নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন বন্দির উড়াল

ইশতিয়াক এম সিদ্দিকী

আমি ইশতিয়াক। জন্মসূত্রে পেয়ে গেছি লেখালেখির অধিকার। তাই লিখি মনের আনন্দে। যখন যা মন চায়।

ইশতিয়াক এম সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিদ্ধান্ত

১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ৩:৩৭





মা আশায় রয়েছে কখন রুমের দরজা খুলব।আর আমাকে খেতে ডাকবে।।বন্ধুরা সবাই একত্রিত হয়েছে আমাকে সারপ্রাইজ দিবে বলে।আমার বাসায় আসার জন্য সবাই এই পথেই হাঁটছে। মা বাবাকে বকছে। শুধু শুধুছেলেটাকে বকেছ।গোল্ডেন পায়নি তো কি হয়েছে। এ প্লাস তো পেয়েছে।এখন দেখ না খেয়ে বসে আছে।সেই সকাল থেকে খেতে ডাকছি বলছে রেজাল্ট পেলে খাব।এখন পর্যন্ত কিছু খায় নি।যাও গিয়ে দেখ একটু রাগ ভাঙাতে পার কিনা। বাবা বলেছিল আমার রেজাল্ট ভাল হলে একটা ল্যাপটপ দিবে।এখন দেখছি বাবা আরও দুদিন আগেই কিনে আলমারিতে রেখে দিয়েছে।আমি ঠিক বুঝতে পারছি বাবা হাতে ল্যাপটপটা নিয়ে আমার রুমের দরজার সামনে এগিয়ে আসছে।



"পলল বাবা দরজা খুল। দেখ আমি তোকে কথা দিয়েছিলাম। এই নে তোর ল্যাপটপ। নিয়ে যা বাবা আর রাগ করে থাকিস না।একটু খেয়ে নে।দরজা খুল"।



"বাবা তুমি চলে যাও বাবা আমার কোন কিছুর প্রয়োজন নেই"

আমার বড় আপু আমার জন্য একটা বড় চকলেট এর বক্স নিয়েছে। মাত্রই বলছে " পাজিটা যদি দেখে আমি খালি হাতে তাকে কংগ্রেটস করতে এসেছি, তাহলে আমাকে আর আস্ত রাখবেনা"



আপু রিক্সাতে বসে ভাবছে আর একটু একটু হাসছে। তারপর ফোনটা হাতে নিয়ে আমাকে ফোন দিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার ফোনটা বেজে উঠলো। রিং হচ্ছে। তারপর বন্ধ হয়ে গেল। তার পর আবার।



আপু তোমার ভাইটা যে তোমার সাথে অনেক আনন্দের সাথে এই চকলেট গুলো শেয়ার করতাম। কিন্তু এখন যে তা আর সম্ভব না। আমার ছোট খালামনি খুব খুশি হয়েছে। খালামনি আমার জন্য একটা গিটার কিনেছে। গিটারটি খুব যত্নে গাড়িতে তার পাশে রাখলো।খালামনি আসছে।আমাকে বলছে পাগল তুই যা করেছিস ভালই করেছিস এখনকার গোল্ডেনের কোন মূল্য নেই। আমরা তোর এই রেজাল্টেই খুশি।খালামনি গাড়িতে বসে ভাবছে আমাকে কি করে সান্ত্বনা দিবে।



কি হলো আমার? হঠাৎ করে সবার কথা আমি শুনতে পাচ্ছি কেন? সবাই আমাকে সান্ত্বনা দেবার জন্য এমন উঠে পড়ে লেগেছে কেন। এখন আর কিছু বাকি নেই। আমার নিথর দেহটা ঝূলছে এতক্ষণ খেয়াল করি নি।কিন্তু যখন দেখলাম নিজের চোখকে আর মানাতে পারলাম না।আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।বুক থেকে একটা তীব্র কষ্ট গলায় এসে আটকে যাচ্ছে। আবার মা এসে দরজা ধাক্কাচ্ছে কিরে বের হবি না? তোর বন্ধুরা এসেছে। যা তাদের সাথে একটু ঘুরে আয় মন হালকা হবে।কিরে কি হল দরজা খুল।



একে একে সবাই এসে গেল বড় আপু। বাবা। খালামনি সবাই আমাকে বের হতে বলছে। তোমরা সবাই চলে যাও প্লিজ চলে যাও। মা তুমি আর কোন দিন এই দরজা খুলোনা।এই দরজা আর কোন দিন খুলবে না।কিন্তু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার দেহটাকে সমাহিত কর।আমি আর পারছি না।আমি আর পারছিনা মা!





[লেখকের কথা— আমাদের যত কষ্টই আসুক না কেন।আমাদের কখনোই উচিত না তার কাছে হার মানা।তুমি বেঁচে থেকে দেখে যাও কে তোমাকে ভালোবাসে।কে তোমাকে ঘৃণা করে। কষ্টে ভেঙে পড়ে নিজের জীবনটা শেষ করে দেওয়াই সব নয়।]



photo from google

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:২৫

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: কষ্টে ভেঙে পড়ে নিজের জীবনটা শেষ করে দেওয়াই সব নয়। খুব সত্য কথা।

১১ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

ইশতিয়াক এম সিদ্দিকী বলেছেন: শুভকামনা রইল।ভালো থাকবেন।

২| ১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৫৫

সুমন কর বলেছেন: ভালো লাগেনি।

১২ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫১

ইশতিয়াক এম সিদ্দিকী বলেছেন: এটা একান্তই নিজের ব্যাপার।কিন্তু আশা করি পরের ভাল লাগার মত পোষ্ট করবো।সাথে থাকবেন,ধন্যবাদ।

৩| ১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:৪৪

মুহম্মদ ইমাম উদ্দীন বলেছেন: হুম, সমস্যা তো আসবে স্বাভাবিক। মানুষের কাজ হল সমস্যাকে সমাধান দিয়ে ল্যাং মেরে ফেলে দেওয়া। হার মানা নয়।

১২ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫২

ইশতিয়াক এম সিদ্দিকী বলেছেন: সহমত আপনার সাথে,ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.