নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসী মন!
আহলান সাহলান মাহে ১২ রবিউল আউয়াল। মারহাবা, মারহাবা ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)
এই পোস্টের আগের পোস্টে মিলাদুন্নবী "ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন?। তা সেখানে কোরআন ও হাদিস থেকে কিছু তথ্যসহকারে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি, বিস্তারিত ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন? এখানে দেখতে পারেন।
এই পোস্টে তেমন কিছু বলবো না শুধু ঈদে মিলাদুন্নবী বাংলাদেশে কিভাবে পালিত হয় তার সম্পর্কে কিছু বর্ণনা করবো, কথা না বাড়িয়ে চলে যাচ্ছি মূল প্রসঙ্গে....
আমাদের প্রিয় নবীর (সাঃ) শুভাগমন দিবসকে ঘিরে তথা ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপনে আজ শামিল বিশ্বের লাখো-কোটি মুসলিম। প্রাণের চেয়েও প্রিয় আমাদের আক্বা ও মওলা রাহমাতুল্লিল আ’লামিন নবীজি (দ.)। যাঁর শুভাগমন না হলে এই জগৎ অস্তিত্বই পেত না। সমস্ত সৃষ্টি জগতের মূল ও উৎসই হচ্ছে আমাদের পেয়ারা নবী (দ.)। যিনি হচ্ছেন আমাদের জাগতিক ও আধ্যাত্মিক উভয় জগতের মহান দিশারী।
বাংলাদেশে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মানেই জশনে জুলুসের শানদার আয়োজন। নবীপ্রেমী লাখো জনতা আজ জেগেছে আবার। ইমানি উদ্দীপনা নিয়ে রাজপথে হেঁটে হেঁটে প্রিয় নবীর (সাঃ) প্রতি তাজিম ও শ্রদ্ধা জানানোর দিনটি বছর ঘুরে আবারো ফিরে এল। বাংলাদেশে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মানে চট্টগ্রাম-ঢাকার জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)। আজিমুশ্বান জশনে জুলুসে আজ শামিল লাখো লাখো নবীপ্রেমী সুন্নি জনতা। বছরের এই ১২ রবিউল আউয়াল তথা মহিমান্বিত দিনটির অপেক্ষায় থাকেন সুন্নি জনতা। এই দিন মানে নরায়ে তকবির, রেসালত ও গাউসিয়াতের ধ্বনির মাধ্যমে আওলাদে রাসুলকে সামনে রেখে প্রিয়নবীর (সাঃ) প্রতি তাজিম ও সম্মান প্রদর্শনের শুভ মুহূর্ত। প্রিয় নবীর শুভাগমন হয়েছে বলেই পৃথিবী এখনো লাবণ্য ছড়ায়।
পাখির কলতান, সমুদ্রের তরঙ্গ, রহমতের বাতাস, সূর্যের আলো, চাঁদের কিরণ যা কিছু জগতবাসী দেখছে ও অনুভব করছে তার উসিলা তো আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। রবিউল আউয়াল মানে প্রথম বসন্ত। বসন্তের আগমনে প্রকৃতি যেমন নতুন সাজে সজ্জিত হয়ে সবাইকে দোলা দেয়, বৃক্ষলতা পরিবেশ-প্রকৃতিতে প্রাণপ্রবাহ চোখে পড়ে তেমনি মাহে রবিউল আউয়াল ইমানদার নবীপ্রেমী মানুষের সুপ্ত চেতনাকে জাগিয়ে তুলে। হৃদয়ে হৃদয়ে বাজছে আজ সালাত-সালামের মোহনীয় সুর। ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) সারা বিশ্বে মুসলিম জনপদে নানা আয়োজনে বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় উদযাপিত হলেও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে গাউসে জামান আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহর (ম.জি.আ.) নেতৃত্বে আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়ার ব্যবস্থাপনায় ঢাকা-চট্টগ্রামে বিশ্বের বৃহত্তর জশনে জুলুসের দিকেই বিশ্বের দৃষ্টি। বিশ্ব মিডিয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের টপ নিউজের অভিধা পেয়েছে কুতুবুল এরশাদ হাদিয়ে মিল্লাত আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহর (রহ.) নির্দেশ অনুসৃতির স্মারক এ জশনে জুলুস। ৯ রবিউল আউয়াল ঢাকা মোহাম্মদপুর কাদেরিয়া তৈয়বিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে জশনে জুলুসের বড় জমায়েত ঘটে।
এশিয়া খ্যাত শিক্ষালয় জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার বিশাল ময়দানে জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবীর (সাঃ) মূল জমায়েতে নবীপ্রেমী জনতার উচ্ছ¡াস-উদ্দীপনার কোনো তুলনাই হয় না। চট্টগ্রাম-ঢাকায় জশনে জুলুসে আসা লাখো লাখো নবী প্রেমিক আশেক জনতা আছড়ে পড়ে জামেয়া ময়দানে এবং কাদেরিয়া তৈয়বিয়ার জান্নাতি প্রাঙ্গণে। একনজর দেখতে আশেক জনতার ব্যাকুলতা হৃদয়োচ্ছ¡াস তা চোখে দেখলে আঁচ করা যায়- প্রিয় নবীর (সাঃ) আওলাদের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা কত গভীরে। হুজুর কেবলা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ.) নবীপ্রেমী জনতার উজ্জীবনের মূল প্রেরণা জশনে জুলুসের ছদারত করে আসছেন। দুবছর পর এবারো ঢাকা-চট্টগ্রামের জশনে জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ)। তার সঙ্গে রয়েছেন তারই সুযোগ্য শাহজাদা হযরত মাওলানা সৈয়দ কাসেম শাহ (ম.জি.আ)। দুই বছর পর এবার হুজুর কেবলাদ্বয়কে কাছে পেয়ে তরিকতপন্থী লাখো সুন্নি জনতা আজ খুশিতে মাতোয়ারা।
প্রিয় নবীর (দ.) পবিত্র শোণিতধারা হুজুর কেবলার পেছনে নামাজ আদায় করতে এবং তাঁকে এক নজর দেখে অন্তর জুড়াতে প্রতিদিন ঢল নামে আলমগীর খানকা শরিফসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত মাহফিলসমূহে। নাজাতের জিন্দেগির সন্ধানে সাফল্য ও কামিয়াবির পথে ভক্ত মুরিদদের প্রতিনিয়ত উদ্দীপ্ত রাখছেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ.)। পুরুষ আশেক-জনতার পাশাপাশি বিপুল নারী সমাজকে সিলসিলায়ে আলিয়া কাদেরিয়ায় দীক্ষিত করে হুজুর কেবলা দ্বীনি মুবাল্লিগের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।
দীর্ঘ খরার পর বসন্তের আগমনে প্রকৃতি যেভাবে সতেজ হয়ে ওঠে তেমনি মাহে রবিউল আউয়ালে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আওলাদে রাসুলের (দ.) অংশগ্রহণে আজিমুশশান জশনে জুলুস শান মর্যাদা অনুভব-আবেদনে আদতেই আজিমুশ্বানের চেয়েও বাড়তি কিছু নবী প্রেমিকদের কাছে। হকপন্থী এবং বাতিলের অস্তিত্ব সবখানে। ইতিহাসও বলে- বাতিলরা আছে, থাকবেই। অথচ ঈদে মিলাদুন্নবীর ‘সবছে আ’লা ওয়ালা হামারা নবী-সবছে বালা ওয়ালা হামারা নবী’- জশনে জুলুসের এই উচ্চরব নবীবিদ্বেষী ইসলাম বিকৃতকারীদের দুর্গ খান খান করে দেয়। সারা বছরের বদ আক্বিদার সঞ্চিত সওদা ‘জশনে জুলুসের’ টর্নেডোতে যেন খড়কুটোর মতো হাওয়ায় মিলে যায়। বাংলাদেশে ইসলামের প্রবেশদ্বার ইসলামাবাদ তথা চট্টগ্রামের জমিনে এবং পরবর্তীতে ঢাকাসহ দেশের সব জেলা, থানা-গ্রামে জশনে জুলুসের প্রসারতায় উজ্জীবিত এই দেশ, এই দেশের শান্তিকামী দ্বীনদার সত্যনিষ্ঠ কোটি মানুষ। দিনে দিনে জশনে জুলুস পেয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সেরা ইসলামি কৃষ্টি-সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হিসেবে।
দেশে যারা এক সময় জশনে জুলুসের প্রাসঙ্গিকতা প্রয়োজনীয়তা বুঝতে চায়নি বা বুঝেনি তারাও আজ ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) দিবসে বিশাল জশনে জুলুস আয়োজনে অনেক দূর এগিয়েছে। কাজের বড় সার্থকতা-সাফল্য এখানেই। নবী বিদ্বেষী তাগুতি শক্তিকে নবীপ্রেমের চেতনায়-জাগরণে পরাভূত করার মোক্ষম সুযোগ এনে দেয় জশনে জুলুস।
মুসলমানদের জাগরণে, ইমানি চেতনা-উচ্ছ¡াসে সিক্ত ও শুদ্ধ হওয়ার বড় উপলক্ষ জশনে জুলুস। আল্লামা সৈয়দ তৈয়ব শাহর (রহ.) যোগ্য উত্তরাধিকার মুরশেদে বরহক আল্লামা সৈয়দ তাহের শাহর (ম.জি.আ) বিশেষ ভূমিকায় এ জশনে জুলুস আজ বাংলাদেশের অঙ্গন ছড়িয়ে দেশে দেশে বিস্তৃত হচ্ছে। বিশ্বজমিনে আজ যে অশান্তি, অরাজকতা, হানাহানির ধ্বংসাত্মক থাবা এবং নবী-ওলি বিদ্বেষীদের যে দৌরাত্ম্য-ঔদ্ধত্য চলছে তার বিপরীতে শান্তির বাতাবরণে ঐক্য-সংহতি গড়ার ডাক দেয় জশনে জুলুস। জশনে জুলুসে মানুষে মানুষে মিলনের উৎসবে মিছিলের ঐকতানে অন্যায়, মিথ্যা জুলুম ও ইমান-আক্বিদা বিনাশী তৎপরতা পিছু হটবেই। - ইনশাআল্লাহ।
এই আশাবাদ নবী সুন্নি জনতার। মুক্তিকামী দেশবাসীর এবং বিশ্ব মানুষের। জশনে জুলুসের চেতনায় শিক্ষায় নতুন স্বপ্নে বড় কর্ম সম্পাদনে, ইমানি দায়িত্ব পালনে, সুন্নিয়তের দ্বীনি পয়গাম সমুন্নত করার প্রচেষ্টায় আসুক অনুক‚ল জোয়ার। জশনে জুলুস হয়ে উঠুক হকপন্থী শান্তি অন্বেষী বিশ্বের সমগ্র মানুষের ইমান-আক্বিদা ও হুব্বে রাসুলের (দ.) ভিত্তিতে ঐক্যের জাগরণের-আত্মশুদ্ধির শ্রেষ্ঠতম অবলম্বন। এবারের জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবীতে (দ.) নবীপ্রেমীদের অযুত কণ্ঠে ‘বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ও আয়োজনে জশনে জুলুস উদ্যাপন করুন’ এই বলিষ্ঠ আওয়াজ ধ্বনিত হোক। রাষ্ট্রীয় কর্ণধারদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করুক কোটি নবীপ্রেমীর আর্তি-আর্জি। প্রিয় নবীর (দ.) প্রতি ভালোবাসা, আনুগত্য ও তাঁরই আদর্শে প্রতিষ্ঠিত থাকার অবিনাশী প্রেরণা হোক জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। জশনে জুলুস হয়ে উঠুক সুন্নি জনতার ঐক্য ও উজ্জীবনের মাইলফলক।
প্রবৃত্তি তাড়িত অপসংস্কৃতির নিত্য হাতছানিতে মুসলমানদের আদর্শিক ও মূল্যবোধাশ্রয়ী ইসলামি সংস্কৃতি আজ হুমকিগ্রস্ত। কোনো জাতিকে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করতে হলে আগে তার নিজস্ব সংস্কৃতি ঐতিহ্য মুছে দিতে হবে- সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তির এই এজেন্ডা বাস্তবায়িত হচ্ছে আজ মুসলিম দেশগুলোতে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এ যুগে প্রযুক্তি নির্ভর অপসংস্কৃতিতে আচ্ছন্ন যুব সমাজ। মুসলমানদের বড় একটি অংশের মাঝে বিরাজিত অপসংস্কৃতির অপচ্ছায়া দূরীভূত করতে হলে নিজস্ব বোধ-বিশ্বাসের ইসলামি সংস্কৃতি সামনে নিয়ে আসতে হবে। গাউসে জামান আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (র.) সূচিত আজিমুশ্বান জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) সংস্কৃতি আজ বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে মুসলিম বিশ্বেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামি তাহজিব তমদ্দুনের সেরা উদাহরণ এ ‘জশনে জুলুস’ দেশে দেশে আরো ছড়িয়ে দিয়ে মুসলমানদের এই ইসলামি সংস্কৃতির মাধ্যমে জাগিয়ে তুলতে হবে।
বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও স¤প্রীতিবোধ গড়তে ‘জশনে জুলুস’ বড় উপলক্ষ হয়ে উঠুক আজ ঈদে মিলাদুন্নবীর (সাঃ) দিনে আমাদের এই কামনা।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৩
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: আপনার সাথে একমত পোষণ করলাম!
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩২
সোজা সাপটা বলেছেন: আমি এবার লক্ষ্য করলাম যারা ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করা ঠিক নয় বলে তারাই নবী(সা এর সুন্ণত বেশী পালন করে, যেখানে ঈদে মিলাদুন্ণবী পালন কারীদের তার সুন্ণত পালন করতে দেখিনা ।
দাঁড়ী
পায়জামা
পান্জাবী
সহিহ নামাজ
প্রতিদিন কোরআন তিলাওয়াত
মাজার পুজা
ব্যাক্তি পূজা
শরীয়তের নামে গান বাজনার অনুপ্রবেশ