![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি রক্ত বন্যা দেখিনি কোথাও, দেখেছি চোখের কান্না। সে অশ্রু ফোটায় ম্লান হয়েছে হীরা, মতি, মণি, পান্না।
আগের পর্ব
চার
¤এই সেই হোটেল ?
একটা দুতলা আবাসিক হোটেলের
দিকে ইশারা করে রহিম সাহেবকে প্রশ্ন
করল শীলু ।
¤হ্যা ! মুখের সাথে মাথাও নাড়লেন
রহিমসাহেব ।
আমরা বাইরে দাড়িয়ে কথা বলছিলাম ।
এমন সময় বেড়ারা গোছের একজন লোক
এসে জিজ্ঞেস করল ,স্যার এনাদের
কোন রুমটা দেব ?
¤সমুদ্রের কাছাকাছি রুমটা দিও !
বলেই রহিম সাহেব আমাদেয়
দিকে তাকালেন ।বোধহয় আমাদের
অভিমত জানতে চাচ্ছেন ।শিলু মূদু
হেসে ওনাকে অভিমত জানিয়ে দিল ।
রহিমসাহেব আবার বেড়ারা গোছের
লোকটার দিকে তাকালেন ।তারপর
বললেনঃ করীম যাও সাহেবদের
ঘরটা গুছিয়ে দাও গে !
পাঁচ
রুমটা বেশ সুন্দর আর মনোরম ।
অনেকটা আমার পছন্দের কাছাকাছি ।
আমরা আগে যে হোটেলে ছিলাম
সেখানে রাতের নিঃশব্দতার গভিরে কান
পাতলে সমুদ্রের গর্জন শুনা যেত
কিন্তু এখানে দিন রাত
প্রতিটা প্রহরেই সমুদ্রের গর্জন
নিত্যসঙ্গী ।
আমি জানালা দিয়ে তাকালাম ।এখান
থেকে সমুদ্র দেখা যায় ।
আমি জানালার বাইরে চোখ রেখেই
শিলুকে বললাম ,জাযগাটা বেশ সুন্দর
নারে শিলু ?
কোন জবাব পেলাম না ।
আবার বললাম একটু
জোরেই ,জায়গাটা ভাল
লাগছে নারে শিলু ?
আমার কথার প্রতিধ্বনি হল কিন্তু
কোন নতুন শব্দ যোগ হলনা ।
জানালা থেকে মুখ ঘুরিয়ে চট
করে ঘুরে দাড়ালাম ।দেখলাম শিলু
চিন্তিত মুখে সোফায় বসে আছে ।
কপালটা বেশ কুচকানো ।তারমানে শিলু
একটু একটু বিরক্ত ও ।
¤শিলু !একটু জোরেই ডাকলাম আমি ।
¤কি ?কি ? চমকে উঠে বলল শিলু ।
কপালটা দেখলাম ঠিক হয়ে গেছে ।
¤কিরে এত খন ধরে ডাকছি শুনছিস
না যে ? ঠিক এইসময় রহিমসাহেব
ঘরে প্রবেশ করলেন ।ওনার
সর্বাঙ্গে দেখলাম ক্লান্ততার ছাপ ।
রহিম সাহেব আমাদের
দিকে কতগুলি খাতা এগিয়ে দিলেন ।
¤এগুলো আমার হোটেলের থাকা লোকের
নাম পরিচয়ে পরিসংখ্যান ।বেশ
তারাতারি করেই বললেন ওনি ।
কন্ঠে কেমন হাশফাস ।বুঝলাম
এগুলো জোগার করতে ওনার বেশ
ঝামেলা পোহাতে হয়েছে ।আমি হাত
বাড়িয়ে খাতাগুলো নিয়ে নিলাম ।
ওনি কাজ দেখিয়ে দ্রুত রুম ত্যাগ
করলেন ।
চলবে ..... ।
©somewhere in net ltd.