![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেইল[email protected], স্বপ্ন দেখি শুদ্ধ মানুষ হওয়ার, সোনার বাংলা গড়ার। শখ, লেখালেখি, ঘুরে বেড়ানো। সঙ্গি বই। ভালবাসি মাকে, নিজেকে, আমার বাবাকে।
নিঝুম রাত। ঘড়ির কাঁটা তিনটা ছুঁই ছুঁই। উমিয়ার কিছুতেই ঘুম আসছে না। সে জেগে আছে। তার হাতে আল মাহমুদের একটি কবিতার বই। মন খারাব হলে কবিতার এই বইটি পড়তে তার অসম্ভাব ভাল লাগে, মন ভাল হয়ে যায়। আজ তা হচ্ছে না। খুব গরম এক কাপ চা খেতে পারলে হয়ত ভাল লাগত।
কিন্তু উমিয়ার বাবা জাফর সাহেবের ঘুম বেশ পাতলা। পানি গরম করার হেটারটা তার ঘরেই থাকে। পানি গরম করতে গেলে ঘুম ভেঙে যাবে বাবার। তাই সে চা বা কফি কিচ্ছু খেতে পারছে না।
বাইরে একদল কুকুর অনবরত ঘেউ ঘেউ করেই যাচ্ছে। চোর ডাকাত এলে নাকি কুকুররা ডাকাডাকি করে। জানালা থেকে উঁকি মেরে বিষয়টা দেখার চেষ্টা করল উমিয়া। কই নাতো, মানুষজনের কোন বালাই নেই। শুধু শুধু কুকুরগুলো এলোমেলো দাঁড়িয়ে ঘেউ ঘেউ করছে। উমিয়ার কান ধরে আসছে। খুব বিরক্ত লাগছে। উমিয়া কালের কলস’ বইটি খুব মনযোগসহকারে পড়ার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। ঘেউ শব্দ তার মনযোগ নষ্ট করছে।
বইটি রেখে উমিয়া আধশোয়া হয়ে আছে। মুখটা অন্ধকার। মাঝে মাঝে মানুষের মন কারণ ব্যতীত বিষণ্ন হয়। উমিয়ারও আজ কারণ ছাড়া-ই খারাব লাগছে। কী অদ্ভুত ব্যাপার হটাৎ কুকুরগুলো একসঙ্গে চুপ করে গেল। কিন্তু একটা কুকুর ডেকেই যাচ্ছে। কিছুতেই থামছে না। জানালা আটকে দিল উমিয়া। নাহ তাতেও কাজ হল না। কাঠের পাল্লা ভেদ করে বিশ্রী ঘেউ শব্দ ঘরে ঢুকে পড়ছে। সে আবার জানালা খুলে দিল।
শেষ রাতের ঠান্ডা বাতাস হু হু করে প্রবেশ করছে। ভেতরের হৃদয়টাও যেন জুড়িয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে। জানালার সামনে দাঁড়িয়ে ফেলে আসা শৈশবের কিছু স্মৃতি এলোমেলোভাবে মনে পড়ে উমিয়ার। নদীর পাশের ছোট্ট এক গ্রামে তাদের বসবাস। ঘরে ফ্যান ট্যান কিছু নেই। হারিকেনটা জ্বলছে টিমটিম করে। গরমের দিন এলেই বারান্দায় মাদুর পেতে ঘুমোত তারা। চারদিক খোলা। বাতাসে উড়ে আসে হাসনাহেনার মিষ্টি গন্ধ। বাবা গল্প বলেন। রাজা রানী, ভূত প্রেত, শিয়াল মামা আরো কতকিছুর গল্প। খোলা আকাশে জোনাকি উড়াউড়ি করে। বারান্দায় কোন ছাউনি নেই। আকাশে ছড়ানো তারা, চাঁদ দেখা যায়। কী অদ্ভুত সুন্দর সবকিছু। গল্প শুনতে শুনতে একসময় উমিয়ার চোখ বুজে আসে। সে যে কখন ঘুমিয়ে পড়ে তা নিজেও বুঝতে পারে না। কখনো মাঝ রাতে ঝপ্ করে বৃষ্টি নামে। কাঁথা বালিশ নিয়ে দৌঁড়ে ঘরে ঢুকে পড়ে সবাই। কত সুন্দর ছিল জীবনটা তখন। ঢাকায় আসার পর সুন্দর জীবনের সমাপ্তি ঘটেছে। কিন্তু আজ উমিয়ার মনে হচ্ছে, সে শৈশবের জীবনটা এক মুহূর্তের জন্য হলেও ফিরে পেয়েছে।
জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আছে উমিয়া। কিছুক্ষকণের মধ্যে হয়ত লাল সূর্যটা ভেসে উঠবে পশ্চিম দিগন্তে। কুকুরটা কখন চুপ করে গেছে উমিয়া খেয়াল করতে পারেনি। সে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখছে অন্ধকার থেকে কীভাবে ধরনি আলোয় ভরে যায়।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৫
ইসমাঈল আযহার বলেছেন: আমার লেখায় গুরুণ্ডালী দোষ আছে। বানানে ভুলও আছে প্রচুর। যদি ভুলটা শুধরে দেন কৃতজ্ঞ হব। আর গুরুচণ্ডালী দোষ হতে আমি রক্ষে পাইনা।
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৫
শায়মা বলেছেন: লেখাটাও ইনকমপ্লিট....
উমিয়ার বয়স কত?
সকাল কেমনে হয় জানেনা!!!!
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৭
ইসমাঈল আযহার বলেছেন: উমিয়ার বয়স হবে একটা, আমার মনে নেই ,ভুলে গেছি।
নিজের দুর্বলতা স্বীকার করতে লজ্জা কিসের! কাঁচা হাতের লেখা তো ইনকমপ্লিট হবেই।
সকাল কেমন হয় জানেনা, হয়ত তাই।
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৫
আরোগ্য বলেছেন: শুভ ব্লগিং
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৩
ইসমাঈল আযহার বলেছেন: থ্যঙ্ক য়্যূ আরোগ্য ভাইয়া
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
শুভ ব্লগিং। সামুতে আপনাকে স্বাগতম।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২১
ইসমাঈল আযহার বলেছেন: ধন্যবাদ চৌধুরী ভাইয়া
৫| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ৮:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগে সুস্বাগতম! শুভ হোক্ম আপনার ব্লগযাত্রা!
গল্পটাতে একটি ভাল গল্পে পরিণত হবার মত যথেষ্ট উপকরণ ছিল, কিছু কিছু জায়গায় আপনার বর্ণনাও সুন্দর হয়েছে, কিন্তু গল্পটা শেষ পর্যন্ত পরিণতি পেল না!
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৯
শায়মা বলেছেন: খারাব না খারাপ, হেটার না হিটার!
