নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসী মন!
আমরা বেঁচে গেছি! বেঁচে গেছি এইজন্য যে জানোয়ারগুলোর কাছে কোন অস্ত্র ছিলো না!
আমরা বেঁচে গেছি কারণ আমার মামাকে প্রাণে মেরে ফেলা হয় নি। আমরা বেঁচে গেছি কারণ, জানোয়ারগুলো আমার বোনটাকে জনসম্মুখে ধর্ষণ করে নাই
হ্যাঁ, মানুষ হিসেবে আমরা এই পর্যায়ে নেমে গেছি যে, প্রাণে বেঁচে যাওয়াটাই এখন আমাদের কাছে অনেক।
বেঁচে গেছি, এটাই যথেষ্ট!
এমনি ভাবে ক্ষোভ নিয়ে কথাগুলো বলেছিলেন রুবাইয়া।
ঢা.বি এর এই ছাএী নিজের বিদেশ ফেরত বোন এবং মামাকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন নিজের সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসে কিন্তু ছাএ নামধারী কিছু রাজনৈতিক ক্যাডার তাদের ওপর পশুর মত হামলে পড়ে। নিজের মামাকে তারা বেদম প্রহার করে। বোন আর সে মামাকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরও রক্তাক্ত করে মানুষরূপী ঐ পশুরা! ছোটবোনের কাপড় ছিড়ে ক্ষত বিক্ষত করে!
বিভিন্ন পএ পএিকায় ইতিমধ্যে খবরটা গুরুত্বের সাথে প্রচার হয়েছে।
কোথায় আছি আমরা!!
যে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্টানে রাজনৈতিক বীজ বপন করা হয়, সেখানে কি করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে!!
প্রতিটা রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছাএদের পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে
আর কিছু বিপথগামী ছাএ নিজের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ক্যাম্পাসে তার অপব্যবহার করে।
মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে, ভোটও গণতান্ত্রিক অধিকার।
কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন ভর্তি বাণিজ্য, টেন্ডার, ক্লাস বর্জন করে রাজনৈতিক স্লোগান, ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ!!
বাবার কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়তে সেখানেও রাজনীতির ছোবল
বয়সে ছোট হলেও তাকেও বড় ভাই ডাকতে হয়! সেমিস্টার এর সেমিস্টার ফেইল করে সে জুনিয়র হয়, তবুও সে বড় ভাই!
বড় ভাই দিব্যি সিগারেট টানবে আর ছোটরা সে ধোঁয়ার বিষ পেটে ভরবে! বড় ভাই মেয়েদের ইভটিজিং করবে আর ছোটরা হাততালি দিবে!
বড় ভাই!
কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার এক বন্ধু ক্ষমতাসীন দলের এক সন্ত্রাসীর হাতে রীতিমত মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ছেলেটি একপ্রকার জোর করে তার কাছ থেকে মোবাইল নাম্বার নেয়, তা নিয়েও সে ক্ষান্ত হয়নি যাওয়ার সময় মেয়েটার কাছ থেকে সিগারেট কেনার টাকাও আদায় করে। রীতিমত আত্মসমপর্ণ করতে বাধ্য হয় সে। এই কথা শুনে তাকে বলেছিলাম সে কেন তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করেনি!
সে বলল সে যদি প্রতিবাদ করত তবে ভার্সিটি ট্রেনে করে তার আর আসা হবেনা,
তাকে প্রতি পদে পদে হয়রানি করা হবে, কুৎসা রটানো হবে।
সে অসহায়, তাই এই ভাবে আত্মসমপর্ণ!
কোথায় আছি আমরা!
আমরা কি সত্যি অসহায়?
শিক্ষা প্রতিষ্টানে কবে এই সব বন্ধ হবে? কোন সরকার কি এই সব বন্ধের ক্ষমতা রাখে না? নাকি তারা সব জেনে শুনেও বন্ধ করে না?
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৪
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: সত্যিই কি আমাদের কিছু করার নেই?
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৭
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: নতুন নতুন ঘটনা ঘটে আর আমরা পুরাতনকে ভুলে যাই...এরা ক্রমাগত অসংখ্য অনাকাঙ্খিত ঘটানার জন্ম দিয়ে চলছে...আর লাঞ্ছিত হবার আগ পর্যন্ত আমরা নিজেদের নিরাপদ ভাবছি...আসলেই আমদের কিছু করার নেই!!!