![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইশতিয়াক। জন্মসূত্রে পেয়ে গেছি লেখালেখির অধিকার। তাই লিখি মনের আনন্দে। যখন যা মন চায়।
আজ বিকেল ৫ টায় উৎসব এর ভর্তি পরীক্ষার অপেক্ষমাণ তালিকার ফলাফল দিবে। ৫ টা বাজে ফলাফল প্রকাশ হবার কথা,কিন্তু এখন সন্ধ্যা প্রায়, সূর্যের আলোটা নিভু নিভু করছে।উৎসব গাছের নিচে বসে রেজাল্ট এর জন্য অপেক্ষায় রয়েছে কিন্তু এখনও দেখাচ্ছে সাইটে কাজ চলছে। যতই সময় যায় তার উত্তেজনা যেন ক্রমশই বারতে থাকে।
প্রায় ৩ মাস হয়ে গিয়েছে,উৎসব তার এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে শহর ত্যাগ করেছে।কিন্তু খুব সহজেই নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিল এই গ্রাম্য পরিবেশে।তাই যখন গ্রামেই থাকার চিন্তা ভাবনা শুরু করে তখন সে টেকনিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেয়।কিন্তু দুর্ভাগ্য বসত সে আর চান্স পেল না,রয়ে গেল অপেক্ষমাণ তালিকায়।
আজ তার রেজাল্ট দিবে।। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাচ্ছে না,কারণ এটাই তার শেষ সুযোগ ভর্তি হবার।কারণ তার যে পরিকল্পিত ভবিষ্যৎ টা ছিল তা শুধু মাত্র এই ফলাফলের জন্য আটকে রয়েছে।
কিন্তু যদি না হয়,তার জীবন থেকে একটা বছর বৃথা হয়ে যাবে।আর এস এস সি পরীক্ষার ফলাফল তেমন একটা ভালো না হওয়ার ফলে কোন সরকারি কলেজে ভর্তি হতে পরবে বলে মনে হয়না।তাই আর চেষ্টাও করেনি।কিন্তু যদি সে টেকনিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে না পরে তখন তো একটা বিকল্প পরিকল্পনার প্রয়োজন।
হৃদস্পন্ধন বাড়তে থাকে উৎসবের, অনেক কষ্টে মোবাইলটা হাতে নেয়, ওয়েব সাইটে গিয়ে তার ট্র্যাকিং নাম্বার দিয়ে সাবমিট করলো।না কিছু হলনা নেটওয়ার্কে সমস্যা করছে,এবার তার হাত কাঁপছে,না কোনমতেই কিছু করা যাচ্ছে না।তবুও অনেক কষ্টে সাবমিট বাটনে স্পর্শ করল।
নাহ এবার আর তার কিছু করার নেই।সে এখনও অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়ে গেল।চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে সে।
বাবা বলেছিল সবাই তোমাকে বুদ্ধি দিবে কিন্তু কেও থাকার যায়গা দিবে না।আসলেই তাই হয়েছে,সে যখন বিকল্প পরিকল্পনার জন্য ঢাকার কোন কলেজে ভর্তি হতে চেয়েছিল।কিন্তু থাকার জায়গার অভাবে আর হলোনা। তার চাচা-চাচী রা সকলেই ঢাকার উন্নত এলাকাতে থাকে।কেও তাকে থাকার জায়গাটা পর্যন্ত দিল না।মাতৃহীন জীবনে রাস্তার কুকুরের মত নিজেকে মনে হতে লাগে।
মাথার উপর ফ্যানটা আজব একটা শব্দ করে ঘুরছে।এখন উৎসবের মাথায় শুধু তার ব্যর্থতার পরিণতি গুনছে।
বাবা তুমি কি কখনই ভুল বলতে পারনা,তোমার কথার মাঝে এত বাস্তবতা কেন।সবাই এত স্বার্থপর কেন।
ইচ্ছে হচ্ছে কতক্ষণ কেঁদে নেই।
না ইচ্ছে না আসলেই কাঁদছে উৎসব, দুর্ভিক্ষের সময় শিশু যখন খাবারের জন্য মায়ের কাছে কাঁদে। কিন্তু তার তো আর আহারের অভাব নেই,তার আজ অভাব হয়েছে স্নেহের একটু খানি ভালোবাসা।
যখন আর কোন মূল্যেই সফলতার ধারের কাছে ভিড়তে পারি না,তখন নিজেকে নেহাতই অপদার্থ বলে মনে হয়।নিজেকে দুনিয়ার কাছে বোঝা বলে মনে হয়।ঈশ্বর কি কিছুই দেখে না,যখন নিরুপায় মানুষ গুলো কোন পথ না পেয়ে হাহাকার করতে থাকে।নাকি ঈশ্বরও স্বার্থপর হয়ে গিয়েছে,যে তার কাজ করবে সে তার প্রতি সদয় হবে আর যে করবেনা তার প্রতি হবে না।তাই হয়তবা এই স্বার্থপর ঈশ্বরের দুনিয়াটা এত স্বার্থপর.......
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১
ইশতিয়াক এম সিদ্দিকী বলেছেন: আমরাও স্বার্থপর হতামনা, যদি না আমাদের ইশ্বর স্বার্থপর হোত।
২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এমন মনে হতেই পারে , বানান গুলো ঠিক করে নিয়েন !
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৪
ইশতিয়াক এম সিদ্দিকী বলেছেন: একটু দ্রুত লইখেছি,তাই বানান গুলো দেখতে পাইনি।ভুল বানান গুলো যদি একটু ধরিয়ে দিতেন তাহলে সুবিধা হোত।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০০
লুৎফুল আহসান বলেছেন: অামরা সবাই ই স্বার্থপর ।