নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি রক্ত বন্যা দেখিনি কোথাও,\nদেখেছি চোখের কান্না।\nসে অশ্রু ফোটায় ম্লান হয়েছে\nহীরা, মতি, মণি, পান্না।

মোঃ জাবেদ ভুঁইয়া

আমি রক্ত বন্যা দেখিনি কোথাও, দেখেছি চোখের কান্না। সে অশ্রু ফোটায় ম্লান হয়েছে হীরা, মতি, মণি, পান্না।

মোঃ জাবেদ ভুঁইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্যের হাতছানি - (দ্বিতীয় পর্ব)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

রহস্যের হাতছান

প্রথম পর্ব

দ্বিতীয় পর্ব

তিন .

বিকেলের দিকে রহিম সাহেব আবার

এলেন ।সাথে করে কিছু জরুরী ক্লু

নিয়ে এলেন ।শিলুর ইশারায়

ওগুলো একটা খাতায় লিখতে বসে গেলাম



কেসটার নাম দিলামঃ

"রহস্যের হাতছানি"

ক্লু নং১।এটি একটি খুন

এবং খুনী সম্পর্কিত কেস ।

ক্লু নং২।ঘটনার শুরু তিনমাস

আগে থেকে ।

ক্লু নং৩।দ্বিতীয় মাসে একজন

বিদেশী খুন ।(এতে বুঝা যায় খুনির

টার্গেট নির্দিষ্ট নয় ।

অনেকটা যাকে পাও তাকে মার )

ক্লু নং৪।খুনটা প্রতিমাসের ৪

তারিখে সংঘটিত হয় ।(অন্তত

তিনটা খুনের তারিখ ধরে বলা যায় )

ক্লু নং৫।খুন একই রুমে নয় ভিন্ন

রুমে ঘটে ।

ক্লু নং৬।মৃত দেহ রক্তহীন থাকে ।

ক্লু নং৭।সর্বশেষ খুনটা এমাসের চার

তারিখে সংঘটিত হয় ।

ক্লু গুলো লিখে খাতাটা শিলুর

দিকে এগিয়ে দিলাম ।ও খাতাটায় চোখ

বুলিয়ে টেবিলের উপর রেখে দিল ।

¤আপনার কক্সবাজারে আসার

ঘটনা বলেন ?তীক্ষ ভাবে প্রশ্ন করল

শীলু ।

চার .

রহিম সাহেব বাবা মা মারা যাবার

পর এক অকূল পাথারে পড়েছিলেন ।

তিনি গ্রামের জমি জিরাত

ঘরবাড়ি বিক্রি করে ভাগ্য

সন্ধানে কক্সবাজারে চলে আসেন ।

কক্সবাজারের গোকুল ব্যাপারী নামক

একজন পাগলা টাইপ বিজ্ঞানী লোকের

কাছ থেকে তিনি নামমাত্র দামে এই

হোটেলটা কিনে নেন । ভাগ্য তাঁর

প্রতি সুপ্রসন্য হয় ।মাত্র দু বছরের

ভিতরেই তাঁর দিন ফিরতে শুরু করে ।

মোটামুটি তিনি তাঁর স্ত্রী ও দুই

মেয়েকে যখন উজ্জল ভবিষতের ঠিক

তখনি ঘটে ঘটনাটা ।তার

হোটেলে একজন লোক খুন হয় ।রক্ত

শুন্য লাশ ।

ব্যাপারটা তিনি প্রথমে আমলে নেননি ।

পুলিশদের উপর ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত

ছিলেন ।কিন্তু এর পরের মাসের একই

তারিখে যখন একই ঘটনা ঘটে তখন

তার টনক নড়ে ।মোটা টাকা দিয়ে জোড়

তদন্ত করান ।কিন্তু খুনি তো দূরের

কথা তাঁর টিকিটার দেখা কেউ পায়নি ।

সেই থেকে তিনি তার হোটেলে ব্যাপক

পাহাড়া বসান ।কিন্তু কি হল এই

পাহাড়া বসিয়ে ।খুন হয়ে যায় এই মাসের

৪তারিখে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা তা

রই এক দূরে আত্বীয় ।

এই হল মোটামুটি কেসটার বিবরন ।

আমি শিলুর দিকে কেসের বিবরন

লেখা খাতাটা এগিয়ে দিলাম ।

¤এতে কেসের বিস্তারিত বিবরণ

লেখা আছে ।খাতাটা দিতে দিতে বললাম

আমি ।

শিলু পাঁচ ছয় মিনিট চোখ বুলাল ।

তারপর বলল ,

¤বাহ্ তুই তো ব্যাস

গুছিয়ে লিখতে পারিস ?

¤হু ..এটা আর কি ?

এরপর চুপ করে গেলাম ।

লজ্জা নাকি গর্ব কিসের জন্য

বুঝতে পারলাম না ।

¤কিরে কথা বলছিস না যে ?

শিলুর কথায় সম্বিত্ ফিরে পেলাম ।

চলবে ....

প্রথমে এখানে প্রকাশিত

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.