![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি রক্ত বন্যা দেখিনি কোথাও, দেখেছি চোখের কান্না। সে অশ্রু ফোটায় ম্লান হয়েছে হীরা, মতি, মণি, পান্না।
আগের পর্ব
ছয়
কয়েকদিন শীলু পা নিয়ে বেশ ভুগল ।সেইসাথে আমাকে আর রহিম সাহেবকেও বেশ ভুগাল ।
সেকি ঝামেলা ,সারা রাত পায়ের ব্যথায় ওতো ঘুমোতেই পারেইনি বরং ওর চিত্কারে আমার ঘুমও হারাম ।
রহিমসাহেবকেও বেশ চিন্তিত দেখা গেল ।কয়েকবার মোটা বখশিস দেখিয়ে ডাক্তার নিয়ে এলেন তিনি ।
শেষে শিলুকে হসপিটালে ভর্তি করতে হল ।পায়ের মাংসে নাকি পচন ধরেছে ।এখুনি রোগা মাংসগুলো না ফেলে দিয়ে পরে পুরা পাটা তো যাবেই ,শেষে বাঁচা মরা নিযে ফ্যাকরা বাঁধবে ।
শোনে আর দেড়ি করেন নি রহিমসাহেব ।ছোট একটা অপারেশন হল ।ফলাফল শুভ ।
দিন পনেরোর মধ্যেই শীলু হাসপাতালের বেড থেকে হোটেলে ফিরে এল ।
তবে এখনও হাটতে মানা আছে ।
বিরাট একটা ঘুম দিয়ে উঠলাম ।
চোখ কচলে ঘড়ির দিকে তাকালাম ।বারোটা তের ।
মুখ ফিরিয়ে শিলুর দিকে তাকালাম ।
দেয়ালে হেলান দিয়ে কি জানি একটা পড়ছে ।বেশ মনযোগী দেখা গেল ওকে ।
: কিরে তোর পায়ের কি অবস্থা ?
উঠে বসতে বসতে জিজ্ঞাসা করলাম ওকে ।
: বেশ ভাল ।ব্যাথা ট্যাথা আর নেই ।মনে হচ্ছে হাটতে পারব ।
মুখ না ফিরিয়েই বল ও ।
কিখুখন বাদে রহিম সাহেব আসলেন ।
ভাল মন্দ জিজ্ঞেস করলেন ,পায়ের অবস্থার খোঁজ নিলেন ।
পাটা খুটিয়ে নাটিয়ে দেখলেন ।
সাদা ব্যন্ডেজের উপর দিয়ে হাত ভুলিয়েও নিলেন ।
: মনে হয় দু একদিনের মধ্যেই ব্যান্ডেজ খোলে ফেলা যাবে ।
কি বল অভি ?
: হ্যা ,তার আগে একবার ডক্টরকে জিজ্ঞেস করে নিলে ভাল হয়না ?
: তা তো অবশ্যই ।
শীলু পা সেরে যেতে রহিম সাহেবকে বেশ চিন্তামুক্ত দেখাল ।
হয়তো তদন্তের কাজ শুরু হবে ভেবেই ।
: আপনার কেসটার বেশ দেড়ি হয়ে গেল ।
শীলু বলল ।
শুনে রহিম সাহেব শুকনো হাসি হাসলেন ।
: কেসটা একটু বেপরোয়া ।একটু ছন্নছাড়াও ।
বললাম আমি ।
: হুম !
রহিম সাহেবের মুখের উজ্জলতা যেন শূন্যে মিলিয়ে গেছে ।সেখানে এসে ভর করেছে একরাশ ,চিন্তা ।চরম দুশ্চিন্তা ।
: কেসটা আছে মাঝামাঝি ধাপে ।হয় খুব দ্রত একটা সমাধান পাব নয় .........
: নয় কি ?
বেশ উত্তেজিত দেখাল রহিম সাহেব কে ।
: নয় আরেকটা খূন হয়ে যেতে পারে ।
রহিম সাহেব চুপ করে রইলেন ।কোন কথা বললেন না ।মুখ দেখে মনে হল ঠিক যেন আমাদের উ্পর ভরসা রাখতে পারছেন না ।
বিছানায় ঝাকিয়ে বসল শিলু।কয়েক মূহর্ত সবাই চুপ কর রইলাম ।
শিলূর ইশারা পেয়ে উঠে দাড়ালাম ।
: আপনি আমাদের উপর ভরসা রাখতে পারেন ।
রহিম সাহেবের কাঁধে হাত রেখে বললাম ।
সাত
: তোর প্লান কি রকম বলত ?
রহিম সাহেব চলে যেতেই প্রশ্নটা ছুরে দিলাম শিলুর দিকে ।
: কিসের প্লান বলত ?
অবাক হয়ে গেলাম ওর কথা শুনে ।কিছুই যেন হয়নি এভাবে কথা বলছে ।
খুব রাগ হল উপর ।
ওকি তাহলে কেস্টাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেনা ?
: তুই আসলে চাইছিসটা কি ?আরেকটা খুন হয়ে যাক ?
শিলুর মুখোমুখি এসে বসলাম আমি ।
শিলু আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল ।তারপর আবার মনযোগ দিল হাতের বইটার দিকে ।
কেমন রহস্য রহস্য লাগছে ওর আচরন ।
চলবে ...
©somewhere in net ltd.