আল কায়েদার গোপন ভিডিও এবং জঙ্গিবাদ নিয়ে কিছু কথা

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১২

কিছু দিন ধরে সারাদেশই এই ভিডিও ব্যাপক সমালোচনা চলছে সুশীল সমাজে আল কায়েদা ভিডিও প্রকাশ হবার পরথেকেই দেখি মিডিয়া এবং সুশীল সমাজ এটা নিয়া খুব কথাবার্তা বলছে।এগুলা কমবেশি আমারা সবাই দেখতাসি তাই এটা নিয়া খুব বেশী কিছু বলব না। শুধু আজকের “বাংলাদেশ সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট” আয়োজিত ‘জঙ্গিবাদের হুমকি : বাংলাদেশ ভাবনা’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনার মেজর জেনারেল আবদুর রশিদ (অবসরপ্রাপ্ত) এর কিছু কথা তুলেদরসি “বাংলাদেশে ৪০টির মতো জঙ্গি সংগঠন ক্রিয়াশীল। জঙ্গিবাদের কারণে এই পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ২২ হাজার ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত কয়েক বছরে হিন্দুদের ৩০০টি মন্দির, ৫০০টি বাড়ি এবং ২০০ দোকান ভাংচুর করা হয়েছে”।(সূত্র Click This Link)

আমার প্রথম কথা হচ্ছে তিনি এই তথ্য কোথায় পাইছেন ? এটা কি আসলেই সত্য ? যদি সত্য হয় তবে এটা কিন্তু খুবই ভয়ঙ্কর। ২২ হাজার ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে এটা সামান্য কিছু হইতে পারে না। দেশে কয়েক লক্ষ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকতে এগুলো কীভাবে হচ্ছে? বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই বাংলা ভাই নামের জঙ্গিকে ধরসে আমারা ভুলে যাই নাই।টেলিভিশান চালু করলেই দেখি সরকারের লোকজন বলছে জঙ্গিকে নির্মূল করবে। তাহলে সমস্যা কোথায়? কেন জঙ্গিদের ধরা হচ্ছে না?

সন্ত্রাসী আর জঙ্গি এক জিনিস নয়। সন্ত্রাসী সব জায়গায় আছে কমবেশি।এদের বিচারও হয় হয়তো কিছু দেরীতে কিংবা কিছু সামগ্রিক আবস্থার পরিবর্তনের পর। যাই হোক সন্ত্রাসী কে জঙ্গি বলার কিছুই নাই। যদি জঙ্গি থেকে থাকে তাদের নির্মূল করা উচিৎ যেকোনো মুল্লে। আর যদি তা না করা হয় কিংবা জঙ্গির অস্থিত না থাকে কিন্তু মিডিয়াতে সারাদিন জঙ্গি জঙ্গি করা হয় তবে তা দেশের জন্য ভালো হবে না। আমাদের ভুলে গেলে হবে না যে ১.৫কোটির ও বেশী বাংলাদেশী দেশের বাইরে থাকে এবং তাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা দেশের অর্থনীতিতে বিশাল ভুমিকা রাখে। আমাদের দেশে জঙ্গিবাদ থাকলে কোন দেশই তাদের থাকতে দিবে বলে মনে হয় না । এই রকম কিছু হইলে দেশের অর্থনীতিই ভেঙ্গে পরবে । তাই সবারই উচিৎ জঙ্গিবাদ এবং জঙ্গিবাদ নিয়া অতিরঞ্জিত প্রচার দুটো নিয়েই সচেতন থাকা।

০ টি +০/-০