নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি হৃদয়ে বাংলাদেশ, প্রবাসেও বাংলাদেশ!

বহু বছর ধরে প্রবাসে দিন কাটাচ্ছি

চাটগাইয়া জাবেদ

প্রবাসী মন!

চাটগাইয়া জাবেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাল্যবিবাহ রোধে প্রস্তাবিত আইনে নিঃসন্দেহে এই হঠকারী সিদ্ধান্ত মেয়েদের আরও পিছিয়ে দেবে!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৮

বাল্যবিবাহ রোধে প্রস্তাবিত এক আইনে আমাগো বাংলাদেশে ছেলে ও মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়সসীমা কমিয়ে যথাক্রমে ১৮ ও ১৬ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে এবং মন্ত্রিসভা এ ব্যাপারে অলরেডি নীতিগত অনুমোদনও দিয়ে দিয়েছেন!

বাহ, ভালো তো, ভালো না!! যদিও প্রস্তাবিত আইনে বাল্য বিয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির মাত্রা আরও বাড়ানো হয়েছে, তথাপি বিষয়টি আমারে হতবাক করে দিয়েছে! আজ থেকে ১০৫ বছর আগে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তার ‘সুলতানার স্বপ্ন’ লেখায় যেখানে শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মেয়েদের ন্যূনতম বিয়ের বয়স ২১ করার কথা বলেছেন সেখানে আমরা কি তবে সামগ্রিক উন্নয়নের উল্টো পথে হাঁটছি না? X((

প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মেয়েদের ঝরে পড়ার হার এমনিতেই অনেক বেশি। এই আইন এই হারে আরও বাড়িয়ে দেবে সুনিশ্চিতভাবেই। সরকার নারীশিক্ষার প্রসারে ডিগ্রি পর্যন্ত ব্যয় মওকুফ এবং বৃত্তি প্রদানসহ যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে তার মূলেও পড়বে কু্ঠারাঘাত। এছাড়া পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের যে সাফল্য সেটিও হুমকির সুম্মুখিন হবে। আর ১৬ ও ১৮ বছর যথাক্রমে মেয়ে ও ছেলের বিয়ের বয়স হলে বালিকা মাতার সংখ্যা বৃদ্ধির হার কোথায় গিয়ে ঠেকবে আর নির্ভরশীল জনসগোষ্ঠী কী পরিমাণ বাড়বে তা একবার অনুমান করে ভেবে দেখবেন কি? /:)

বাল্যবিবাহ রোধে সরকারের ব্যর্থতা ঢাকার এই প্রচেষ্টায় বলির পাঁঠা কি তবে নারীকেই হতে হবে? নিঃসন্দেহে এই হঠকারী সিদ্ধান্ত মেয়েদের আরও পিছিয়ে দেবে! X(

বিয়ের বয়স কমানোর ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে অনেক যুক্তি দেখান হয়েছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে যে, ইউরোপের অনেক দেশেও বিয়ের বৈধ বয়স ১৬। এখন প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষাসহ অন্যান্য আর্থ-সামাজিক অবস্থানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীরা ইউরোপীয় নারীদের সমপর্যায়ভুক্ত কিনা? অনেক ক্ষেত্রে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পড়াশুনা বন্ধ করে বিয়ে বা বিয়ের পর স্বামী বা তার পরিবার কর্তৃক পড়াশুনা বা চাকরির স্বপ্ন জলাঞ্জলি, সংসারে নারীর মতামতে গুরুত্ব না দেয়ার ঘটনা ইউরোপীয়দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কিনা তাও ভেবে দেখতে হবে। পারিবারিক সম্পদে সমান অধিকার, বহুবিবাহ অবৈধ ঘোষণা এমন অনেক কিছুই তো ইউরোপীয় আইনে আছে, সেগুলো গ্রহণ না করে কেন বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে তাদের উদাহরণ হিসেবে নেয়া হবে?

এতে যা বুঝলাম, রাষ্ট্রের একজন যথার্থ নাগরিক, সমাজের একজন প্রতিনিধি এবং ভবিষ্যতের নেতৃত্বের পথে মেয়েদের বিকাশকে ব্যহত করবে! তবে কি ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া মেয়েদের আরও পিছিয়ে দেয়াই সরকারের লক্ষ্য??

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: একমত । এই বিষয়ে বিস্তারিত পোস্ট দিবো আশারাখি । পোস্ট গুছাতে একটু সময় লাগছে ।

ভালো থাকবেন ।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০০

চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: একমত হয়েছেন শুনে ভালো লাগলো!
তাই নাকি! তাহলে আশারাখি এই বিষয়ে আপনার লেখাটা অতি শীঘ্রই পড়তে পারবো :)

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভ্রাতা , আপনার লেখার 'আজ থেকে ১০৫ বছর আগে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তার ‘সুলতানার স্বপ্ন’ লেখায় যেখানে শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মেয়েদের ন্যূনতম বিয়ের বয়স ২১ করার কথা বলেছেন সেখানে আমরা কি তবে সামগ্রিক উন্নয়নের উল্টো পথে হাঁটছি না? ' - এই অংশটুকু আমার পোষ্টে যোগ করতে চাচ্ছি । করা যাবে কি ?

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০১

চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: কেন নয়! অবশ্যই অবশ্যই পারবেন,
প্রয়োজনে পুরোটাই নিতে পারেন :)

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

করিম মিয়া বলেছেন: অবশেষে কথিত সুশীল সমাজ একটি বিষয়ে আন্দোলন জোরদার করিলো,

সুইট গার্লদের হাইমেন ছেড়ার দায়িত্ব তাদেরকেই দিতে হবে, কিছুতেই স্বামীকে দেয়া চলবে না। ঠিক যেমন প্রাচীন হিন্দু সমাজে ছিলো। হিন্দু ব্রাহ্মণ-ঠাকুরদের প্রথম অধিকার ছিলো কুমারী মেয়েদের সূচনা করে দেয়ার, এরপর হবে স্বামীর ভাগ। যদি ভুল করে কোন স্বামী প্রথম কাজটি সেরেই ফেলে, তবে সে হবে নির্ঘাৎ ধর্ষক, নারী লোভী, ফেডোফাইল, কামাচুর, লুইচ্চা, পার্ভাট, সমাজচ্যুত কিংবা নরকের কীট।
তবে যাই বলেন, কিশোরী মেয়েদের হাইমেন ছেড়ায় মকচুদ কিংবা জাফর ইকবালদের একটা শৈল্পিকতা আছে বৈকি। কখনও হেসে-খেলে, কখনও চাক্কুম-চাক্কুম করে, কখনও নাচে, কখনও গানে, কখনোবা ভ্রমণে, মন ভুলিয়ে, একটু ধরা ধরি, একটু ঢলাঢলি, অবশেষে প্রথম ফুল ফুটিয়ে দেয়া, সবকিছুর মধ্যেই আছে নিপুনতা, আছে শৈল্পিকতা, আছে গভীর মাদকতা। ঠিক যেন কারিতাসের শ্লোগান: সুশীল মানেই ভালোবাসা, রাগ করে নয়, দুঃখ দিয়ে নয়, আদর করে, বুঝিয়ে সুজিয়ে প্রথমবার...........। অভিষেকের পর আবার তারাই শিখিয়ে দেয় 'কিশোর আলো' শ্লোগান: 'চলো বেরিয়ে পড়ি', 'মন বসে না পড়ার টেবিলে', কিংবা 'আমরা সবাই রাজা', মানে 'ফ্রি সেক্স, নো বাউন্ড'।

তবে সবক্ষেত্রে মকচুদ গং 'করিতাস' হইতে নারাজ। বিশেষ করে সমকামীতার ক্ষেত্রে। স্বামীর ঘরে স্ত্রী চিৎকার শুনে মকচুদ গংদের যেমন বুক ফেটে কান্না আসে, কিন্তু একপুরুষ যখন আরেক পুরুষের পশ্চাৎ দেশে বিশেষ অঙ্গ প্রবেশ করায় তখন প্রথম পুরুষের গগন বিদারি চিৎকার দেয় তখন এলজিবিটি সাপোর্টার মকচুদের ভূমিকা হয় উল্টো। তারা উল্লাস করে বলে, 'হ্যা এতদিনে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হলো তাহলে।'
মকচুদ ৮ বছরের মেয়ের সাথে যুবক ছেলের কল্প কাহিনী রচনা করিয়াছে পাবলিক ভুলাইতে। কিন্তু সে নিজেও জানে না ডাক্তারি ভাষা মকচুদকে কখনই সাপোর্ট করে না। ডাক্তাররা বলে, ঐ মেয়েটি মারা যাওয়ার পেছনে দুইটি কারণ থাকিতে পারে।;
১) ভেসো ভেগাল শক (Vaso vagal shock)। এ রোগ ৮ বছর কেন ৩৫ বছর বয়সেরও হইতে পারে। হইলে প্রাপ্ত বষস্ক লোকও মারা যাইতে পারে।
২) হিমোফিলিয়া (Hemophilia)। এরোগ বয়সের উপর নির্ভরশীল নয়, জেনেটিকাল। মানে, ৮ বছরের মেয়ের বিয়ে হওয়াে মারা যাওয়ার পেছনে যে গল্প রচনা করিয়াতে তা পুরোটাই ভুয়া। সত্যি কথা বলতে, যদি ৮ বছর বয়সে বিয়ে হইলে সব মেয়ে মারা যাইতো, তবে খোদ প্রধানমন্ত্রীে শেখ হাসিনা'র মা বেগম ফজিলাতুন নিসা মুজিবও মারা যাইতে পারতেন। কারণ উনারও বিয়ে হয়েছিলো ৮ বছর বয়সে।

ধূর্ত শিয়াল কখনই চায় না, তার মুখের খাবার কেড়ে নেয়া হোক। তাই আবোল-তাবোল বুঝিয়ে তার খাবার জারি রাখার চেষ্টা করে। ঠিক তেমনি, মকচুদদের মত পার্ভাটারও চায়, বাল্যবিবাহ চালু না হোক। কারণ বাল্যবিবাহ চালু হলে একজন মেয়ে শুরুতেই বৈধ স্বামী পাবে, তখন মকচুদদের মত পার্ভাটরা খাদ্য হারাবে, তখন আর মেয়েদের কুমারীত্বকে নিজের একান্ত সম্পদ ভাবতে পারবে না।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: সত্য কথা বলেছেন কিন্তু কিছু কিছু মানুষের সত্য কথা সবসময় তিতা লাগে, নির্মম হলেও এটাই কঠিন বাস্তব।

এইটা কি আপনার সেই লেখাটা?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.