ন জীবাশ্ম প্রমাণ পাওয়া যায়।” বিজ্ঞানীদের উদ্ঘাটিত প্রমান বা ফসিল থেকে প্রাপ্ত তথ্য দ্বারা প্রমান ক্যামব্রিয়ান যুগের পূর্বে প্রাণি গুলো সবই এককোষি প্রাণি ছিলো। তবে ইদানিং কিছু প্রমান পাওয়া যাচ্ছে প্রিক্যামব্রিয়ান যুগে যথেষ্ঠ উন্নতমানের গাঠনিক এক কোষি প্রাণির আবির্ভাব ঘটেছিলো। ফসিল রেকর্ড অনুসারে জানা যায় প্রিক্যামব্রিয়ান যুগের ডিকিনসনিয়া নামের এক জীব কোনো বহুকোষী প্রাণী নয়। মিটারখানেক দৈর্ঘ্যের হলেও এটি আসলে একটি এককোষী এমিবা বা ছত্রাক। সে হিসেবে এগুলো বিশ্বের প্রথম প্রাণীগুলোর একটি। এরা সকলে এক কোষি এ্যামিবার মতো নিজেকে দ্বিখন্ডিত করে বংশ বিস্তার করে। এদের যৌন প্রজনন কেন্দ্র বা অন্য কোন পদ্ধতি ছিলো না।

পরবর্তী সময়কালে ক্যামব্রিয়ান এক্সপ্লোশন ঘটে। ক্যামব্রিয়ান যুগে পৃথিবীর জীবজগতে বেশ বড়সড় একটা পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল। হঠাৎ করেই এই সময়টায় হুট করে একের পর এক বহুকোষী প্রাণীর দেখা মিলতে শুরু করে। এত দ্রুতগতিতে এটি ঘটেছিলো ।ক্যামব্রিয়ান যুগের বা ইতিহাসের একদম নির্দিষ্ট একটা বিন্দুতে হঠাৎ করে এক কোষি প্রাণি পাল্টে যেতে আরম্ভ করেছিলো বহুকোষি প্রানীতে ? ক্যামব্রিয়ান জীবসমূহ কোন পূর্বপূরুষ ছাড়াই হঠাৎ করেই ইতিহাসের মঞ্চে হাজির হয়েছে। প্রাণী জগতের সব ধরণের মৌলিক কাঠামো ধারণকারী ৫৩০ মিলিয়ন বছর পূর্বের ক্যামব্রিয়ান জীবসমূহ বিবর্তন তত্ত্বকে পুরোপুরি খণ্ডণ করে দিচ্ছে। ডারউইনের তত্ত্ব সব প্রজাতিকে একই পূর্ব-পুরুষ থেকে উৎপন্ন দেখাতে চায়। ক্যামব্রিয়ান যুগের শুরুতেই ৫০ থেকে ১০০ প্রজাতির আকস্মিক আবির্ভাব ঘটে। ফসিল রেকর্ড ক্যমব্রিয়ান-পূর্ব যুগে তাদের সাধারণ (Common) আদি পুরুষের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে পারেনি। যদি তাই হয় এত দ্রুত গতিতে এত বহুকোষি প্রাণের আর্বিভাব হয় তাহলে এত স্বল্পসময়ে কিভাবে সেটি সম্ভব ছিলো? এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর আমরা এখন জানিনা।

বিবর্তনে যদি প্রাণ সৃষ্টি হয়ে থাকে তবে প্রিক্যামব্রিয়ান যুগ থেকে হঠাৎ করে ক্যামব্রিয়ান যুগে আকস্মিক ভাবে এত বহুকোষি প্রাণির আবির্ভাব হয় কি করে? পৃথিবীর প্রাচীন মহাসাগরগুলিতে জৈবিক প্রজাতির বৈচিত্র্যের দ্রুত বৃদ্ধির একটি আকস্মিক তরঙ্গ সংঘটিত হয়েছিল। ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণ নামে পরিচিত এই ঘটনাটি এতটাই তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় যে এটিকে কখনও কখনও জৈবিক বিগ ব্যাং হিসাবেও উল্লেখ করা হয়। বিবর্তনের মাধ্যমে যদি প্রানের আবির্ভাব ঘটে তবে প্রাণের বিগ ব্যাং হয় কি করে?
ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণের সময়, এই এককোষী জীব থেকে জটিল বহুকোষী প্রাণীর দ্রুত বিস্তার ঘটে। এই সময়েই প্রথম কঠোর খোলসযুক্ত এবং একাধিক প্রত্যঙ্গবিশিষ্ট জীবের আবির্ভাব ঘটে, যা পরবর্তীতে পৃথিবীর জীবজগতে বৈচিত্র্য আনে । এককোষি প্রাণ থেকে বহুকোষি প্রাণি রুপায়নে বির্বতনবাদীদের মতে তারা বিচ্ছিন্ন না হয়ে কলোনী গঠন করে থাকতে শুরু করে। পরবতীতে ট্রি স্টাকচারে একটি বহুকোষি প্রাণি থেকে বহু বহুকোষি প্রানীর পরিবর্ধন ঘটতে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে। কিন্তু বর্তমানে জানা সব পর্বের প্রাণীই Cambrian Period নামক ভূতাত্বিক যুগে একই সাথে আভির্ভূত হয়েছে। এই যুগটি ৫২০ থেকে ৫৩০ মিলিয়ন বছর পূর্বে ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটি বছর জুড়ে বিস্তৃত ছিল। এ সময়টিতে সব পর্বই পরিপূর্ণ আকৃতিপ্রাপ্ত অবস্থায় দেখা দেয়। ক্যামব্রিয়ান পাথরে পাওয়া জীবাশ্মের মধ্যে জীবনের বিভিন্ন আকৃতি রয়েছে, যেমন শামুক, trilobites, স্পঞ্জ, জেলিফিশ, তারামাছ, সমুদ্র লিলি ও সাঁতারু কাঁকড়া (Swimming Crustaceans) । এ সময়কালের বেশিরভাগ প্রাণিরই বর্তমান নমুনার মতই জটিল তন্ত্র ও উন্নত শারীরতাত্বিক গঠন যেমন চোখ, শ্বাসযন্ত্র ( Gill), রক্ত সঞ্চালন ব্যাবস্থা রয়েছে। এই গঠনগুলো খুবই জটিল এবং বেশ ভিন্নপ্রকৃতির। বর্তমান যুগের অনেক প্রাণীর চেয়ে ক্যামব্রিয়ান যুগের জটিল কিছু লাইফ ফর্ম এখনও বিবর্ত্নবাদীদের হকচকিয়ে দেয়। প্রি ক্যামব্রিয়ান যুগ থেকে ক্যামব্রিয়ান যুগের এই স্বল্প সময়ে বিবর্তনের মাধ্যমে এত জটিল ও সুক্ষ প্রাণ কি করে আবির্ভত হতে পারে তার কোন প্রমান বা এ্যাভিডেন্স বিজ্ঞানীদের হাতে নেই? অথচ বৈজ্ঞানিক সাক্ষ্য-প্রমাণ থেকে দেখা যায় যে প্রথম জীবিত সত্ত্বাসমূহের জন্ম ও বিকাশ বিবর্তিত হয়ে হয়নি। তারা একে অপর থেকে বিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন প্রাণিতে পরিণত হয়নি। বরং হঠাৎ করে আকস্মিক বিভিন্ন লাইফফর্মে বিভিন্ন বডি স্টাকচারে সুক্ষ ও জটিল প্রাণরুপেই আর্বিভূত হয়েছে। বিবর্তনবাদীদের মতে জীব জটিল গঠন অর্জন করে ধারাবাহিকভাবে ও দীর্ঘ সময় নিয়ে। অর্থ্যাৎ, তাদের অনুমিত বিবর্তন ইতিহাসের শুরুতে জীবনের অবশ্যই 'আদিম' বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে শুধুমাত্র দীর্ঘ বিবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই উন্নত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে পারে। কিন্তু তা হয়নি খু্বই স্বল্প সময়ে প্রাণের জটিল ফর্ম দেখা গেছে। লাইফ ফর্মের আজকের মতই জটিল (Complex) অ্যানাটোমিক্যাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন চোখ, শুঙ্গ (Antenna) , পা, মুখ, পাকস্থলী। অতএব, জটিলতা (Complexity) এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা 'শুরুতেই' দেখা গিয়েছে পরবর্তিতে নয়। জীবাশ্মবিদ্যার (paleontology) এই বাস্তবতা ও ডারউইনিজমের এই প্রত্যক্ষ অসঙ্গতির বর্নণা দিতে গিয়ে বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিলিপ জনসন বলেন- " 'ডারউইনীয় তত্ব ধরে নেয় যে 'ক্রমান্বয়ে প্রসারণশীল বৈচিত্র্যের একটি ত্রিভুজের' মধ্য দিয়ে এক একটি প্রজাতি উঠে আসে। ' এই প্রকল্প মতে, জীবন শুরু হয়েছে প্রথম জীবিত সত্ত্বা বা প্রাণির আদিম প্রজাতি থেকে যা পরে ক্রমান্বয়ে বৈচিত্রময় হয়ে হয়ে জীববিদ্যার শ্রেণিকরণের উচ্চতর শ্রেণীর জন্ম দিয়েছে। কিন্তু প্রাণিদের ফসিল থেকে আমরা দেখি যে এই ত্রিভুজটি আসলে বিপরীত। শুরু থেকেই সব পর্বসমূহ ছিল পরে ধীরে ধীরে সংখ্যা কমেছে।' প্রাণের এই আকস্মিক রহস্যময় পরিবর্তন দেখে বিশিষ্ট জীববিজ্ঞানির এ সকল বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সাক্ষ্য-প্রমাণ থেকে দেখা যায় একটি বহুকোষি প্রাণী থেকে অসংখ্য বহুকোষি প্রানিতে বিবর্তিত হয়ে পরিণত হয়নি। এবং এত অল্প সময়ে এককোষি প্রানী থেকে বহুকোষী প্রাণির উদ্ভাবন মিউটেশনের মাধ্যমে সম্ভব নয় যা গানিতিক ভাবেও তা প্রমান করা হয়েছে। বরং হঠাৎ করেই ক্যামব্রিয়ান জীবসমূহ কোন পূর্বপূরুষ ছাড়াই ইতিহাসের মঞ্চে হাজির হয়েছে। অথচ বিবর্তনবাদ বলে শুধুমাত্র দীর্ঘ বিবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই উন্নত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে পারে। কিন্তু ইতিহাসে বহুকোষি প্রানীর বিবর্তনের কোন প্রমান পাওয়া যাই না যতটুকু প্রমান আছে তাতে মনে হচ্ছে ইতিহাসের মঞ্চে একই সাথে বহুকোষি প্রানীর আর্বিভাব এবং খু্বই স্বল্প সময়ে প্রাণের জটিল ফর্ম গঠন।

এবার আসি আল কোরআনের আলোচনায়। আল কোরআনের ৩৯:৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে “তিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে একই নফস থেকে। অতঃপর তা থেকে তার যুগল সৃষ্টি করেছেন “ প্রিয় পাঠক এই আয়াতটি গভীর ভাবে লক্ষ্য করুন-আয়াতটির প্রথম অংশে বলা হচ্ছে তিনি সৃষ্টি করেছেন একটি নফস থেকে তারপর তা থেকে তিনি তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন। (নফস শব্দের আভিধানিক অর্থ দেহ সহ জীবন)। একটি জীবন থেকে অথাৎ এককোষি জীব যেমন এ্যামিবা যারা নিজেদেরকে দ্বিখন্ডিত করে তার জোড়া সৃষ্টি করে বংশবিস্তার করে। আল কোরআন স্পষ্ট ভাষায় বলছে একটি নফস বা প্রাণ যা থেকে তার জোড়া সৃষ্টি হয়। এখানে মানুষকে প্রতিলিপিকরণ টেকনোলজির কিভাবে হয়েছে সেই বিষয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
ভাবতে হবে প্রতিলিপিকরণ ক্ষমতা এলো কোথা থেকে? এখন প্রশ্ন হল এই প্রতিলিপি তৈরীকরণ ক্ষমতা ভারী অনুর মধ্যে কিভাবে আসে তার উত্তর আজকের বিজ্ঞানের কাছেও নেই। প্রকৃতিবাদী বিজ্ঞানীরা একে প্রকৃতির নির্দেশণা বা নিয়ম বলে চালিয়ে দিয়েছেন। একবার ভেবে দেখুন, যদি কোন জৈব অনুর মধ্যে প্রতিলিপিকরণ ক্ষমতা থাকতো তবে প্রকৃতিতে সংশ্লেষণের মাধ্যামে একটি অণু তৈরী হওয়াই যথেষ্ট, নতুন অনু সৃষ্টির জন্যে কাঁচামালের প্রয়োজন হতনা, প্রথমটির প্রতিলিপি করণও ভাঙন প্রক্রিয়ায় প্রকৃতি বায়ো অনুতে ভরে যেত ,কিন্তু এমনটা বাস্তবে দেখা যায়না; এমনকি প্রাণকোষস্থিত বায়ো অনু ছাড়া প্রকৃতিতে অন্যান্ন অসংখ্য বায়ো অণুর কোনটাই স্বতস্ফূর্তভাবে তাদের প্রতিলিপি তৈরী করতে পারেনা । বিজ্ঞান বলছে, বর্তমান কালের কোষে নির্দেশণা দানকারী দুই প্রকার ভারী অণু তথা নিউক্লিক এসিড ও প্রোটিন রয়েছে, যাদের মধ্যে নিউক্লিক এসিড নিজের প্রতিলিপির নির্দেশণা দানের ক্ষমতা রাখে। তাহলে আমরা কি বুৃঝতে পারলাম কিভাবে প্রতিলিপিকরন ক্ষমতা প্রকৃতিতে এসেছে। আল কোরআন এটিই বুঝিয়েছে কিভাবে একটি প্রান থেকে তার জোড়া সৃষ্টি করে।

এই আয়াতের পরবর্তী অংশে আল কোরআন বলছে “এবং তিনি তোমাদের জন্যে আট প্রকার আনআম অবতীর্ণ করেছেন।” আনআম শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো প্রাণি বা বডি স্টাকচার বা লাইফ ফর্ম।আবার লক্ষ্য করুন এখানে বলা হচ্ছে অবর্তীন করার কথা। অথাৎ যা প্রেরন করা হয়েছে বা নির্দেশনা দান করা হয়েছে। আট প্রকারের আনআম বা বডি স্টাকচার আল্লা প্রেরন করেছে সেটি আল কোরআন বলছে। আমরা স্টিফেন সি মায়ার এর চিন্তুা তুলে ধরতে পারি। তিনি মনে করেন “ডিএনএ-এর মতো জটিল তথ্যপূর্ণ ব্যবস্থা এবং কোষে থাকা ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশগুলো কোনো এলোমেলো প্রক্রিয়া থেকে উদ্ভূত হতে পারে না। বরং, এই তথ্যগুলো একটি সচেতন নকশাকারীর (designing intelligence) দিকে নির্দেশ করে, ঠিক যেমন একটি সফ্টওয়্যার একটি প্রোগ্রামার বা মন থেকে আসে।” আমরা বুঝে নিতে পারি যে দেহ গঠনের মতো ইনফরমেশ প্রেরণ করা হয়েছে। আল কোরআন এখানে এককোষি প্রাণি থেকে বহুকোষি প্রাণি সৃষ্টির মেকানিজমটিকেই বোঝোচ্ছেন। শুধু তাই নয় একটি বহুকোষি প্রাণি থেকে বিবর্তিত হয়ে অসংখ্য বহুকোষি প্রাণীতে পরিনত হওয়া নয় বরং একই সাথে অসংখ্য বহুকোষি প্রাণীর আর্বিভাব আল কোরআন তুলে ধরেছে। আল কোরআন স্পষ্ট ভাষায় বলছে আমি একটি প্রাণ থেকে তার জোড়া সৃষ্টির টেকনোলজী সৃষ্টির পর আমি ৮ প্রকারের বা অসংখ্য বডি স্টাকচার সৃষ্টির টেকনোলজী প্রেরন করেছি। ঠিক যেমন ফিলিপ জনসন বলেছেন, “প্রাণির পর্বসমূহ ধারাবাহিকভাবে বিকশিত না হয়ে একবারে, একইসাথে আভির্ভূত হয়েছে যার অনেকগুলোই পরে বিলুপ্তির শিকার হয়েছে। আর এ ধরণের ভিন্ন ভিন্ন জীবনরূপ আকস্মিক ও নিঁখুতভাবে দেখা দেওয়া থেকে এটাই বোঝা যায় যে এগুলোকে সৃষ্টি করা হয়েছে।”

এখন প্রশ্ন কিভাবে এই আট প্রকারের প্রানির গঠন কৌশল পৃথিবীতে এলো? আমি পূর্বেই বলেছি কিচু বিজ্ঞানী পপুলেশন জেনেটিক্স নামক ডিসিপ্লিন দিয়ে মিউটেশনের মাধ্যমে প্রজাতির জিনে নতুন ইনফরমেশন যুক্ত হওয়ার বিভিন্ন হিসেব নিকেষ কষে থাকেন। তাদের এই হিসেবে আল্লা প্রদত্ত মিউটেশনের মাধ্যমে অল্প সময়ে প্রাণির পর্বসমূহ ধারাবাহিকভাবে বিকশিত না হয়ে একবারে, একইসাথে আভির্ভূত হতে পারে। এবং পরবতীতে বিবর্তিত হয়ে আরো উন্নত কাঠামো তৈরী করতে পারে। কারন এই আয়াতের পরবতীতে বলা হচ্ছে “তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেন তোমাদের মাতৃগর্ভে; এক সৃষ্টির পর আরেক সৃষ্টি, ত্রিবিধ অন্ধকারে; তিনিই আল্লাহ; তোমাদের রব; রাজত্ব তাঁরই; তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তারপরও তোমাদেরকে কোথায় ফিরানো হচ্ছে “ আল কোরআন বলছে ‘তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেন তোমাদের মাতৃগর্ভে; এক সৃষ্টির পর আরেক সৃষ্টি, ত্রিবিধ অন্ধকারে।’ এক সৃষ্টির পর আরেক সৃষ্টির প্রসংঙ্গটি ধারাবহিক বিবর্তনেরই প্রসঙ্গ তুলে ধরছে। আমার মনে হয় এই পরবর্তী সময়ে সেমুদ্রে বিবর্তনের মাধ্যমে সুন্দর থেকে সুন্দরতর কাঠামোর পরিবর্ধনের মধ্য দিয়ে অস্ংখ্য বডি স্টাকচার আর্বিভুত হতে পারে। যদিও প্রকৃত সত্য টা আল্লাই জানেন। (এই বিষয়টি পরবতী পর্বে উল্লেখ করা হবে)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:০৮

লুধুয়া বলেছেন: চাচা আপনি ধর্ম কর্ম নিয়ে থাকেন।আপনি কোরআন পরেন,জানেন এগুলি নিয়ে লিখেন। শুধু শুধু evoulution এর মতো সায়েন্স টপিক ,যেটা মনে হয় আপনি কোনোদিন পড়েন নি ,পড়লেও আপনার মাথা মোটা ব্রেনে ঢুকেনি।সে জিনিস কে নিয়ে ঘাটা ঘাটি না করলেই ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.