নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসী মন!
"পশু কুরবানী মুসলমানদের এক বর্বরতা! পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা! কুরবানী একটা অপব্যায়!"
আরে, এইটা আমার কথা না, প্রতিবছর কুরবানী ঈদে সুশীল, কুশীল জাতীয় মানবতাবাদীদের কথা! গতকালকে দেখেছি এক কুশিল তার লেখাতে বলেছে এই কথা গুলো।
আচ্ছা, মানলাম এ এক বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা, অপব্যায়। আচ্ছা, আপনারা বাজার থেকে গরুর গোশত কিনে আনেন না? আপনারা কি জ্যান্ত গরু রান্না করেন? আপনারা গরুর গোশত খাইনা, ঠিক আছে, অন্তত মুরগির গোশত তো খান? মুরগি কে ডাইরেক্ট পাতিলে দেন বুঝি? আচ্ছা মাছ খান তো? সেটা পশু না, কিন্তু জীবন তো আছে, তাই না? তো মাছটা কি কেটে রান্না করেন না? নাইবা বললাম হিন্ধু সম্প্রাদয়ের পাঠা বলির কথা, কারণ তা বললে হয়তো বলবেন ধর্ম নিয়ে আমি অমুক-তমুক বলছি!
আর হ্যাঁ! আমি তো ভুলে গেছি যে- মুরগি ছোট এদের কষ্ট কম হয়, গরু বড় এদের কষ্ট হয় বেশি তাইনা? আপনারা জীবনে চিকেন গ্রিল, জালি কাবাব এর চেহারা ও দেখেন না? গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড নিয়ে কাবাব ঘরে আঁধার রাইতে কি খান সেগুলো? প্রশুদের কষ্ট হয়, হাজার হোক আপনেরা পশুপ্রেমী! বাড়িতে ভাই বোনের বিয়েতে ও গরু খাশি জবাই করেন না? কাচ্চি-কাবাব রান্না করেন না? পশুদের কষ্ট, নির্মমতা! তাইতো? নিজেরা ও মানুষকে শুধু আলুভর্তা খাইয়ে বিয়ে করেছেন? তাছাড়া ঘরে মেহমান আসলে কি শুধু আলু দিয়া ভাত দেন? তাইনা ভাই?
আরে বেকুবের দল! মৃত্যু কষ্ট এদের ও সমান বরং জবাইয়ের সময় পশুদের ব্লাড ফ্লো অনেক বেশি থাকে বলে পশুদের কষ্ট কম হয় (সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা) আপনেরা বললেন, “কুরবানী একটা অপব্যায়, এই টাকা দিয়ে ১০ টা গরীব পরিবারকে সাহায্য করা যেত!
আচ্ছা ঠিক বলেছেন, তা হে সুশীল কুশিল আপনে আপনের জীবনে কোন দিন পাশের বাসার গরিব পরিবারকে ২ কেজি গরুর গোশত কিনে দিয়েছেন? মনে পড়ছে না? মনে পড়বে ও না!
অথচ, এই অপব্যায়ী মানুষ গুলো প্রতিবছর এলাকার গরীবদের নূন্যতম ৫ কেজি গোশত দেয় কোরবানিতে। যারা অন্য দিনে সামথ্য থাকে নাকিনে খাওয়ার! আসলে আপনেদের সমস্যা কুরবানী বা পশুপ্রীতি না, আপনাদের সমস্যা মুসলমান! আপনাদের সমস্যা ইসলাম!
আজ যদি মুসলমানরা নামাজ না পড়ত, এটা হত আপনাদের উৎকৃষ্ট ব্যায়াম, মুসলমানরা কুরবানি না দিলে এটা হত GREAT FASTIVAL!!
তাই না ? জানি আপ্নেরা আবার জ্ঞানের ভাণ্ডারও! তো কেউ আছেন নাকি পশুপ্রেমী, থাকলে এখানের প্রশ্নগুলোর কিছু উত্তর যাইয়েন?
০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪৯
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: আমার জন্য নাকি? ধন্যবাদ
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
এক সময় মানুষ বলি দিয়েছে মানুষ; সৌভাগ্য, আমরা সেই যুগে ছিলাম না; না হয়, আমরাই সেটাকে সাপোর্ট করতেম।
এখন মানুষ কোরবানী দিচ্ছে, পশু বলি দিচ্ছে; আগামী ৫০ বছরে ড্রামাটিক পরিবর্তন আসবে।
খাবার হিসেবে মাংস থাকবে; তবে, ধর্মীয় রিচুয়েল হিসেবে বাদ পড়বে।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫১
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: হুম! তবে দেখা যাক সামনে কি হয়!
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০
আমি মিন্টু বলেছেন: মুরগীর রোশ মজা লাগে ।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৫
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: হ মুরগি ছোট এদের কষ্ট কম হয়, তাই আমাদের পশুপ্রেমীদেরও চেতনা একটু কম হয়!
৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: যারা গরু কোরবানীতে অশ্রু ঝড়ান
তারা মায়ের পেটের সন্তানকে গুলিবিদ্ধ
করতে হাত কাপায়না!! এইসকল কপট
বকধর্মীদের শত ধিক !
০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৬
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: ধিক ধিক তাদের শত ধিক!!
৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪
বি এইচ সাগর বলেছেন: ধর্ম নিয়ে বারা বারি করা ঠিক না, কিছু সংখ্যক বেয়াদবের কারনে আজ আমাদের এই অবস্থা,।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৮
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: হ্যাঁ! ধর্ম নিয়েই জত বাড়াবাড়ি হবে, সমাজে ততই অশান্তি নেমে আসবে।
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি, বন্ধ কর তাড়াতাড়ি!
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২০
চল পাখি বলেছেন: