নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি রক্ত বন্যা দেখিনি কোথাও,\nদেখেছি চোখের কান্না।\nসে অশ্রু ফোটায় ম্লান হয়েছে\nহীরা, মতি, মণি, পান্না।

মোঃ জাবেদ ভুঁইয়া

আমি রক্ত বন্যা দেখিনি কোথাও, দেখেছি চোখের কান্না। সে অশ্রু ফোটায় ম্লান হয়েছে হীরা, মতি, মণি, পান্না।

মোঃ জাবেদ ভুঁইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত জাদুঘর (পর্ব০১)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১১

আমি জানিনা আমি কিভাবে এখানে চলে এলাম। হঠাৎ করে পথ ভুলে আসার জায়গা এ নয়। স্বপ্নেও নয়। তাও আমি বাস্তবেই আজ এখানে এসে হাজির।
ব্যাপারটা তাহলে একটু খুলেই বলি।

সেদিন ছিল রবিবার। বন্ধুদের সাথে আড্ডায় পড়ে একটু বেশি মদ খাওয়া হয়ে গিয়েছিল সেদিন। নেশায় ঢুলতে ঢুলতে যখন আমার বস্তির ভাঙ্গাচুড়া ঘরটার দিকে এগোচ্ছিলাম তখুনি ঘটলো ঘটনাটা!
একটা আলো। তীব্র একটা একটা নীল রঙের আলো ঝলসে উঠল আমার চোখে। আর আমি আমি যেন ঘুমিয়ে পড়লাম।
সেই যে ঘুমোলাম, তারপর যখন আমার ঘুম ভাঙ্গলো তখন দেখি আমি আর সে বস্তিতে নেই। চারদিকের গলি, পচা নালা আর একের পর এক গা লাগোয়া বাকসোর কাগজ আর কুড়ানো টিন দিয়ে গড়ে তোলা ঘর গুলো বেমালুম মিলিয়ে গেছে। তার বদলে সেখানে ঠাই নিয়েছে গাঁড় সবুজ রঙে আচ্ছাদিত একটা মাঠ। চারদিকে তার উচু পাহাড় ঘেড়া। আর বইছে একটা মিষ্টি বাতাস। মনটা কেমন হু হু করে উঠে।
প্রথমে ভাবলাম আমি বোধহয় মাতাল হয়ে এসব উলটাপাল্টা দেখছি। কিন্তু বেখেয়ালে হাটতে গিয়ে যখন পায়ে কাটা বিধতেই যন্ত্রনায় কুকড়ে উঠলাম তখন বুঝতে পারলাম আমি মাতাল নই, আর ঘুমিয়েও নেই। হয় মরে গেছি নয়তো যা দেখছি সব বাস্তব। এর মধ্য থেকেও প্রথমটা বাদ দিতে হল। কারণ মরে গিয়ে থাকলে এতোখনে আমি নিশ্চিত জাহান্নামে পৌঁছে যেতাম। আর চারপাশে যা দেখছি তাতো নিচ্ছিত বেহেস্ত। কোন ধর্ম মতেই আমি তেমন কোন পুণ্যের কাজ করতে পারিনি যে ঈশ্বর আমাকে এখানে পাঠাবেন।
পা থেকে কাটা খুলে আমি একবার ভালো করে চারপাশে তাকালাম। মাঠটা একেবারেই বিরান। চারপাশে উচু পাহাড় আর গাঁড় সবুজের মাঝে এবার একটা নতুন জিনিস চোখে পড়ল আমার। আমি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম তার ঠিক সামনে বরাবর যেখানে পাহাড়টা সবেচেয়ে উচু হয়ে ঘিরে আসছে মাঠটা তার ঠিক নিচে, বেশ উচু একটা ফটক। ওটার রঙও সবুজ বলে এতোখন চোখে পড়েনি।
কি যেন ভেবে আমি ওটার দিকেই পা বাড়ালাম। কাছাকাছি যেতেই একটা সোরগোলের মত শব্দ কানে এলো আমার। ফটকের যত কাছাকাছি যাচ্ছি তত বাড়তেই লাগল শব্দটা। মনে হল ওপাশটা যেন গিজ গিজ করছে মানুষে।
ফটকটা দুর থেকে যতটুকু দেখেছিলাম তার চেয়ে অনেটাই বড়। লতাপাতায় ছাওয়া। দেখে মনে হয় অনেকদিন ধরে যেন বন্ধই আছে। একটা মস্ত বড় তালা। নড়বড়ে হয়েছিল। ধরতেই খুলে এলো হাতে। ক্যাচ করে একটা শব্দ তুলে একটা কবাট ফাক হয়ে গেল একটু। ভয়ে ভয়ে ধাক্কা দিলাম কবাটটা ধরে। জীর্ণতার সাথে যেন একটা মহা লড়াই চালিয়ে গড়গড় করে একটা শব্দ তুলে খোলে গেল ওটা।
আর সামনে দরজার ওপাশটা যা মেলে ধরল তাতে অবাক হয়ে গেলাম আমি!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভাবছি পরে আবার পড়ব।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

পলাতক মুর্গ বলেছেন: আপনি কি এরকম অসম্পুর্ন গল্প লেখেন নাকি?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫১

মোঃ জাবেদ ভুঁইয়া বলেছেন: না। এই একটা গল্পই অসম্পূর্ন রয়ে গেছে :p

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.