![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ ২২ শে অক্টোবর কবি জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুদিনে তাঁকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি । কবি ! সত্যিই আপনাকে হৃদয় দিয়ে ভালবাসি !
----------------------------------------------------------------
একজন চেয়েছিল কবি হবে...
বড় কবি
আজকের জীবনানন্দ দাশের মতন!
তার চোখে রবে ঘাস
অথবা হেমন্তে-কার্তিকে- নক্ষত্র হয়ে ঝরে যাবে
প্রেমিকার দেহধারী মন,
সাথে কিছু গাঢ় দীর্ঘশ্বাস,
তাই নিয়ে লিখবে সে প্রগাঢ় কবিতা।
রুক্ষ-বাদামী তার এলোচুলে লেগেছিল প্রেমের বাতাস
সিগারেট দিয়েছিল তারে এক অদৃশ্য- অলীক নিঃশ্বাস
স্যান্ডেল ক্ষয়ে গেলো, ক্ষয়ে গেলো বেদনার্ত বুক
লেগেছিল যার গায়ে কাব্যের ছোঁয়াচে অসুখ!
তার কাছে বিপ্লব কিছু নয়
কিছু নয় প্রেম
সংসার- শিক্ষা- আইন অথবা সময়
তার কাছে কেবল এক কবিতার আখ্যান ছিল,
ছিল না কেবল তার কবিতাকে হারানোর ভয়।
তারা আসছে।
আসছে।
আসছে।
বন্দুক পিঠে বওয়া মার্চরত একদল সৈনিক হয়ে
আকাশ ভেঙে ঝরা শ্রাবনের শেষ না হওয়া জলের মতন।
শ্রমিকের-কুলিদের দেহ বেয়ে নেমে আসা ঘামের মতন।
অমর ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র জীবানুর বেশে, সুখের অক্ষর হয়ে—
*** *** ***
তারে কেউ ‘কবি’ ডাকে নাতো।
অতি-পরিচিত কিছু মানুষ ব্যতীত
তারে কেউ বলে নাকো আগ্রহ-উচ্ছ্বাস নিয়ে,
“নতুন কোন কবিতা কি লিখেছেন?
ভরেছে কি কবিতার পুরোনো সে খাতা?
শোনান না, দু-একটা নতুন কবিতা !”
তারে যারা খুব ভালবাসে-
তারা হয়ত মন রাখতে দেখা হলেই বলে,
‘কিহে কবি? কাব্যচর্চা কতদূর হল?
লিখছো কি কবিতা এখনও?’
কত কবিতা লিখেছে সে- রাখেনি হিসাব।
নামের অভাব-
তার কত কবিতার; -নামও দিতে ভুলে গেছে, কারন তখন
আরেক নতুন কাব্য নেমে এসেছিল তার অলৌকিক মাথার ভিতর
কাব্য জন্ম দেয়ার সুতীক্ষ্ণ তৃষ্ণায় মন
কতবার ভুলে গেছে খাওয়া-দাওয়া-স্নানের অহন!
সবকিছু তাকে রেখে চলে গেছে, তবুও কেবল
রয়ে গেছে সুবিশাল কবিতার দল!
লাবন্যও তাকে ছেড়ে চলে গেলো
তার এই কড়া রোগ বিষাক্ত করেছে তার সাধের জীবন
কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলেছে উপবনে প্রেমিকার মন।
বধু তার চোখে চোখ রেখে-
কখনও বোঝেনি তারে এতোদিন দেখে,
কত নক্ষত্র- কত পৃথিবী- কত কত ফসলের মাঠে
তার হাতে বিষাদের ধানফুল সুখ হয়ে ফোটে!
তার বধু লাবন্যও চলে গেছে তাই।
সেও আর বলেনি কেহরে,
“ছুঁয়ে দ্যাখো, ঘ্রান নাও, আমার এ নরম কালিতে লেখা কবিতাগুলোর
দেখবে কি বিশাল ক্ষমতা রাখে ছোট-ছোট এইসব ক্ষুদ্র অক্ষর
তখন হয়ত তুমি বুঝে নেবে কত সুবিশাল
আমার রাজত্ব আর তার রাজ্যকাল...”
সেও আর বলেনি কেহরে।
প্রয়োজন নেই তো বলার।
তবুও কি জানি কেন, সুবোধ রায়ের সাথে সেইদিন বিকেলের রোদে
হাঁটতে বেড়িয়ে, বহুদূর হেঁটে এসে ঘুনে-ধরা বেঞ্চিতে বসে
বেড়িয়ে এলো অজান্তেই সহস্র বৎসরের জমিয়ে রাখা একটি অভিমান,
“এতোগুলো যে কবিতা লিখলাম সুবোধ,
একটিও কি তার সুপ্রীম পোয়েট্রী হয়নি?”
তারপর?
তারপর বড় এক কবি,
তাকে দিল অপবাদ। গালি দিলো তাকে
‘গন্ডার-কবি’ বলে। বলেছিল, ‘লিখতে পারে না যে-
তার কেন এইসব ঘোড়ারোগ’ ইত্যাদি-ইত্যাদি।
সে হাঁটতো- হাঁটতো, দুপুরের কড়া রোদ ভেঙে
তার নোংরা ধুলোমাখা শার্টখানা শহুরে ধূসর রঙে রেঙে
তার সেই পদক্ষেপ যার ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়েছে বহু কাব্যলোক,
‘মহাপৃথিবী’, ‘ধূসর পান্ডুলিপি’, ‘ঝরা পালক’...
এবার কান্না তার চোখে আসে- (নাকি ধুলো পরেছিল চোখে?)
সত্যিই হয়ত সে গন্ডার-কবি!
নয়ত এখনও কেন আবার মাথায়
এসেছে কবিতা। লিখতে বলছে তাকে পুরোনো খাতায়
তার মন।
এইসব ভাবতে গিয়ে সেই অচেতন
কবি এই পায়নিতো টের,
দেরী হয়ে গিয়েছিল ঢের!
আচমকা দ্রুতবেগে ছুটে এলো তার গায়ে ধীরবেগে চলে যাওয়া ট্রাম
যন্ত্রের নির্বাক দেহ আর কিবা দেবে নক্ষত্রের দাম
মানুষ নামের এই কবিতার প্রানে?
কোনদিন দেয়নিকো মানুষ যেখানে!
তারপর হাসপাতালে- চোখ খুলে চেয়েছিল সে
নিখুঁত জ্বরের মাঝে,
নিউমোনিয়া নামের রোগটি পড়েছিল কবিতার প্রেমে
কবির ব্যথিত দেহে নেমে।
ঘোর-ঘোর চোখে শুধু দেখেছিল কবি তার জমাট কুয়াশা-
তার হেমন্ত। ভেবেছিল কবি সেই হয়তো তখনও
‘নিউমোনিয়া’ নামে কোন কবিতা সে লেখেনি এখনও।
হায় কাব্যরোগ,
তোর জন্যে তার মনে এতো ব্যথা- এতো অনুযোগ-
তোর তবু বসবাস কবির মরনশীল মাথার ভেতরে।
কবি মরে যায়; বাতাসে বাতাসে ভাসে তার সেই বেদনার গন্ধ মাখা কথা...
“এতোগুলো যে কবিতা লিখলাম সুবোধ,
একটিও কি তার সুপ্রীম পোয়েট্রী হয়নি?”
একজন জীবনানন্দ দাশ
চেয়েছিল কবি হবে...
বড় কবি
আজকের জীবনানন্দ দাশের মতন!
কবি! তুমি আজ সত্যিই ‘আজকের জীবনানন্দ দাশ’
তোমার চেতনা আজ কবিতার আকাশে আকাশে
মৃত্তিকার মত তুমি আজ,
আমাদের প্রেম সব ঘাস হয়ে আসে!
[
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: কারেকশন: মৃত্যুদিন
২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৩
মামুন রশিদ বলেছেন: কবি, সত্যিই আমরা আপনাকে হৃদয় দিয়ে ভালবাসি ।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: সত্যিই তাই !
৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমাদের নক্ষত্রের পানে চেয়ে -- একবার বেদনার পানে অনেক কবিতা লিখে চলে গেল যুবকের দল; পৃথিবীর পথে পথে সুন্দরীরা মুর্খ সসম্মানে শুনিল আধেক কথা -- এই সব বধির নিশ্চল সোনার পিত্তল মূর্তি: তবু, আহা, ইহাদেরই কানে অনেক ঐশ্বর্য ঢেলে চলে গেল যুবকের দল: একবার নক্ষত্রের পানে চেয়ে -- একবার বেদনার পানে।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: আহা ! আহা ! আহা !
৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২০
আমিনুর রহমান বলেছেন:
পোস্টে +++
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
কোবিদ বলেছেন:
কবির মৃত্যুৃদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি
বনলতা সেনের কবির জন্য আমার শ্রদ্ধার্ঘ
রবীন্দ্রত্তোর যুগের অসামান্য কবি জীবানানন্দ দাশের ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে !
৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৪
এম মশিউর বলেছেন: কবি! তুমি আজ সত্যিই ‘আজকের জীবনানন্দ দাশ’
তোমার চেতনা আজ কবিতার আকাশে আকাশে
মৃত্তিকার মত তুমি আজ,
আমাদের প্রেম সব ঘাস হয়ে আসে!
ভালো লাগা রইলো।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৮
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: ধন্যবাদ !
৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০
নেক্সাস বলেছেন: কবির মৃত্যুৃদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৮
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: ভাল থাকবেন ।
৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১
উযায়র বলেছেন: অসাধারণ কবি নিয়ে চমৎকার কবিতা।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৭
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ !
৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৩
রাহি বলেছেন: আমি কোন এক পাখির জীবনের জন্য অপেক্ষা করছি তুমি কোন এক পাখির জীবনের জন্য অপেক্ষা করছো হয়তো হাজার হাজার বছর পরে মাঘের নীল আকাশে সমুদ্রের দিকে যখন উড়ে যাবো আমাদের মনে হবে হাজার হাজার বছর আগে আমরা এমন উড়ে যেতে চেয়েছিলাম।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৮
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: হাজার বর্ষ আগে !!!
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:২৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ,
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা;
যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই-প্রীতি নেই-করুনার আলোড়ন নেই
পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।
যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি,
এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হয়
মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা
শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।
জীবনান্দদাশকে তার জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলী। চমৎকার পোস্ট প্রিয় কবিকে নিয়ে।তার লেখা উপরোক্ত কবিতাটি আমার দারুণ প্রিয় একটা কবিতা।