নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এলোমেলো ভাবনার বাইরে বই পড়তে ভালোবাসি, আর পছন্দ নতুন জায়গায় নতুন মানুষের সাথে মিশে তাদের সুখ দুঃখের গল্প শোনা। খুব ইচ্ছা করে এই দেশ ছাড়িয়ে খুব দূরে ভিন্ন দেশের মানুষের খুব কাছে যেতে (সাদা-কালো মানুষের মনের কথা জানতে, তাদের ভালোবাসার রঙ জানতে।

ইমরান তপু-সরদার

যাযাবরী জীবনে সম্পুর্ন অসামাজিক জীব।

ইমরান তপু-সরদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেনা পথে অজানা ভালোলাগা!

১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৩

রুদ্রের মনটা কেন জানি আজ খুব ভালো নেই। সকাল থেকে মুশুলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ তার আর বের হতে ইচ্ছা করছে না। কিন্তু আজ তাকে যে বের হতেই হবে। পড়াশুনার পাশাপাশি হালকা লেখালেখির কাজ করে সে। আজ এই মাসের গ্রুপ রিপোর্টিং ডে, গ্রুপ ডিসকাশান মিস করলে চলে না। অন্য দিন হলে অবশ্য সে বের হতো না।
তাইতো মনের উপর জোর করেই সে আজ বের হয়েছিল। অফিসের কাজ একটু দ্রুত মিটিয়ে একটু আগে ভাগেই সে বেরিয়ে গেলো। এখনও বৃষ্টি হচ্ছে। জ্যামের মধ্যে বাসে চড়ে শাহবাগ মোড়ে নামলো সে।
বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। এদিক ওদিক তাকিয়ে কোন রিকশা চোখে পড়লো না। আচ্ছা হেঁটেই যায়। অনেক দিন খোলা আকাশের নিচে একা একা হাঁটা হয় না। যেই ভাবনা সেই কাজ। একটা সিগারেট ধরায়ে হাঁটতে শুরু করলো রুদ্র। সূর্যসেন হলে যাবে সে।
আনমনে হাঁটছে রুদ্র। কিন্তু কিছুদূর যেতেই আবার ঝুম বৃষ্টি। তার সাথে বৃষ্টি যেন আজ কোন খেলায় মেতেছে। সে ভিজে প্রায় একাকার। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে মিষ্টি ফুলের গন্ধ আসছে।
তার পাশে একটা রিকশা দাঁড়ালো হঠাৎ। রুদ্র চমকে যাওয়ার মতো প্রায়। ভাইয়া হলে যাবেন আপনি? উঠতে পারেন আমার রিকশায়। আমিও যাচ্ছি ঐদিকে। আপনাকে নামায়ে দিবো হলের সামনে। তনু এক নাগাড়ে বলে গেলো কথা গুলো।

রুদ্রর কেন জানি না বলতে ইচ্ছা করলো না। বাঁধা ছাড়ায় সে উঠে পড়লো রিকশায়। বৃষ্টির মাঝে রিকশা ধীরে ধীরে চলছে। রুদ্র মনে করার চেষ্টা করছে সে চেনে কিনা মেয়েটিকে। মনে করার চেষ্টা করেও কিছুতেই সে মনে করতে পারছে না। তার স্মৃতি শক্তি খুব খারাপ না তবে কেন জানি আজ আর তার কিছু মনে করতে ইচ্ছা করছে না।
আমি তনু সিএসই তে পড়ি। আপনি তো জার্নালিজম পড়েন তাই না? ঐযে ভার্সিটি সময়িকী “কিঞ্চিতে” আপনার “যাযাবরী সেই দিনটি” লেখা পড়ে আমার কি যে ভালো লেগেছিল। পত্রিকায় আপনার লেখাগুলোও আমার খুব প্রিয়। সেইদিন থেকে আপনার সাথে কথা বলবো বলে ইচ্ছা করে কিন্তু আপনাকে একাই পায় না কোনদিন।

রুদ্রর খুব অবাক লাগছে। এই ছেঁড়ার লেখা আবার কেউ পড়ে নাকি?
হঠাৎ রুদ্রর মনটা কেমন ভালো লাগতে শুরু করছে। কেন জানি তার খুব বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছা করছে খুব। এই এসব কি ভাবছে সে?
ভাইয়া চলুন বৃষ্টিতে ভিজি। খুব ইচ্ছা করছে। প্লিজ!!
রুদ্রর মন আজ অন্য এক নেশায় মেতেছে। কিছুটা প্রাপ্তি যেন না চায়তেই। রিকশার হুডি তুলে দিলো সে। কেন যে এসব তার সাথে হচ্ছে। কি এক অজানা ভালো লাগা তার ছুঁয়ে যাচ্ছে আজ যেন।

তনু চলো তোমাকে ভিজতে ভিজতে হলে রেখে আসি। রিকশা থেকে নেমে পড়লো তনু। সে কি ঠিক শুনছে?
চেনা পথে পাশাপাশি বৃষ্টির মাঝে কদম ফুলের মিষ্টি গন্ধে হেঁটে চলেছে দু’জন। পথটা যেন তাদের অচেনা। গল্পগুলো যেন আজ আর শেষ হবে না।
রুদ্র ভাবে কিছুটা সময় কাটুক না এভাবে!

---
ইমরান তপু সরদার

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ছবিগুলো কি আপনার তোলা? যাদের ছবি তুলেছেন তারা জানেন?
কয়েকটা জায়গায় বানান ছুটে গেছে, একটু খেয়াল করলেই হতো না।
গল্পটা বেশ সুখপাঠ্য যদিও এরকম গল্প হরহামেশাই লেখা হচ্ছে। সিরিয়াস কিছু লেখা চাই আপনার কাছে।

১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২২

ইমরান তপু-সরদার বলেছেন: ছবিগুলো সংগৃহীত অনলাইন থেকে। আর ইচ্ছা আছে এভাবে সিরিয়াস বিষয়ে চলে আসবে।
ধন্যবাদ অনেক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.